১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২১ ৬:৩৪ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে পাওয়া গেলো বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফরিদপুরে হলুদ রঙের বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে কচ্ছপটি ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এদিকে কচ্ছপটি নিয়ে গবেষণা চালাতে তাদের কাছে রাখার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত রোববার (২২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের বিশ্বাস ডাংগী এলাকায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে যান অম্বিকাপুর গ্রামের রিয়াদ নামের এক যুবক। তার জালে এ কচ্ছপটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে ফরিদপুর জেলা সামাজিক বন বিভাগ কচ্ছপটি উদ্ধার করে। বর্তমানে কচ্ছপটি ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।

ফরিদপুর বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী জানান, কচ্ছপটি একেবারেই নতুন প্রজাতির। এটি হলুদ রঙের। কচ্ছপটির ওজন আনুমানিক দেড় কেজি ও ব্যাসার্ধ ৮ ইঞ্চির মতো। ওই কচ্ছপটির খবর খুলনার বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তার পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।

এদিকে খবর পেয়ে ফরিদপুর বন বিভাগের অফিসে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান শমী। তিনি জানান, এটি সুন্ধি জাতীয় কচ্ছপ হলেও এই প্রজাতির হলুদ বর্ণের কচ্ছপ সাধারণত দেখা যায়না। তিনি জানান, সুন্ধি জাতীয় কচ্ছপ মেটে ও ধুসর রঙের হয়। এটির ক্ষেত্রে জিনগত পরিবর্তন কিংবা অন্য কারণে হলুদ রং হয়ে থাকতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২১ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
নকলায় সাপের কামড়ে মহিলার মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেরপুরের নকলায় বিষধর সাপের কামড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সাপের কামড়ে নিহত ওই মহিলার নাম নিলুফা ইয়াসমীন (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের আয়তুল্লার স্ত্রী এবং ৩ সন্তানের জননী।

রোববার (২২আগস্ট) বিকেলে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গীয়ারপাড় এলাকার এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিলুফা ইয়াসমীন রোববার বিকেলে গোয়ালঘরে পাটের শোলা রাখতে গেলে বিষধর সাপ ওই নারীকে কামড় দেয়। ওই নারীর চিৎকারে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে নকলা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত আনুমান ৯ ঘটিকার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই মহিলার মৃত্যু হয়।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, রোববার (২২ আগস্ট) বিকেলে নিলুফা ইয়াসমীন গোয়ালঘরে পাটের শোলা রাখতে গেলে তাকে সাপে কামড় দেয়। রাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মহিলা মারাযান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২১ ২:৩১ অপরাহ্ন
যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমায় ছুঁইছুঁই
প্রাণ ও প্রকৃতি

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছে বন্যা কবলিতরা।

জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময়ে কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন।

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তিরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ সব এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে জনসাধারণ। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২১, ২০২১ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
আবারও সৈকতে ভেসে এলো তিন মৃত ডলফিন
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে ইরাবত প্রজাতির দু’টি মৃত ডলফিন। এ নিয়ে কুয়াকাটা সৈকতে চলতি মাসে ৫টি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়েছে। এদিকে সীতাকুণ্ড উপকূলে আরও একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এসময় একটি মৃত রাজ কাঁকড়াও পাওয়া যায়।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের গঙ্গামতির ঝাউবন ও ধোলাই মার্কেট পয়েন্টে এ মৃত ডলফিন দু’টি দেখতে পায় স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত ডলফিন দু’টির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জেলেদের জালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ডলফিন দুটি মারা গেছে। এসময় একটি মৃত রাজ কাঁকড়াও পাওয়া যায়। তবে রাজ কাঁকড়ার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিলনা।

কুয়াকাটা ইনভেস্টার ফোরামের মুখপাত্র হাসনুল ইকবাল বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে অবৈধভাবে স্থায়ীভাবে জাল পেতেই এ বিরল প্রজাতির জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী নিধন করছে।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ডলফিন দু’টির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কাঁকড়াটির কি কারনে মৃত্যু হয়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

এদিকে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে পূর্ণ বয়স্ক একটি ডলফিনের মৃতদেহ পেয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের বগাতচর এলাকায় সমুদ্র তীরবর্তী সংরক্ষিত উপকূলীয় বনে ডলফিনটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

উপকূলীয় বন বিভাগের বগাচতর বিট কর্মকর্তা এইচ এম জলিলুর রহমান বলেন, “আমরা টহলে গিয়ে ডলফিনটির সন্ধান পেয়েছি। কেওড়া বনের ভিতরে সেটি পড়েছিল।”

প্রায় সাড়ে ছয় ফুট দীর্ঘ ডলফিনটির ওজন দুই মনের বেশি বলে বন কর্মকর্তা জলিলুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে পাঁচ-সাতদিন আগেই সাগরে ডলফিনটি মারা গেছে। পরে ভেসে এসেছে। পঁচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। সেটা সেখানেই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২১ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক খুলছে আজ
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রায় চারমাস করোনা মহামারীতে বন্ধ থাকার পর আজ (শুক্রবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, করোনা মহামারীর জন্য গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পার্কটি বন্ধ করা হয়। পরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার থেকে যথারীতি খুলে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, করোনা থাবার কারণে প্রথম পর্যায়ে এ পার্কটি গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ৩০নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে। করোনার প্রকোপ কমলে প্রায় সাড়ে ৭মাস বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১লা নভেম্বর সাফারি পার্ক খুলে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবার করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মহামারীর রূপ নিলে ৩ এপ্রিল থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পাকটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সাফারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক ও উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক দর্শনার্থীর জন্য সুযোগ রেখে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানসহ (ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক) বনবিভাগের সব বিনোদন কেন্দ্র শুক্রবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো। পার্কে আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পার্কটি পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৯, ২০২১ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বুড়িরহাট হর্টিকালচারের আয় ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ টাকা
কৃষি বিভাগ

রংপুরে উদ্যান ফসলের সম্প্রসারণ ও পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টার। দিন দিন উৎপাদিত চারার বিপণন ও বিক্রি বাড়ছে। এতে সরকারের রাজস্ব খাতে বেড়েছে বার্ষিক আয়। অতিমারি করোনার মধ্যেও গেল দুই অর্থবছরে বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারে রাজস্ব আয় ৩০ লাখ টাকা।

জানা যায়, ২০০১-০২ অর্থবছরে যেখানে আয় ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪০ টাকা। বর্তমানে (২০২০-২১ অর্থবছর) তা বেড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার ৪১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শুধু আয়ই বাড়েনি, সময়ের ব্যবধানে এই সেন্টারে চারা উৎপাদন, কলম ও সংরক্ষণপ্রক্রিয়ায় ব্যাপকতা এসেছে। ২০ বছর আগে যেখানে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ৭৮ হাজার ৩২৯ ছিল। এখন তা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ৮ হাজার ১৮১-তে।

রংপুর শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টার। গঙ্গাচড়া উপজেলার আরাজী নিয়ামত গ্রামে সাড়ে ২১ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সুদীর্ঘকাল থেকে এখানে হয়ে আসছে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা। এখানে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের ফসলের জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি ফলদ, বনজ, ঔষধি গাছের চারা কলম ও রোপণ করা হয়।

এখান থেকে উৎপাদিত চারা ও বীজ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এতে দেশের কৃষি, ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চাহিদা অনেকাংশই পূরণ হচ্ছে এখান থেকে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও থেমে নেই বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের কার্যক্রম। উন্নত জাতের ফলের চারা, কলম, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ এবং জনপ্রিয়করণে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। পাশাপাশি উদ্যান বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহযোগিতা এবং উন্নত জাতের ফল ও সবজির প্রদর্শনী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজাভ এই হর্টিকালচার সেন্টারটি দেশি-বিদেশ গাছগাছালি, চারা আর ফুলে-ফলে ভরা। আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, কামরাঙা, জাম্বুরা, জলপাই, পেঁপে, ডালিম, আমলকী ও সুপারিগাছের চারার ছড়াছড়ি সেন্টারে। রয়েছে লটকন, জাবাটিকাবা, আতা, শরিফা, চালতা, কাজুবাদাম, নাশপাতি, ত্বীন, স্ট্রবেরি, পেপিনোমিলনের চারা।

পুরো উদ্যানজুড়ে শোভাবর্ধনকারী গাছের সঙ্গে দোল খাচ্ছে প্রস্ফুটিত বাহারি রঙের ফুল। পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর প্রজাপতির ওড়াউড়িও ফুটিয়ে তুলেছে বাড়তি সৌন্দর্য। উদ্যান কর্মকর্তা, কর্মচারী, মালিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তরুণ উদ্যোক্তাদের তথ্য প্রদানের পাশাপাশি এই উদ্যানের উপপরিচালক নিজেই তাদের হাতে-কলমে গাছগাছালি দেখিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের আয়তন ২১ দশমিক ৫০ একর। এর মধ্যে সাড়ে ১৩ একর জমিতে স্থায়ী মাতৃবাগান রয়েছে। ৩ দশমিক ১ একর জমিতে নার্সারি এলাকা। এ ছাড়া সেন্টারে পুকুর, বাঁশবাগান, সেচ ও নিষ্কাশন নালা, নার্সারি শেড, রাস্তা, ডরমিটরি, অফিস, আবাসিক এলাকা, গ্যারেজ, পার্কিং এলাকা রয়েছে। বিশাল এই সেন্টারে ফল, সবজি, ঔষধি, মসলা, ফুল ও শোভাবর্ধনকারী চারা, কলম ও বীজ উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

কৃষকদের লাভবান করা, পুষ্টিচাহিদা পূরণ ও সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি গবেষণামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি। গেল অর্থবছরে এই হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ৩১টি ব্যাচে ৯০০ জন কৃষক ও বাগান উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৯ হাজার জন নিয়মিত সেবার অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শমূলক সেবা পেয়েছেন।

এ ছাড়া হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যোগে উদ্যান পরিদর্শন ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ১৪ জাতের আম ও ৪ জাতের লিচু ছাড়া মাশরুম, কমলা, লটকন কলম, জাম্বুরা কলম, জামরুল কলম, লেবু কলম, পেয়ারা কলম, মাল্টা কলম ও কার্টিং ড্রাগন ফলের চাহিদা বেশি।

বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. আফতাব হোসেন জানান, বারো মাস ফল দেবে, এটা নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে কাজ করছি। বিশেষ করে আম, লিচু, মাল্টা ও কমলার নতুন নতুন দেশি-বিদেশি জাত সংগ্রহ করেছি। একসময় আমাদের দেশে কমলা ও মাল্টা আবাদ হতো না। অথচ আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে মাল্টাকে আর বিদেশি ফল বলার সুযোগ থাকবে না। এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশি ফলে পরিণত হবে। দুই থেকে চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মাল্টা বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

বিদেশি বিভিন্ন জাতের কমলার মাতৃগাছ রোপণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও জানান, হর্টিকালচার সেন্টারে দার্জিলিং, ছাতকি ও বারোমাসি ভিয়েতনামি কমলার জাত রয়েছে। শিগগিরই এসব মাতৃগাছ থেকে কলম উৎপাদন করা হবে। রংপুর অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় এসব কমলার চারা পৌঁছে গেলে দ্রুত এর সুফলও পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২১ ৭:৪১ অপরাহ্ন
‘মরণফুল’ ফুটেছে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজের তালিপাম গাছে
প্রাণ ও প্রকৃতি

এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের সার্কিট হাউজে রোপণ করা তালিপাম গাছে ফুটেছে ‘মরণফুল’। গাছটি ২০১২ সালের ১৮ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্যের বাসা থেকে এনে টাঙ্গাইলের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম বজলুল করিম চৌধুরী রোপণ করেছিলেন। দীর্ঘ নয় বছর পর সেই তালিপাম গাছে ফুল ফুটেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, তালিপাম গাছটি দেখতে অনেকটা তাল গাছের মতো। ঝড় এলে গাছটি যেন হেলে না পড়ে তার জন্য পাকাপোক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গাছটির গোড়ার দিকে লোহার রড দিয়ে তৈরি খাঁচায় ঘিরে রাখা হয়েছে। তালিপাম গাছ একবার ফুল-ফল দিয়ে মারা যায়, তাই এর ফুলকে ‘মরণফুল’ বলা হয়ে থাকে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীর কোথাও আর বুনো পরিবেশে তালিপাম গাছ দেখা যায় না। ঢাবি ক্যাম্পাসে থাকা শেষ তালিপাম গাছটিও ২০১০ সালে ফুল দিয়ে মরে গিয়েছিল। তবে সেই গাছের ফল থেকেই চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

সূত্রমতে, ১৮১৯ সালে ভারতের পূর্বাঞ্চলে তালিপাম গাছের সন্ধান পেয়েছিলেন ব্রিটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী উইলিয়াম রক্সবার্গ। পরে ঢাবির ফুলার রোডের পাশে ১৯৫০ সালে আরেকটি গাছ শনাক্ত করেন অধ্যাপক এম সালার খান। সে সময় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে আরও একটি গাছ ছিল। সেই গাছে ১৯৭৯ সালে ফুল আসে। শতবর্ষী সেই গাছে হঠাৎ ফুল দেখে স্থানীয়রা চমকে যায়। ‘ভূতের আছর’ ভেবে ফল ধরার আগেই গাছটি তারা কেটে ফেলেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার ১৯৯৮ সালে ঢাবির গাছটিকে বুনো পরিবেশে বিশ্বের একমাত্র তালিপাম গাছ হিসেবে ঘোষণা করে। ঢাবি প্রতিষ্ঠার আগে গাছটি লাগানো হয়েছিল। ২০০৮ সালে ওই গাছে ফোঁটে মরণফুল। জীবনচক্র মেনে ফুল থেকে ফল হয়। ২০১০ সালে গাছটি মারা যায়।

টাঙ্গাইলের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) দীপ ভৌমিক জানান, গাছটি টাঙ্গাইলের সাবেক ডিসি এম বজলুল করিম চৌধুরীর সময় লাগানো হয়। তার জানামতে এ জাতের গাছে ৯৯ বছরের আগে ফুল ধরে না। কিন্তু এই গাছটিতে অনেক আগেই ফুল ধরেছে। রোপণ করার মাত্র নয় বছরেই গাছটিতে ফুল এসেছে- যা অত্যাশ্চার্য বটে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ডক্টর মো. আতাউল গণি জানান, তালিপাম গাছটিতে ২-৩দিন আগে ফুল ফুটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাউব্রিড হওয়ার কারণে এতো আগে ফুল ফুটলো। গাছটি এক বার ফুল দেওয়ার পর আবার মারাও যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২১ ২:১১ অপরাহ্ন
তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে, শঙ্ক বন্যার
প্রাণ ও প্রকৃতি

লালমনিরহাটে উজানের ঢলে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দেখা যায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত তিস্তার উজানে গজলডোবা ব্যারেজের কারণে পানি কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে।

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢলে পানি ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে যে কোন সময় পানি নেমে যেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর তীরে বাঁধের ভাঙন
প্রাণ ও প্রকৃতি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের সাউথপাড়ায় তিস্তা নদীর ডান তীরে দেড়শ ফুট বাঁধ ভেঙে গেছে। যার কারণেহুমকির মুখে পড়েছে সাউথপাড়া আলিম মাদরাসা, পোস্ট অফিস, মাজার, ফসলী জমি, ঘর-বাড়ি ও শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাত ৯টায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাউথপাড়া আলিম মাদরাসার সামনের বাঁধে ভাঙন তৈরি হয়।

জানা গেছে, স্থানীয়রা রাতেই গাছের গুড়ি, বাঁশ, কলার গাছ নদীতে ফেলে পানির গতি কমিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালায়। বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

অধ্যক্ষ রোকুনুজ্জামান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ১শ ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ রক্ষার যে কাজ করেছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। এছাড়া কাজটি শুষ্ক মৌসুমে না করার ফলে সামান্য পানির চাপে বাঁধের দেড়শ ফুট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং ভাঙন অব্যাহত থাকলে সাউথপাড়া আলিম মাদরাসা, পোস্ট অফিস, মাজার, ফসলী জমি, ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা শহিদুর রহমান জানান, নদীতে হঠাৎ পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে আসলে আলমবিদিতর ইউনিয়নের সাউথপাড়ায় তিস্তা নদীর ডান তীরে দেড়শ ফুট বাঁধ ভাঙন সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধের ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে এক হাজার জিও ব্যাগ নদীতে ফেলছেন তারা। এছাড়া ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ‍জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২১ ১১:২৫ অপরাহ্ন
১৯ আগস্ট থেকে খুলছে পর্যটন কেন্দ্র
প্রাণ ও প্রকৃতি

১৯ আগস্ট থেকে ৫০ ভাগ আসন ব্যবহার করে পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট ও কমিউনিটি সেন্টার চালু রাখা যাবে বলে জানিয়ে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৯শে আগস্ট থেকে সড়ক, রেল ও নৌ পথে সব ধরনের গণপরিবহণ চলাচল করতে পারবে। তবে সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৯ দিন কঠোর লকডাউন শেষে ১১ই আগস্ট বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক গণপরিবহণ চলছে, খুলে দেয়া হয়েছে সব অফিস ও শপিংমল।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop