৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২১ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত কুমিল্লার গাছিরা
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলায় কয়েক দিন ধরে শীত পড়তে শুরু করেছে। আর শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস আহরণে কুমিল্লার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গাছিরা গাছ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। যারা খেজুরের রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে গাছ কাটায় পারদর্শী স্থানীয় ভাষায় তাদেরকে গাছি বলা হয়।

এ গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচাছোলা ও নলি বসানোর কাজ শুরু করেছেন। শীত মৌসুম এলেই কুমিল্লার সর্বত্র শীত উদযাপনের নতুন আয়োজন শুরু হয়। খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ এলাকার গাছিরা। তাদের মুখে ফুটে ওঠে রসালো হাসি।

শীতের দিন মানেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রস ও নলেন গুড়ের ম-ম গন্ধ। শীতের সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটা তৃপ্তিকর তা বলে বোঝানো যায় না। আর খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েসতো খুবই মজাদার। এ কারণে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষির, পায়েস ও পিঠে খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।

প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়িতে খেজুর রসের তৈরি খাদ্যের আয়োজন চলে। শীতের সকালে বাড়ির উঠানে বসে সূর্যের তাপ নিতে নিতে খেজুরের মিষ্টি রস যে পান করেছে, তার স্বাদ কোনো দিন সে ভুলতে পারবে না। শুধু খেজুরের রসই নয় এর থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু পাটালি, গুড় ও প্রাকৃতিক ভিনেগার। খেজুর গুড় বাঙালির সংস্কৃতিক একটা অঙ্গ। নলেন গুড় ছাড়া আমাদের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যায় না।

স্থানীয়রা বলছেন, আর মাত্র কয়েক দিন পরই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। রস থেকে গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত। হেমন্তের প্রথমে বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করবে সুস্বাদু খেজুরের পাটালি ও গুড়। অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি।

বরুড়া উপজেলার আড্ডা গ্রামের কামরুজ্জামান জনি জানান, খেজুর গাছের রস হতে উৎপাদিত গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, কুমিল্লায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক রস প্রদানকারী খেজুর গাছ রয়েছে, সেখান থেকে গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও মিষ্টান্ন তৈরি করে নিকটস্থ বাজারে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হয় বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২১ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
সাউথ ক্যারোলিনা থেকে বীজ এনে কুমিল্লায় কালো টমেটোর চাষ
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশের কুমিল্লার একজন সৌখিন চাষী আহমেদ জামিল। পেশায় ব্যবসায়ী জামিল ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনা থেকে কালো টমেটোর বীজ আনান। পরের বছর প্রথম নিজের বাড়িতে টবে কালো টমেটো চাষ করেন। যদিও এখনো বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়নি। কৃষি গবেষকেরা বলছেন, এটি প্রচলিত টমেটোর চেয়ে বেশি মাংসল হয়।

কালো টমেটো প্রচলিত দেশি জাতের টমেটো- যা সাধারণত লাল এবং গবেষণাগারে উদ্ভাবিত সাদাটে সবুজ টমেটোর মতোই দেখতে। কিন্তু এটি আকারে বড় হয়।

এই টমেটো গাছের উচ্চতাও বেশি। ফলন কেবল শীতকালে হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কালো টমেটো বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায়। এই টমেটোর নানা রকম ওষুধি গুণাগুণ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, কালো টমেটোর ওষুধি গুণাবলী নিয়ে দেশে কোনো পরীক্ষা এখনো হয়নি।

কালো টমেটো চাষী আহমেদ জামিল বলেন, শুরুতে বর্ষা মৌসুমে টমেটোর বীজ বুনলেও বৃষ্টির কারণে তখন ফলন হয়নি। পরে শীতে বীজ বোনার পর গাছ হয় এবং ফল পান তিনি। এখনো পর্যন্ত কুমিল্লা শহরে নিজের বাড়ির বাগানে চাষ করছেন এই টমেটো।

দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় চাষ হচ্ছে কালো টমেটো, তবে তা সৌখিন পর্যায়েই হচ্ছে।

কালো টমেটো অনেক দেশে ‘অর্নামেন্টাল ফ্রুট’ হিসেবে চাষ হয়। আমেরিকাতে যেখান থেকে প্রথম বীজ সংগ্রহ করেন আহমেদ জামিল, সেখানে একেকটি গাছে ৪-৫টি টমেটো হয় বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তার দাবি, তার টমেটোর ফলন অনেক বেশি হয়েছে। তার লাগানো প্রতিটি গাছে ৫০-৬০টির মতো কালো টমেটো ধরেছে। দেশি টমেটোর চাইতে এগুলোর আকারও বড়। এই টমেটোর ভেতরটা লাল এবং খেতে টক-মিষ্টি স্বাদের।

ইতিমধ্যে জামিলের কালো টমেটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এবং কৃষি অধিদপ্তর। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু করবেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে টমেটো নিয়ে গবেষণা করছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌসি ইসলাম। তিনি বলেন, প্রচলিত টমেটোর সঙ্গে কালো টমেটোর কিছু গুণগত পার্থক্য রয়েছে।

কালো টমেটো নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা এখনো হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক বিশ্লেষণে তারা দেখেছেন এই টমেটোর খাদ্যগুণ দেশি টমেটোর চেয়ে বেশি। এই টমেটোতে ভিটামিন এ এবং আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে। একই সঙ্গে এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণও সাধারণ টমেটোর চেয়ে বেশি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর ফলন অনেক বেশি হয়, যা দেশিয় চাষীদের জন্য উপকারী ব্যাপার। এর ফলে তারা অল্প জমিতে চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারবেন।

এখনো বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু না হলেও ইতিমধ্যেই কৃষি অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন সরকারি নার্সারিতে কালো টমেটোর বীজ ও চারা রাখতে শুরু করেছেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া রহমান মৌরি জানান, কুমিল্লায় এখনো স্বল্প পরিসরে কালো টমেটোর চাষ হলেও এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি নার্সারিতে এই টমেটো প্রমোট করা হচ্ছে। কালো টমেটোর ভেতরে পানি কম থাকে, যে কারণে এই টমেটো সহজে নষ্ট হয় না। ফলে কৃষকদের কাছ থেকে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২১ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
মাল্টা চাষে জড়িত কুমিল্লায় তিন শতাধিক চাষি
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার গ্রামে-গ্রামে এখন সবুজ মাল্টার উৎসব চলছে। প্রায় তিন শতাধিক চাষি মাল্টা চাষে জড়িত। মাল্টা বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে খুশি চাষি। অন্যদিকে ভোক্তারা ফরমালিনমুক্ত তাজা মাল্টা কিনতে পেরে আনন্দিত।

বিশেষ করে কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট, দেবিদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাল্টার চাষ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে ১০/১৫টি করে চারা লাগাচ্ছেন গৃহস্থরা। সব মিলিয়ে তিন শতাধিক চাষি মাল্টা চাষে জড়িত। তাদের উৎপাদিত মাল্টা কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় ফল দোকানসহ বিভিন্ন উপজেলার দোকানে বিক্রি হচ্ছে। বরুড়া পৌর এলাকার উত্তরের গ্রাম মুগুজি। গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুর রব মাল্টার বাগান করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন।দেশে এসে স্থানীয় বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। বাড়ির পাশে নিজের কিছু জমি ছিল। পরিকল্পনা করলেন অর্থকরি কোনো ফলের বাগান করবেন। ইউটিউবে মাল্টার চাষ ও সম্ভাবনা দেখলেন।

তিনি তিন বছর আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সহযোগিতা নিয়ে ১৭ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেন। তার ভালো ফল দেয়া গাছ থেকে মৌসুমে প্রতিটি থেকে ৩৫ কেজির মতো মাল্টা পেয়েছেন। এই মাল্টা আকারের বড়, মিষ্টিও খুব। তিনি বাজারের পাইকারের কাছে মাল্টা বিক্রি করেন না। গ্রামের মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করেন, যাতে এই ফল সবাই কিনতে পারে।

জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলাম জানান, দেশের শতভাগ মাল্টা আমদানি করতে হয়। এদেশে ভারত, চীন থেকে বেশি মাল্টা আসে। যার অধিকাংশ ক্ষতিকর ক্যামিকেল যুক্ত। দেশের উৎপাদিত মাল্টা এখন বাজারে পাওয়া যায়। যা দেশের মাল্টার পাঁচ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে। এই গতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে মাল্টা রপ্তানি করা যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মাল্টার চাষ করতে অনেকে আগ্রহী। তারা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করছেন। কুমিল্লায় প্রচুর মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্টার বাগান করতে আগ্রহীদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২১ ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
মাছের সঙ্গে শত্রুতা!
মৎস্য

কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার সুরানন্দি গ্রামের আলী আহম্মদের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুকুরের মালিক ভুক্তভূগী আলী আহাম্মদ বলেন, প্রতিদিনের মতো ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় দেখি পুকুরে কয়েকটি কাতলা মাছ মরে ভেসে আছে। পরে সকাল হলে দেখি বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

তিনি বলেন, এলাকায় কারও সঙ্গে আমার তেমন বিভেদ নেই। তবে আমার প্রতিবেশীদের সঙ্গে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় ক্ষতি করবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। ধারণা করছি- তারাই আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ মারা গেছে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২১ ১:৫৫ অপরাহ্ন
চান্দিনায় পটল চাষে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার চান্দিনার শ্রীমন্তপুর গ্রামের মানুষ পটল চাষ করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। কয়েক বছর আগে ওই সব জমিগুলোতে কোন প্রকার চাষাবাদ হতো না এবং তাদের অভাব অনটন লেগে থাকতো। কিন্তু বর্তমানে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পটল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওইসব দরিদ্র সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলায় ৭২ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

পটল চাষিরা জানান প্রতি শতাংশ জমিতে পটল চাষে শ্রেণীভেদে খরচ পড়ছে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত পটল বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। শ্রীমন্তপুর গ্রামের পটল চাষি কামরুল হোসেন বাসসকে জানান, এক সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাদের ৬৬ শতক জমিতে পটল চাষ করে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পটল বিক্রি করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার বাসসকে বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিক ভাবে লাভবানে জন্য সরকারের পক্ষ হতে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্ভুন্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় অনেক জায়গাতে কৃষক পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আগামিতে অত্র উপজেলায় পটলের আবাদ বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২১ ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
বারোমাসি টমেটো চাষে শাওনের বাজিমাত
কৃষি বিভাগ

৩৫ শতাংশ জমিতে বারোমাসি টমেটো চাষ করেছেন কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার সাতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাওন সরকার। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার টমেটোও বিক্রি করেছেন তিনি।

জানা যায়, গত ১৫ জুলাই ৩৫ শতাংশ জমিতে টমেটোর চারা রোপণ করেন শাওন। বর্তমানে পাকা টমেটো স্থানীয় বাজারে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করছেন। খুচরা প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর পাইকারী প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে।

শাওন জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে বারোমাসি টমেটো চাষ বাবদ তাঁর দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, গাছে যে পরিমাণ টমেটো রয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও তিন লাখ টাকার মতো টমেটো বিক্রি করতে পারবেন।

শাওন আরও জানান, কসমেটিক দোকান পরিচালনা করার পাশাপাশি তিনি এ টমেটো চাষ করেছেন। ভবিষ্যতে আরও ১০ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে তাঁর টমেটো ক্ষেত দেখে যাচ্ছেন। অনেকে পর্রামশ নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাবিউল্লাহ জানান, শাওনকে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ আমরা কৃষি সম্প্রাসারণ অফিস থেকে প্রথম থেকেই দিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বাজারে টমেটোর দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক।

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২১ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
শীতের আগাম সবজির ভালো দামে খুশি কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

শীতের আগাম জাতের সবজির ভালো দাম পাচ্ছেন কুমিল্লার চাষিরা। ফসলের কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। চাহিদা থাকায় ভোরেই সবজি কিনতে ভিড় করছেন পাইকাররা।

কৃষকরা বলছেন, অতি বৃষ্টিতে এবার ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দামে তা পুষিয়ে যাচ্ছে। সকালে বিস্তৃত মাঠে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আগাম জাতের সবজি শিমের ফোটা দৃষ্টি নন্দন ফুল।

শিম, বেগুন, পটল, মিষ্টি লাউ, ফুলকপিসহ শীতের সব ধরনের সবজির মাঠ থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা। অতি বৃষ্টিতে ফলন কিছুটা কম হলেও চড়াদামে ক্ষতি পুষিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন চাষিরা।

শিম চাষি তৈয়ব আলী জানান, প্রতি সপ্তাহে বিঘা প্রতি ১-২ মণ শিম তোলা হয়। গত বছরে এর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। এ বছর ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি।

কীটনাশক মুক্ত সবজি চাষাবাদে কৃষকদের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। আর ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে প্রান্তিক পর্যায়ে বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জনপ্রতনিধির।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আগাম জাতের শীতের সবজি চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছে কৃষকরা। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২১ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
হাঁস-মুরগি পালনে পরামর্শ পেলেন কুমিল্লার শতাধিক নারী
প্রাণিসম্পদ

হাঁস-মুরগি ও পশু পালনে পরামর্শ পেয়েছেন কুমিল্লা কোটবাড়ির শতাধিক নারী। এতে স্থানীয় সালমানপুর, গন্ধমতি, রামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের নারীরা অংশ নেন।

সোমবার কুমিল্লা নগরীর কোটবাড়িতে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপন এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।

প্রশিক্ষক ছিলেন বার্ড কুমিল্লার উপ-পরিচালক ডা.বিমল চন্দ্র কর্মকার। সভাপতিত্ব করেন সংস্থার কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কালাম। অতিথি ছিলেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন সুপার ভাইজার এমদাদুল হক, কোটবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক জোনাকী রানী সরকার। এছাড়া নারীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন ডা. শান্তা ইসলাম।

সালমানপুর গ্রামের জামিলা খাতুন বলেন,আমরা পারিবারিকভাবে শত বছর ধরে হাঁস-মুরগি ও পশু পালন করি। সেগুলো রোগাক্রান্ত হলে বেকায়দায় পড়ি। এখানে এসে প্রশ্ন করে বিভিন্ন বিষয় জেনে উপকৃত হয়েছি। আশা করি আগামীতে কোন সমস্যায় পড়বো না।

কুমিল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কালাম জানান, গ্রামীণ নারীদের আমরা পারিবারিকভাবে আয় বাড়াতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করি। কোথায় গেলে সেবা পাওয়া যাবে তার ধারণাও দেয়া হয়। আশা করছি এতে তারা উপকৃত হবেন।

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২১ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় জমে উঠেছে মাছ ধরার ফাঁদ “চাই“ এর হাট
মৎস্য

খাল-বিল ও নদী প্রধান কুমিল্লা জেলায় জেলার অন্তত ২৫টি হাটবাজরে বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ‘চাই’-এর হাট। জেলার চান্দিনা, তিতাস, মুরাদনগর, মেঘনা উপজেলার হাটসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বসেছে চাইয়ের হাট। সপ্তাহে দুই দিন করে হাট বসে।

বর্ষায় পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট-ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের মাছ ধরার খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এই সময়ে জেলার সব জায়গায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে।

কুমিল্লার মাধাইয়া ও দোল্লাই, নবাবপুর হাটগুলোতে দেখা যায়, প্রতিটি চাই আকার ভেদে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দোল্লাই নবাবপুর বাজারের চাই ব্যবসায়ী আনু মিয়া বাসসকে বলেন, এই মৌসুমে প্রতি হাটে ৬০-৭০ টি চাই বিক্রি করি। বহু দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে আমার কাছে এসে চাই কিনে নিয়ে যায়।

বর্ষার শেষ দিকে এসে আমাদের এলাকায় চাই বিক্রি বেড়ে যায়। কারণ এই সময়ে ছোট-ছোট মাছগুলো পানি কমার সময় চাইগুলো জমির আইলে বিশেষ কাদায় পুঁতে রাখলে ফাঁদে মাছগুলো আটকা পড়ে।

মহিচাইল গ্রাম থেকে চাই কিনতে মাধাইয়া হাটে আসা নুরু মিয়া জানান, এই মৌসুমে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি করতাম ৩ থেকে ৪ শত টাকা। আমি প্রতি মৌসুমে পানি কমার সময় ৫ থেকে ৬ চাই কিনে নিয়ে যাই। এগুলো দিয়ে যে মাছ পাওয়া যায়, তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি মাছ স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করি।

প্রকাশ : অক্টোবর ৩, ২০২১ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
২১০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ
কৃষি বিভাগ

মুনাফা বেশি হওয়ায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াপাড়া বেশিরভাগ কৃষক হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। এখানকার মাটিও হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এটি এখন মসলা জাতীয় অর্থকরী ফসল হলুদের গ্রাম নামেই পরিচিতি পেয়েছে। নোয়াপাড়া গ্রাম ছাড়াও কুমিল্লার লালমাই, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ায় হলুদ চাষ হয়ে থাকে। এবছর এসব এলাকায় প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে।

নোয়াপাড়া গ্রামের হলুদ চাষিরা জানান, ডিমলা, বারী ও স্থানীয় উন্নত জাতের হলুদের চাষ করে থাকেন তারা। মাস তিনেক আগ থেকেই জমিতে হুলুদ রোপণ করা হয়েছে। ছয় থেকে সাত মাস পরিচর্যা করতে হয়। এরপর পুরো ফলন মিলবে। হলুদ চাষি খালেদ হোসনে বাসসকে জানান, অন্য ফসলের চেয়ে হলুদ চাষে খরচ কম। তবে মুনাফা ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদ চাষ করে লোকসান গুনতে হয়না। চাষি মনোয়ার হোসেন বলেন হলুদ চাষে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ার কারণে কুমিল্লায় হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ চাষিদের সবসময় সহযোগিতা, পরামর্শ দিয়ে থাকে। এমনকি মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে কৃষি ঋণ সহযোগিতা কোন চাষি চাইলে আমরা যথাযথ নিয়মে তার ব্যবস্থা করে দিতে প্রস্তুুত আছি।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop