চুরির ভয়ে গরুর সঙ্গে ঘুম
প্রাণিসম্পদ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামরায় চোর আতঙ্কে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছে মালিকরা। উপজেলায় ঘরে ঢুকে গরুসহ জিনিসপত্র চুরি বেড়েছে। প্রতিরাতেই সংঘবদ্ধ চোরের দল কোনো না কোনো এলাকার চুরি করছে। অনেক এলাকায় পালাক্রমে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামবাসী। আবার কিছু এলাকায় গরু পাহারা দিতে গরুর সঙ্গে গোয়ালঘরে ঘুমাচ্ছেন গৃহস্থরা।
গত মাসে উপজেলায় ২০টি মতো গরু চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
জানা গেছে, ভেড়ামরা উপজেলার চাঁদগ্রাম, জুনিয়াদহ, মোকারিমপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রব বেশি। প্রায় প্রতি রাতে গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া এসব এলাকায় ভ্যান, সাইকেল, পানি তোলার পাম্পসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, গরু চুরির পর কোথায় নিয়ে যায় তাও বুঝতে পারছে না কেউ। এসব ঘটনায় থানায় খুব কম অভিযোগ জমা পড়ে। অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন না। গত এক মাসে হঠাৎ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তারা জানান। এ ঘটনায় গরু হারিয়ে হতদরিদ্র কৃষক পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
কৃষক মাজেদ বলেন, রাত জেগে পালাক্রমে এলাকা পাহারা দিচ্ছি। দফেলা একজনের বাড়িতে গরু চুরি করতে আসে চোর। পরে ধাওয়া দিয়ে গরু উদ্ধার করা হয়। রাজিব ও মজিবের ভ্যান, সাইকেল ও রুবেলের পাম্প মেশিন চুরি হয়েছে। আমরা প্রতিদিন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি।
দরিদ্র কৃষক বিপ্লব হোসেন বলেন, চোরচক্র আমার গাভী ও বাছুর চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি গাভী পালন করে দুধ বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালাতাম। এর কয়েক দিন আগে আমার চাচার গোয়াল থেকে গাভী ও বাছুর চোর চুরি হয়।
তার চুরি যাওয়া দুই গরুর দাম প্রায় দুই লাখ টাকা বলে তিনি জানান।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, দুদিন হলো এ থানায় যোগদান করেছি। চুরি, ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমি আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সামনে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।
সূত্র: ইত্তেফাক