৭:১৮ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ১, ২০২২ ২:৩২ অপরাহ্ন
টেকনাফে পাহাড়ি ছড়ায় মৃত হস্তীশাবক
প্রাণ ও প্রকৃতি

কক্সবাজার টেকনাফের পাহাড়ি ছড়ায় শনিবার (০১ জানুয়ারি) বন্যহাতির একটি মৃত শাবক পাওয়া গেছে। পরে বন বিভাগের কর্মীরা সকাল ৯টার দিকে মৃত শাবকটি উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের টেকনাফ সদর বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্যং ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের ছড়ার পানি থেকে শাবকটির মৃতদেহ উদ্ধরি করা হয়।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, ওই এলাকা দিয়ে বন্যহাতি চলাচল করত। পাশাপাশি পানি পান করতে ওই ছড়ায় হাতির দল প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করে। এরমধ্যে ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী স্থানে মিয়ানমার থেকে আসা ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।

রোহিঙ্গাদের ব্যবহারের পানির জন্য ওই এলাকায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর পাহাড়ের ছড়ার পানি সংরক্ষণ করার জন্য বাঁধ দেয়। এছাড়া হাতি চলাচলের পথ বন্ধ করে ওই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে। ওই সময় বন বিভাগ বাধা দিলেও কাজ হয়নি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ ৩:২৪ অপরাহ্ন
বাগেরহাটে তক্ষকসহ প্রতারক আটক
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে তক্ষকসহ আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৩২) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০) ডিসেম্বর গভীর রাতে চিতলমারী উপজেলার বাখেরগঞ্জ বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এই প্রতারককে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে প্লাস্টিকের নীল ঝুড়িতে রাখা ১৬ ইঞ্চি লম্বা তক্ষক, নগদ ১২ হাজার ৯০০ টাকা এবং তার ব্যবহৃত এ্যাপাচি আরটিআর লাল রংয়ের মোটর সাইকেল জব্দ করে পুলিশ। আটক আব্দুর রাজ্জাক শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার লোকমান শেখের ছেলে।

বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, আব্দুর রাজ্জাক শেখ নামের এক ব্যক্তি ঝুড়ির মধ্যে তক্ষক রেখে বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আমরা ১৬ইঞ্চি লম্বা একটি তক্ষকসহ আব্দুর রাজ্জাককে আটক করেছি। এসময় তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আটক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন-২০২১ এর ৩৪ (খ) ধারায় চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত আব্দুর রাজ্জাককে চিতলমারী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ ১২:৪১ অপরাহ্ন
পরিযায়ী পাখিতে মুখরিত শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট লেক
প্রাণ ও প্রকৃতি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট লেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে। পাখির মঞ্জিল নামে পরিচিত এই জলাধারের পুরোটা জুড়েই বসেছে বসেছে অতিথি পাখির মেলা। এসব পরিযায়ী পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে এখন মুখরিত রাজঘাট বাগান এলাকা। লেকটিকে পাখির অভয়াশ্রম ঘোষণা করার দাবি স্থানীয়দের। 

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় উনিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজঘাট লেক। চারপাশ জুড়ে উঁচু-নিচু টিলা থেকে লেকের পাড় পর্যন্ত নেমে এসেছে চায়ের বাগান। মাঝখানের সমতলে এই প্রাকৃতিক লেকের স্বচ্ছ নীল জলে ফুটে রয়েছে অসংখ্য লাল শাপলা।

শীত আসার সাথে সাথে এই জলাধারে বসেছে পাখির মেলা। লাখ লাখ পরিযায়ী পাখির আগমন লেকটির সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর ডানা ঝাপটানো, জলাশয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে সুরের আবহ।

রাজঘাট লেকে পরিযায়ী পাখিগুলো যেন নিরাপদে থাকতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় ব্যানার্জি।

শীত ছাড়াও বছরের অন্য মৌসুমেও রাজঘাট লেকে পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২১ ১২:০১ অপরাহ্ন
লোকালয়ে পাওয়া হরিণ শাবকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর
প্রাণ ও প্রকৃতি

কোন প্রাণীর ধাওয়া খেয়ে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপে বাবুল মেকার (৫৫) নামে এক কৃষকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি হরিণ শাবক। পরে উঠানে শাবকটিকে দেখে হরিণটিকে ধরে ফেলেন তিনি। এরপর নিঝুমদ্বীপে থাকা পর্যটক ও স্থানীয়রা ভিড় করে শাবকটি দেখতে।

বিষয়টি বনবিভাগের লোকজন জানতে পারলে কৃষকের সঙ্গে দেখা করেন।

পরে বৃহস্পতিবার রাতে নিঝুমদ্বীপ বনবিভাগের লোকজনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে শাবকটিকে হস্তান্তর করা হয়।

হরিণের শাবকটি উদ্ধার করা বাবুল মেকার নিঝুমদ্বীপের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বাতায়ন কিল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসবাস করেন। বাবুল জানায়, তাদের বাড়ির পাশে বিশাল খালি মাঠে প্রতি রাতে ভিড় করে হরিণের দল। বনের খুব নিকটে হওয়ায় খাবারের খোঁজে আসে এসব হরিণ।

বৃহস্পতিবার রাতে হরিণের একটি দল এসে মাঠে দাঁড়ালে শিয়াল এসে আক্রমণ করে তাদের উপর। এসময় হরিণের দল পালানোর সময় দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি বাচ্চা তাদের ঘরের পাশে এসে লুকিয়ে পড়ে। মহিলারা তুলে নিয়ে দেখেন বাচ্চাটির পেছনের একটি পা ভেঙে গেছে। পরে রাতে সেই বাচাটি নিয়ে নামার বাজারে যান কৃষক বাবুল।

বাজারের ব্যবসায়ী মামুনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বনবিভাগের লোকজন এসে বাচ্চটি নিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হোটেলে থাকা পর্যটক ও স্থানীয় অনেক লোক এসে ভিড় করে মামুনের দোকানে। অনেকে কোলে নিয়ে ছবিও তোলেন।

নিঝুমদ্বীপ বন বিভাগের ভিট কর্মকর্তা মাসুদ রায়হান বলেন, উদ্ধার হওয়া শাবকটির একটি পা ভেঙে গেছে। প্রথমে শাবকটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। একেবারে সুস্থ হয়ে পড়লে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২১ ২:৩৯ অপরাহ্ন
বিমানবন্দর থেকে সাতটি পাখি সাফারি পার্কের কোয়ারেন্টিনে
প্রাণ ও প্রকৃতি

বৈধ পাখির চালানের নাম করে দেশে আনা হচ্ছিল অননুমোদিত সাতটি লাফিং কুকাবুরা পাখি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়লে সেগুলো পাঠানো হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। পাখিগুলো এখানে কোয়ারেন্টিনে আছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাখিগুলো সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার অবৈধভাবে আমদানি করা সাতটি লাফিং কুকাবুরা বিমানবন্দরে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ জব্দ করে। ওই দিন সন্ধ্যায় পাখিগুলোকে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। বুধবার পাখিগুলোকে রাখা হয় বন্য প্রাণী কোয়ারেন্টিনে। পাখিগুলো হস্তান্তর করেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা।

আজ সকালে সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, লাফিং কুকাবুরা পাখিগুলোকে একটি বিশেষায়িত ঘরে রাখা হয়েছে। এগুলো দেখতে অনেকটা মাছরাঙার মতো। তবে লাফিং কুকাবুরা আকারে মাছরাঙা থেকে অন্তত চার গুণ বড়। গায়ের রং সাদা-কালোর মিশ্রণ। পাখিগুলোকে খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে শিং মাছ।

বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা বলেন, ঢাকার সিনান বার্ড ফার্মিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান পাখিগুলো অবৈধভাবে আমদানি করেছে। মূলত ককাটেল ও ম্যাকাও পাখি আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়। পরে সেই অনুমতি নিয়ে নেদারল্যান্ড থেকে ককাটেল ও ম্যাকাও পাখির সঙ্গে সাতটি লাফিং কুকাবুরা পাখি আমদানি করে। পরে সেগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে। ইতিমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।

এর আগে বন্য প্রাণী ও পাখি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমেরি ট্রেডিং ও গোল্ডেন কেজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অন্যায় কাজ করেছিল। তাদেরও জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল বলে জানান নিগার সুলতানা।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, ১৫ দিন পাখিগুলোকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এরপর সাফারি পার্কের মধ্যেই তাদের বসবাস উপযোগী পরিবেশে রাখা হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৯, ২০২১ ১২:৩৩ অপরাহ্ন
দুর্লভ প্রজাতির শকুন অবমুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুর্লভ প্রজাতির একটি শকুন অবমুক্ত করেছে উপজেলা বন বিভাগ। অবমুক্ত করা শকুনটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের লাল তালিকাভুক্ত।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শকুনটি অবমুক্ত করা হয়।

সুবর্ণচর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দা রাজু জানান,উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের হাজি ইদ্রিস বাজারের পাশে অসুস্থ অবস্থায় শকুনটিকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে শকুনটি পাঠানো হয়। পরে উপজেলার চর আলাউদ্দিন রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন আট দিন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলে শুকুনটি অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতি সর্ববিদ্যা, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. কাউসার আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ ১:৩৮ অপরাহ্ন
হালদায় আরেকটি মৃত ডলফিন উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

সোমবার সকালে স্থানীয়রা নদীতে ডলফিনটি ভাসতে থেকে। খবর পেয়ে বিকালে নৌ পুলিশ, হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থা আইডিএফকর্মীরা গিয়ে ডলফিনটির মরদেহ উদ্ধার করে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম বলেন, “ডলফিনটি বেশ কয়েকদিন আগে মারা গেছে বলে মনে হয়। দেহ পচে যাওয়ায় শরীরে আঘাত ছিল কি না, তা জানা যায়নি। নদীর পাড়ে রাম দাস মুন্সির হাট এলাকায় সেটি মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভোগের অধ্যাপক ও হালদা রির্সাচ কেন্দ্রের সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, “এটি হালদায় মৃত ৩৩তম ডলফিন। এটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট এবং ওজন প্রায় ১৫ কেজি।”

শরীর পচে যাওয়ার ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ উদঘাটন সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে হালদা ও কর্ণফুলী নদী এবং সংলগ্ন শাখা খালে সাতটি মৃত ডলফিনের সন্ধান মিলল।

২৪ অক্টোবর হালদা নদীর আকবরিয়া এলাকায় সবশেষ মৃত ডলফিনটির সন্ধান মেলে। ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ওই ডলফিনটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এর আগে ৪ অক্টোবর হালদা নদীর রামদাস মুন্সীর হাট এলাকায় আরেকটি মৃত ডলফিন মিলেছিল। তবে সেটিও পঁচে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হালদায় ৩৩টি এবং কর্ণফুলীতে ২টি মৃত ডলফিনের সন্ধান মিলেছে।

এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে হালদায় ও শাখা খালে মারা যায় মোট ১৬টি ডলফিন। এরমধ্যে বেশিরভাগের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। সেসময় নদীতে চলাচলকারী বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারের আঘাতে ডলফিন মারা পড়ছিল বলে জানিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা।

আগের মত বালুবাহী ড্রেজার না চললেও হালদায় মা মাছ শিকারের জন্য জাল পাতা হয় নিয়মিত। পাশাপাশি নদীর তীর রক্ষায় বসানো ব্লকে এবং নদীতে চলাচলকারী নৌযানের সাথে ধাক্কা খেয়েও ডলফিন মরতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম বলেন, “হালদায় এখনও অভিযান চলছে। বালু উত্তোলনকারী নৌকা ও বেশ কিছু মেশিন জব্দ করা হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানাব।”

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

এই প্রজাতির ডলফিন বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের নদীতে দেখা যায়। এরমধ্যে ভারতের গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র, বাংলাদেশের পদ্মা, সুন্দরবনের আশেপাশের নদী এবং চট্টগ্রামের হালদা ও কর্ণফুলী এর বিচরণ ক্ষেত্র।

ডলফিনের চোখ নেই। মূলত ইকো সাউন্ড দিয়ে এরা চলাফেরা ও খাবার সন্ধান করে। এদের শরীরের গঠনও নরম প্রকৃতির।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর মনজুরুল কিবরিয়া জানান, ২০২০ সালে জরিপ চালিয়ে হালদায় ১২৭টির মতো ডলফিনের উপস্থিতি মিলেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ ২:০০ অপরাহ্ন
হাওড় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অতিথি পাখি
প্রাণ ও প্রকৃতি

শীতের শুরুতেই কিশোরগঞ্জের হাওড়গুলোতে একসময় ঝাঁক বেঁধে আসত দেশীয় ও অতিথি পাখি। ওদের শব্দে মুখরিত হতো হাওড় পাড়, আশপাশের মানুষের ঘুম ভাঙত সেই মধুর সুরে। ওরা দল বেঁধে দাপিয়ে বেড়াত এক জলাশয় থেকে অন্য জলাশয়ে। পাখিরা উড়াল দিলেই শুনতে পাওয়া যেত সুমধুর শব্দ। কিন্তু সেই শব্দ কয়েক বছর ধরে আর শোনা যায় না। হাওড়ের লোকজনের এখন আর ঘুম ভাঙে না পাখির কিচিরমিচির ডাকে।

এক সময় কিশোরগঞ্জের হাওড়গুলোকে দেশীয় পাখির রাজ্য বলা হতো। কিন্তু একদিকে, গ্রামের ঘর-বাড়ি আধুনিকায়নের কারণে বিনষ্ট হচ্ছে দেশীয় ও অতিথি পাখির আশ্রয়। অন্যদিকে চাষাবাদ করতে জমিতে ব্যবহার হচ্ছে কীটনাশক। ফলে কিশোরগঞ্জের জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলার হাওড়গুলোতে কমছে পাখি।

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, আগেও মাঠ-ঘাট ও চাষাবাদের জমিতে ছিল দেশীয় ও অতিথি পাখিদের বিচরণ। ঝাঁক বেঁধে খাদ্যের সন্ধানে ব্যস্ত থাকত পাখিরা। ফসলি জমিগুলোতে এখন পাখিদের সচরাচর দেখা যায় না। কয়েক বছর আগেও গ্রাম ও হাওড়গুলোতে টুনটুনি, চিল, পানকৌড়ি, ডাহুক, বালিহাঁস, কোকিল, বক, শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, বাবুইসহ বিভিন্ন পাখি দেখা যেত। এখন আর তেমন দেখা যায় না।

ইটনা উপজেলার বড়হাটি গ্রামের আবু কালাম জানান, হাওড়ে আগে পাখিদের প্রচুর প্রাকৃতিক খাদ্য পাওয়া যেত। কিন্তু খাদ্য সংকটের কারণেই হাওড়ে এখন আর আগের মতো পাখি দেখা যায় না। একই উপজেলা আরেক কৃষক মোহসীন মিয়া জানান, আগে প্রচুর পাখিরা ঝাঁক বেঁধে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় উড়ে যেত। এখন আর ওদের দেখা যায় না। তিনি আরও বলেন, হাওড়ে এখনো শীত মৌসুমে অতিথি পাখি আসে, তবে সেই পাখিগুলো শিকারিরা শিকার করে বাজারে বিক্রি করে দেয়।

অষ্টগ্রামের বড় হাওড়ের কৃষক মফিজ মিয়া বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন প্রচুর পাখি ধরেছি, বর্তমানে সেই পাখি আর চোখেই দেখা যায় না। একই উপজেলার বাংগালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের রমিজ উদ্দিন জানান, এই হাওড়কে এক সময় পাখিদের হাওড় বলা হতো, বর্তমানের কথা আর কি বলব তিনি আরও বলেন, এক সময় পাখিদের কিচিরমিচির মুখরিত শব্দে ঘুম ভাঙত আর এখন আর সেই পাখি নেই।

এ ব্যাপারে পরিবেশবিদ কামরুল হাসান বাবু বলেন, হাওড়ে অতিথি পাখির বিচরণের জন্য অভয়ারণ্যে তৈরি করা যায়নি, পাখির আবাসস্থল ও জীবন রক্ষায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মানুষকে আরও সচেতন করা গেলেই হাওড় হবে পাখির নিরাপদ আবাস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২১ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
কর্ণফুলীর চরে প্রকাশ্যে বন্দুক দিয়ে অতিথি পাখি শিকার
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীতে জেগে উঠা বালু চরে বন্দুক দিয়ে প্রকাশ্যে পাখি শিকারের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার পূর্ব সরফভাটা এলাকার এই বালুচর থেকে দুইটি জলচর ও হাঁস প্রজাতির অতিথি পাখি শিকার করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। হাঁস দুইটির ওজন প্রায় সাত কেজি।

সরফভাটা এলাকার বাসিন্দা সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এবং পাখি গবেষক এনায়েতুর রহিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এনায়েতুর রহিম জানান, শীত মৌসুম শুরুর হতেই কর্ণফুলী নদীর এই বালুচরে বিপুল সংখ্যক অতিথিপাখির সমাবেশ ঘটেছে। এর মধ্যে শনিবার সকাল দশটায় প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে আধুনিক একনালা বন্দুক দিয়ে পরিযায়ী পাখি শিকার করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে পাখি শিকার করলেও স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস করেনি।

অন্যদিকে সম্প্রতি সরকার এয়ারগান নিষিদ্ধ করলেও রাঙ্গুনিয়ায় এভাবে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী পূর্ব সরফভাটা স মিলের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, বিরল প্রজাতির হাঁস দুটি আমাদের সামনেই বন্দুক দিয়ে শিকার করা হয়। আমরা মনে মনে কষ্ট পেলেও কাউকে কিছু বলার সাহস করিনি।

স্থানীয়রা জানায়, রাঙ্গুনিয়ায় প্রায়ই বন্দুক দিয়ে সরকারি বনভূমি জলাশয়ে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকার করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও কোদালা চা বাগানে পাহাড়ের মাটির গর্ত খুঁড়ে একটি সজারু হত্যা করা হয়। পরে চা শ্রমিকরা এই সজারু দিয়ে ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ ৪:০৮ অপরাহ্ন
পাহাড়ে টিয়ার ঝাঁকে খুশি পাখিপ্রেমীরা , বিপাকে কৃষকরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

খাগড়াছড়িতে সকাল-বিকাল চলছে অবিরাম কিচির-মিচির। ঝাঁক বেঁধে উড়ছে হাজারো টিয়া। স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীদের আনন্দের সীমা নেই। কিন্তু এই টিয়ার দল যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের

স্থানীয়রা জানালেন, খাগড়াছড়ির পাশে একটি সমতল এলাকা আছে। যার নাম নিউজিল্যান্ড পাড়া। পাহাড় দিয়ে ঘেরা সমতল ধান ক্ষেত, সবুজ মাঠ, বিস্তীর্ণ গোচারণভূমি ও মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির কারণেই লোকজন এ নাম দিয়েছে। এখানে ধান চাষ হয় বেশি। এখন কৃষকেরা ধান কাটায় ব্যাস্ত। আর সেই পাকা ধানের লোভেই সেখানে হানা দিচ্ছে টিয়াবাহিনী।

টিয়ার শব্দে মুখর গোটা নিউজিল্যান্ড পাড়া। স্থানীয়রা সময় পেলেই ছুটে আসছেন টিয়ার মিলনমেলা দেখতে।

খাগড়াছড়ির ইসলামপুর এলাকার মাহবুবুল আলম, মনপুরার কনিকা দে ও আপার পেরাছড়া এলাকার রূপায়ন তালুকদাররা জানালেন, গত ১০-১৫ দিন ধরে নিউজিল্যান্ড পাড়ার ধানক্ষেতে হাজার হাজার টিয়া। দৃশ্যটা অসাধারণ। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকালে আমরা টিয়া পাখি দেখতে আসছি। তবে কুয়াশা বেশি পড়লে টিয়ারা আসে না।

এদিকে টিয়া-বিপাকে আছেন কৃষকরা। টিয়া ঠেকাতে তাদের এই শীতেও পাহারা দিতে হচ্ছে ধানক্ষেতে। বলছেন, ক্ষেতে টিয়া নামলেই একগাদা ধান সাবাড় করে ফেলে।

পানখাইয়া পাড়া এলাকার কৃষক সাথোয়াই মারমা, চাইন্দা মগিনী জানান তারা ভোর থেকে বিকাল ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন। ১০-১৫ মিনিট ছাড় দিলেই পুরো ক্ষেত শেষ করে দেবে পাখির দল। এখন অন্তত ১০-১৫ শতাংশ ধান খেয়ে ফেলছে টিয়ার পাল। তারা বলছেন, টিয়া দেখে আমরাও খুশি, তবে ওরা সব ধান খেয়ে ফেললে আমরা কী খাবো?

মূলত শীত ও জঙ্গলে খাদ্য সংকটের কারণে লোকালয়ে আসছে টিয়া। তবে যে করেই হোক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলকে কাজ করার অনুরোধ জানান বন কর্মকর্তারা।

খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, টিয়া পাখিরা সাধারণত ফুলের রস ও দানাদার খাদ্য খায়। খাবারের খোঁজে ও আবহাওয়াগত কারণ জঙ্গল ও পাহাড় হতে হাজার হাজার টিয়া খাগড়াছড়ি আসছে। এটা আনন্দের। তবে টিয়া শিকার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি। করলে ২০১২ সালের আইন অনুযায়ী বন্যপাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান হুমায়ুন কবির।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop