১:৫৫ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২১, ২০২১ ১২:০৪ অপরাহ্ন
যে ১৪টি রোগ সারাতে পারে আলু!
বিজ্ঞান ও গবেষণা

আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আলু ছাড়া চলেই না কারো। তবুও কারণে অকারণে আমরা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছি আলু। অথচ এই আলুতে আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। আলুর সাথে যায় না এমন তরকারি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদিও আলুতে বাড়ে দেহের ওজন তথাপি পরিমিত পরিমাণে আলু খাদ্যতালিকায় থাকলে তা শরীরের জন্য ভালো।

বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, আলু ১৪টি রোগ সারাতে সহায়তা করে।

আসুন জেনে নিই আলু কি কি রোগ সারাতে পারে:
১. আলুতে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম সঠিক পরিমাণে থাকে। তাই, আলু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
২. আলুতে আছে ফাইবার, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬। যা কিনা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবেও আলু কাজ করে। আলুতে থাকা ফোলেট যা ডি.এন.এ. তৈরি ও মেরামত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আলুতে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সারের থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৪. আলুতে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক। যা শরীরের গঠন মজবুত করে ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
৫. আলুতে আছে ফাইবার যা কিনা শরীরের হজমক্ষমতা বাড়িয়ে পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা সচল রাখে।
৬. আলু কিডনিতে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৭. দাঁত বা মাড়ির সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে আলু।
৮. পেটের নানারকম সমস্যায় আলু সেদ্ধ খেলে বেশ উপকারিতা পাওয়া যায়।
৯. আলুতে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ইলেক্ট্রোলাইসিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
১০. আলুতে আছে কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম ও গ্লুকোজ যা কিনা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
১১. আলুতে থাকা ভিটামিন এ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
১২. আলুতে থাকে সঠিক পরিমাণে প্রাকৃতিক মিষ্টি পদার্থ, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা মাসিকের সময়ে মেজাজ খিটখিটে হওয়া থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও, এই সময় আলু খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
১৩. অনিদ্রা বা কম ঘুমের সমস্যা থাকলে আলু খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
১৪.আলুতে কম পরিমাণে ফ্যাট এবং বেশি পরিমানে ফাইবার থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আলু একেবারে বাদ না দিয়ে খাদ্য তালিকায় অল্প পরিমাণ আলু রাখলে ওজন দ্রুত কমে।

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ১২:২১ অপরাহ্ন
রংপুরে পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় অর্ধেক আলুর পঁচন!
এগ্রিবিজনেস

দেশে সবচেয়ে বেশি আলুর উৎপাদন হয় রংপুর অঞ্চলে। সরকারি হিসাবে এখানে ৯৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবার উৎপাদিত হয়েছে সাড়ে ২৪ লাখ টন।

কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকায় আলুর সংরক্ষণ মডেল ঘরেই সমাধান দেখছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তাদের দাবি, এতে ৩-৪ মাস আলু রাখা যাবে। জেলায় যে ৬৭টি হিমাগার রয়েছে তাতে উৎপাদিত আলুর মাত্র ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ সম্ভব।

সমাধানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরামর্শ, আলু সংরক্ষণ মডেল ঘর। যা তৈরি হবে ইট, কাঠ, টিন ও বাঁশ দিয়ে। এটি লম্বায় ২৫ ফুট আর চওড়া হবে ১৫ ফুট। কিন্তু এটি তৈরিতেও যে টাকার দরকার তা নেই কৃষকের কাছে। তবে ঋণ নয়, শুধু প্রশিক্ষণ ও পরামর্শই দিতে পারবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সংরক্ষণের অভাবে দেশে প্রতিবছর ১ কোটি ৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হলেও অর্ধেকই পঁচে যায় ।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২১ ৩:৫০ অপরাহ্ন
বিশ্বের দশটি দেশে রফতানি হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু
এগ্রিবিজনেস

জয়পুরহাট জেলায় সম্প্রতি আলু উত্তোলন শেষ হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বের দশটি দেশ তথা মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল, রাশিয়া ও দুবাইয়ে রফতানি করা হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু। এই অঞ্চলের আলু অত্যন্ত উন্নত মানের হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও এর চাহিদা অনেক। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরাও।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আলু রফতানিকারক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূচি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, গত ৯ বছর যাবত আমি বহির্বিশ্বের ৮টি দেশে আলু রফতানি করে আসছি। আলু রফতানি করতে প্রথমে আমি জমি নির্বাচন করি, পরে সেই জমিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আলু রোগ বালাই মুক্ত করে ফলন নিশ্চিত করার পর আলু পরিপক্ক হলে তা তোলা হয়। এক পর্যায়ে বাছাইয়ের পর গ্রেটিং করে ৫কেজি, ১০ কেজি, ২০ কেজি প্যাকেট করে রফতানির জন্য প্রস্তুত করে প্রক্রিয়াজাতের কাজ শেষ হলে তা ঢাকায় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় সেখান থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রফতানি করা হয়। এই কাজে কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র পেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ফলে অনেকেই অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বিদেশে আলু রফতানি করছে।

তিনি বলেন আমার কোম্পানিতে বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৪১৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮৫০০ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট।

তিনি আরো বলেন, ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল , রোজেটা ও দেশি জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকে। জেলার ১৫ টি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি জানান, জেলায় আলু চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং তদারকি ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছে। বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেক পাইকারী ক্রেতারা জমি থেকেই আলু কিনে নিয়ে গেছে। এবার বাজারেও আলু প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি।

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২১ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে আলুর বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ ৭ উপজেলায় হয়েছে এবার আলুর বাম্পার ফলন। তবে সংরক্ষণের জন্য মাত্র একটি হিমাগার থাকায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন সেখানকার আলু চাষিরা।

জানা যায়, দিনাজপুরের দক্ষিণাঞ্চলের ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি আলু চাষি প্রতিবছর তাদের উৎপাদিত আলু এবং আলুর বীজ, সংরক্ষণের জন্য নির্ভর করে হিমাগার ফুলবাড়ী কোল্ড স্টোরেজের উপর। এই হিমাগারে নির্দিষ্ট পরিমাণ আলু ও আলু বীজ সংরক্ষণ করতে পারলেও জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েন চাষিরা। সংরক্ষণ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে চাষিরা কম দামে আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীদের কাছে। এতে তাদের লোকশান গুণতে হচ্ছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা গোপালপুর গ্রামের আলু চাষি সুবাস চন্দ্র ও লালপুর পাঠকপাড়া গ্রামের প্রদীপ কুমার জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না আসায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে বাজারে আলুর একটু আশানুরূপ দাম পাওয়া গেলে এখন দাম পড়ে গেছে। তবে আলু এবং আলু বীজ হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারলে আগামীতে ভালো দাম পাওয়া যেতো। কিন্তু হিমাগারে জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা তাদের আলু বিক্রি করে দিয়েছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার ৭ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৩৪৪ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষিরা চাষ করেছেন ১৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার অধিক। উপজেলা ভিত্তিক আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ফুলবাড়ীতে ১ হাজার ৮২০ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে। চিরিরবন্দরে ২ হাজার ৭৯০ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। বিরামপুরে ১ হাজার ৮৬৯ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। নবাবগঞ্জে ১ হাজার ৪৪৯ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। হাকিমপুরে ৮৯০ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ৯০৫ হেক্টর জমিতে। ঘোড়াঘাটে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। পার্বতীপুরে ৩ হাজার ৯৭৬ হেক্টর, কিন্তু চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে। উল্লেখিত ৭ উপজেলার মধ্যে ১টি মাত্র হিমাগার আলু সংরক্ষণের জন্য রয়েছে। যা আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা ৬০ কেজি ওজনের ১ লাখ ৫৬ হাজার বস্তা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল জানান, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আলু বীজের দাম বেশি থাকায় আলুর উৎপাদন খরচও বেড়েছে। গত বছর আলুতে আশানুরূপ লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এ বছর বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন।

ফুলবাড়ী কোল্ড স্টোরেজের সুপারভাইজার মোজাম্মেল হক জানান, হিমাগারে ১ লাখ ৫৬ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণের ধারণ ক্ষমতার পুরোটাই ভরে গেছে। হিমাগারে প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হলেও চাষিরা আলু নিয়ে এসে ভিড় করছেন। কিন্তু হিমাগারে তো আর জায়গা নেই, নিরুপায় হয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে এ বছর ব্যবসায়ীদের চেয়ে কৃষকদের আলু বেশি সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ : এপ্রিল ১২, ২০২১ ১:৪৭ অপরাহ্ন
আলুর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে আলু বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৮৬০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর।

উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের আলু চাষী কুশমত আলী জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে উন্নত জাতের আলু চাষ করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে ভাল ফলন পেয়ে দেশের বাইরে আলু রপ্তানি করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।

কয়েকজন চাষি জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নত জাতের আলু আড়াই একরের মত চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। উৎপাদিত আলু ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেও লাভের মুখ দেখব বলে আশা করছি। আমার ক্ষেতের আলু যাচ্ছে দেশের বাইরে এ ভেবে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৮৬০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর। আলু আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের কাছ থেকে মাঝারি ধরনের ডায়ামন্ট, গ্রানোলা, এসটোরিক জাতের আলু ১০ টাকা কেজি দরে কিনে দেশের বাইরে রপ্তানি করছে। ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে আলু চাষীরা।

আরো জানায়, এ মৌসুমে আবাদকৃত আলু উপজেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বাইরে রপ্তানির ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন আলু চাষিরা। এবার কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের ৫০০ টনের অধিক আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া, চীন, নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, আমরা প্রতিনিয়ত সবধরনের ফসল ফলনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রযুক্তি প্রদান করে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। চলতি মৌসুমে আলু চাষীরা তাদের আলু বিদেশে রপ্তানির ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে ফুলকপি, মুলা ও টমেটোসহ অন্য কৃষি পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম আলু রফতানি মালয়েশিয়ায়
এগ্রিবিজনেস

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়াতে রফতানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়াতে আলু রফতানি শুরুর লক্ষ্যে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যানো গ্রুপ ও বিএডিসি’র মধ্যে আলু উৎপাদন ও রফতানি বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বিএডিসি এ পর্যন্ত চারটি কনটেইনারের মাধ্যমে মোট ১১১ (একশত এগার) মেট্টিক টন ডায়মন্ড জাতের আলু মালয়েশিয়ায় রফতানি করেছে। দেশের ইতিহাসে এটাই সর্বপ্রথম আলু রফতানি।

মালয়েশিয়ার আমদানিকারক কোম্পানি মাইডিন মালয়েশিয়া, চিন হুয়াত ট্রেডিং ও টেনবিলি গ্রুপ এ আলু আমদানি করে।

বিএডিসি’র ইতিহাসে এটিই সর্বপ্রথম আলু রফতানি। রফতানিকৃত এ আলু বগুড়া, পঞ্চগড় ও সিরাজগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। বিএডিসি’র মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ডায়মন্ড জাতের উন্নতমানের এ আলু উৎপাদিত হয়েছে।

মালয়েশিয়া প্রতিবছর প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলু আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আলু আমদানি করে চীন থেকে। মালয়েশিয়ার অন্যান্য প্রধান আলু আমদানিকারক দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে মোট ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আলু রফতানি করে। মালয়েশিয়ায় আলু রফতানির ক্ষেত্রে ২০১৯ সাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলু রফতানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া সফর করে।

প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাণিজ্যিক উইং মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভায় মিলিত হয় এবং আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক উৎকৃষ্ট মানের আলু সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়। এর ফলে মালয়েশিয়াতে আলু রফতানি পূর্ববর্তী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

মালয়েশিয়াতে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

কৃষিপণ্যের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের বাঁধাকপি রফতানি উল্লেখযোগ্য্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিপণ্যের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য রফতানি সম্প্রসারণে বাংলাাদেশ হাইকমিশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের মতে, আলু রফতানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)’র মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর।

প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২১ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদন করেও বিপাকে চাষি!
কৃষি বিভাগ

লালমনিরহাটের চাষিরা আলু চাষ করে গত বছরের মত প্রচুর মুনাফার আশায় এবারও অধিকাংশ চাষি অন্যান্য ফসল না চাষ করে আলুই চাষ করেছে। তবে এবার ন্যায্য মুল্য আর আলু সংরক্ষণের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় আলু চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আলু চাষিরা ভেবেছিল এবারও আলুতে প্রচুর লাভ হবে। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। তাই আলু নিয়ে বিপাকে চাষিরা।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ আলুর উৎপাদন হয়েছে। এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদিত হয়। এখানকার উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আলুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে স্বল্প সময়ে আলু চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ার ফলে এখানকার চাষীরা ধানের পর প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে আলু চাষেই অধিক মনোযোগী হয়ে পড়ে।

একদশক পূর্বেও এ অঞ্চলে এভাবে আলুর চাষ করতে পারতো না কৃষকেরা। আগাম জাতের আলু চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হওয়ায় বর্তমানে কৃষকেরা আলু চাষে ব্যাপক মনোযোগী হয়েছেন। ইতঃপূর্বে এই এলাকার কৃষকেরা নিয়মনীতি না মেনে সনাতন পদ্ধতিতে আলু চাষ করায় তেমন লাভবান হতে পারেনি।

বর্তমানে সঠিক নিয়মে উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করে আগাম জাতের ধান চাষের পর আবার ওই জমিতেই আলুর চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। তাই আলু এখন এই এলাকার চাষীদের স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে সারের সংকট না থাকায় এবং সরকার সারের দাম কমানোর ফলে কৃষকদের মনে উৎফুল্লতা দেখা দিয়েছে এবং ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে।

চাষিরা নিজ নিজ স্বপ্ন পূরণে ব্যাপক হারে আলু চাষের জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েন। গত বছরেও লালমনিরহাটে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছিল, এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে।

একজন কৃষক জানান, আলুর ব্যাপক ফলনের কারণে আলুর চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে একজন চাষির প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর সেই আলু বাজারে বিক্রি করতে গেলে দাম হবে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতে প্রতি বিঘায় ১০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। আর তাই জমিতেই পঁচে যাচ্ছে কৃষকের আলু।

তিনি আরো বলেন , অতিরিক্ত সরবরাহের কারণেই আলুর বাজারদর তেমন ভাবে বাড়তেছে না, যার কারণে কৃষকরা তেমন একটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেনা।

লালমনিরহাট জেলার জন্য আলু একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ফসল। এবছর কৃষকদের আলু চাষে যথেষ্ট আগ্রহ দেখা যায় এবং জেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়। তবে বাজারে সঠিক মুল্য আর আলু সংরক্ষনের পর্যাপ্ত জায়গায় না থাকায় আলু চাষিরা একটু চিন্তিত বলে জানান লালমনিরহাটে আলু ব্যাপক উৎপাদন সম্পর্কে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি কৃষিবিদ মোঃ শামসুজ্জামান।

প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২১ ১২:১৬ অপরাহ্ন
লকডাউন: আমতলীতে আলু ও পিয়াজ উধাও!
পাঁচমিশালি

রবিবার লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করতে আমতলী বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পিয়াজ ও আলু গুদামজাত করার অভিযোগ উঠেছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলেন, লকডাউনের ঘোষণার পরপরই ক্রেতারা ধুমছে আলু ও পিয়াজ কিনে নিয়েছে, তাই সংঙ্কট তৈরি হয়েছে।

জানাগেছে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রক্ষায় রবিবার সরকার দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাউন ঘোষণার পরপরই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আলু ও পিয়াজ আমতলী উপজেলার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। মানুষ বিভিন্ন দোকানে গিয়ে এ সকল পন্য খুজে পাচ্ছেন না। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গুদামজাত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে কিছু ভারতীয় পিয়াজ বাজারে পাওয়া গেলেও দেশীয় পিয়াজ নেই।

আরো জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় পাইকারী দোকানে আলু ও পিয়াজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ক্রেতা এসে আলু ও পিয়াজ না পেয়ে ফিরে গেছেন।

ক্রেতারা জানান, লকডাউনের ঘোষণার সাথে সাথে আমতলী বিভিন্ন দোকান থেকে আলু ও পিয়াজ উধাও হয়ে গেছে। বাঁধঘাট চৌরাস্তার ৫-৭ টি দোকান ঘুরেও আলু ও পিয়াজ পেলাম না। দু’একটি দোকানে পেলেও তা বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ১৫ টাকার আলু ১৮ টাকা এবং ৩০ টাকার পিয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লকডাউনকে পুঁজি করে কোন ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান।

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২১ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে আলু চাষে সফল চাষিরা
কৃষি বিভাগ

অতীতে কোল্টস্টোরেজ ব্যবস্থার স্বল্পতা থাকায় আলু সংরক্ষণে সমস্যা হতো রাজশাহীর আলু চাষিদের। তবে বর্তমানে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন উৎপাদিত আলু হিমাগারে রেখে সুবিধা মতন বিক্রয় করা যায়। পাশাপাশি ভালো দামও পেয়েছেন কৃষকেরা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, গত বছর ৩৫ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এবার জেলায় জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৬২৯ হেক্টর। এই হিসাবে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। সোমবার (২২ মার্চ) পর্যান্ত জেলায় ৩২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি থেকে আলু উত্তোলন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বাকি জমি থেকে আলু তোলা সম্পন্ন হবে।

আলুর উৎপাদন ও খরচের বিষয়ে কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতি বিঘায় এবার আলু চাষে খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হয়েছে ৮০ থেকে ১১০ মণ করে। প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা। এর সাথে জমি থেকে আলু উত্তোলন, বাজারজাতকরণে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ মিলে প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। আর জেলার স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে, এ বছর হিমাগার মালিক সমিতি প্রতি বস্তায় ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৫০ কেজিতে ১৫০ টাকা করে। এর সাথে শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কোল্ডস্টোরেজে ভাড়া দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা।

তানোর উপজেলার চিমনা গ্রামের দু‘জন কৃষক জানান, তারা দুইজন এ বছর ছয় বিঘা করে জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। আলু উৎপাদন হয়েছে ৫৫০ মণ। বিক্রি হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকায়। অন্যান্য আলুর তুলনায় ‘ডায়মন্ড’ আলুর আবাদ ও ফলন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উম্মে সালমা জানান, ‘আলু চাষিদের আমরা প্রণোদনা দিয়েছিলাম। আবহাওয়া ভালো ও দাম ভালো থাকায় কৃষক লাভবান হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ টি উপজেলায় সার্বক্ষণিক আমাদের কৃষি অফিসাররা দেখভাল করেছেন। কোনো সমস্যা হলে কৃষকের সাথে গিয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধানে কাজ করা হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, ‘পূর্বে রাজশাহীতে ভালো ফলন হলে কৃষকেরা তা সংরক্ষণ নিয়ে সমস্যায় পড়তেন। ফলে অনেক সময় বাজারে নামমাত্র মূল্যে বেঁচতে হতো অথবা আলু না তুলে মাটিতেই রেখে দিতেন। বর্তমানে এ সমস্যা নেই। রাজশাহী জেলায় বর্তমানে সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট ৩৬টি হিমাগার আছে। এই হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণ করা যাবে মোট ৮০ লাখ বস্তা। সংরক্ষণের সমস্যাও নিরসন হয়েছে। সব দিক থেকেই কৃষক লাভবান বলে তিনি যোগ করেন।

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২১ ৫:৪৮ অপরাহ্ন
আলুর বাম্পার ফলন হলেও হতাশ কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

আলুর বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মুখে নেই হাসি। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কম থাকাই ক্ষেতে আলুর হাসি থাকলেও কৃষকের মুখে নেই হাসির রেখা। এতে করে আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তারা। আর বীজের তুলনায় আলুর বাজার কম হলে সামনে আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সাধারণ কৃষকরা।

জানা যায়, জমি থেকে আলু উত্তোলন করে কোল্ডস্টোরে রেখে দিচ্ছেন অনেক কৃষক। আলুর বীজ ও সারের দাম বেশি দিয়ে আলু রোপণ করতে হয়েছে কৃষকদের। যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তার তুলনায় আলুর দাম তলানিতে হওয়ায় অনেক কৃষকের মাথায় হাত।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নের কয়েক কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা বহু বছর ধরে আলু চাষ করে আসছি। গত ১০ বছরে আলু চাষ করে তেমন দাম পাইনি। গত দুই বছর আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পাই। এ বছর লাভের আশায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করি। কিন্তু আলু চাষের সময় আলুর বীজ ও সারের দাম অনেক বেশি ছিল। আর উত্তোলনের পর আলুর বাজার কম হওয়ায় এবার আলু চাষ করে অনেক লোকসান হবে। এভাবে যদি প্রতি বছর আলু করে লোকসান হয় তাহলে সামনে আলু চাষ থেকে বিরত থাকতে হবে।

তারা বলেন, এ বছর আলুর ফলন হলেও আলুর বাজার কম হওয়ায় আলু চাষিদের মাথায় হাত। গত বছর আলু বাজার ভালো হওয়ায় বেশ লাভ হয়েছে। কিন্তু এ বছর আলু চাষ করতে গিয়ে বীজ ও সারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় খরচ বেশি পড়ে। খরচের তুলনায় বিক্রি করার সময় দাম না পাইলে হতাশা ছাড়া আর কিছুই নেই।

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop