৭:১২ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২২ ৫:২৮ অপরাহ্ন
ধানের দামে খুশি নেই পাবনার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

পাবনা জেলায় আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। বুকভরা আশা নিয়ে কৃষক ধান কাটা শুরু করলেও দাম নিয়ে তারা নিরাশ হচ্ছেন। চাষিরা বলছেন, এবার সারসঙ্কট ও বর্ষা মওসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কম হয়েছে। এর ওপর উৎপাদনখরচ অনুযায়ী তারা দাম পাচ্ছেন না। তারা বলছেন, ধান কত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এটা হিসাব করার আগে উৎপাদন খরচ হিসাব করা দরকার। এতে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য কৃষক পাচ্ছে কি না তার বাস্তবচিত্র পাওয়া যাবে।
নতুন আমন ধান প্রতিমণ এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিকন ও সুগন্ধি জাতের ধানের দাম প্রতি মণে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি। তবে এ দামে ধান বিক্রি করে চাষিদের আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না। তারা জানান, জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ, সারের দাম, শ্রমিকের দাম, কীটনাশকের দাম বেড়েছে। এমনকি মাড়াইযন্ত্র ডিজেলচালিত হওয়ায় ধান মাড়াইয়ের খরচও বেড়েছে। এতে চাষির খরচ যে হারে বেড়েছে সে অনুপাতে ধানের দাম বাড়েনি। তারা আরো জানান, গতবারের চেয়ে এবার বাজারে ধানের দাম বেড়েছে মণপ্রতি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি। আর জমি লিজ নেয়া চাষিদের খরচ আরো বেশি। তাদের প্রতি বছর বিঘায় ১৫ হাজার টাকা জমি মালিককে দিতে হয়।
কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, প্রতি বিঘায় গড়ে ধানের ফলন হয়েছে ১৫ মণ। এর মধ্যে খরচ যায় বিঘাপ্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি মণ ধানের দাম এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা ধরে এক বিঘা জমি থেকে জমির মালিক নিজে চাষ করলে বিঘাপ্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ থাকে। কিন্তু যারা জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন তাদের জমির মালিককে যে টাকা দিতে হয় তা বাদ দিলে বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার আমনের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। বর্ষা মৌসুম বলে সেচ কম লেগেছে। আর চাষিরা যেটাকে সার কম দেয়া বলেছেন আসলে সার পরিমিত পরিমাণে তারা দিয়েছেন। এতে অপচয় কম হয়ে তাদের খরচ সাশ্রয় হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
বিরামপুরে আগাম জাতের ধান কাটায় ব্যস্ত চাষিরা
কৃষি বিভাগ

শস্য ভাণ্ডারখ্যাত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুক্তভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে।

আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হয়েছেন। এর পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন সবজি রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকসন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ করা হয়। এরমধ্যে ১১ হাজার ২৫০ বিঘা উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- গুটি স্বর্ণা, স্বর্ণা-৫, ব্রি-৩৪, ৫১, ৭১, ৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত।

উপজেলার হরেকৃষ্টপুর নাপিতপাড়া গ্রামের কৃষক লাবিবুর রহমান জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপণ করেন। তিনি বিঘা প্রতি ১৪-১৬ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।

হাবিবপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপণ করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৫-১৭ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।

কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ৮-৯শ’ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

কৃষকরা আরও বলেন, প্রতিবিঘার কাঁচা খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু, সরিষা ও ফুলকপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি রোপণের প্রস্তুতিও নিয়েছেন।

হাবিবপুর বাজারের ধান ব্যবসায়ী জিয়া হোসেন জানান, তিনি সদ্য মাড়াই করা কাঁচা ধান ৯০০ টাকা করে ক্রয় করেছেন।

মুকুন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, আমি দিনভর মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের আগাম আমন ধান ও শীতকালীন ফসল আবাদে সহায়তা, রোগ-বালাই ও দুর্যোগ প্রতিরোধে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২২ ৮:০৬ অপরাহ্ন
হরিপুরে ব্ল্যাকরাইস ধান চাষে চমক কৃষক মোস্তাকের
কৃষি বিভাগ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার ব্ল্যাকরাইস ধান চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন উপজেলার বনগাঁও গ্রামের সাবেক মেম্বার ও কৃষক মোস্তাক আলী সিদ্দিকি।

জানা যায়, কৃষক মোস্তাক ২৫ শতক জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। ক্ষেতের ধান পেঁকে বাতাসে দোল খাচ্ছে ও ধান কাটার সময়ও হয়ে গেছে। প্রতিদিনই ধানক্ষেত দেখতে এলাকার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

ধানের বীজ ও চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাক জানান, ফরিদপুর থেকে আমার বন্ধুর মাধ্যমে ২ কেজি ধান ৬’শ টাকায় ক্রয় করি। জুন মাসে বীজ রোপণ করি, চারার বয়স ২৫ দিন হলে ১২ জুলাই চারা মাঠে রোপণ করি। বর্তমান ধানের বয়স ৮০ দিন চলছে ৯০ দিন পূর্তি হলেই ধান কাটতে হবে। ২৫ শতক জমিতে এই ধান আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। এই ধানে সার ও বিষ ব্যবহার না করলেও চলে।

পোকামাকড়ের কোনো বালাই নেই। ফলন প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ হতে পারে। কিšুÍ এর প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৬’শ টাকা বলে জানান তিনি। ইন্দোনেশিয়ার এই ধানের (ব্ল্যাক রাইস) বৈশিষ্ট্য হলো, এর গাছ, পাতা দেখতে স্বাভাবিক ধানগাছের মতো হলেও ধানের শিষ এবং চাল সবকিছুই লালচে কালো ও চিকন। এ চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই এ চালের দামও বেশি। শখের বশেই এ ধান চাষ করেছি এবং সফল হয়েছি। এ ধান চাষে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। বীজ নেয়ার জন্য মানুষ বাড়িতে ভিড় করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন বলেন, ব্ল্যাক রাইস ধান বিদেশী জাত। সরকারি ভাবে দেশে এখনো এর চাষাবাদ শুরু হয়নি। এর চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর ও দামি।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২২ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আউশ ধানের বাম্পার হয়েছে। আগে জমিতে বছরে ২ বার ধান বোরো আর আমান ধান চাষ হলেও এ বছর আউশ ধান চাষ করেছে চাষিরা। প্রথমবার ভালো ফলন হওয়ায় খুশি চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার আন্ধারমুহা, বড়বাউল, মর্ত্তমন্ডল গ্রামের অনেক কৃষক এবারে ওই জাতের আউশ ধান জমিতে লাগিয়েছেন।

তবে, মাঝে মাঝে বাবুই পাখির ঝাঁক এসে পাকা ধান খাওয়ার চেষ্টা করছে। চাষিরা পাখি তাড়াতে ধানক্ষেতে জাল, খড়ের মূর্তি, টিনের শব্দ তরঙ্গ পদ্ধতি এবং পলিথিনের ঝাণ্ডা পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, ব্রি-ধান-৪৮ আউশ ধান চাষ করলে ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়।

আমনের জাতগুলোর তুলনায় ৬০ থেকে ৭০ দিন আগে এ ধান পেকে যায়। ফলে বাকি সময় চাষিরা অন্য ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৬:৩২ অপরাহ্ন
কামারখন্দে আউশ ধানের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

সিরাগঞ্জের কামারখন্দে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষাণ-কৃষাণীরা চাষাবাদ করেছেন আউশ ধান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৭ থেকে ১৮ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে।

উপজেলার হায়দারপুর গ্রামের কৃষক মানিক হোসেন জানান, তার ১০ বিঘা জমি প্রতি বছর আউশ মৌসুমে পতিত থাকে। কিন্তু এবছর কৃষি অফিসের দেওয়া বীজ ও সার দিয়ে সেই ১০ বিঘা জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছি, ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান মানিক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, উপজেলার কৃষকরা আউশ মৌসুমে ধান আবাদ করতে চান না। আউশ ধান রোপণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে উপজেলার ২০০ কৃষককে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এবছর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
প্রায় দুই যুগ ধরে কৃষকের আস্থা অর্জনকারী ব্রি ধান ২৮
কৃষি বিভাগ

প্রায় দুই যুগ ধরে কৃষকের আস্থা অর্জনকারী ব্রি ধান ২৮ এর জায়গা দখল করেছে ব্রি ধান ৫৮। মেহেরপুর জেলায় চলতি বছরে বোরো ধান মৌসুমে ব্রি ধান ২৮ এ ব্যাপকভাবে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করে। বিপরীতে অনেকটাই ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান ৫৮।

ফলে কৃষকের মাঝে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত লেটেস্ট এই ভ্যারাইটি।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সদ্য শেষ হওয়া বেরো মৌসুমে জেলায় ২৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে অর্জিত হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর। ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক লাখ মে. টন। ব্লাস্ট সংক্রমিত জমি থেকে ধানের ফলন কম হলেও উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান ৫৮, ব্রি ধান ২৯ এবং ব্রি ধান ৬৩ তে অধিক ফলনের কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে।

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কৃষক তহসিন আলী জানান, তিনি এবারের বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে ব্রি ধান ৫৮ আবাদ করেছিলেন। একই মাঠে অনেক কৃষকের ক্ষেতে ব্রি ধান ২৮ ব্লাস্ট নামক ছত্রাকে নষ্ট হলেও তার ক্ষেত ভালো ছিল। তাই ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়াও ধান গাছ খাড়া থাকায় বিচুলি করতে পেরে গো খাদ্যের সংকট মিটেছে।

ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক সোহেল রানা জানান, কৃষি অফিসের প্রদর্শনীর আওতায় তিনি দেড় বিঘা জমিতে ব্রি ধান ৫৮ আবাদ করেছিলেন। বিঘায় (৩৩ শতক) ফলন হয়েছে ৩০ মণের উপরে। তার পাশের ক্ষেতের কৃষকদের ব্রি ধান ২৮ এর ফলন হয়েছে ২০-২২ মণ। ব্রি ধান ৫৮ দেখতে অনেকটাই ২৮ এর মতো হওয়ায় ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। আগামী মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষ ব্রি ধান ৫৮ চাষের উপর জোর দেবেন বলেও জানান তিনি।

রাইপুর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান মোকলেছ বলেন, ‘আমি এবার ২০ বিঘা জমিতে ব্রি ধান ৬৩ আবাদ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছি। যা বিঘায় ২৫-৩০ মণ। ধান লম্বা ও সরু যা মিনিকেট সাদৃশ্য। ফলে অন্যান্য ধানের চেয়ে প্রতি মণে ১০০-২০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পেরেছি। এর ভাত সু-স্বাদু ও ঝরঝরে হওয়ায় সহজেই মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছেন।’

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডক্টর আখতারুজ্জামান জানান, ‘আমাদের ব্রি’র বিজ্ঞানিরা নিরলসভাবে চেষ্টা করে সময় উপযোগী বিভিন্ন প্রকার ভ্যারইটি উদ্ভাবন করছেন। বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান ৫৮ এবং ব্রি ধান ৬৩ সত্যিই কৃষকদের জন্য উপকারী। এর আবাদ সম্প্রসারণের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ব্রি ধান ২৮ দীর্ঘ দুই যুগ ধরে আবাদ করা হচ্ছে। ফলে এতে অনেক রোগ বালাই ঢুকে গেছে। নির্বিঘ্নে ধান আবাদের জন্য ব্রি উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাতের ধান আবাদে কৃষকদের প্রতি পরামর্শ দিচ্ছি।’

জানা গেছে, ব্রি ধান ২৮ চাষাবাদের জন্য ১৯৯৪ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে অনুমোদিত হয়। এর পরে আরও অনেক জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম জাত হচ্ছে ব্রি ধান ২৯, ৫৮ ও ৬৩। এদের মধ্যে ব্রি ধান ২৯ এর জীবনকাল একটু বেশি। দেশের যে অঞ্চলগুলোতে ব্রি ধান ২৮ ও ২৯ চাষাবাদ হয় সেই অঞ্চলগুলোতে চাষাবাদ এবং ফলন পরীক্ষার পর ২০১২ সালে ব্রি ধান ৫৮ চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দেয় জাতীয় বীজ বোর্ড। ঝড় বৃষ্টিতে ধান গাছ হেলে পড়ে না তাই ফলন বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা কম।

অন্যদিকে ব্রি ধান ২৮ সহজেই হেলে পড়ে। ৫৮ ও ৬৩ জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট হল শীষ থেকে ধান ঝরে পড়ে না। ব্রি ধান ২৮ এর প্রায় সমান জীবন কাল হওয়ায় একই সময়ে কাটা মাড়াই করা যায়। প্রতি হেক্টরে ব্রি ধান ২৮ এর ফলন ৫.৫ থেকে ৬ মেট্রিক টন, ব্রি ধান ২৯ এর ফলন ৭.৫ মেট্রিক টন, ব্রি ধান ৫৮ এর ফলন ৭ থেকে ৭.৫ মেট্রিক টন, ব্রি ধান ৬৩ এর ফলন ৬.৫ থেকে ৭ মেট্রিক টন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২২ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
সোনাগাজীতে উচ্চ ফলনশীল পাঁচ জাতের ধানের চমক
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেনীর সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত পাঁচটি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে।

২০২২ সালে আউশ মৌসুমের জন্য ব্রি৪৮, ব্রি৮২, ব্রি৮৩, ব্রি৮৫, ও ব্রি৯৮ সহ পাঁচ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা।

এসব জাতের ধান কম খরচে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে।

এসব ধান কাটার উদ্দেশ্যে শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরশাহাপুরে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে ও জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

আরও উপস্থিত ছিলেন- জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আদিল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিব বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম খলিদ, কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মাহমুদ আলম, স্থানীয় কৃষক মো. কামাল উদ্দিন ও শেখ বাহার প্রমুখ।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, টেকসই ধান প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে তথা সোনাগাজীতে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে তৃণমূল কৃষকদের আগ্রহ থাকতে হবে। এরই মধ্যে আউশ মৌসুমে যেসব ধান উদ্ভাবিত হয়েছে সেসব ধান স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। মাত্র ১১০দিনে এ ধানগুলো কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। ধানগুলো অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও পরিবেশ বান্ধব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এসব জাতের ধান চাষের বিকল্প নাই। নতুন উদ্ভাবিত ধানগুলোতে সারও কম লাগে পোকা মাকড়ও কম ধরে।

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে চলছে ভোলায় আমন আবাদ
কৃষি বিভাগ

ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ৬’শ ২০ হেক্টর জমিতে। চলতি মাসের প্রথম থেকে আবাদ শুরু হয়ে চলবে আগামী মাসের শেষ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে আমনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করে। এবছর ৭ হাজার কৃষককে আমনের প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট জমি থেকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২’শ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, মোট আমন আবাদের মধ্যে উফশী ১৬ হাজার, স্থানীয় ২ হাজার ৬’শ ও হাইব্রিড ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাকৃত ১ লাখ ৭৯ হাজার ২’শ হেক্টর জমির মধ্যে উফশী ১ লাখ ৫৭ হাজার ও স্থানীয় ২২ হাজার ২’শ হেক্টর রয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, জেলায় প্রায় প্রতি বছরই আমনের বাম্পার ফলন হয়ে আসছে। এবছর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৪’শ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া জেলার ৭ হাজার কৃষকের প্রত্যেকের জন্য ৫ কেজি করে উন্নত জাতের বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএপি সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় সাধারণত ব্রীধান-৫২, ৭৬, ৭৭, ৪০, ৫১, ৪৯, বিআর-২৩, ১১ ও বিনা ধান-৭, ১১, ১৭ ও ৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার মোট আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৪ হাজার ১’শ হেক্টর, দৌলতখানে ১৭ হাজার, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ৪’শ, লালমোহনে ২৩ হাজার ৫’শ, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার ৯’শ ৯০, চরফ্যাশনে ৭২ হাজার ৮৫ ও মনপুরায় ১২ হাজার ১’শ ২৫ হেক্টর জমি রয়েছে।

সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া এলাকার কৃষক হাতেম আলী, কামরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক বলেন, তারা প্রত্যেকে ২ একর করে জমিতে আমন আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে চারা রোপণ শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন বলে জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, জেলায় আউশের চেয়ে আমনের অবস্থা ভালো রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সঠিক জাত নির্বাচন, সারিবদ্ধ চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, কৃষকদের সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সচেষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক পদ্ধতিতে আমন ধান রোপণে প্রায় ৫’শ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান তিনি।

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠিতে ব্রি ৪৮ জাতের ধান প্রদর্শনীর মাঠ দিবস পালন
কৃষি গবেষনা

ঝালকাঠি জেলার অধিকাংশ জমিতে আমন জাতের ধানের চাষ হত। বাকি সময় চাষযোগ্য জমি পতিত থাকত। চলতি বছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগে ‘উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ কর্মসূচির আওতায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার যোগেশ্বর গ্রামে কৃষক দুলাল হাওলাদার এর ৩০ বিঘা জমিতে স্থাপন করা একটি ব্লক পরিদর্শন করা হয়।

রবিবার সেখানে দুপুরে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন করা হয়।

সেচ ও ধান গবেষণা বিভাগের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতানা আফরোজ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মসূচি পরিচালক ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. প্রিয় লাল চন্দ্র পাল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ১২০ জন কৃষক-কৃষাণী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঐশিক দেবনাথ।

কৃষকরা জানান ব্রি ৪৮ ধান চাষ করে এ বছর লাভবান হবেন। ইতোমধ্যেই মাত্র ১০৫ দিন সময়ের মধ্যে এই জাতের ফলন ৩৩ শতাংশ জমিতে ২১ মন ধান পাওয়া গেছে। আগামীতে এই জাতের ধান চাষ করে অল্প জমিতে কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২২ ৩:০০ অপরাহ্ন
অর্থনীতিকে সহনশীল রাখতেই তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে সহনশীল ও স্বস্তির মধ্যে রাখতেই তেলের দাম বাড়াতে সরকার বাধ্য হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। একইসাথে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার(৭ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট, কুমিল্লাসহ পাহাড়ি অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক সংকট দায়ী। এই সংকটের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতি অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। দেশে এ অস্থিরতা মোকাবেলা করার জন্য সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তেলে এতো ভর্তুকি দিলে আমাদের ফরেন রিজার্ভ অনেক কমে যাবে, তখন সারা জাতি হুমকির মধ্যে পড়বে। তারচেয়ে বর্তমানে সাবধান হওয়া ভাল, সাশ্রয়ী ও কৃচ্ছ্রসাধন করা ভাল। বর্তমানে একটু কষ্ট সাময়িকভাবে মেনে নিয়ে যাতে আমরা সাবধান হই। দেশটাকে তো আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। সেজন্য, সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে যাতে তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমে এবং আমরা যাতে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয়ে না পড়ে সহনশীল অবস্থায় ও টিকে থাকতে পারি।

তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ে নি, ফলে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রে কোন সমস্যা হবে না। তবে সার্বিকভাবে কৃষিতে কিছুটা প্রভাব পড়বে। কৃষি উৎপাদন কমবে না, তবে কৃষকের লাভ কমে আসবে। বিশ্বপরিস্থিতির কারণে একটু কষ্ট হলেও, আমাদর সবাইকে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে।

পরে কর্মশালায় প্রদত্ত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সিলেট ও পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক জমি পতিত থাকে। দেশে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কোনক্রমেই এসব জমি পতিত রাখা যাবে না। পাশাপাশি ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য, কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম,  বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop