৮:২৪ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
আগাম জাতের সবজি চাষে মুখে হাসি জয়পুরহাটের কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় জেলায় বর্তমানে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে আগাম জাতের সবজি চাষও দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে ২ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ার কারনে কৃষকরা এ সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে কৃষকদের কথা বলে জানা যায়।

জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার আগাম জাতের সবজি চাষ করা উল্লেখযোগ্য সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেগুন ৩২০ হেক্টর, মুলা ১০৫ হেক্টর, সিম ৩৬০ হেক্টর, ফুলকপি ৬৮ হেক্টর, বাধাকপি ৬৫ হেক্টর, টমেটো ৩২ হেক্টর, বরবটি ৪৬ হেক্টর, লাল শাক ১১৭ হেক্টর, পালং ৪৮ হেক্টর, পুঁইশাক ২৪ হেক্টর, করলা ১০৫ হেক্টর, শসা ১৬০ হেক্টর, লাউ ৯১ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০৫ হেক্টর, পটল ২০০ হেক্টরসহ অন্যান্য সবজি রয়েছে। এ ছাড়া আগাম জাতের আলুও রয়েছে ৩০০ হেক্টর জমিতে।

কৃষকরা জানান, আগাম জাতের সবজি বাজারে আশার পরে প্রথম দিকে দাম একটু চড়া থাকলেও পরবর্তিতে বাজারে আমদানী বেশি হওয়ায় দাম কমতে থাকে। সদর উপজেলার ভানাই কুশলিয়া গ্রামের আজিজার রহমান ও মোসলেম উদ্দিন বলেন এবার ৩০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের বেগুন চাষ করে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। সে কারনে এবারও বেগুন চাষ করেছেন অধিক লাভের আশায়। একই এলাকার ছানোয়ার হোসেন এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন বলে জানান। পারুলিয়া গ্রামের সবজি চাষি এরশাদ, ইউনুস আলী, এন্তাজুল জানান, গতবছর কপিতে অধিক লাভ হওয়ায় এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন। বর্তমান জয়পুরহাটের হাট-বাজারগুলোতে আগাম জাতের বেগুন প্রকার ভেদে ৩৩ থেকে ৪০ টাকা কেজি, মূলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সীম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের সবজি চাষ করে কৃষকরা অধিকহারে লাভবান হওয়ায় জেলায় আগাম জাতের সবজি চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দাম ভাল পাওয়ার জন্য বাজারে প্রথম পর্যায়ে সবজি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কৃষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২২ ৯:০১ অপরাহ্ন
আগাম শিমের বাম্পার ফলনে বগুড়ার কৃষকের মুখে হাসি!
কৃষি বিভাগ

শিম শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে গ্রীষ্মে শিমের আগাম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বগুড়ার পল্লী মঙ্গল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আগাম জাতের শিমের চাষ করা হয়েছে। এবছর আগাম জাতের শিমের বাম্পার ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। বাজারদর ভালো থাকলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে আগাম জাতের শিমের চাষ করবেন বলে জানায় কৃষকরা।

জানা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলায় এরই মধ্যে শীতের আগাম জাতের শিমে ভরে উঠেছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম গাছ। কৃষকরা গাছ থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারলেও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি বলে জানায় কৃষকরা।

কৃষক কু্দ্দুস জানান, আগাম জাতের শিম চাষ করে আমি লাভবান হয়েছি। এই জাতের শিম গাছ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়। ৭০-৮০ হাজার টাকা শিম বিক্রি করতে পারবো। তবে বাজারদর ভালো থাকলে লাখ টাকাও বিক্রি হতে পারে।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল হোসেন জানান, এবছর বগুড়া জেলায় ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। আশা করছি এবছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আগাম সবজির ফলন পাওয়া যাবে। বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন। আগামীতে আরো বেশি জমিতে আগাম সবজির চাষ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২২ ৭:২৬ অপরাহ্ন
থানার পতিত জমিকে সবজি বাগান বানালেন ওসি
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার ২ বিঘা পতিত জমির গর্ত ভরাট করে শাক-সবজি আবাদ করে নাম কুড়চ্ছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত। বাগানে লাগানো হয়েছে প্রায় ১৭ ধরনের শাক-সবজি। যা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সবজি চাহিদার অনেকটাই মেটাচ্ছে।

থানায় আসা সেবা প্রত্যাশীরা থানার মধ্যে এরকম শাক-সবজি চাষ করা দেখে নিজেরা আগ্রহী হয়ে বসতবাড়িতে শাক-সবজির চাষাবাদ শুরু করছেন।

সরজমিনে বাগান ঘুরে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়মিত পরিচর্যায় সবজি বাগানটি দিনেদিনে সৌন্দর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। কখনো বেগুন গাছে রঙিন ফুল, আবার কখনোবা লাউয়ের ডগায় হলুদ ফুল। আর এই ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে বাগানে ছুটে আসছে মৌমাছি, প্রজাপতিসহ বিভিন্ন মধুপ্রেমী পতঙ্গেরা।

এ রকম দৃশ্য বাগানে আসা যে কারোরই নজর কাড়বে। বাগানটিতে প্রায় ১৭ ধরনের শাক-সবজির মধ্যে রয়েছে কাঁচামরিচ, পেয়াজ, রসুন, বেগুন, ফুলকপি, পাতাকপি, টমেটো, শিম, পেঁপে, চিচিঙ্গাসহ লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক। আর মাচায় ঝুলছে লাউ, বাইঙ্গা ও চিচিঙ্গা।

কাজিপুর থানায় কর্মরত কনস্টেবল রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, পুলিশের চাকুরি করার পাশাপাশি অবসর সময়ে সবজি বাগানের পরিচর্যার কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। এখন আমাদের শাকসবজি কিনতে হয়না বাগানের উৎপাদিত সবজিতেই আমাদের চাহিদা মিটে যায়।

কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, এক বছর আগে থানার এই পতিত জমিটুকু ৫ ফিটের মতো গর্ত ছিল। বর্ষা মৌসুমে এই জায়গায় অনেক পানি জমে সাপ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন পোকামাকড় আশ্রয়স্থল গড়ে তুলত। এমনকি আমাদের থানার মধ্যেও এই পোকামাকড় ঢুকে পড়ত। ফলে আমাদের থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন বেগ পোহাতে হতো।

তিনি আরও বলেন, তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইজিপি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক থানার পতিত জমিতে শাক-সবজি লাগিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি। সবজি চাষাবাদ করে আমরা বিভিন্ন দিক দিয়ে উপকৃত হয়েছি। থানায় এখন আর বর্ষা মৌসুমে পানি আটকে থাকেনা। বাগানে উৎপাদিত শাকসবজি থানায় কর্মরত পুলিশদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তাদের অর্থ বাঁচিয়ে দিচ্ছে।

প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২২ ৭:২৪ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক
কৃষি বিভাগ

লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা আগাম শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সবজি ক্ষেতে। বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা গাছ লাগানো, সার-কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সবাই।

লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুরের কৃষকরা বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে- মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শিম, লালশাক, ঢেঁড়শ, ধুন্দুল, করলা, পালংশাক, পুঁইশাক, বরবটি, লাউ, কুমড়া।

কৃষকরা শীত আসার আগেই এসব সবজি বাজারে নিয়ে আসতে চান। আর চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর এসব সবজি বাজারজাত করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগুপ্টা, বেড়ির মাথাসহ বেশ কিছু এলাকায় দেখা যায়, মাঠে কাজ করছেন কৃষকরা। কেউ সার ছিটচ্ছেন, কেউ মাটি দিচ্ছেন, কেউবা সবজি ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো লাভ পাবেন বলে আশাবাদী চাষিরা।

এদিকে বিভিন্ন স্থানে চিচিঙ্গা, লাউ, চষা ও বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে। আগাম শীতকালীন সবজি হিসেবে এসব সবজি বাজারে ওঠা শুরু করেছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো দামে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আবিরনগর, টুমচর, শাকচর, মিয়ারবেড়ি, চর উভূতি, ভবানীগঞ্জ, আবদুল্যাপুর, তেওয়ারিগঞ্জ, লাহারকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় সারাবছর ধরে শাক-সবজির চাষ হয়। তবে শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে আগাম শীতের সবজি আবাদ হয় ব্যাপক হারে। জেলার সবচেয়ে বড় সবজির হাট পিয়ারাপুরবাজার। সপ্তাহে চারদিন হাট বসে ঐ বাজারে। স্থানীয় কৃষকরা সরাসরি হাটে তোলেন কৃষিপণ্য। এসব পণ্য এখানে পাইকারি দরে বিক্রি করেন তারা।

ভবানীগঞ্জের কৃষক শরীফ উল্যাহ জানান, শীতের শুরুতে শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারলে দাম ভালো পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকার কারণে তিনি এ বছর শীতকালীন সবজি হিসেবে লাউ, শিম ও বেগুনের চাষ করেছেন। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহরে মধ্যে এসব আগাম সবজি বাজারে বিক্রি করতে পারবেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক হোসেন জানান, প্রতি বছর তিনি শীতকালীন সবজি চাষ করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। এ বছর তিনি আট একর জমিতে শসা ও টমেটো চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলে গত বছরের তুলনায় এ বছর তিনি বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন জানান, প্রতিবছরের মতো এবারো জেলার কৃষকরা আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। এবার জেলায় মোট সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করেছে। এ সবজি আগামী দুই মাসের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে।

প্রকাশ : অক্টোবর ১৭, ২০২২ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় মাঠজুড়ে আগাম শীতের সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

কার্তিকের এই সময়টায় মাঠে আমন ফসল থাকার কথা। আছেও তাই। তবে আমন আবাদের চেয়েও বেশি চোখে পড়ছে শীতের অনেকটা আগেই শীতের সবজি আবাদ। কৃষক বলছেন, এগুলো শীতের আগাম সবজি। প্রকৃত শীতের সবজির আবাদ শুরু হবে এই সবজি ওঠার পর।

সবজি আবাদে তারা কোনো ফাঁকা জমি রাখছে না। বাড়ির উঠানে বহির্আঙিনায় (খুলি) লাল শাক সহ সব ধরনের শাক মূলা চিচিঙ্গা সিম ফুলকপি বাঁধাকপি ঢ্যাঁড়শ টমেটো আবাদ করছে। বাঁশের জাংলা বসিয়ে লাউ করলা আবাদ করছে।

মাঠ পর্যায়ের কৃষক বলছেন, ধান আবাদের চেয়ে সবজি আবাদে লাভ বেশি। এখন ভর বছর সব ধরনের সবজি ফলানো যায়। ফলন উঠতে কম সময় লাগে। সবজি বেচা যায় ভর বছর। ধানে তা হয় না। আমন আউশ বোরো এগুলো সময়ের ধান। ঋতুর পালাবদলে ফসল সব সময় থাকছে। সকল ঋতুতে ফলানোর ধানের অনেক ভ্যারাইটি এসেছে। শীতের সবজি গ্রীষ্ম বর্ষা শরতের মধ্যে ফলছে! এমনটিই ঘটেছে বগুড়ায়। শীত আসতে এখনো অনেকটা সময় বাকি। এর মধ্যে বগুড়া সদর শিবগঞ্জ মহাস্থানগড় ও তার আশেপাশের এলাকা, শাজাহানপুর শেরপুর ধুনট সারিয়াকান্দি সোনাতলা কাহালু নন্দীগ্রাম উপজেলার গ্রামগুলোতে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বরবটি, সিম, পালং শাক, পুঁই শাক, বেগুন, মুলা, গাঁজর, করলা সহ শীতের সব ধরনের সবজি ফলছে।

শিবগঞ্জের উথলি গ্রামের কৃষক মালেক উদ্দিন জানান, ‘কিছুই কওয়া যায় না বাপো। কলিকালে সব পাল্টে গেছে। গরমের মধ্যে ফুলকপি মুলা বেগুন গাঁজর হয় তাও দেখা লাগিচ্চে।’ এই বিষয়ে কৃষি বিভাগ জানায়, সময়ের ঋতু সময়ে ঠিক থাকছে না। প্রকৃতির মতিগতি পাল্টে গিয়েছে। এখন সকল সিজনে সব ধরনের ফসল মিলছে। তাছাড়া উন্নত জাতের অনেক বীজ এসেছে। বাড়তি পরিচর্যায় শীতের আগাম সবজি চাষ হচ্ছে। শীতের আগাম সবজি আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ধরা  হয়েছে ৪ হাজার ৩শ ৮৫ হেক্টর ভূমি। যা গত বছরের চেয়ে দেড় হাজার হেক্টর বেশি। এবার শীত মৌসুমের আগে এবং শীত মৌসুমে অন্তত ২৫ হাজার হেক্টর ভূমিতে সবজির আবাদ হবে। এ থেকে উৎপাদন ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ মে. টন সবজি। গ্রামে প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় যেভাবে সবজি আবাদ হচ্ছে তাতে আশা করা যায় ৭ লাখ টনেরও বেশি সবজি আবাদ হবে। গ্রামে সবজি অর্থনীতি নতুন মাত্রা পাবে।
এদিকে বগুড়া অঞ্চলে শীতের অনেকটা আগেই যে কুয়াশাপাত হচ্ছে তা শীতের সবজির আগাম আবাদকে এগিয়ে দিচ্ছে। বগুড়ার মাঠে এখন পুরুষের পাশাপাশি নারী কৃষকদেরও সবজির মাঠ পরিচর্যায় দেখা যায়।

শিবগঞ্জের উত্তর শ্যামপর, মাঝপাড়া, বাকসন, এনায়েতপুর, সাদুল্লাপুর, জামালপুর, বাড়ুগড়, রায়নগর, কাজীপুর এবং মহাস্থানগড়ের আশেপাশের গ্রামে এই সময়ে কৃষক এক ফসল সবজি বিক্রি করে পুনরায় সবজি আবাদের কেউ চারা রোপণ করছে কেউ উঠতি সবজি আবাদে পরিচর্যা করছে। সবই শীতের আগাম সবজি। এই সবজির তরকারির স্বাদ কী শীতের সবজির মতো! এমন প্রশ্নে উত্তর মেলে পার্থক্য আছে। বগুড়া নগরীর গৃহিণী কামরুন নাহার বললেন, তিনি শাকের রাজা পালং শাক রেঁধেছিলেন। স্বাদ একই। আগাম পালং শাক পাতার আকার বড়। শীতের লাল শাকের চেয়ে আগাম লাল শাকের স্বাদ ভালো।
এই বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, গত ক’বছর ধরেই বগুড়া অঞ্চল সবজি আবাদে বড় ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছর সবজি আবাদের জমি বাড়ছে। ঋতুর পালাবদলে বগুড়া অঞ্চলে সব মৌসুমে সব ধরনের ফসল ফলছে। এগিয়ে আছে সবজি আবাদে।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শেরপুরে সবজির চারা নিয়ে বিপাকে চাষিরা
কৃষি বিভাগ

বগুড়ার শেরপুরের সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বৈটখর ও গাড়ীদহ ইউনিয়নের রানীনগর এলাকাটি সবজি চারা গ্রাম নামে পরিচিত। উপজেলার এই দুটি গ্রামের উৎপাদিত চারা প্রায় ২ কোটি কাটার বিক্রয় করা হয় প্রতি বছর।

তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় চারাগুলো বিক্রয় হচ্ছেনা। বিক্রয় করতে না পেরে কপালে চিন্তার ভাজপড়েছে চাষীদের।

জানা যায়,, এই দুইটি গ্রামে আগাম শীতকালীন সময়ের সবজির বাজার দখল করতে বীজতলা পলেথিন দিয়ে মোড়ানোসহ বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যেমে বীজ রোপন করে উপযুক্ত চারা তৈরী করেছেন। শেরপুর উপজেলার শীতকালীন সবজির চারা নিজেরা রোপণ করে এবং বাজারেও বিক্রি করে। চারাগুলোর বিশেষ চাহিদা রয়েছে চাষীদের মাঝে। প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রয় হয় এই উপজেলা থেকে। উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের বেগুন, মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপির চারা ময়মনসিং, তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাও কুড়িগ্রাম, নাটোর, জলঢাকা, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাষীরা চারা সংগ্রহ করে চাষ করে। শীতকালেই শুধু নয়, সারা বছর সবজির চারার চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করেন এ উপজেলার চাষিরা। এরই মধ্যে ভারি বর্ষনে অর্ধেক চারা বিক্রয়রের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে চাষীরা।

রানীনগর গ্রামের (বীজ রোপন) চাষী শরিফ উদ্দিন মিন্টুর জানান, জৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে জমি প্রস্তুতি শুরু করি। আষাঢ় মাসের শুরুতে বৃষ্টি ও রোদ থেকে বাঁচাতে চারা বীজের বেডের ওপর পলিথিনের ছাউনি দিতে হয়েছে। নিজস্ব প্রযুক্তি, পরিচর্যা, সার ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করে এ চারা তৈরী করি। এ চারা ৫ মাস পর্যন্ত বিক্রয় হয়। এই ৫ মাসে তিন থেকে চার বার চারা তৈরী করা যায়। আগাম সবজি চাষের চারা তৈরী হয়েছে। শীতে সবজির বাজার দখল করতে আমরা ব্যস্ত সয়ম পার করছি। চারার চাহিদা থাকলেও এবার আবহাওয়া বর্তমানে অনুকূলে নেই। এ জন্য বর্তমানে চারার চাহিদা কম।

শেরপুর উপজলো কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. শারমিন আক্তার জানান, এ বছর ৭ হেক্টর জমিতে বীজ চারা তৈরী হয়েছে। শেরপুর উপজেলায় রবি মৌসুমে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশি ফলনের জন্য আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও চাষিরা বেশ লাভবান হবেন বলে আশা রাখি।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
শীতকালিন সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তায় যশোরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

ডিজেল, সার-কীটনাশক ও শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় এবার সবজি নিয়ে দুশ্চিন্তার পড়েছেন যশোরের চাষিরা। শেষ সময়ে সবজি চাষের পরিচর্যায় তারা ব্যস্ত সময় পার করলেও সবজি উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এ অবস্থায় প্রান্তিক চাষিরা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

দেশের সবজি উৎপাদনের উল্লেখযোগ্য জেলার মধ্যে যশোর হচ্ছে অন্যতম জেলা। দেশের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ সবজিই এ জেলা থেকে সরবরাহ করা হয়। প্রায় বছরজুড়েই জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে নানা জাতের সবজি চাষ হয়। তবে শীত মৌসুমকে টার্গেট করে এ জেলার চাষিরা প্রচুর সবজি চাষ করলেও এবছর প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছেন। অন্যান্য বছরে এ সময় বাজারগুলো আগাম জাতের শীতকালীন সবজিতে সয়লাব হয়ে গেলেও দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে উৎপাদনের সময় প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেছে বলে জানান চাষিরা। সর্বশেষ বৃষ্টি পেয়ে সবজি চাষ শুরু করলেও চাষিরা খরচ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

চাষিরা জানান, একদিকে প্রকৃতির বৈরিতার কারণে তারা চাষে কোনো লাভ করতে পারছেন না। এরপর সার-কীটনাশকের সংকট ও মূল্য বেশি। একইসঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত শ্রমিকের মূল্য মেটাতে গিয়ে তারা পথে বসতে চলেছেন। এ অবস্থায় সবজির ন্যায্য দাম ও সরকারি সহায়তার দাবি তাদের।

জানা যায়, বিস্তীর্ণ ক্ষেতে কৃষকরা তাদের সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। এ সময় তারা চলতি মৌসুমের সবজি চাষ নিয়ে নানা আক্ষেপ ও উদ্বেগের কথা জানান। কৃষকরা জানান, অন্যান্য বছরে ঠিক এই সময়ে এসব তারা সবজি বাজারে তুলতে পারলেও এ বছর দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে প্রায় এক মাস পিছিয়ে রয়েছি। ফলে সময়মতো এ বছর শীতের এ সবজি বাজারে তুলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা।
গোলাম সরোয়ার নামে আরেক চাষি জানান, বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ এই কপি যখন আমরা বাজারে তুলব, তখন এর দাম পাওয়া যাবে না। এতে নিশ্চিত আমরা ক্ষতির মুখে পড়ব বলে মনে করছি। তিনি বলেন, বাজারে সার কিনতে গেলে সার পাওয়া যাচ্ছে না। গেলেও তা অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। একই সঙ্গে শ্রমিকের মূল্যে আগের চেয়ে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এ অবস্থায় আমরা পেরে উঠছি না। তিনি বলেন, সরকার যদি আমাদের প্রণোদনার আওতায় না আনে, তাহলে আগামীতে এ অঞ্চলে অনেক চাষিই ঝরে পড়বে। তারা বিকল্প হিসেবে অন্যকিছু চাষ করতে বাধ্য হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে এ বছর শীতকালীন সবজি চাষে কৃষক কিছুটা পিছিয়ে আছে বটে, তবে শেষ সময়ে বৃষ্টি পেয়ে তারা পুরোদমে চাষ শুরু করেছেন। আশা করছি, সামনে কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক তাদের ক্ষেতে বাম্পার ফলন পাবেন। উৎপাদনের উপযুক্ত সময়ে তারা ভালো দামে সবজি বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি দাবি করেন।

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ৫:১৮ অপরাহ্ন
রোপা আমনের জমিতে চাষ হচ্ছে সবজি!
কৃষি বিভাগ

বৈরী প্রকৃতির ফেরে পড়ে যে কৃষক রোপা আমনের আবাদ করতে পারেনি তারা ওই জমিতে শীতকালীন সবজির আগাম ফসল ফলিয়েছে। শীত মৌসুমে রবি ফসলের নির্দিষ্ট সবজির আবাদ তো হবেই। এভাবে বগুড়া অঞ্চলের কৃষক সবজি ফলনে এগিয়ে গেছে।

বগুড়ার কৃষক বাসেত আলী বললেন, কম বৃষ্টির কারণে অনেক জমিতে রোপা আমন আবাদ করা যায়নি। শুকনো আবহাওয়ায় সেই জমিতে সবজি ফলানো হচ্ছে। এই সময় যদি অতি বৃষ্টি নামে তাহলে সবজি আবাদ নষ্ট হবে। প্রকৃতির বৈরিতা এবার এমনই যে, বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে আমন আবাদ হচ্ছে না। আবার সবজি আবাদ করে বৃষ্টির ভয় পেয়ে বসেছে। দ্বিমুখী এই প্রকৃতিতে  একটি বিষয় পরিষ্কার কৃষক কোন জমি ফেলে রাখে না।

উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করে জানা গেল, ওইসব এলাকার কৃষক একই ব্যবস্থা নিয়েছে। চলনবিল পাড়ের এলাকায় আবার আউশ ঘরে তোলার পর আগাম আমন ঘরে তুলছে।

সিংড়ার চামারি এলাকার গৃহস্থ আবুল কালাম জানালেন বিলপাড়ের বিলদহর এলাকার কৃষক সারাবছর কোন না কোন ফসল ঘরে তোলে। বর্ষার ফসলের পাশাপশি মাছের আধারে শুঁটকির চাতাল গড়ে তুলেছে। পাবনা রাজশাহী রংপুর অঞ্চলের কৃষক যেখানে রোপা আমন করতে পারেনি সেখানে সবজির আবাদ করেছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা জানালেন, বগুড়ায় চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের টার্গেট করা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। সেখানে রোপা আমন না হওয়া জমিগুলো সবজি আবাদের মধ্যে এসেছে। ফলে আগাম শীতকালীন সবজি আবাদের পাল্লা এবার ভারি। গত বছরে সবজি আবাদের যে টার্গেট ছিল তারচেয়ে আগাম শীতকালীন সবজির জমি অন্তত ৯শ’ হেক্টর বেড়েছে। সামনের রবি মৌসুমে ফসলের জমি আগাম সবজির জমির সঙ্গে যুক্ত করে হিসাব কষতে হবে।

বগুড়ায় এই মুহূর্তে বাজারে মিলছে মুলা, পালং শাক, পুঁই শাক, লাল শাক, শিম, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা,  টমেটো, গাজর ইত্যাদি। এবারের বর্ষা শরত রোপা আমনের জন্য আবহাওয়া প্রতিকূলে। আবার সবজি আবাদের জন্য এই আবহওয়া অনুকূলে। বগুড়ার প্রবীণ কৃষক  মহাস্থানগড়ের আজাহার আলী বললেন, বর্ষায় বৃষ্টি হয় না এমন প্রকৃতি সে ৭৬ বছরের জীবনে দেখেননি। আবহাওয়া বিভাগের কথা গত ৪২ বছরে বর্ষার এমন প্রকৃতি দেখা যায়নি। রোপা আমন আবাদটি নির্ভর করে বৃষ্টির ওপর সেই বৃষ্টি এবার নেই। যে কারণে কৃষক জমি ফেলে না রেখে সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকেছে।

কৃষক আব্দুল করিম বলেন, গত শীতকালীন রবি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। এবার আগাম শীতকালীন সবজির আবাদ করেছেন আড়াই বিঘা জমিতে। তিনি কিছুটা হতাশায় বললেন, এবার এত যে সবজি আবাদ হচ্ছে কৃষক ঠিকমতো দাম পাবে তো! তিনি তার অভিজ্ঞতায় জানালেন, গত ক’বছর ধরে সবজি মৌসুমে ঢাকার পাইকাররা বগুড়ার মহাস্থানগড় ও আশপাশের এলাকায় ট্রাক পাঠিয়ে দিয়ে সস্তা দামে সবজি কিনে নিয়ে যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সেই সবজি বিক্রি হয় চড়া দামে। উত্তরাঞ্চলের যে কৃষক কষ্ট করে সবজি ফলায় তারা বেশি লাভ করতে পারে না। অনেক সময় কোন সিন্ডিকেটের থাবায় সবজির দাম কমিয়ে দিলে কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তারপরও কৃষক কোন জমি ফেলে রাখে না।

বগুড়ার কৃষকগণ বলছেন এখনও সবজি আবাদে তারা লাভের মধ্যেই আছেন। ভয় হয় কখন কোন না সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে তাদের লোকসান গুনতে হয়। বগুড়ার গ্রাম ও শহরে সবজির ক্রেতা বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ মাছ গোশতের চেয়ে সবজি বেশি কিনছে। হালে সবজির নানা ধরনের রেসিপিও তৈরি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাচ্ছে। এতে গড় আয়ু বাড়ছে।

সূত্র: জনকণ্ঠ

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
একই জমিতে ফলছে হরেক রকমের সবজি
কৃষি বিভাগ

একই জমিতে ফলছে হরেক রকমের সবজি, ফলমূল। উত্তরের জনপদ রাজশাহীতেও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে মিশ্র চাষাবাদ। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া, হুজুরীপাড়া, পারিলাসহ কয়েক এলাকার একাধিক কৃষক গড়ে তুলেছেন মিশ্র ফল-সবজির বাগান।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মিশ্র সবজি চাষ হয়েছে। এরমধ্যে চলতি মৌসুমে মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লাউ, করলা, ঢ্যাঁড়শ, মুলা, পটল, লালশাক ও শিম চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অল্প জমিতে কম খরচে অধিক মাত্রায় ফসল উৎপাদনের জন্য মিশ্র ফসল চাষে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। জেলায় সবচেয়ে বেশি মিশ্র সবজি চাষ হয়েছে বাঘা, চারঘাট, গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলায়।

মিশ্র ফসল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কৃষক সারোয়ার জাহান। দুই বছর আগে ৯ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন বারি-১ জাতের মাল্টা ও সবজির মিশ্র ফসলের বাগান। তার উৎপাদিত মাল্টা এলাকার চাহিদা পূরণ করে নগরীর বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।

একই ইউনিয়নে আট বিঘা কমলা ও মাল্টার বাগানে মরিচ চাষ করেছেন আলমগীর হোসেন। এই মৌসুমে মরিচের ভালো দাম পেয়েছেন। বাগানের ফল পাওয়া শুরু হলেই খরচ উঠে যাবে। এতে ভালো লাভ আসবে বলে মনে করছেন এই চাষি।

দামকুড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্ৰামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন জানান, তিনি তিন বিঘা পেঁপের জমিতে মরিচ ও বাঁধাকপির মিশ্রচাষ করেছেন। এরই মধ্যে পেঁপে ও মরিচ বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন জানান, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মিশ্র ফল-সবজি চাষ হয়েছে। অল্প সময়ে অধিক মুনাফা পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে মিশ্র সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ১২:১১ অপরাহ্ন
সবজি চাষকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রবাসীরা
কৃষি বিভাগ

সুইডেনে আগে প্রবাসী বাংলাদেশি শখের বসে নিজ বাড়িতে চাষ করত শাকসবজি। তবে এখন আর শখ নয়, এটাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে অনেকে।

বছরের বেশির ভাগ সময় শীত আর বরফে আচ্ছাদিত থাকা সুইডেন গ্রীষ্মে পায় নতুন রূপ। নানা রকমের ফুল-ফল আর সবজির চাষাবাদ হয় এই গ্রীষ্মে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিজেদের বারান্দায় অনেকে ছোট পরিসরে নিজেদের পছন্দের দেশীয় শাকসবজি চাষ করেন এ সময়ে।

একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশের অনুভূতিটা ধরে রাখার জন্য আমরা বেলকুনিতে যতটা সম্ভব ছোট পরিসরে বাংলাদেশের সবজি চাষ করি।

এক সময় শুধু ঘরের বারান্দায় পছন্দের সবজি চাষ শুরু করা অনেকেই এখন জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন বাংলাদেশি নানা ধরনের শাকসবজি। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অনেকে আবার তা বিক্রিও করছেন। স্বপ্ন দেখছেন দেশীয় সবজির চাষ করে তা জীবিকা হিসেবে বেছে নেয়ার।

আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সবজি চাষাবাদ করছি। আমাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ করার পর বাকি সবজি আমরা বিক্রি করে দেই। আমরা চাইলেই ইতালি বা লন্ডন থেকে সবজি না এনে সুইডেনে বেশি বেশি সবজি চাষ করতে পারি।

সুইডেনে এখনো স্বল্প পরিসরে দেশীয় জাতের শাকসবজির চাষাবাদ হলেও অনেক তরুণ উদ্যোক্তাই দেশীয় সবজির চাহিদা মেটাতে সুইডেনে দেশীয় ফল শাকসবজির বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop