ভোলায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ
প্রাণ ও প্রকৃতি
একসময় ভোলার গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ দেখা গেলেও এখন তা প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছ কমতে থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে রস সংগ্রহের ঐতিহ্যও। শীত মৌসুমেও দেখা মিলছে না গাছিদের।
শীতের ভোরে খেজুরের রসের হাঁড়ি কাঁধে নিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করছেন গাছিরা। এমন চিত্র এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না ভোলায়। যদিও এক দশক আগেও দেখা মিলতো এই দৃশ্যের।
কিছুদিন আগেও জেলার ইটভাটাগুলোতে পোড়ানো হতো খেজুর গাছ। আর এ কারণে দিন দিন কমেছে গাছের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, নতুন করে চারা রোপণেও নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।
স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, অনেক গাছ বেচে ফেলেছি। পরে আরো লাগানো হয়না। কারও কোন উদ্যোগও নেই।
কিছু এলাকায় বাড়ির আশপাশে ও ফসলের মাঠে দেখা মেলে কিছু গাছের। কিন্তু, মাটির হাঁড়ি সহজে না মেলায় রস সংগ্রহে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের পাত্র।
এক তরুণ বলেন, একটা হাড়ি কিনতে গেলে ৩০ টাকা লাগে। আমাদের গ্রামে পাওয়া যায়না, অনেক দূর থেকে আনতে হয়। এ কারণে আমরা হাড়ি বসাইনা।
তবে, খেজুর গাছ রোপণে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, বলছে কৃষি বিভাগ।
ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, খেজুর থেকে রস ও গুড় পাওয়া যায়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা করে খেজুর গাছ অনন্য ভূমিকা পালন করে। কৃষকদের আমরা উদ্বুদ্ধ করছি তারা যেন রাস্তার পাশে, ফাঁকা মাঠে খেজুর গাছ রোপণ করে। যা একটা বাড়তি আয়েরও উৎস হতে পারে।
পরিবেশের বৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি রসের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার পাশে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি স্থানীয়দের।