৫:২৯ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৯ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৪, ২০২২ ৪:০৬ অপরাহ্ন
নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সবধরনের সহায়তা দেবে সরকার: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পোলট্রি

নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সরকার সবধরনের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

গতকাল রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা শীর্ষক নীতিনির্ধারণী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এ আলোচনা সভা আয়োজন করে ।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দেওয়া দরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সেটা করবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পোল্ট্রি খাতের যেকোন সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে। পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট নীতিমালা আধুনিক ও সময়োপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

করোনার সময় পোল্ট্রি খাতে উদ্ভূত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ প্রাণিসম্পদ খাত নুয়ে পড়লে দেশে আমিষের সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ খাত রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

পোল্ট্রির উন্নয়নে ব্র্যান্ডিংয়ের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্য যে প্রোটিন বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় তার ওপর কর নেওয়া হয় না। সরকার পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমানোর জন্য কর রেয়াত দিয়েছে। অথচ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তার উৎপাদন সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত উপকরণ আমদানি করে গুদামজাত করেছে, বিক্রিও করেছে।

এ জন্য প্রোটিন আমদানির অনুমতি কাদের কতটুকু দেওয়া হয়েছে সরকার সে তথ্য সংগ্রহ করছে।কার উৎপাদন সক্ষমতা কতটা আছে এবং তিনি কতটুকু কাঁচামাল বাইরে থেকে এনে কতটুকু ব্যবহার করেছেন ও বাকিটা কী করেছেন সেটি জানতে চাওয়া হবে। সরকার পোল্ট্রি খাতে সহায়তা করতে চায় তবে সেটা যথাযথভাবে সংশ্লিষ্টদের গ্রহণ করতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, কৃষিতে যেসব বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেখানে মূল্যহার একরকম, প্রাণিসম্পদের পোল্ট্রি অংশে মূল্যহার ভিন্ন হতে পারে না। এটি একই হারে হতে হবে। মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাত বৃহত্তর কৃষির অংশ। কৃষি খাত বিদ্যুতের যে সুযোগ পায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। নতুন একটি খাতকে বিকশিত করার জন্য যে সুযোগ করে দেওয়া দরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যুত সংযোগের ক্ষেত্রে শিগগিরই সে সুযোগ করে দেয়া সম্ভব হবে।

পোল্ট্রি খাদ্যের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কেন এ প্রশ্ন রেখে এ খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এ খাতে বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে। দেশে ফিড ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে মেশিনারিজ আমদানিতে সরকার কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য সুবিধা দেবে। পোল্ট্রি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে গেলে এর সহায়ক খাতও বিকশিত করতে হবে। রাষ্ট্র সকল সহায়তা দেবে।

তিনি আরও যোগ করেন, পোল্ট্রি শিল্পে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। খামারে দূষণ হলে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ জায়গায় দায়িত্বশীলতা থাকতে হবে। যাদের বড় খামার আছে তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে ভোক্তারা পোল্ট্রি থেকে উৎপাদিত খাদ্যের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

পোল্ট্রি থেকে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য শিল্প স্থাপনের ওপর এ সময় গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। এ ধরনের শিল্প স্থাপনে রাষ্ট্র সবধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা দিতেচায় বলে জানান মন্ত্রী।

ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পোল্ট্রি খাতের বিজ্ঞানী, গবেষক ও অংশজীনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ আয়োজিত নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন বিষয়ক সেমিনারের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন সেমিনারের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা বিষয়ে উপস্থাপন করেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এর সভাপতি শামসুল আরেফীন খালেদ।

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ১০:০৫ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কল সেন্টারে পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক সেবা
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মানুষের দ্বারপ্রান্তে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে চালু হলো কল সেন্টার। মৎস্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬১২৬ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬৩৫৮। এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই দুই খাতের মানুষ সেবা নিতে পারবেন।

জানা গেছে, আপাতত সপ্তাহে ৫দিন (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৎস্য খাতের ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যেক্তারা কলসেন্টার থেকে সরাসরি সেবা পাবেন। মৎস্যচাষী ও খামারিগণ মৎস্য চাষ, মাছের রোগবালাই ইত্যাদি সম্পর্কে টেলিফোন কল সেন্টার থেকে তথ্য ও সেবা পাবেন। একইভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাগণ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টার থেকে গবাদিপশু পালন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ ও সেবা পাবেন।

আজ রোববার মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা কল সেন্টারের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক পুলকেশ মণ্ডলসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কল সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংযুক্ত হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে যেকোনো ব্যক্তি তার প্রয়োজনে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-সেবা শুরু করা হয়েছে। গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে দ্রুততম সময়ে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় এজন্য কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।’

প্রকাশ : জুন ২, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
৩৯ খামারি ও উদ্যোক্তা পেলেন ডেইরি আইকন পুরস্কার
ডেইরী

ডেইরি খামার, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও গোশত প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ এই চারটি ক্যাটাগরিতে দেশে দুগ্ধ খাতে সফল খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমবারের মতো দেয়া হলো ডেইরি আইকন-২০২১ পুরস্কার। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ উপলক্ষে তাদের এই সম্মাননা দেয়া হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

এতে ডেইরি খামারি ক্যাটাগরিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো: ইমরান হোসেন ও খামারি আব্দুস সামাদ ফকিরসহ ১৫ জন; পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে রংপুরের আর আর ট্রেডিংয়ের রাজু আহমেদসহ ৯ জন; দুধ/গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের সাদেক খান দই ঘরের আব্দুল মালেকসহ ৯ জন এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের শান্তা ডেইরি ফার্মের রিয়াজ উদ্দিনসহ ছয়জন এই পুরস্কার পান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু মাছ, গোশত ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। অনেক শিক্ষিত মানুষ এখন প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করছে। তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছে। বেসরকারি খাত ছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হতো না। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা অনেক কৌশলগত অবস্থান নিয়েছি। একসময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আসত। এ খাতের খামারি ও উৎপাদকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এখন আমরা বিদেশ থেকে কোনোভাবেই পশু দেশে আসতে দিচ্ছি না। মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত সরকার সম্প্রসারণ করে রেখেছে। যারা প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাদ্য উৎপাদন করতে চান, সরকার তাদের কর রেয়াতসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে চায়। কিছু কৌশলগত সমস্যার কারণে প্রাণিখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়ছে। কিছু মজুদদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা অনেক কিছু গোপন করে, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত নিয়েও অনেকে সেটা গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট দেখান।

মেধাবী জাতি বিনির্মাণে দুধের চেয়ে ভালো খাবার হয় না উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অত্যন্ত চমৎকার। সরকার মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দুধ উৎপাদনে পশুকে দেয়া খাবারের মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করতে হবে। শুধু লিটারের পর লিটার দুধ বাড়লেই আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারব না। গুণগতমানের দুধ না হলে দুধ থেকে উৎপাদিত খাবারের পুষ্টিমান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রব্বানীসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

 

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তে নতুন প্রযুক্তি সংযোজন হচ্ছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে নতুন যন্ত্র ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম ২০২২ বাস্তবায়ন বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে শিগগিরই নতুন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্ত কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম (ভিএমএস) এবং আর্টিসানাল ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে যথাক্রমে অটোমেটিক আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) ও গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন (জিএসএম) ব্যবস্থা সংযোজনের কাজ চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে অনুমতিপ্রাপ্ত সমুদ্রগামী নৌযানসমূহের অবস্থান জানা যাবে এবং এদের সহজেই মনিটর করা যাবে। এ নৌযানসমূহ আইনের ব্যত্যয় করলে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করা যাবে না। আইন অমান্য করলে সম্প্রতিক সামুদ্রিক মৎস্য আইন ও মোবাইল কোর্টের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে অসহায় জেলেরা যেন অহেতুক হয়রানি না হয় সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা মানে দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করা। এক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সরকারের নীতি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ করা গেলে মৎস্যজীবীদেরই লাভ হবে। সরকার শুধু মৎস্যজীবী ও দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থকে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। এজন্য অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে।

মাঠ পর্যায়ে মৎস্যজীবীদের তালিকা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে হালনাগাদ করা হবে বলে এ সময় জানান মন্ত্রী। প্রকৃত মৎস্যজীবী ছাড়া সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে সমুদ্রগামী জেলেদের এ বছর পর্যাপ্ত ভিজিএফ দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ ও জেলেদের বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও বনবিভাগ সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, অনেক সময় আইন প্রয়োগে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়।। এ ধরনের পরিস্থিতি সাধারণ জেলেরা করে না। এখানে কিছু দুর্বৃত্ত এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। নিষিদ্ধকালে মাছ সংরক্ষণ ও বিপণনের কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না। মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য অভিযানে সম্পৃক্তদের এটা নিশ্চিত করতে হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বিস্তার ঘটছে। একদিকে যেমন মাছ নিয়ে গবেষণা বাড়ছে তেমনি মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের যেভাবে, যত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সবটুকু করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হেমায়েত হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজি শফিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, র‌্যাব এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে সমুদ্রগামী হালনাগাদকৃত ও নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহযোগিতা প্রদান করবে।

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ৪:৪৯ অপরাহ্ন
সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৮ মে ) পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এদেশের একজন নারীও যেন অসহায় না থাকে। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন চান। তিনি চান নারী অপরের দয়া-দাক্ষিণ্যের জন্য বসে থাকবে না। তিনি চান পরনির্ভরশীল না থেকে নারীরা স্বাবলম্বী হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো যোগ করেন, নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনা একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করছেন। উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এমনই একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত প্রাণিসম্পদ উপকরণ হাঁস, মুরগি, ভেড়া প্রান্তিক নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলবে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করবে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল আলম, পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, নেছারাবাদ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার ঘোষ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত, নেছারাবাদ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিয়াজ হোসেন, নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফুয়াদ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী নেছারাবাদের অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শুকনা খাবার বিতরণ করেন। পরে মন্ত্রী একই উপজেলার দক্ষিণ কৌরিখাড়া লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ স্থাপিত নতুন পন্টুন উদ্বোধন করেন।

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, দরিদ্রের কষ্ট বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (৭ মে) পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের শুকনা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নাজিরপুর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি দেশের একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না, একজন মানুষও দরিদ্র থাকবে না, একজন মানুষও অসহায় থাকবে না। শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী অতীতে কখনো আসেনি। তিনি যেভাবে গরিবের কষ্ট বোঝেন, দুঃখীর দুঃখ বোঝেন, অসহায়ের ব্যথা বোঝেন, এ রকম না হলে তিনি রাষ্ট্রনায়ক হতে পারতেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা প্রমাণ করেছেন।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, শেখ হাসিনার মতো জনবান্ধব সরকারপ্রধান আমরা বাংলাদেশে পেয়েছি বিধায় আজ দেশের কোথাও হাহাকার নেই, অভাব নেই, হতাশা নেই। চারদিকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্র মানুষকে স্বচ্ছল করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা রয়েছি।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : মে ৭, ২০২২ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা অপরাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করা অপরাজনীতির বিপক্ষে দল-মত নির্বিশেষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (৬ মে) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে দুস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে যারা বাধা সৃষ্টি করে, যারা অপরাজনীতি করে, যারা ধ্বংসের রাজনীতি করে তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে। বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীদের। প্রত্যেকের মধ্যে নিজস্ব বিশ্বাস ও চেতনা থাকলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের ভ্রান্ত, অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সকলকে প্রগতিশীল রাজনীতিতে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যদি কেউ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করতে চায়, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে চায়, মানুষকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দিকে নিয়ে যেতে চায় তাহলে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার। এ জাতীয় অপরাজনীতি যারা করবে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের যেকোন মূল্যে প্রতিহত করবে।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, আমরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাচ্ছি। অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হচ্ছি। শেখ হাসিনা হচ্ছেন উন্নয়নের জাদুকর। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, স্থানীয় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস হলরুমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, দেশের অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারে সময়ে দেশে কোনো মানুষ অভুক্ত থাকে না। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মহামারীতেও দেশের উন্নয়ন থেমে নেই।

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
ইসলামের মৌলিকত্ব ধারণ করে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

ইসলামের মৌলিকত্ব ধারণ করে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে ২০২২ এর গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবলো, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ, এনটিভির পরিচালক নূরউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, শুধু দৃশ্যমান ধারণ নয়, ইসলামকে মনেপ্রাণে অনুসরণ ও চর্চা করতে হবে। অনৈতিক ও মূল্যবোধহীন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া, অপরকে ঠকানোর জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখা,অপ্রয়োজনে অপরের সমালোচনা করা, অকল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা ইসলামের বার্তা নয়। সম্মিলিতভাবে ইসলামের মৌলিক জায়গা ধারণ করতে হবে। ধ্যানে, মনে, চিন্তা-চেতনায় সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিনিয়োগ করতে হবে।

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ইসলামের মৌলিক ভিত্তি পবিত্র কুরআন। সে  কুরআন যারা বুকে ধারণ করে, বিশ্বাস করে, লালন করে এবং চর্চা করে তারা পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে। এ জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের প্রতি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী কোন আইন বাংলাদেশে পাশ হবে না।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মাদ্রাসা থেকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত এক পঞ্চমাংশ মানুষকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। সে জন্য তিনি  মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরকে এমএ পাশের মর্যাদা দিয়েছেন। বর্তমানে বিপুল পরিমাণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় মেধা ও যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে জেলা-উপজেলায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আলেম ও ইসলামিক বিদ্বানদের জন্য সরকার নানা দিগন্ত উন্মোচন করছে। যেন তারা মূলস্রোতে এসে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে মানুষকে আদর্শ ও নৈতিক মানুষে পরিণত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা মনে করেন ভিক্ষুকের কোন মর্যাদা থাকে না। তাঁর সরকার চায় একজন মানুষও বেকার থাকবেন না, গৃহহীন থাকবেন না। অসহায় মানুষের দুঃখ দেখলে শেখ হাসিনার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের বিস্ময়কর জাদুকর, তাঁর হাত ধরে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনার এ উন্নয়নের ধারায় শামিল হতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা তৈরি করে বেকারত্ব দূর করছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। মাছ ধরা বন্ধকালে মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে।

করোনা সংকটে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় হয়েছে। চলতি রমজানে মাসে বাজারে দ্রব্য মূ্ল্য বৃদ্ধি রোধে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় চালু করা হয়েছে। বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও দুধ, ডিম সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমদের সভাপতিত্বে সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, ফজলুল হক সেন্টু ও সমীর কুমার দাশ বাচ্চু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি,স্থানীয় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করেন মন্ত্রী।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পোলট্রি

পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষি পণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশ আমরা মোকাবিলা করছি। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতায় হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রজাতি উদ্ভাবন করে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দেশে ৬৪টি প্রজাতির দেশীয় মাছ হারিয়ে গিয়েছিল। গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩৪টি বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল ও চাষ পদ্ধতি আমাদের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে। অতি সম্প্রতি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ৬ বছর গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির শোল মাছের প্রজনন কৌশল আবিষ্কার করেছে। ময়মনসিংহে মাছের লাইভ জিন ব্যাংক করে সেখানে ১০২ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোন অঞ্চলে কোন বিশেষ মাছ হারিয়ে গেলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা সে অঞ্চলের নদী-নালা, হাওর-বাওড়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের সরকারের উদ্যোগে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রাষ্ট্র করে দিয়েছে। করোনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর ফলে উৎপাদক, সরবরাহকারী, বিপণনকারী ও ভোক্তারা লাভবান হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি হয়েছে। মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বৈরী পরিস্থিতিতে প্রাণী চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সরকারের উদ্যোগে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।

অসুস্থ প্রাণী হাসপাতালে নয় বরং হাসপাতাল প্রাণির কাছে যাবে। এভাবে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বৈরী আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো যোগ করেন, করোনার বৈরী পরিস্থিতিতে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে। পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির শিল্প স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কর ছাড় দেয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল, সে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। একসময় বাংলাদেশ খাদ্যের জন্য পরনির্ভরশীল ছিল, সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একসময় ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি না হওয়ার শঙ্কা ছিল। এখন কোরবানির হাটে আমাদের উৎপাদিত প্রাণী এক দশমাংশ উদ্বৃত্ত থাকে। এতে মানুষের পুষ্টি আমিষের চাহিদা মিটছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এসিআই এগ্রিবিজনেসেস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গ্রীন ডেল্টা ইস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop