১১:৩৮ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
কৃষি খাতে ৩ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা
Uncategorized

কৃষি খাতের জন্য নতুন করে আরও তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে এবং এই স্কিমের মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন এই স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। আগের ঋণ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজ ব্যাংক হতে প্রদত্ত বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য বা ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন (শুধু ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে। গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

এই স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত এক শতাংশ সুদ হারে পুনঃ-অর্থায়ন সুবিধা পাবে। কৃষক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ চার শতাংশ (সরল হারে)।

কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত শস্য ও ফসল খাতের আওতাভুক্ত দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাকসবজি, কন্দাল ফসল (আমদানি বিকল্প ফসল যথা: ডাল, তেলবীজ, মসলাজাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে গ্রাহকদের চার শতাংশ সুদ হারে ঋণ বিতরণের পৃথক স্কিম চালু থাকায় এ খাত ছাড়া) ফল ‍ও ফুল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাত, কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন খাতে বিতরণ করা যাবে।

অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ পুনঃ-অর্থায়ন গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাস+ গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস) মধ্যে এক শতাংশ হারে আসল এবং সুদ পরিশোধ করবে। কৃষক পর্যায়ে শস্য বা ফসল খাতে বিতরণ করা ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১২ মাস। এ ছাড়া, অন্যান্য খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম তিন মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১ ৮:৩৬ অপরাহ্ন
সুন্দরবন সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু
Uncategorized

সুন্দরবন সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন সম্পর্কে জানাতে ও সুন্দরবন সংরক্ষণে তাদের ভূমিকা তুলে ধরতে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) সুন্দরবন সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরবন বিষয়ক শিক্ষার আয়োজন করেছে। শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কার্যক্রমটির আয়োজন করা হয়।

সুন্দরবন সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের

সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাট উপজেলার সুন্দরবন ও চিলা ইউনিয়নের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির মোট ৬০০ জন শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হবে। শিক্ষা কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উক্ত ৬০০ জন শিক্ষার্থীদেরকে ৩০ জন করে মোট ২০ টি দলে বিভক্ত করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ১১ অক্টোবর ২০২১ তারিখের মধ্যে নির্বাচিত ৬০০ জন শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হবে। গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে জয়মনির ঘোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম দলের শিক্ষা কার্যক্রমের পরিচালিত হয়েছে। কার্যক্রম শেষে ৩ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলো পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ৩০ জন শিক্ষার্থী, জয়মনির ঘোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব সুরেশ মল্লিক, প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাবা এম. সাবরিন আহমেদ রতি, প্রকল্প অফিসার রাখী ঢালী, মাঠকর্মী জনাব অমিত কুমার ও হরপ্রসাদ সরকার ও গ্রাম সংরক্ষণ দলের সদস্যবৃন্দ।

সুন্দরবন সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের

জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর পক্ষে বাংলাদেশ বন বিভাগ এর সহায়তায় সুন্দরবন ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় জিআইজেড এবং বেডস্ (বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি) “কোভিড-19 মিটিগেশন মেজারস ফর দ্যা সুন্দরবনস-স্পেশাল ইনিসিয়েটিভ আন্ডার এসএমপি-II” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

এই প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সুন্দরবন সংরক্ষণের উপর ১০ টি পথনাট্য প্রদর্শন করা হবে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের উপর ভাষ্কর্য প্রস্তুত করা হবে এবং ১৫০০ জন শিক্ষার্থীদের সুন্দরবন বিষয়ক বুকলেট ও পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২১ ৬:১৪ অপরাহ্ন
লকডাউনে সফল কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন সামসুল হক
Uncategorized

করোনার মহামারীর কারনে ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় সবারই বন্ধ। এই সময়টাতে ইউটিউব দেখে বারোমাসী তরমুজ, কেনিয়া আর সাম্মাম চাষ করার উদ্যোগ নেন সামসুল হক। ৩৫ শতক জমি বন্ধক নিয়ে ঢাকা থেকে বীজ ও মালচিং পেপার সংগ্রহ করে কৃষিবিভাগ থেকে পরামর্শ নিয়ে বারোমাসী হলুদ তরমুজ নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি । তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষ হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ রং এর তরমুজ। সাথে রয়েছে সাম্মাম। ঝুলন্ত হলুদ রঙ-এর বাহারি তরমুজ দেখে মনে হচ্ছে, হলুদের আভায় ছেয়ে গেছে সবুজ প্রকৃতি। তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন জাতের হলুদ রংয়ের বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষ করে এরই মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা সামসুল হক। নতুন জাতের এই বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম এক নজর দেখতে প্রতিদিন শত-শত মানুষ ভীঁড় করছেন সামসুল হকের ক্ষেতে। বাজারে ভালো দাম, চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় নতুন জাতের এই বারোমাসী তরমুজ ও সাম্মাম চাষে এখন আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেক কৃষক।

মুরাদনগর সদর হতে গোমতী নদীর ব্রিজ পার হয়ে বেঁড়িবাধের পাশে ভূবনঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার অদূরেই ৩৫ শতক জমিতে সামসুল হকের তরমুজ ক্ষেত। ৫০ দিন আগে ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে বপন করেন তিনি। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। কয়েকদিন পরই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাইনুদ্দিন আহমেদ সোহাগ জানান, বারোমাসী হলুদ তরমুজ ও সাম্মাম পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, খেতেও মিষ্টি। সারাবছর চাষ করা যায়। এগুলো এতোদিন বিদেশে চাষ হতো। সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু কৃষি উদ্যোক্তা এ বারোমাসী তরমুজ চাষ করছেন। সামসুল হক একজন কৃষি উদ্যোক্তা। এর আগেও নতুন জাতের সবজি স্কোয়াশ ও ব্র্রোকলি চাষ করে ভালো সফলতা পেয়েছেন এবং স্কোয়াশ চাষে কৃষকদেরকে আগ্রহী করে তোলেছেন। তার আগ্রহ থেকেই মুরাদনগরে এই প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে হলুদ তরমুজ ও সাম্মাম। আশা করছি, সামসুল হক আর কয়েকদিন পর এই অঞ্চলে নতুন সফলতার গল্পের সূচনা করবেন। আমরা তার সঙ্গে আছি। যেসব কৃষক এই জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে আমাদের কাছে আসবেন আমরা তাদের কারিগরি সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২১ ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
ইয়াস ওয়ার্ল্ড এর কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হলেন আব্দুলাহ আল মারুফ
Uncategorized

International Association of Students in Agricultural and related Sciences বা IAAS কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের তাদের বিষয় সংশ্লিষ্ট, পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা উন্নয়ন লক্ষ্যে। বাংলাদেশে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির লোকাল কমিটি যাত্রা শুরু করে। প্রারম্ভিক সময়কাল থেকেই পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মারুফ এই সংগঠনের সাথে কাজ করা শুরু করেন।

তিনি ইয়াস বাংলাদেশ পবিপ্রবি লোকাল কমিটিতে সেক্রেটারি অফ এডমিনিস্ট্রেশন হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট হিসেবে এক বছর কাজ করেন। এরপর ইয়াস ওয়ার্ল্ডে তিনি এক্সটার্নাল রিলেশন সেক্রেটারি, ইয়াস ফিন্যান্স সামিট ২০২১ ‘এ ফ্যাসিলিটেটর, ইয়াস এশিয়া প্যাসিফিকের সাথে কো-ফ্যাসিলিটেটর, ইয়াস ১ম ভার্চুয়াল কংগ্রেস ‘এ সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন অবস্থান থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এবং সম্প্রতি ইয়াস ওয়ার্ল্ডের ২০২১-২২ সেশনের জন্য ফিন্যান্সিয়াল ইনডিপেন্ডেন্ট অফিসার তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ফিন্যান্স হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ইয়াস ওয়ার্ল্ড থেকে দীর্ঘদিনের যাচাই-বাছাই পর্ব শেষে তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়।

মারুফ তার শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ভলান্টিয়ার এবং মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার (BYLC) ‘র ক্যাম্পাস এম্বাসেডর এবং জাগো ফাউন্ডেশনের অংশ ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (VBD) ‘র পটুয়াখালী জেলার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার শিক্ষাজীবনে আমতলী এ.কে. মডেল পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইসএসসি সম্পন্ন করেন।

বর্তমানে তিনি ওয়াটারস্কেল এ্যাপে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে তিনি  তার শিক্ষাজীবন থেকেই একজন আদর্শ ভলান্টিয়ার এবং নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের খুবই ছোট একটি জায়গা হচ্ছে পটুয়াখালী। সেখান থেকেই একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেয়া এবং ৫০টিরও অধিক দেশের অভিভাবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়।

মারুফ ব্যক্তিগত জীবনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্বাসী। তিনি যেমন শিক্ষাজীবন থেকেই, বিশেষ করে লকডাউনের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিজের সময়কে কাজে লাগিয়েছেন, তেমনি তিনি তার অনুজদের কাছ থেকেও সেরকমটাই আশা করেন। আশা করা যায়, মারুফ তার পরবর্তী জীবনেও তার সাফল্যের ধারা এভাবেই অব্যাহত রাখবেন।

আরো পড়ুনঃ ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস ২০২১ এর ট্রেনিং সেশন শুরু হলো

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২১ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ভুরুঙ্গামারীর নদ নদীতে চলছে ডিমওয়ালা মাছ ও পোনা শিকার
Uncategorized

এক প্রকারের বিশেষ জাল দিয়ে নির্বিচারে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর নদ-নদীগুলোতে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন হচ্ছে একটি অসাধু চক্রের হাতে। এতে ভরা মৌসুমে নদ-নদীগুলো মাছ শুন্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর শুরু হয়েছে চায়না জালের ব্যবহার। চায়না জাল নদী জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়। এতে সব ধরনের দেশীয় মাছ ধরা পড়ে। বিশেষকরে ডিমওয়ালা মাছ নিধন করায় ক্রমেই মাছ শ‚ন্য হয়ে পড়ছে নদীগুলো।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক শ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ী বাজার থেকে চায়না জাল কিনে তার সাথে লোহার চিকন রিং দিয়ে বিশেষ কায়দায় ৭০/৮০ ফুট লম্বা এক ধরনের ফাঁদ তৈরি করছেন। এসব ফাঁদের রযেছে বাহারি নাম। কেউ বলছেন ম্যাজিক জাল, কেউ বলছেন পাইলিং জাল, ড্রাগন জাল ও রিং জালও বলছেন কেউ কেউ।

উপজেলার দুধকমার নদের বিভিন্ন স্থানে এসব জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ডিঙি নৌকা দিয়ে প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হয় জাল পাতার প্রক্রিয়া। সারারাত পেতে রাখার পর সকালে জাল তুলে মাছ ধরা হয়।

জালে ধরা পড়ছে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ছোট বড় কোন মাছই রেহাই পাচ্ছেনা। শুধু মাছই নয়, নদীতে থাকা ব্যাঙ, কুচে সহ জলজ প্রাণীও রক্ষা পাচ্ছে না এই জাল থেকে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী জানান, যারা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে নির্বিচারে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৩, ২০২১ ১০:১৩ অপরাহ্ন
কৃষি হবে সমৃদ্ধ ও দুর্বার:কৃষিমন্ত্রী
Uncategorized

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। কৃষির উন্নয়ন হলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে। সেজন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সার, সেচ,বীজসহ কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করে কৃষকের দোরগোড়ায় অব্যাহতভাবে পৌঁছে দিচ্ছে। শ্রমিক সংকট নিরসন ও উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষকদেরকে দিচ্ছে ৫০-৭০% ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র। এর ফলে আগামী দিনের কৃষি হবে যান্ত্রিক, আধুনিক ও বাণিজ্যিক। কৃষি হবে সমৃদ্ধ, দুর্বার ও লাভজনক। যার মাধ্যমে কৃষক ও গ্রামীণ মানুষের জীবনমান আরও উনন্নত হবে।
মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে করোনাকালে দেশে খাদ্য নিয়ে কোন সংকট হয় নি উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সামনের দিনগুলোতেও কৃষি উৎপাদন কমার কোন সুযোগ নেই। করোনার চলমান ঢেউয়ে সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। তারপরও আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য সংকট হবে না।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ১২০জন সিআইজি কৃষকদেরকে পাওয়ার টিলার,পাওয়ার থ্রেসার, স্প্রে মেশিনসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র প্রদান করা হয়। এনএটিপি-২ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ইউনিটের পরিচালক আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকী, টাঙ্গাইলের উপপরিচালক আহসানুল বাসার, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জীবনের সুরক্ষায় ও জীবিকা নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। পৃথিবীর অনেক দেশ এখনও করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারে নি; সেখানে প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই দেশের মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন। মাঝখানে কিছুটা সংকট হলেও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে টিকাসংকট কেটে গেছে। এখন আবার সারাদেশে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। একই সাথে, দেশেও ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। আশা করছি, এটিতেও আমরা সফল হব।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৮, ২০২১ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
৩০ মণ ওজনের “কালো মানিক”, দাম হেঁকেছেন সাড়ে ৮ লাখ
Uncategorized

টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় আনেহলা ইউনিয়নের কোরবানী ঈদ উপলক্ষে শখ করে নিজ বাড়িতে গরুটি লালন-পালন করছেন চান মিয়া। গরুটির নাম দিয়েছেন “কালো মানিক”। তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন সাড়ে ৮ লাখ টাকা। এ গরুর বয়স ৪ বছর। গরুটি লম্বায় ৯ ফুট ৬ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ৩০ মণ।

খুবই শান্ত ও রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত সিন্ধি জাতের ষাঁড়টি দাম কিছু কম হলেও তিনি বাড়িতেই বিক্রি করতে চান। শখ করে পালন করা এই ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকাসহ দূরদূরান্তের উৎসুক লোকজন।

বর্তমানে গরুটি উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রামের মালিক চান মিয়ার বাড়িতেই রয়েছে। তবে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যোগাযোগের নম্বরও দিয়েছেন। সেখানে তিনি দামও উল্লেখ করেছেন। চার দাঁতের গরুটির বয়স চার বছর। প্রতিদিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ গরুটিকে দেখতে আসেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তারাও গরুটির স্বাস্থ্য বিষয়ক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

খামারি চান মিয়া জানান, ষাঁড়টি জন্মের পর থেকেই আমি লালন পালন করছি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছি। গরুটিকে মোটাতাজাকরণের ওষুধ ও ইনজেকশন এমন কোনো কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অনুমোদিত মেশিনে তৈরি খাবার ও বিজ্ঞানসম্মত সঠিক পরিচর্যা করা হয়েছে। গরুকে দেশীয় খাবার যেমন- মাল্টা, পেয়ারা, ছোলার ভূষি, মসুরির ভূষি, ভুট্টার গুঁড়া, গমের গুঁড়া, গমের ভূষি, কাঁচা ঘাস ও খড় খায়িয়ে বড় করা হয়েছে। ছাড়াও তার কাছে ছোট-বড় আরও তিনটি গাভী গরু রয়েছে বলে জানান চান মিয়া।

উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন বাহাউদ্দিন সারোয়ার রেজভী জানান, চান মিয়া তার খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করা হচ্ছে। উপজেলায় আরো বড় গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে তার মধ্যে এই ষাঁড়টিই অন্যতম। সব থেকে বড় বলেও তিনি জানান।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২১ ৯:০২ অপরাহ্ন
বগুড়ায় অনলাইনে পশুর হাটে ব্যাপক সাড়া পড়েছে
Uncategorized

করোনা মহামারিতে বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আগামী পবিত্র ঈদুল আযাহা কে সামনে রেখে তিনটি অনলাইন প্লাটফর্মে কোরবানির পশু বিক্রয়ের জন্য খামারি ও ক্রেতাদের সুযোগ প্রদান করেছেন।প্রানিসম্পদ দপ্তরের তথ্যে থাকা খামারিদের কোরবানি যোগ্য পশু যেমন গরু, ছাগল ইত্যাদি অনলাইনের পেজের মাধ্যমে।অনলাইনে  ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও বিক্রয়যোগ্য পশুর বিবরন সহ পেজে সরবরাহ করা হচ্ছে, এতে ক্রেতাগন তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিকটস্হ খামারির সাথে যোগাযোগ করে দাম কষাকাসি করে পছন্দের গরু ক্রয় করছেন।এতে করোনার মহামারিতে স্বাস্হ্যঝুকি নিয়ে খামারি ও ক্রেতাদের বাজারে যেতে হচ্ছে না।এই তিনটি অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়োজিত আছেন জেলা প্রানিসম্পদের কর্মকর্তাগন,উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা,উপজেলা প্রানিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা,ইন্টার্নরত ডাক্তার,লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডারের সদস্য গণ।নামুজা ইউনিয়নের এক খামারি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান তার খামারে ৫ টি বড় ষাঁড় গরু ছিলো,উপজেলার অনলাইন পশুর হাটের মাধ্যমে বাজারে না গিয়ে খামার হতেই ইতোমধ্যে তার প্রতাশিত দামে ৩ টি বিক্রয় করেছেন,এতে তিনি খুব খশি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এক ক্রেতা আঃহান্নান জানান তিনি অনলাইন প্লাটফরমের কারনে জানতে পারেন তার পার্শ্ববর্তী গ্রামে কোরবানির বিক্রয়যোগ্য গরু আছে,তিনি খামারির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে, খামারে গিয়ে দাম কষাকষি করে তার পছন্দের গরুটি কিনতে পেড়েছেন,এতে তিনিও খুব খুশি।উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ জানান-“করোনা মহামারিতে আমাদের এই অনলাইন পশুর হাট কার্যক্রমে, সদর উপজেলায় থাকা কোরবানিযোগ্য পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য যেহেতু হাটবাজারে খামারি ও ক্রেতাদের যাওয়া সম্ভব না,সেহেতু আমাদের এই অনলাইন পশুর হাটের মাধ্যমে খামারিরা পশু ক্রয় -বিক্রয় করতে পারছেন,পাশাপাশি খামারি যেমন ন্যায্য মুল্য পাচ্ছেন, ক্রেতাদের তেমন কোন দালালের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে না,তারা খামারে গিয়ে তাদের পছন্দের খুশিমত গরু কিনছেন।এতে করে খামারি ও ক্রেতা দুইজনই উপকৃত হচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন-“করোনা মহামারি তে স্বাস্থ্যঝুকি মাথায় রেখে এমন কার্যক্রম সামনেও অব্যহত থাকবে,খামরি ও ক্রেতাদের উদ্দেশ্য বলেন আপনারা এই অনলাইনে পেজগুলোতে সক্রিয় থেকে আপনাদের পশু ক্রয় বিক্রয় করবেন।”

ফেসবুক পেজগুলা হলো

১.পশুর হাট,বগুড়া সদর,বগুড়া
২.বগুড়া পশুর হাট
৩.বগুড়া সদর পশুর হাট,বগুড়া সদর

ফেসবুক পেজের লিঙ্ক-https://www.facebook.com/groups/233328221947959/?ref=share

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২১ ৯:৩৮ অপরাহ্ন
হাবিপ্রবির নতুন ভিসি ড. এম কামরুজ্জামান
Uncategorized

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান।বুধবার (৩০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের শর্তে বলা হয়, ‘উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর হবে। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তন করে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে এই মেয়াদের অবশিষ্ট অংশ পূর্ণ করবেন।’

‘উপাচার্য হিসেবে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতা পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।’

প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের শর্তে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে যে কোনও সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২১ ৩:০৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop