২:৩৮ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
বরগুনায় ১০ বছর ধরে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী‘র
প্রাণ ও প্রকৃতি

হলুদ রঙের নান্দনিক একটি ফুল সূর্যমুখী। দেখতে সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, তাই ফুলকে সূর্যমুখী বলে। সূর্যমুখী থেকে তৈরি তেলও পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। বিশ্বেজুড়েই সূর্যমুখী তেলের চাহিদা এখন ব্যাপক। আমাদের দেশেও ক্রমশ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে।

পুষ্টিবিদদের মতে, সূর্যমুখীর তেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুবই কম এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এই তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বাসস জেলা প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্যমুখী চাষের চিত্রটুকু তুলে ধরার প্রয়াসে ‘দেশজুড়ে বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদন তুলে ধরা হচ্ছে। আজ থাকছে বরগুনা জেলায় সূর্যমুখী চাষের চিত্র- প্রায় ১০ বছর ধরে বরগুনা জেলায় সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, অনুকূল আবহাওয়া এবং সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে চলতি মৌসুমে জেলায় সূর্যমুখীর প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ২ দশমিক ১৪ টন হতে পারে। মোট ফলন ৬ হাজার ৭৬৮ দশমিক ৮২ টনের বেশী হবে, যা থেকে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৬০ লিটার তেল পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৬-১৭ মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছিলো। সে বছর বরগুনা সদর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর, আমতলীতে ৩৮৫ হেক্টর, বেতাগীতে ৩৭৫ হেক্টর, বামনায় ৩০০ হেক্টর, পাথরঘাটায় ৩৩২ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করেছিলেন জেলার ২৮২৮ জন কৃষক। এর পর ২০১৭-১৮ মৌসুমে ১৫৩২ হেক্টরে, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৬২০ হেক্টরে, ২০১৯-২০ মৌসুমে ১৩৬৩ হেক্টরে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বদরুল হোসেন জানান, বরগুনা জেলায় আবাদকৃত জমির প্রায় ৯৫ ভাগ জমিতে ব্রাক কর্তৃক আমদানীকৃত হাইসান-৩৩ জাতের হাইব্রিড সূর্যমুখী ফসলের আবাদ হয়। বাকি জমিতে বারি সূর্যমুখী-১ (কিরণী) ও বারি সূর্যমুখী-২ জাতের সূর্যমুখী ফসলের আবাদ হয়। কৃষকের পছন্দের জাতটি আমদানী নির্ভর ও হাইব্রিড জাতের হওয়ায় বীজের সহজলভ্যতার অভাবে আবাদ হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।

পুষ্টিবিদদের মতে সূর্যমুখীর ভোজ্য তেল ও সব ধরনের সবজির সঙ্গে খাওয়া যায়। পুষ্টিমান অনেক অনেক গুণে বেশি। এটি কোলেস্টেরলমুক্ত তেল। এছাড়া সর্ষে বাটার মতো করে সূর্যমুখী ফুলের দানা খাওয়া যায়। সূর্যমুখী গ্রামের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনছে।

কৃষিবিদ ও কৃষকরা জানিয়েছেন, সূর্যমুখীর চাষে কোন ঝুঁকি নেই। চারা রোপণের ১১৫ দিনের মধ্যে ফসল পাওয়া যায়। মূলতঃ প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখীর চাষ করা হচ্ছে। সূর্যমুখী ফুলের দানা থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদন করা হয়। এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষে খরচ পড়ে প্রায় ১২ হাজার টাকা। একরে সূর্যমুখী উৎপাদন হয় ৩৩-৩৫ মণ। একর প্রতি উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের প্রায় কমবেশি ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকে। সূর্যমুখী ফুলের বীজ সংগ্রহ করার পর বিশাল গাছগুলো জমিতে পঁচিয়ে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে জমির জৈবসারের ঘাটতি পূরণ হয়। অনেক কৃষক পরিবার তার দৈনন্দিন জীবনে রান্নার কাজের জ্বালানি হিসেবে সূর্যমুখীর খড়ি ব্যবহার করে থাকে। এতে করে জ্বালানি কাঠের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, নতুন লাভজনক ফসল চাষে কৃষককে প্রেরণা যোগাতে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে দু’ফসলি জমিতে কিভাবে বছরে ৩টি অর্থকরী কৃষি ফসল খাদ্য শষ্য চাষ করা যায় তা নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে; সফলতাও এসেছে।- বাসস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে বাওয়ালী নিহত
প্রাণ ও প্রকৃতি

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মো. আবুল কালাম (৪৫) নামে এক বাওয়ালী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বেলা ২টার দিকে সুন্দরবনের কাছিকাটা এলাকার পায়রাটুনি খালে গোলপাতা আহরণকালে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।

নিহত আবুল কালাম সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের ছোটকুপট গ্রামের মৃত আতিয়ার গাজীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আবুল কালামসহ কয়েকজন বাওয়ালী বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে কয়েকদিন আগে গোলপাতা আহরণের জন্য বনে যান। মঙ্গলবার বিকেলে পায়রাটুনি খালে গোলপাতা কাটার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন  কালাম। পরে অন্য বাওয়ালীরা দলবদ্ধ হয়ে বাঘের কাছ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা  সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বনকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
২ টাকায় মিলছে এক কেজি টমেটো
কৃষি বিভাগ

মুন্সিগঞ্জ সদরে এবছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে কৃষকের চেয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন বেশি।খুচরা বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা দরে। তাই খুচরা বিক্রেতারা লাভবান হচ্ছেন বেশি। পাইকারি বাজার থেকে ২ টাকায় কিনে অধিক লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া একটু ভালো মানের টমেটো খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। যা কৃষকের দামের চেয়ে অনেক বেশি।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে ন্যায্য দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। শহরের মোল্লারচর এলাকায় কিছু কিছু কৃষক জমি থেকে টমেটো তুলতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। গেল সপ্তাহেও প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রয় করেছেন কৃষকরা, যা এখন নেমে এসেছে ২-৩ টাকায়।

চরকিশোরগঞ্জ মোল্লারচর এলাকার মনির হোসের মোল্লা জানান, পাইকারি বাজারে এক মণ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। টমেটো বিক্রি করে লেবার খরচই উঠছে না। একজন লেবারকে দিতে হয় ৩০০ টাকা। অর্থাৎ ৫ মণ টমেটো বিক্রি করে একজন শ্রমিকের মজুরী দিতে হয়।

একই এলাকার সেরাজল মোল্লা জানান, প্রথম দিকে টমেটো ভালো দাম পাওয়া গেছে। তবে এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২১ ২:৩২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার যেন এক হলুদের রাজ্য
প্রাণ ও প্রকৃতি

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকার যেদিকে চোখ যায় দেখা মিলে হলুদ সমারোহ। সূর্যমুখী ফুলের রাজ্যে যেন গড়ে উঠেছে মৌলভীবাজার। আর এই ফুল দেখতে আর ফুলের সাথে মিতালী গড়তে আসছে দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী। মনে হচ্ছে যেন এটি একটি নয়ানভিরাম হলুদের রাজ্য।

জানা যায়, সাংবাদিকতার পাশাপশি সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের আজমেরু গ্রামে ৬ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন দুই সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন ও এস এম উমেদ আলী। এছাড়াও সদরের গিয়াসনগর ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম ২ একর, আব্দুল বাতেন ও গোবিন্দ সূত্রধর ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।

সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন বলেন, আগে অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান তোলার পর এই জমিগুলো পতিত থাকত। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা গতবছর থেকে সূর্যমুখী চাষ করছি। আমাদের এই সূর্যমুখীর চাষ অনেক মানুষ দেখতে আসছেন। দেখে তারা উৎসাহ বোধ করছে। এবং বলছে তারা এই সুর্যমুখী চাষ করবে।

বাজারে যে ভোজ্যতেল পাওয়া যায় সেটি মানসম্মত নয়। সূর্যমুখীর তেল অনেক ভালো। আমাদের যা প্রয়োজন তা রেখে অতিরিক্ত বীজ বাজারে বিক্রি করে দিবেন বলে তিনি জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর সূর্যমুখী চাষ হয়েছে ৫৬৫ হেক্টর জমিতে। তিনটি ভেরাইটি হাইসান-৩৩, হাইসান-৩৬, নতুন বীজ আরডিএস-৭৫ হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় এই সূর্যমুখীর চাষ। গত বছর যেখানে জেলাজুড়ে সূর্যমুখীর চাষ মাত্র ৫৮ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এ বছর তার ১০ গুণের চেয়ে বেশি জায়গায় সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোজ্য তেলের যে চাহিদা সেই চাহিদার জন্য বিদেশ থেকে ভোজ্য তেল আমাদানি করতে হয়। আমরা সয়াবিন নির্ভর। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব তেল সরিষা এবং সূর্যমুখী এই দুটিকে লক্ষ্য করে আমাদের নিজস্ব উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কর্মসূচি নিয়েছি।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ফরহাদুল হক জানান, ফসল অনেক ভালো হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যাবে। ভালো ফলন হবে আশাকরি। প্রতি হেক্টরে ২ টন বা প্রতি বিঘায় ৮ মণ সূর্যমুখী বীজ পাওয়া যাবে। এতে স্থানীয় চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে। এই সূর্যমুখী বীজ কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, ৯০-১০০ দিনে সূর্য দিনের মধ্যে ফল উৎপাদন করা যায়। হাইসান জাতের ভেরাইটি লম্বা হয়। এবং ফলনের হার ৪২-৪৩ শতাংশ। আর নতুন ভেরাইটি আরডিএস-৭৫ খাটো জাতের। এই গাছে একাধিক ফুল হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২১ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
পেঁয়াজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড় গ্রামের কৃষকরা বিক্রির আশায় স্তুপ করে রেখেছে  পেঁয়াজ। সংরক্ষণের অভাব থাকায় প্রত্যাশিত দামের বাইরে গিয়ে অল্পতেই ফসল বিক্রি করে দিচ্ছে উপজেলার কৃষকরা।

পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলামের বাড়িতে দেখা যায়, বাড়ির বাইরে মেয়েরা গাছ থেকে পেঁয়াজ কেটে আলাদা করছেন। বাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পেঁয়াজ।

তিনি জানান, এবছর আট বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন তিনি। এসব জমিতে চাষ করেছেন হাইব্রীড লাল তীরকিং জাত। যার মধ্যে অর্ধেক জমির পেঁয়াজ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। এখনও মাঠে পেঁয়াজ রয়েছে। প্রতি বিঘায় সব মিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একবিঘায় (৪০ শতাংশ) একশো ২০ মণ পেঁয়াজ পাচ্ছেন। যা ১৪ শত টাকা প্রতি মণ দরে বিক্রি করে এক লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা ঘরে আসবে।

চর সোন্দহ গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, তিনিও তার  জমিতে এ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ক্ষেত থেকে ছয়শো মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। তবে সরকারিভাবে এ উপজেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে কৃষকরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেন না। তাই অনেক সময় সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

শৈলকুপার পেঁয়াজ ব্যাবসায়ী রেজাউল বিশ্বাস জানান, শৈলকুপা বাজার থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজার, ভৈরব, সিলেট, চট্রগাম, খুলনা, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ যায়। দেশের চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান শৈলকুপা থেকে হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলায় চাষযোগ্য জমি আছে ২৮ হাজার পাঁচশো হেক্টর। তারমধ্যে এ বছর পেঁয়াজের চাষ হয়েছে সাত হাজার আটশো ৯০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে শুধু পাইকপাড়া গ্রামে চাষ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে। এবছর অনেক কৃষক সুখসাগর জাতও চাষ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আক্রাম হোসেন জানান, এ উপজেলায় পেঁয়াজের চাষ বাড়ছে। গত ১০ বছরে এ চাষ বেড়েছে। এবার উপজেলায় পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম। এখানে একটি কোল্ড স্টোর জরুরি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১২, ২০২১ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখীর
প্রাণ ও প্রকৃতি

হলুদ রঙের নান্দনিক একটি ফুল সূর্যমুখী। দেখতে সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে, তাই ফুলকে সূর্যমুখী বলে। সূর্যমুখী থেকে তৈরি তেলও পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ। বিশ্বেজুড়েই সূর্যমুখী তেলের চাহিদা এখন ব্যাপক। আমাদের দেশেও ক্রমশ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে।

পুষ্টিবিদদের মতে, সূর্যমুখীর তেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুবই কম এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এই তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বাসস জেলা প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সূর্যমুখী চাষের চিত্রটুকু তুলে ধরার প্রয়াসে ‘দেশজুড়ে বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ’ শীর্ষক ধারাবাহিক প্রতিবেদন তুলে ধরা হচ্ছে।

আজ থাকছে ফেনী জেলায় সূর্যমুখী চাষের চিত্র-
প্রণোদনা-প্রদর্শনী ও উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে ফেনীতে সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। বিপণনে ভালো দাম পাওয়ায় সূর্যমুখীতে আগ্রহী কৃষক৷ এতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ফেনীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৮ গুণ বেশী আবাদ বেড়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক মো. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কান্তি সেন জানান, চলতি রবি মৌসুমে ফেনী জেলার প্রায় ২৩৯ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। গত বছর আবাদের পরিমাণ ছিলো মাত্র ২৯ হেক্টর। গেল বছরের আলোকে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০ হেক্টর।
তবে আনন্দপুরের একজন ভূমির মালিক জানান, অনেক জমিতে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালোভাবে হয়নি।

উপ-পরিচালক জানান, এ বছর ১ হাজার কৃষককে ১৩৪ হেক্টর জমিতে প্রণোদনা দেয়া হয়। প্রণোদনায় সার ও বীজ পায় কৃষকরা। এছাড়া ৩৪০ জন কৃষককে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৪৫ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী প্লট করা হয়।

তিনি বলেন, যারা গতবার আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন এবং উৎপাদিত বীজ ভাঙিয়ে তেল বিক্রি করেও অধিক লাভ পেয়েছেন। ফলে তারা এ বছর আবাদের পরিমাণ বাড়িয়েছে। লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও সূর্যমুখী আবাদ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখীর উৎপাদন বাড়লে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে দেশীয় উৎপাদিত তেলের ব্যবহারও বাড়বে।

বীজের মান নিয়ে কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলার কিছু কিছু জায়গায় সূর্যমুখীর অঙ্কুরোদগম নিয়ে অভিযোগ শুনেছি তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। গত বছর কৃষকের মাঝে যে মানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে এ বছরও একই বীজ সরবরাহ করা হয়। ধারণা করছি, এবারের সরবরাহকৃত বীজে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি বলে কোথাও কোথাও অঙ্কুরোদগমে সমস্যা হয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানান, সদরে এ বছর ৫৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনী কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৩৯ হেক্টর আবাদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, দাগনভূঞায় ৩৭ হেক্টর, সোনাগাজী ৬৮ হেক্টর, ফুলগাজী ৩০ হেক্টর, পরশুরাম ১৭ হেক্টর, ছাগলনাইয়ায় ৩২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। কৃষকদের মাঝে আরডিএস-২৭৫, হাইচাং, বারি-১ ও বারি-২ জাতের সূর্যমুখী বীজ সরবরাহ করা হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।-বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১১, ২০২১ ৭:২০ অপরাহ্ন
নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে কোটি টাকার সয়াবিন
কৃষি বিভাগ

মেঘনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কিছুতেই থামছে না এ ভাঙন। প্রতিনিয়ত নদীর গর্ভে যাচ্ছে বসতি ঘরবাড়ি।চলতি মৌসুমের সয়বিনসহ নানা প্রজাতের উঠতি ফসল ও বসত বাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। টানা ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো।

লক্ষ্মীপুর জেলাকে সয়াল্যান্ড নামে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। জেলার কমলনগর ও রামগতির বেশ কয়েকটি গ্রামের কোটি টাকার সয়াবিন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফসলি মাঠ ভেঙে যাওয়ায় দিশেহারা এ অঞ্চলের কৃষকরা।

সরোজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবেরহাট, চর ফলকন, চর লরেন্স ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ভাঙছে । এদিকে রামগতি উপজেলার রামদয়াল, বালুরচর, বাংলাবাজার, চরগাজী, চর আলগী, সেবাগ্রাম, বড়খেরী, চর রমিজ ও চর আবদুল্লার কোটি টাকার সয়াবিন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এসব এলাকায় বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে কৃষকের ফসল ও স্থানীয় বসতি ঘরবাড়ি রক্ষার দাবি তাদের।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে উৎপাদিত সয়াবিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলায় উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৭০ ভাগ সয়াবিন। গত বছর ৪৮ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে ৮৬ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ৩০০ কোটি টাকা।

চলতি মৌসুমে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩ হাজার ২৩৭ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪০ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯১৭ মেট্রিক টন। কিন্তু আবাদকৃত জমি অনুযায়ী সম্ভাব্য উৎপাদন ৭৭ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন।

এর আগে ২০১৭ সালে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ওই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনসক্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কাজটি সম্পন্ন করেছেন। নির্মাণের পর এক বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনী বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ করেছে। ওই তিন কিলোমিটার এলাকা এখন আর ভাঙছে না।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১০, ২০২১ ৩:৪১ অপরাহ্ন
ভুট্টাক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে প্রাণ গেল কৃষকের
কৃষি বিভাগ

নীলফামারীর জলঢাকায় ভুট্টাক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মশিউর রহমান নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার উত্তর দেশিবাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত কৃষক মশিউর রহমান ওই এলাকার ছমে উল্লাহর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মশিউর রহমান ভুট্টাক্ষেতে পানি দেয়া শেষে মোটরের লাইন বন্ধ করতে যান। এ সময় তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১০, ২০২১ ১২:০৩ অপরাহ্ন
পেঁপে চাষ করে সুদিন ফিরছে চাষিদের
কৃষি বিভাগ

মাগুরায় দিন দিন পেঁপে চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।ইতিমধ্যে মাগুরায় পেঁপে চাষ করে এলাকার অনেক কৃষকেরই ভ্যাগের বদল হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনাসহ এর আশপাশের পতিত জমিতেও পেঁপে চাষ করছেন কেউ কেউ।

বাজারে পাকা ও কাঁচা পেঁপের চাহিদা থাকায় সারা বছরই এটি সবজি ও ফল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হয় বলেও এ সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।

বাড়ির পাশের যেসব জমি আগে পরিত্যাক্ত ছিল সেসব জমিতে পেঁপে চাষ করাসহ ফসলি জমিতেও চাষ করে কৃষকরা অন্য ফসলের থেকে বেশি লাভবান হওয়ায় অনেকের সংসারে স্বচ্ছলতার মুখ দেখছেন। স্থানীয় চাষিদের এই অভূতপূর্ব সাফল্য দেখে বেকার যুবকরা ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে।

সদর উপজেলার বেল নগরের পেঁপে চাষি আরজু বলেন- মাগুরার উৎপাদিত পেঁপে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা পেঁপে চাষ করছে বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষ করা হচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া আর পেঁপে চাষের উপযোগী মাটির জন্য জেলার কৃষকরা পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন। এছাড়া এলাকার কৃষকদের দেখাদেখি অনেক স্থানীয় যুবকরা পেঁপে চাষে অগ্রহ দেখাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক  বলেন, পেঁপে গাছের বিভিন্ন রোগ যেমন-গাছের গোড়া পঁচা, পোকাবাহিত বিভিন্ন রোগ, ক্ষতিকারক ভাইরাস থেকে গাছকে মুক্ত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পেঁপে গাছের খাদ্যের অভাব মেটাতে বোরোন নামক অনুখাদ্য প্রয়োগ করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া পেঁপের পরাগায়নসহ ভালো ফলন পাওয়ার জন্য কৃষকদের বিঘাপ্রতি ২টি পুরুষ গাছ রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও কৃষকের মধ্যে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

সুত্রঃজাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২১ ৯:৪৫ অপরাহ্ন
অতিথি আপ্যায়নে হরিণের মাংস,ফরেস্টার সাময়িক বরখাস্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার নিষিদ্ধ। বন ও বনের এসব প্রাণী রক্ষার ভার বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীদের। তবে হরিণ শিকার করে তার মাংস দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম সুন্দরবনের নোটাবেকি অভয়ারণ্যের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারাম হোসেনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার তাঁকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। একই অভিযোগে আরও তিনজনকে রেঞ্জ সদরে ক্লোজ করা হয়েছে।

তবে ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারাম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি অসুস্থ হয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। ফেরার পর কল্পনাপ্রসূত এসব অভিযোগ তুলে দায়সারা তদন্ত করে তাঁকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বনকর্মীদের মধ্যে দলাদলির কারণে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১ মার্চ ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারামের কয়েকজন নিকটাত্মীয় সুন্দরবনের নোটাবেকি অভয়ারণ্যে বেড়াতে আসেন। ওই দিন অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণ শিকার করে অতিথি আপ্যায়ন করেন ফরেস্টার। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তা তদন্তের উদ্যোগ নেন খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক। ঘটনা তদন্তে ৪ মার্চ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষণ এম এম হাসানের নেতৃত্বে তিন স্টেশন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়। তদন্ত দলটি ৭ মার্চ খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ৮ মার্চ বিকেলে ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি আরও তিনজন বনরক্ষীকে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্লোজ করা হয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন সংরক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আবদুল্লাহ আল বাহারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। আরও তিনজনকে সাতক্ষীরা রেঞ্জ সদরে ক্লোজ করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার আবু সাঈদকে নোটাবেকি অভয়ারণ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop