৪:০৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ ৭:০৬ অপরাহ্ন
উন্নয়নের বিস্ময় রাষ্ট্র সৃষ্টির কারিগর শেখ হাসিনা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “বিশ্বব্রহ্মান্ডে উন্নয়নের বিস্ময় রাষ্ট্র সৃষ্টির কারিগর শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। করোনাসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গোটা জাতির জন্য তিনি মহামানবীরূপে আবির্ভূত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের দুঃসাহসী অভিযাত্রায় আন্দোলনের অগ্নি মশালের নাম শেখ হাসিনা।”

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অনুকূলে জমি হস্তান্তরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে যে প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠান দেশের যুব সমাজকে দক্ষ যুব সমাজ হিসেবে গড়ে তুলছে, সে প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার জন্য, কলেবর বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রের এক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জমি হস্তান্তর করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরা একধাপ এগিয়ে গেলাম।”

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবী হিসেবে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নামের প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।”

মন্ত্রী আরো যোগ করেন,”যারা রাজনীতি করেন না তারাও বলেন শেখ হাসিনা দক্ষ শাসক। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও বলেন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদের নাম শেখ হাসিনা। বিপন্ন বাংলাদেশকে, দুর্যোগকবলিত বাংলাদেশকে বিস্ময়কর উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার দরকার নেই। সবাই মিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনাগত ভবিষ্যতের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।”

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি, এ এম নাঈমুর রহমান এমপি ও জাকিয়া তাবাসসুম এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি এবং বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল করিম।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল করিম। সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বিএলআরআই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটকে ৩ দশমিক ৩৮ একর জমি হস্তান্তর করেছে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ৪:২৬ অপরাহ্ন
“শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু” চিত্র কর্মে সম্পৃক্ত ১৯৪ ক্যাডেটকে সম্মাননা প্রদান
কৃষি বিভাগ

গিনেজ বুকে স্থান পাওয়া “শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু” নামে সর্ববৃহৎ চিত্রকর্ম তৈরিতে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)র ১৯৪ জন ক্যাডেটকে বিএনসিসির পক্ষ থেকে মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার(৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া জিলা স্কুলের মুত্তিযোদ্ধা আমিনুল হক দুলাল অডিটোরিয়ামে এটি প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন শস্য চিত্রে বঙ্গবন্ধুর ৮০ শতাংশ ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যরা। এ সকল বিএনসিসি’র সদস্যদের এ কৃতিত্ব ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে । এ চিত্র কর্মের লে-আউট থেকে বীজ বপনের মত কঠিন কাজ করে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শষ্য চিত্রে অবদানের কথা উঠলে সবার আগে নাম উঠবে বিএনসিসি’র সদস্যদের মানুষ স্মরন করবে।প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার সচিব নজরুল ইসলামের জন্য এ চিত্র কর্ম স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন ,বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে সোনালী ও বেগুনী রঙের বিশেষ ধান গাছের চারা দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিত্রকর্ম তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিল বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক। বিশেষ অতিধি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তি , বিশিষ্ট সমাজ সেবী ও নারী নেত্রী ড. জেসমিন আরা সুলতানা সাথী।

এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনসিসির মহাস্থান রেজিমেন্টের ভারপ্রাপ্তরেজিমেন্ট কমান্ডার শেখ শাহরিয়ার মোহাম্মদ শাকিল, বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তাফী অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু যুব ও স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ম্যাক্সিম গোর্কি সাম্য।

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার সচিব নজরুল ইসলাম , বিএনসিসির মাহপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নহিদুল ইসলাম খান, উপ-পরিচালক(সমন্ময়) মেজর হামিদ ওয়াদুদ,উপ-পরিচালক সেনা) মেজর আতাউল হক এবং প্রেস ও মিডিযা ইনচার্জ ও নর্থ সাউথ বিশ^বিদালয় বিএনসিসির অ্যাডজুটেন্ট ক্যাডেট আন্ডর অফিসার ম্যাক্সিম গোর্কি সাম্য সম্মিলিমত প্রচেষ্টায় এ কাজে প্রায় ১২লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে চিত্রকর্মটি ফুটিয়ে তোলার জন্য ম্যাপিং, চারা রোপণ ও লে-আউট ক্রিয়েটিং এরকাজে স্বেচ্ছাসেবার মনন ব্রতে স্বতঃফূর্তভাবে অংশ নেয় বিএনিিসসি ক্যাডেট সদস্যরা। ১৬ মার্চ এ বিশাল চিত্রকর্ম “শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু” নামে বিশে^র সর্ববৃহৎ ক্রপ –ফিল্ড মেজাইক হেসাবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ স্থান করে নেয়।অনুষ্ঠান শেষে ক্যাডেটদের হাতে এ কৃতিত্বের সম্মাননা হাতে তুলে দেয়া হয়।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২১ ৬:১৪ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার সম্পূর্ণ বিচার হয় নি। আংশিক বিচার হয়েছে। সে দিন যারা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল এবং ষড়যন্ত্র যারা জেনেছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রতিরোধের জন্য কোন পদক্ষেপ নেন নি, আমাদের দেশের দন্ডবিধি অনুসারে তারাও অপরাধী। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে নিরাপত্তা দেওয়া যাদের দায়িত্ব ছিল, যারা রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফিলতির কারণে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ঘটেছিল। গাফিলতির দায়ে তাদেরও বিচার হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু হয় নি। যারা খন্দকার মোশতাকের আনুগত্য প্রকাশ করে নিজে লাভবান হয়েছিলেন, তারাও অপরাধী। কমিশন গঠন করে অথবা ফৌজধারী কার্যবিধি অনুসারে নতুন চার্জশীট দিয়ে অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর খুনি বা ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে আইনে কোথাও কোন বাধা নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অসম্পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, “শেখ হাসিনা না আসলে কোনদিন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না। শেখ হাসিনা দৃঢ়তা ধারণ করে যা করবেন এটা অনেকে করবেন না। তাই নতুন করে সূচনা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে, ষড়যন্ত্রের সাথে, দায়িত্বে গাফিলতির সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, যারা ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, যারা ষড়যন্ত্র জানার পরও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয় নি এবং বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা যারা গাফিলতির কারণে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নি আমি আজ তাদের বিচার চাই। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু একটা বিশ্বাস, একটা প্রেরণা, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় জীবনের সবকিছুতে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত থাকা একটি সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি দৃপ্ত প্রত্যয়।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধু যেখানে সূচনা করেছেন, সেটাই সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু প্রথম সমুদ্র আইন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতায় আমরা তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশর প্রায় সমপরিমাণ জায়গায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধু মাছ আহরণের জন্য প্রথম ট্রলার নিয়ে এসেছেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। বঙ্গবন্ধু যা শুরু করেছিলেন সেটা সুপ্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত করেছেন করেছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

মন্ত্রী আরো বলেন, “বিশ্বাসঘাতকরা কখনো বিলীন হয় না। একেকসময় একেকভাবে আবির্ভূত হয়। ১৭৫৭ সালের মীর জাফর, ১৯৭৫ সালের খন্দকার মোশতাক, ১৯৭৯ সালের বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার বিলে স্বাক্ষরকারী জিয়াউর রহমানরা একেক সময় একেক রূপে আবির্ভুত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় যারা বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারা কী ভূমিকা পালন করেছেন, যারা রাজনৈতিক দায়িত্বে ছিলেন তাদের কী ভূমিকা ছিল, কেনো তারা সবাই স্পর্শের বাইরে থাকলেন, চলে যেতে হলো জাতির পিতাকে, সে অধ্যায় আজ বিবেচনার সময় হয়েছে। তাদের সকলকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। না হলে অনন্তকাল অপরাধীদের জায়গায় আমাদের স্থান থাকবে।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান, বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল, বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন্।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৯, ২০২১ ৪:৫০ অপরাহ্ন
এ দেশে ধর্মান্ধদের রাজনীতি আর নয়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

এ দেশের মাটিতে ধর্মান্ধদের আর কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে এবং রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বিএআরসি মিলনায়তনে ‘দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায়’ এ কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মান্ধদের শেকড় এ দেশে, পাকিস্তানে বা যেখানেই যত গভীরেই হোক না কেন- তাদের শেকড় সমূলে উৎপাটন করা হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন সে ধারাবাহিকতায় তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে আজ বিস্ময়কর সাফল্য এসেছে। এ সাফল্যকে আরও বেগবান করতে কৃষিবিদ, বিজ্ঞানীসহ সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুর রৌফ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল। অন্যান্যের মধ্যে হোসনে আরা এমপি ও সংস্থা প্রধানরা বক্তব্য দেন। এ সময় সশরীরে ও সারা দেশ থেকে ভার্চুয়ালি প্রায় সাত শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
যথাযোগ্য মর্যাদায় সিভাসু’তে জাতীয় শোক দিবস পালন
ক্যাম্পাস

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে।

আজ রবিবার এই উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং আলোচনা সভা (ভার্চুয়াল)। বাদ যোহর খত্মে কোরআন ও দোয়া মাহফিল।

জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলনের পর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এরপর শিক্ষক সমিতি, অফিসার সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, অনুষদ, আবাসিক হল, প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ‘শোকাবহ আগস্ট’। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। শোক দিবসের কর্মসূচিগুলোতে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ২:৫৮ অপরাহ্ন
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন তিনি।

শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে হত্যা করার জন্য ১৫ আগস্টের নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আজকের দিনে আমাদের চাওয়া বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি শুধু খুনিরা নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল সেই ষড়যন্ত্রকারী ও কুশীলবদের যাতে বিচার হয়, আজকের দিনে সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও সুবোল বোস মনি, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ২:৫১ অপরাহ্ন
বিএলআরআইতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

রোববার(১৫ আগস্ট) দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে বিএলআরআই এর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের কর্মসূচি শুরু হয়।

এরপর সকাল নয়টায় বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ আজহারুল আমিন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণ, শাখা প্রধানগণসহ সকল স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহাপরিচালক মহোদয় বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির মহানায়ক। ১৫ আগস্টের কালো রাতে একদল বিপথগামী ষড়যন্ত্রকারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। জাতি আজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে ১৫ আগস্টের সকল শহীদকে। একই সাথে আমরা সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করি। জাতীয় শোক দিবসের সাথে সাথে আমরা পুরো আগস্ট মাসকেই পালন করছি শোকের মাস হিসেবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের ধারণ করতে হবে। তাহলেই কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভবপর হবে। আর গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে হবে আমাদেরকেই।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বিএলআরআই কেন্দ্রীয় মসজিদে কুরআনখানি ও বাদ জোহর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও বিএলআরআই-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২১ ২:৫১ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু হত্যার দৃশ্যমান অপরাধীদের বিচার হয়েছে :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

ইতিহাসের দায় মোচনে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও উপকারভোগী এবং এ হত্যাকাণ্ডে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের স্বরূপ উন্মোচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার দৃশ্যমান অপরাধীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে ষড়যন্ত্রের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হয় নি।

শনিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ আয়োজিত‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ’শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এবিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার জন্য সিভিল ও অন্যান্য এজেন্সির যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন, এমনকি যারা রাজনৈতিকভাবে যুক্ত ছিলেন তারা সেদিন কেন ব্যর্থ হলেন, তাদের ভূমিকা কী ছিল সেটাও খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত ছিলেন, যারা উপকারভোগী, যারা ষড়যন্ত্র জানার পরও চুপ ছিলেন সকলের স্বরূপ উন্মোচনের জন্য একটা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

অথবা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটি ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে আবারো তদন্ত করে সম্পৃক্তদের সম্পর্কে তুলে ধরা দরকার। তাহলে ইতিহাসে রেকর্ড থাকবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে কারা কীভাবে জড়িত ছিল। এ কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনি, ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীদের স্বরূপ উন্মোচন করতে না পারলে ইতিহাসে আমাদের দায় থেকে যাবে।”

এ সময় শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন,“বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, যেখানে ধর্মীয় উগ্রতা থাকবে না, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করা, ধর্মীয় ও অন্যান্য বৈষম্য দূর করে সকলকে একটি প্লাটফর্মে এনে বাঙালি প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা। সেই দর্শনের ধারবাহিকতায় তিনি যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি দিয়েছিলেন, তিনি যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছেন, তখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন।”

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এছাড়াও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আবদুল জলিল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২১ ৬:৫৭ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
ক্যাম্পাস

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেকৃবি শাখার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) শেকৃবি’র কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সম্মানিত মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুযোগ্য যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শেকৃবি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এবং মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিশন এর মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের শেকৃবি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ সহ বরেন্য কৃষিবিদগণ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া-আসাদ, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন হলের প্রভোষ্টবৃন্দ, শেকৃবি এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেকৃবি শাখার সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টে নিহত হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব সহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন ১৫ আগস্টের খুনিরা চিহ্নিত এবং হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, খুনিদের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমাদের দায় শেষ হয়নি। এ খুনের চক্রান্তের সাথে বা পটভূমির সাথে যারা জড়িত, হত্যাকান্ডের পর যারা বিভিন্ন ভাবে লাভবান হচ্ছে, যারা বিভিন্ন ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তাদেরকে কারা চাকুরিতে পুর্নবাসন এবং বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিল এ সকল বিষয় নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে সামগ্রিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে জাতির কাছে নিরপেক্ষ ভাবে উপস্থাপন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের অপরাজনীতির অবসান হবে না।

বাহাউদ্দিন নাছিম খালেদা জিয়ার পাঁচটি ভূয়া জন্মদিন উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশীট অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর, বিয়ের কাবিননামায় ০৯ আগস্ট, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ০৫ আগস্ট। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। করোনা টেষ্টের যে রিপোর্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাতে তার জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে ০৮ মে ১৯৪৬ সাল।

একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কতটা নির্মম ও বিকৃত রুচির অধিকারী হলে জাতির এই শোকের দিনে জন্মদিন পালন করতে পারে এবং যারা নিজেদের জন্মদিনের একটি সঠিক তথ্য জাতিকে দিতে পারে না তারা কিভাবে রাজনীতি করেন।

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদদের মধ্যে বিভক্তি টানতে চায় তাদের ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। এরা সুযোগ সন্ধানী, জাতির পিতার আদর্শ এদের মধ্যে নেই। যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবো।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের আপামর জনমানুষের নেতা। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বাঙালীর এক নিরলস সাহসী কণ্ঠস্বর। জেল জুলুম অত্যাচার সয়ে নিয়ে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির কথাই অবিরাম ভেবেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতার জনককেও রাতের আঁধারে হত্যা করে কাপুরুষের দল। বিচার হয়েছে আর বাকীদেরও হবে আমরা নিশ্চিত। তবে আজ তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন, গভীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা জড়িত ছিল। পনেরই আগস্টের শোকের দিনে এটিই আমাদের বড় দাবি।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১০০ জন দুস্থ ও অসহায়দের মানবিক সহায়তা করা হয়।

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ৮:২৯ অপরাহ্ন
পঁচাত্তরের শত্রুরা এদেশে এখনো সক্রিয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সাথে জড়িত শত্রুরা এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

বুধবার (০৪ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যোষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের প্লট যারা রচনা করেছিল, তারা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এদেশ থেকে এখনো বিনাশ হয়ে যায়নি। কখনো ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে কখেনো তারা স্বাধীন ফোরাম করে এদেশে থাকে। পঁচাত্তরের শত্রু যারা, তারা একাত্তরের শত্রু, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী এবং তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। তারাই শেখ কামালকে হত্যা করেছে। আমরা সে মানুষগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারি নি।”

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বিধায় এতো প্রতিকূলতার ভেতরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে এ জাতীয় হত্যাকান্ডের বা ঘটনার বিচার কোনদিন হবে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের শুধু ষড়যন্ত্রকারীই নন, হুকুমদাতা। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে নতুন করে একটি সম্পূরক তদন্ত করে সে রিপোর্ট রেকর্ডে রাখা উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার, যে তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করবে”।

তিনি আরো বলেন, “শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য সম্পদ ছিলেন। তাঁকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে এ দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় তিনি বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।”

তিনি আরো যোগ করেন, “১৯৭৫ সালের খুনিদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও স্বজনরা। কারণ তারাই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। খুনিরা ভেবেছিল তাদের মেরে ফেলতে পারলে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে মেরে ফেলা যাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো হত্যাকান্ডেরে নজির পৃথিবীর কোথাও নেই”।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান এমপি। এছাড়া আরো অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান, শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop