কৃষি খাতে ৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা
Uncategorized
কৃষি খাতের জন্য নতুন করে আরও তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে এবং এই স্কিমের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন এই স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। আগের ঋণ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজ ব্যাংক হতে প্রদত্ত বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।
ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য বা ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধু ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।
এই স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত এক শতাংশ সুদ হারে পুনঃ-অর্থায়ন সুবিধা পাবে। কৃষক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ চার শতাংশ (সরল হারে)।
কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত শস্য ও ফসল খাতের আওতাভুক্ত দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাকসবজি, কন্দাল ফসল (আমদানি বিকল্প ফসল যথা: ডাল, তেলবীজ, মসলাজাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে গ্রাহকদের চার শতাংশ সুদ হারে ঋণ বিতরণের পৃথক স্কিম চালু থাকায় এ খাত ছাড়া) ফল ও ফুল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাত, কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন খাতে বিতরণ করা যাবে।
অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ পুনঃ-অর্থায়ন গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাস+ গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস) মধ্যে এক শতাংশ হারে আসল এবং সুদ পরিশোধ করবে। কৃষক পর্যায়ে শস্য বা ফসল খাতে বিতরণ করা ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১২ মাস। এ ছাড়া, অন্যান্য খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম তিন মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস।