৬:৪০ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৩ ৩:০৯ অপরাহ্ন
ঝিঙ্গা চাষে লাভবান চরাঞ্চলের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

ভোলার চরাঞ্চলের কৃষকরা ঝিঙ্গা চাষে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ঝিঙ্গা একটি সুস্বাধু সবজি। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এর চাষে খরচ অল্প ও বেশি লাভজনক হওয়ায় চরের চাষিরা বেশি বেশি ঝিঙ্গা চাষ করছেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবানের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে পারছেন।

জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরে ঝিঙ্গার ব্যাপক চাষ হয়েছে। এখানকার কৃষকরা হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা চাষ করছেন। চরের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় ঝিঙ্গা সহ সব ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হয়। আর বাজারে ঝিঙ্গা ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। এখানকার উৎপাদিত ফসল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। অল্প খরচে ও সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যায় বলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে।

চর চটকি মারার গাগুরিয়া চরের কৃষক হাফিজ চৌকিদার বলেন, আমি অন্যের জমি লিজ নিয়ে কৃষি কাজ করি। গত ২ বছর ধরে প্রথমে ৫ শতক তারপর ১০ ও এখন ২০ শতক জমিতে ঝিঙ্গা করছি।

তিনি আরো বলেন, ২০ শতক জমিতে ৬০০টি ঝাড় তৈরী করেছি। প্রতিটি ঝাড়ে তিনটি করে হাইব্রিট মেটাল সিটের ইউরেকা জতের বীজ বপন করেন। মাত্র দেড় মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে। এই সবজি চাষে মোট ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা দরে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছি। আশা করছি লক্ষাধিক টাকার বিক্রি করতে পারবো।

এখানকার উৎপাদিত ঝিঙ্গা ভোলার বাজারে আর বাকিগুলো চলে যায় খুলনা, ঢাকা ও যশোরে। চর থেকে নদী পথে এবং পরে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় এই সবজি। ঝিঙ্গে চাষে পরিশ্রম একটু বেশি হলেও ভালো ফলন, চাহিদা বেশি ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা খুশি।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারেসুল কবির জানান, চলতি বছর ভোলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে জিঙ্গা আবাদ করা হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৮ মণ করে ফলন এসেছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। আশা করছি কৃষকরা ঝিঙ্গার ভালো ফলনের পাশপাশি বেশি দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার সবজি চারা বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে
কৃষি বিভাগ

একপাশে গোমতীনদী অন্য পাশে রানী ময়নামতির প্রাসাদ। তার মাঝেই সমেষপুর গ্রাম। ছায়া সুনিবিড় সমেষপুর গ্রামে এখন নজর কাড়ে চারা চাষিদের ব্যস্ততা। কেউ জমি প্রস্তুত করছেন। কেউবা পানি ছিটাচ্ছেন। কেউবা চারা তুলে আটি করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে পাইকাররা চারা গুনে গাড়িতে তুলছেন। এমন দৃশ্য কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সমেষপুর গ্রামে। বছরের ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ এ ৪ মাস চারা উৎপাদন ও বিক্রয় হয়। এ চার মাসে প্রায় চার কোটি টাকারও বেশী রবিশস্যের চারা উৎপাদন ও বিক্রি করেন ওই জনপদের কৃষকরা। এসব রবিশস্যের চারা দেশের সবজি চাষিদের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে প¦ার্শবর্তী দেশ ভারতেও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট প্লটে গায়ে গায়ে লেগে হাজারো চারা দোল খাচ্ছে। রোদ থেকে বাঁচাতে চারা গাছের উপরে বাঁশ পলিথিন দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চাষিরা নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিস্কার করছেন। কেউবা পানি ছিটিয়ে চারাগুলোকে সতেজ করার চেষ্টা করছেন। প্লটগুলোতে মাথা তুলে আছে মরিচ, টম্যাটো, বেগুন, তাল বেগুন, লাউসহ নানান প্রজাতির চারা। এ চারাগুলোই কিছু দিন পরে বিভিন্ন জমিতে ফুল ফলে ভরিয়ে দেবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বুড়িচং উপজেলার সমেষপুরসহ পাশের কয়েকটি গ্রামে প্রায় ৩০ একর জমিতে চারা চাষ করেছেন কৃষকরা। চারটি ব্লকে ৯৪ জন চাষি চারা উৎপাদনের সাথে জড়িত।

সমেষপুর এলাকার চারা চাষি মোঃ আলমগীর হোসেন বাসসকে বলেন, তিনি এ বছর ১০০ শতক জমিতে চারা চাষ করেছেন। তার বাগানে টমেটোসহ নানান জাতের চারা রয়েছে। এ ১০০ শতক জমিতে চারা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে খরচ বাদে তার মুনাফা হবে অন্তত ৫ লাখ টাকা।

বুড়িচং উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে চারা উৎপাদনের সময় রোগ ও পোকামাকড় এর আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া, রবি প্রণোদনা, বোরো হাইব্রিড প্রণোদনা, পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান, ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন প্রদর্শনীসহ কৃষক প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৃষককে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩ ১০:৩৬ অপরাহ্ন
গাজর চাষে লাভের মুখ দেখবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

আমাদের দেশে সাধারণত বিদেশ থেকে বিভিন্ন জাতের গাজরের বীজ আমদানি করে চাষ করা হয়। যেমন, রয়েল ক্রস, কিনকো সানটিনে রয়েল, কোরেল ক্রস ও স্কারলেট নান্টেস। এছাড়া আরও আছে পুষা কেশর, কুরোদা-৩৫, নিউ কোয়ারজা, সানটিনি, ইয়োলো রকেট ইত্যাদি জাতগুলো কৃষকদের নিকট জনপ্রিয়। এসব জাতের মধ্যে পুষা কেশর আমাদের দেশের জলবায়ুতে বীজ উৎপাদনে সক্ষম।

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোঁআশ ও দোআঁশ মাটি গাজর চাষের জন্য ভালো। যেখানে গাজর চাষ হবে সেই জায়গাটি যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আশ্বিন থেকে কার্তিক (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য নভেম্বর) মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। প্রতি হেক্টরে ৩ থেকে ৪ কেজি বীজ লাগে। সারি হতে সারির দূরত্ব হবে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার।গাছ-গাছের দূরত্ব ১০ সেন্টিমিটার।

গাজর চাষের জন্য ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। জমির মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে। গাজরের বীজ সারিতে বপন করা ভালো। এতে গাজরের যত্ন নেওয়া সহজ হয়।

গাজরের বীজ খুব ছোট বিধায় ছাই বা গুঁড়া মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বপন করা ভালো। এজন্য ভালো বীজের সঙ্গে ভালো শুকনা ছাই বা গুঁড়া মাটি মিশিয়ে বপন করা যেতে পারে। গাজর চাষে হেক্টরপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। সারের পরিমাণ প্রতিহেক্টরে গোবর অথবা জৈবসার ১০ টন, ইউরিয়া ১৫০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি এবং এসওপি অথবা এমপি ২০০ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে।

সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমপি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া সমান দুই কিস্তিতে চারা গজানোর ১০ থেকে ১২ দিন ও ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর মাটির উপরে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক এমপি সার চারা গজানোর ৩৫-৪০ দিন পর মটির উপরে প্রয়োগ করতে হবে।

বীজ থেকে চারা গজাতে ১০ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে বপনের আগে বীজ ভিজিয়ে রাখলে (১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা) ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চারা বের হয়।

চারা গজানোর ৮ থেকে ১০ দিন পর ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার পরপর ১টি করে গাছ রেখে বাকি সব উঠিয়ে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে আগাছা পরিষ্কার ও মাটির চটা ভেঙে দিতে হবে। প্রয়োজনমতো সেচ দেওয়া ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মাটির জো দেখে দুসপ্তাহ পরপর ৩ থেকে ৪টি সেচ দেওয়া উৎপাদনের জন্য ভালো।

গাজরে জাব পোকা আক্রমণ করে। এ পোকা ও গাছের কচি অংশের রস শুষে খেয়ে গাছের ব্যাপক ক্ষতি করে। পোকা দমনের জন্য রগোর এল -৪০, ক্লাসিক ২০ ইসি, টিডফেট ৭৫ এসপি, টিডো ২০ এসএল ইত্যাদি কীটনাশকের যে কোনো একটি অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা বাইকাও-১ প্রয়োগ করতে হবে।

গাজরের হলুদ ভাইরাস রোগও দেখা দেয়। লীফ হপার পোকার মাধ্যমে গাজরে অনেক সময় হলুদ ভাইরাস রোগ দেখা যায়। এ পোকার আক্রমণের ফলে গাজরের ছোট বা কচি পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়, পরে কুঁকড়িয়ে যায় এবং লক্ষণীয়ভাবে গাছের পাতার পাশের ডগাগুলো হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে যায়।

লীফ হপার পোকার আক্রমণ হলে দ্রুত দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। আক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে এবং চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সবিক্রন ৪২৫ ইসি ২ মিলিলিটার পানি অথবা রেলোথ্রিন ১ মিলিলিটার পানিতে স্প্রে করতে হবে।

চারা গজানোর ৭০ থেকে ৮০ দিন পর সবজি হিসেবে গাজর খাওয়ার জন্য ক্ষেত থেকে সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। হেক্টরপ্রতি গাজরের ফলন ২০ থেকে ২৫ টন। সব ধরনের নিয়ম মেনে গাজর চাষ করলে বেশ লাভবান হওয়া যায়।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে আনোয়ারের সাফল্য
কৃষি বিভাগ

বিষমুক্ত নিরাপদ পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাটের কৃষক আনোয়ার হোসেন। উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের বালুরদিয়া এলাকায় স্ত্রী শাহিদা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ কাঠা জমিতে লাউ ও লালশাক চাষ শুরু করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থা বুরো বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ দুই ফসলে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তিনি এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।

জানা গেছে, সবজি চাষের জন্য গত বছর অক্টোবর মাসে আনোয়ারের স্ত্রী শাহিদা বেগম বুরো বাংলাদেশের বানেশ্বর শাখা থেকে জাইকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত (এসএমএপি) প্রকল্পের আওতায় এক লাখ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক কৃষি কর্মসূচি সংগঠক আবদুর রহমান বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষের জন্য এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন। হাতে কলমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে জৈব বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিনামূল্যে ফেরোমেন ফাঁদ, হলুদ আঠালো পেপার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা দেন কৃষকদের। তবে আনোয়ার চাষ শুরু করলে অন্য কৃষকরাও এ পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হন।

এ বিষয়ে কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, মাত্র ১৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে ইতোমধ্যে ৬৫ হাজার টাকার শাকসবজি বিক্রি করেছি। আরও ১৫-২০ হাজার টাকার শাক ও লাউ বিক্রি হবে। তবে অর্ধেক জমিতে ঘাষ চাষ করেছি গরুকে খাওয়ানোর জন্য। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিষমুক্তভাবে সবজি চাষে বেশ সাফল্য পেয়েছি।

এ ব্যাপারে বুরো বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা এবিএম তাজুল ইসলাম জানান, আমরা দেশের ১১ জেলায় বিশেষ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। তার অংশ হিসেবে চারঘাটে আমাদের প্রোগ্রাম হয়। আনোয়ারের সাফল্য অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং পরামর্শ দিয়ে ফসলের অবস্থা মনিটর করছি। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচও কমছে, একইসঙ্গে জমির মাটি ও পরিবেশ নিরাপদ থাকছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ ৭:১৩ অপরাহ্ন
কুয়েতে সবজি চাষে এগিয়ে বাংলাদেশিরা
কৃষি বিভাগ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রবাসী এ দেশের মাজারা বা কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাহিরের বিভিন্ন দেশ হতে আমদানি কমাতে এবং দেশটি সবজি চাহিদা পূরণ লবণাক্ত পানিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে মিঠা পানিতে রুপান্তার করে কৃষিকাজে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশিরা।

কৃষিপ্রধান অপার সম্ভাবনাময় নিজ দেশ ছেড়ে প্রবাসে এসে শত প্রতিকূলতা নিয়েও সবজি চাষ ও কুয়েতের সবজি চাহিদা মেটাতে কৃষিখাতে এক উজ্জ্বল ও অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন বাংলার সূর্যসন্তান প্রবাসীরা।

কুয়েতের কৃষিঅঞ্চল বলে খ্যাত দুটি এলাকা। দেশটির এক প্রান্তে ‘ওয়াফরা’ ও অন্য প্রান্তে ‘আবদালি’ এলাকা। এ দুটি এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশটির সিংহভাগ সবজির চাহিদা মেটাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কুয়েত সিটি হতে প্রায় ১২০ কি.মি দূরে সৌদি আরব, ইরাক, ইরান সীমান্তবর্তী দুই মরু অঞ্চলের উর্বর মাটির শাক-সবজি, ফল উৎপাদনে পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখির খামারের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত এই অঞ্চল দুইটি।

ওই এলাকায় বাংলাদেশি কৃষকরা চাষাবাদ করছেন মাসকলাই, ভুট্টা, ফুলকপি, মুলা, লাল শাক, পাট শাক, বাঁধাকপি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, বেগুন, শসা, স্ট্রোবেরি, বরই ফলসহ বিভিন্ন সবজি ও আবাদি ফসল। তবে প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করে সবজি উৎপাদন করলেও নিয়মিত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না অনেকে। জানা যায় শখের বসে যে সকল স্থানীয় নাগরিকরা ফলমূল, শাকসবজির বাগান করে থাকেন ঐ সকল মাজরায়(বাগান) কাজ করা শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা ভালো। দক্ষ ও পরিশ্রম শ্রমিকদের বছর শেষে বেতন বাড়ছে।

বাংলাদেশিদের কুয়েতে আসতে ভিসা প্রক্রিয়ায় লামানা (বিশেষ অনুমোদন) প্রয়োজন হয়। এই জটিলতার কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় দেশটিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। কিন্তু বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিশর শ্রমিকদের লামানার প্রয়োজন হয় না। যেখানে নামমাত্র খরচে কুয়েতে আসতে পারেন দেশগুলোর প্রবাসীরা। এদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় কৃষিক্ষেত্রের পেশায় দিনদিন বাড়ছে তাদের আধিপত্য।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার জানান, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
ডোমারে বেড়েছে সরিষা চাষ, আশা বাম্পার ফলনের
কৃষি বিভাগ

স্বল্প চাষ, কম খরচে সাময়িক সময়ে পরিত্যক্ত থাকা চাষের জমিতে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষকদের। কৃষকরা গত বছরের তুলনায় এবারে আড়াইশ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সরিষা চাষীরা।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রীস আলী বলেন, এক বিঘা(৩৩শতাংশ) জমিতে বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ক্ষেতে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

নয়ানী গ্রামের বাবু অনাথ চন্দ্র রায় জানান, আমন ধান কাটার পর বোরো চাষ পর্যন্ত কৃষকদের জমি প্রায় আড়াই হতে তিন মাস পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। দেড় বিঘা জমিতে বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সরিষা কেটে ফসল ঘরে তুলবো। ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করবো।

একই ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম, চয়ন রায়, মধূসুধন রায় জানান, এবারে তুলনামূলক ভাবে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি। ফসল ঘরে তুলতে পারলেই লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে এক হাজার চারশত পঞ্চাশ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জনপ্রতি এক কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদুল হক বলেন, গত বছর সাতশত ষাট হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জন হয়েছে। এবারে কৃষি বিভাগের প্রচার প্রচারনা ও কৃষি প্রনোদনা পাওয়ায় সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা সরিষা কাটাই মাড়াই শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবারে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৩ ৭:০৩ অপরাহ্ন
মাছ চাষে ভাগ্য বদল টুটুলের
প্রিয়মুখ

প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা করলে অসাধ্য সাধন করা যায়। নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি অন্যদেরও ভাগ্য বদলে দেয়া যায়। এ সত্যকে প্রমাণ করেছেন শার্শার সফল মৎস্য চাষী কামরুজ্জামান টুটুল। ২০০২ সাল থেকে পরিশ্রম আর অক্লান্ত চেষ্টার মধ্য দিয়ে পোনা ব্যাবসার পাশাপাশি পাবদা মাছ চাষ করে তার ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামে তিনি একজন সফল মৎস্যচাষী হিসেবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এ বছর জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সাফল্যটি সত্যি সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো।

জানা গেছে, চাকরি না পেয়ে ২০০২ সালে অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন কামরুজ্জামান টুটুল। এতে তার অভাবনীয় সাফল্য আসে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তায় প্রথম দিকে অল্প পরিসরে ও স্বল্প পুঁজিতে নিজস্ব একটি ছোট পুকুরে কার্প জাতীয় মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে টুটুলের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসেছে।

বর্তমানে টুটুল প্রায় ৭.৬ হেক্টরের, জলায়তনে পাবদা মাছ চাষ করছেন। তার পুকুরে পাবদা মাছের পাশাপাশি রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বেশ কয়েকটি জাতের মাছ।

এক সময় টুটুল ছিলেন বেকার যুবক। অনেক কষ্টে ধার-দেনা করে পাঁচ হাজার টাকা জোগাড় করেন। এ টাকা দিয়ে বগুড়া জেলার কাহালু থানা থেকে ১০/১২ কেজি মাছের রেণু পোনা কিনে পুকুরে ছাড়েন। এক সময় মৎস্য অফিসসহ বিভিন্ন এনজিওতে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কাজের মধ্য দিয়ে সেই থেকে টুটুলের নতুন জীবনযাত্রা শুরু হয়। এতে তার সংসারে বাড়তি আয়ের ছোঁয়া লাগে। পরিবর্তন আসে জীবনে।

তিনি পাবদা মাছ উৎপাদন করে গত ২০১৯ সাল থেকে তা বাণিজ্যিক ভাবে ভারতে রপ্তানি করছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি মৎস্য চাষ করে আসছেন। তার সাফল্য দেখে আশপাশের ৫০ প্রতিবেশীও মৎস্য খামার গড়ে তুলতে উদ্যোগ শুরু করেছেন। শেষ বছর টুটলের খামরে থেকে ১১৫ টন পাবদা মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

কামুজ্জামান টুটুল জানান, খুব সহজেই বেকাররা মৎস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। বেকার যুবকদের মৎস্য খামার করায় উৎসাহ দিতে ব্যাংকগুলো সুদমুক্ত ঋণ দিলে এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা দ্রুত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। তিনি আশা করেন, ব্যাংকগুলো এ ধরনের ঋণ সুবিধা চালু করে বেকারত্ব কমাতে সহযোগিতা করবে।

শার্শা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, সফল মৎস্য খামারী কামরুজ্জামান টুটুল মাছ চাষের কারণে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি এই উপজেলায় মৎস্য চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। মৎস্য চাষে সফলতা অর্জনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তিনি এবার জাতীয় মৎস্য পুরুষ্কার ২০২৩ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা তার খামারটি পরিদর্শন করেছি।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৩ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
লাউ চাষে সফল চান্দিনার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

চান্দিনা উপজেলায় এ বছর দেড় হেক্টর জমিতে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এই বেগুন আকারে অনেক বড় হয়। প্রতিটা বেগুন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের হয়। আকারে বড়, নরম ও স্বাদে পুষ্টিমানে অনন্য বারি বেগুনের বাজার চাহিদা অনেক। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা।

জানা যায়, বারি ১২ জাতের ই বেগুন প্রথমবার কুমিল্লায় চাষ শুরু হয়েছে। এ বছর পুরো জেলায় দেড় হেক্টর জমিতে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এই বেগুন আকারে অনেক বড় হয়। প্রতিটা বেগুন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের হয়। এই বেগুনের টিস্যু অনেক নরম তাই খেতে অনেক সুস্বাদু। কুমিল্লায় সবজির বাজারে একটা বড় অভাব পূরণ হবে বারি ১২ জাতের বেগুনে।

বেগুন চাষি হোসেশিবলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে বারি-১২ জাতের বেগুনের বীজ এনে ৩০ শতক জমিতে প্রথমবারের মত লাউ বেগুন চাষ করি। ফলন আশার চেয়ে বেশি ভালো হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বাজারেও নিতে হয় না। গ্রাহকরা জমিতে এসেই বেগুন নিয়ে যায়৷
লাউ বেগুন আকারে বড় এবং অনেক নরম। তাই পাখির প্রিয় খাবার এই লাউ বেগুন। এতে কৃষকরা চিন্তা করেন পাখির ঠোঁট থেকে কীভাবে তাদের লাউ বেগুনকে রক্ষা করবে।

আর একজন কৃষক শাহজাহান বলেন, বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ করেছি।ফলন অনেক ভালো হয়েছে । চিন্তার একটি কারণ হল লাউ বেগুন খুব নরম বলে পাখি ও পোকামাকড়ের প্রিয় খাবার। তাই এ বেগুন রক্ষায় জাল দিয়ে পুরো জমি ঢেকে দিয়েছি। না হয় জমিতে বেগুন থাকবে না।’

চান্দিনা উপজেলা কৃষি কমকর্তা মনিরুল হক বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকজন কৃষককে বাছাই করে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ করেছি। কৃষি অফিসার ও কৃষকদের আন্তরিকতায় প্রথম বছরই ভালো ফলন হয়েছে। আমরা আশাকরি আগামী বছর আমরা পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে বারি-১২ জাতের এই বেগুন।

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে সফল গাড়িদহরের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

চাষি বাদশা মিয়া বলেন, আমি জমিতে নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ করেছি। সেখানে কোন রাসায়নিক সার বা কীটনাশক স্প্রে করিনি, ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছি।গামীতেও নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদন করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop