৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ৩, ২০২১ ৫:৫৩ অপরাহ্ন
করোনায় মারা গেলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মেহেদী
প্রাণিসম্পদ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (লাইভস্টক) ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসান সুমন (৩৯)। তিনি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলায় প্রাণিসম্পদ দফতর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বুধবার (২ জুন) রাতরাত ৯টা ৪০মিনেটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মেহেদী হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। তারা নিহত ডা. মেহেদী হাসান সুমনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শোক প্রকাশ করে বলেন, ডা. মেহেদী হাসান সুমন ছিলেন একজন তরুণ মেধাবী কর্মকর্তা। কর্মক্ষেত্রে তিনি দক্ষতা ও সুনামের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে এ ক্ষণজন্মা কর্মকর্তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব শোক প্রকাশ করে বলেন, ডা. মেহেদী হাসান সুমনের মত বিনয়ী ও জনবান্ধব কর্মকর্তার মৃত্যু দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের বিরাট ক্ষতি। তার মৃত্যুতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গভীর ভাবে শোকাহত।

জানা যায়, জামালপুর সদরের নুরুন্দি এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান সুমন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৯-২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে ৩০তম বিসিএসে ক্যাডারপ্রাপ্ত হন এই কর্মকর্তা। সবশেষ মুক্তাগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তিনি স্ত্রী, ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১৬ মাস বয়সী এক ছেলেসন্তান রেখে গেছেন।

প্রকাশ : মে ৩০, ২০২১ ৫:৫০ অপরাহ্ন
হতাশায় ভুগছেন বীরগঞ্জের সবজি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

করোনা সংকট ও বৃষ্টির কারণে পণ্যের ক্রেতার চাহিদা না থাকায় এবং বিভিন্ন জাতের সবজিতে পোকার আক্রমণের পাশাপাশি পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় পরিবহণ সংকট এবং দুই দিনের বৃষ্টির ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সবজি চাষিরা।

কৃষকরা জানিয়েছেন, দুই দিনের বৃষ্টিতে বর্ষাকালীন খরিপ-০১ ত্রিপল-০১ জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপিতে পচন ধরেছে।

সবজি চাষি উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রাণনগর গ্রামের ইব্রাহিম জানান, এ বছর ২০ শতক জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছি। যেহেতু এটি শীতকালীন সবজি। বৃষ্টি সহ্য করতে পারে না। তাই দুই দিনের বৃষ্টিপাতে ফলনে পচন ধরেছে।

একই কথা জানিয়ে সবজি চাষি আহম্মদ আলী জুয়েল জানান, করোনার কারণে পরিবহণ সংকট এবং দুই দিনের বৃষ্টিতে সবজি নিয়ে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বিশেষ করে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে না পেরে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্যে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সবজি দ্রুত পচন একটি পণ্য। তারপর বৈশ্বিক মহামারি এবং আবহাওয়ার বৈরিতা লেগে আাছে। এরপরও কৃষি দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় সবজি চাষ এখন লাভজনক হয়েছে বলে জানান তিন।

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২১ ৪:৫৫ অপরাহ্ন
বাকৃবির ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি : করোনায় দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) স্নাতক পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার পূর্বে অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে সময়ক্ষেপণের পরিবর্তে দ্রুত অনলাইন কিংবা স্বশরীরে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধের সময়গুলোতে অনলাইনে দুই সেমিস্টারের সকল ক্লাস শেষ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ক্রমাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসায় স্বশরীরে ব্যবহারিক ক্লাস বা পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের বৈঠকে বাকৃবির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রথমে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়া হবে এবং ততদিনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গেলে পরবর্তীতে স্বশরীরে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারি বিবেচনায় তারা ক্লাস পরীক্ষার না দিয়ে সরাসরি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে এক অনলাইন জরিপে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে মত প্রদান করে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবি জানান। অবশিষ্ট কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অটোপাশ এবং কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে মত প্রদান করেন।

বাকৃবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়াতে না পারছি চাকুরির পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে, না পারছি একাডেমিক পড়ালেখা করতে। এই সময়ে এসে যদি শুধুমাত্র ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আরো ক্ষতির মুখে পড়ব আমরা। এখন অনলাইনে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা দিতেই ২-৩ মাসের মত লেগে যাবে। ক্লাস টেস্ট আলাদা করে না নিয়ে স্বশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

৪র্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী রায়হাতুল জান্নাত জেরিন বলেন, আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ইন্টারনেট সমস্যার কারণে অনলাইনে ক্লাসগুলো ঠিকমত করতে পারেনি । গ্রাম এলাকায় যেসব শিক্ষার্থী আছে, তাদের অবস্থা আরো শোচনীয়। এসময়ে এসে শুধুমাত্র ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি হলো ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা আলাদা করে না দিয়ে স্বশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হোক।

এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হক বলেন, আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগে অনলাইনে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো চালু করব। সকল বর্ষের ১ম সেমিস্টারের অনলাইনে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হবে, তা শেষ হলে পরে ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে। আর ততদিনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে স্বশরীরে হবে ফাইনাল, আর ততদিনেও না খুললে পরবর্তীতে ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনেই অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, করোনায় আমরা জীবন ও জীবিকার মেলবন্ধনের এক দুঃসময়ে এগিয়ে চলছি। শিক্ষার্থীদেরকে আর হতাশার মধ্যে রাখা ঠিক হবে না। পরবর্তী ডিন কাউন্সিলের মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো আমি তুলে ধরবো। শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে এই বিপর্যয়কালে কিভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায়, সেই উদ্যোগ আমরা নিবো।

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
করোনা উপসর্গে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার মৃত্যু
কৃষি বিভাগ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিলাস চন্দ্র মণ্ডল (৩০)করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

গত রবিবার সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার জানান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে হরিরামপুরে কর্মরত ছিলেন বিলাস চন্দ্র মণ্ডল। গত শুক্রবার তিনি অসুস্থ হলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তার করোনার উপসর্গ ছিল। এছাড়া তার ডায়াবেটিস ছিল।

নিহত বিলাস চন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সদরপুরে। মা ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
লকডাউন: রাজশাহীতে কমছে মাছের যোগান!
মৎস্য

রাজশাহীর বাজারে করোনা লকডাউন, খারাপ আবহাওয়া আর পাইকারের অভাবে কমছে মাছের যোগান। খুচরা ক্রেতা বেশি থাকায় বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে পাইকারদেরও। আবার পুকুর মালিকরাও পাইকারের অভাবে উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে চিন্তিত।গাড়ি না চলাচল না করায় পাইকাররা আসছে না। সেজন্য মাছের দাম কমেছে বলে অভিযোগ জেলেদের।

যোগানের তুলনায় খুচরা ক্রেতা বেশি থাকায় পাইকারদের চড়া দামে কিনতে হয়েছে মাছ। প্রতিকেজি মৃগেল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০, কাতলা ২৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, ট্যাংরা ৬ ৫০ টাকা, সিলভার ও মিনার কার্প ১৮০ টাকা কেজি।

পাইকাররা জানান, আজকে মাছের অনেক দাম। গতকাল একটু কম ছিল। এছাড়াও বাজারে মাছের সরবরাহও কম। ঈদকে ঘিরে মাছ বিক্রির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি পুকুর মালিকদের। উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে চিন্তিত তারা।

একজন পুকুর মালিক জানান, মাছে পোনা ও খাবারের দাম অনেক বেশি। সে তুলনায় আমরা লাভবান হতে পারছি না।

জানা যায়, রাজশাহী জেলায় মাছের উৎপাদন হয় ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বৃত্ত ৩২ হাজার টন সরবরাহ হয়।

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
জুড়ীতে নিম্নআয়ের লোকদের জন্য ‘ফ্রি সবজি বাজার’
কৃষি বিভাগ

করোনা সংক্রমণে নিম্নআয়ের মানুষের অর্থনিতক অবস্থা নাজেহাল। তাই পবিত্র রমজান ও ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি হতদরিদ্রদের সহায়তায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় বাজার বসিয়ে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (১০ মে) উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ‘আল-ইখওয়ান সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্য, প্রবাসী এবং এলাকাবাসীর অর্থায়নে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ‘ফ্রি সবজি বাজার’ আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র রমজানের শেষ মুহূর্তে, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ সংকটময় মুহূর্তে দুস্থ ও অসহায়রা এখান থেকে বিনামূল্যে সবজি ও নিত্যপণ্য পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এ সংগঠনের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ ফ্রি সবজি বাজারকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সবজি নিতে আসা হতদরিদ্র বড়ধামাই গ্রামের ইসলাম উদ্দিন (৪৫) জানান, ফ্রি সবজি বাজার থেকে সবজি, ডিম ও মুরগি পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এই মুহূর্তে এসব খাবার ফ্রিতে দেওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।

নয়াবাজার আল-ইখওয়ান সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন জানান, আমরা হতদরিদ্রদের মধ্যে ডিম, টমেটো, আলু, ঢেঁঢ়স, কাচা মরিচ, বেগুন, কুমড়া ও মুরগি ইত্যাদি বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগামীতেও আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।লকডাউন চলাকালীন গত বছর এবং এবছর আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, তেল সহ অনেক নিত্যপণ্য বিতরণ করেছি। এখন ঈদকে সামনে রেখে শাক-সবজি ও নিত্যপণ্য দরিদ্রদের জন্য ফ্রিতে বিতরণ করার ব্যবস্থা করেছি বলে জানান তিনি।

সংগঠনের সভাপতি আশরাফুজ্জামান রিশাদ জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্মহীন মানুষেরা খাবার সংকটে পড়েছেন। এ কারণে ফ্রি সবজির বাজার থেকে প্রায় তিন শতাধিক দরিদ্র মানুষকে ইচ্ছামতো সবজি ও নিত্যপণ্য দেওয়া হয়েছে। এতে আমাদেরকে এলাকাবাসী সহ প্রবাসীরা সহযোগিতা করেছেন।

এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন, নয়াবাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা লিয়াকত আলী খান, সংগঠনের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন, সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।

প্রকাশ : মে ৭, ২০২১ ৫:০৪ অপরাহ্ন
বিনামূল্যে মাছ-শাক-সবজি পাবেন মেহেরপুরের কর্মহীনরা
পাঁচমিশালি

করোনায় কোণঠাসা পুরো দেশ। আর্থিক সংকটে ভুগছেন সবাই। তাই এই মহামারিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মেহেরপুর পৌর মেয়র। বিনামূল্যে মাছ-শাক-সবজি পাবেন সেখানকার কর্মহীন মানুষ।

শুক্রবার (৭ মে) শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে বিনামূল্যের এ হাট উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র ও জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন।

ব্যতিক্রমী এ হাট থেকে কর্মহীন যে কোনো মানুষ যে কোনো ধরনের কাঁচা বাজার, মাছ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে পারবেন। হাট প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে ঈদের আগ পর্যন্ত চলছে। উদ্বোধনের পর থেকে শতাধিক কর্মহীন মানুষ বিনামূল্যের এ হাট থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে দেখা যায়।

এসময় পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, করোনা মহামারিতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই কর্মহীন হয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। নিজের প্রয়োজনীয়তার কথা মুখ ফুটে বলতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে জেলা যুবলীগের এ আয়োজন বলে তিনি জানান।

প্রকাশ : মে ৩, ২০২১ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
করোনায় প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

চলমান করোনা সংকট পরিস্থিতিতে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভোক্তা পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি। এটি বিবেচনায় রেখে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দপ্তরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

করোনা পরিস্থিতিতেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি (লাইভ), গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরণের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ-সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহণ ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন।

করোনায় চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণনজনিত উদ্ভুত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আরেকটি কন্ট্রোল রুম কাজ করেছে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গতকাল ০২ মে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০ টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০১ টি ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মে. টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকী ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।

প্রকাশ : মে ২, ২০২১ ৭:২৬ অপরাহ্ন
করোনা ঝুঁকিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়
কৃষি বিভাগ

করোনার ঝুঁকির মধ্যেও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে জরুরি প্রয়োজনে অফিস করার পাশাপাশি সরেজমিনে মাঠের কার্যক্রম পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন। একইসঙ্গে চলমান ‘লকডাউনে’ও খোলা রয়েছে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের অফিস। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে ও মাঠ পর্যায়ে বিশেষ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রয়েছে।

রোববার (২ মে) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ঝুঁকির মধ্যেও হাওরে বোরো ধানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বিতরণ ও ধান কাটায় উৎসাহ দিতে ইতোমধ্যে হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওরে ছুটে গিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব।

এছাড়া গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে তারা দ্রুত ‘উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল’ ধানের জাত উদ্ভাবনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

‘লকডাউনে’ এসব উদ্যোগের ফলে মাঠ পর্যায়ে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপারের সর্বোচ্চ ব্যবহার, কৃষি উপকরণের সরবরাহ, হাওরে বোরো ধান কর্তন ও শ্রমিকের নির্বিঘ্ন যাতায়াত সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘লকডাউনের’ শুরু থেকেই বোরো ধান কর্তনের জন্য কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষিযন্ত্র বিতরণ ও আন্তঃজেলা শ্রমিক পরিবহনে সহযোগিতা দেওয়াসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য খোলা রয়েছে অফিসগুলো। তাছাড়া আউশের প্রণোদনা, সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতি উপকরণ বিতরণের কাজও সুষ্ঠুভাবে চলমান আছে।

মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস খোলা রেখে জরুরি কার্যক্রম চলমান আছে। মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মাঠ পর্যায়ের অফিসের সঙ্গে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ ও ধান কাটাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য অতিরিক্ত সচিবদের নেতৃত্বে প্রতিদিন একটি করে টিম সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি রোস্টার ভিত্তিতে উপ-সচিবদের নেতৃত্বে একটি ‘মনিটরিং সেল’ সচিবালয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

এছাড়া কৃষিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিব নিয়মিতভাবে সংস্থাপ্রধানসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে জরুরি সভা করছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের কাজ ও ই-নথির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও চলমান আছে। দপ্তরগুলোর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও এর মাঠ পর্যায়ের জেলা-উপজেলা অফিসগুলো খোলা রয়েছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ নিয়মিতভাবে অফিস করছেন। তিনি ও অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছেন।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়ায় চাষ হচ্ছে আরবের ফল ‘সাম্মাম’
এগ্রিবিজনেস

করোনাকালে বন্ধ রয়েছে কলেজ। তাই মেস থেকে বাড়ি ফিরে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম খোকন। বাড়িতে বসে না থেকে আধুনিক কৃষি কাজ করার ইচ্ছা জাগে তার। প্রবাসী বড় ভাইয়ের পরামর্শে সৌদি আরবের ফল “সাম্মাম” চাষ করার উদ্যোগ নেন তিনি। পরে ইন্টারনেট ও কৃষি অফিসের পরামর্শে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন তিনি। প্রথমবার চাষেই বেশ সাফল্য পেয়েছেন।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোগতা নাঈম প্রথম ৩৩ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে এ চাষ করেছেন।

পুষ্টিগুণে ভরপুর বিদেশি এ ফল চাষাবাদের তেমন একটা প্রচলন নেই দেশে। সাম্মাম চাষে ঝুঁকি এবং চাষাবাদ সম্পর্কে প্রচারণার অভাবে চাষ কম হয়। ভিনদেশি রসালো ফল উৎপাদনের খবরে প্রতিদিন তার ক্ষেত দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষকরা। কেউ কেউ আগামীতে এ ফল উৎপাদনের জন্য পরামর্শও নিচ্ছেন নাঈমের কাছ থেকে।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নাঈমের ক্ষেত্রে গিয়ে দেখা যায়, তিনি তার সাম্মাম ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল। বাঁশের বাতা আর পলিথিনের জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেনো ফলে ভরে রয়েছে। ছোট কুমড়ার আকারের সাম্মাম ফলের ভেতরটা দেখতে ও খেতে বাঙ্গির মতো।

নাঈম বলে, কলেজ বন্ধ, তাই বাড়িতে অবসর সময় কাটাচ্ছিলাম। বিদেশ থেকে ভাই ফোন দিয়ে এ সাম্মাম চাষ করার সম্পর্কে বললেন। আমি ইউটিউব থেকে এটি কীভাবে চাষ করে সেটা জানলাম। পরে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে বগুড়ার একটি খামার থেকে এ ফলের চারা সংগ্রহ করি। সেই সঙ্গে সেখানে গিয়ে চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

নাঈম আমাদের দেখে নতুন এ ফল সম্পর্কে বলেন, সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ। বহির্বিশ্বে এ ফলের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে এটির প্রচলন এখনো কম। এ ফলকে সৌদিতে সাম্মাম বলে, তবে বিভিন্ন দেশে এটি রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন, হানি ডিউ নামেও পরিচিত। সাম্মামের দু’টি জাত রয়েছে। একটি জাতের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল। তবে খেতে দুই ধরনের ফলই খুব মিষ্টি ও রসালো।

চাষ সম্পর্কে তিনি বলেন, দোঁআশ মাটিতে সাম্মাম চাষ করা ভালো। মাটি ভালোভাবে চাষ করে বেড এবং নালা করে, মালচিং দিয়ে এ ফলের চাষ করতে হয়। তাহলে বেশ ভালো ফলন পাওয়া যায়। এটি খুবই অল্প সময়ের ফসল। গাছ লাগানোর দেড় মাসের মধ্যেই হয় সাম্মাম ফল।

প্রথমে ভাইয়ের কথা মতো ঝুঁকি নিয়ে এ ফলের চাষ শুরু করার কথা উল্লেখ করে নাঈম বলেন, এক বিঘা জমিতে আমার তিন হাজার সাম্মাম গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে দুই-তিনটি করে ফল রয়েছে। বেশি ফল রাখলে ফলন কম হয়। একেকটি ফলের ওজন হয় দেড় থেকে দুই কেজি। প্রতিটি গাছেই ফল বেশ ভালো এসেছে। এক বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে প্রথমবার হওয়ায় এক লাখ টাকার মতো। আগামীতে খরচ কম হবে। আশা করছি, এ বছর দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো লাভ হবে।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু এ ফল কাঁচা-পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়, এজন্য কীটনাশকের পরিবর্তে আমি ফেরামন ফাঁদ, আগাছা যাতে না হয় এজন্য মালচিং দিয়েছি। সেই সঙ্গে বিষমুক্ত উপায়ে চাষ করছি।

নাঈম ইসলাম খোকন জানান, শ্রমিক খরচ বলতে জমি প্রস্তুতের সময় এক বিঘা জমিতে বেড তৈরির জন্য চারজন শ্রমিক লেগেছে। আর মাদা তৈরির জন্য ১০ জন শ্রমিক লেগেছে। এছাড়া একজন শ্রমিক সব সময় কাজ করেন। শ্রমিকের দিন হাজিরা ৩০০ টাকা করে। নিজেই জমিতে কাজ করায় শ্রমিক খরচ কম লাগে।

এখনো ফল পাকেনি। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দশনার্থীরা এসে ফল কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া ঢাকায় বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। পাইকারি দুইশ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করব। যেহেতু নতুন ফল, আশা করছি, স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা ভালো হবে। ১০ থেকে ১৫ দিন পর থেকে ফল সংগ্রহ শুরু করব, যোগ করেন তিনি।

নতুন এ ফল এবং ফলের চাষাবাদ দেখতে অনেক দূরের এলাকা থেকেও লোকজন নাঈমের জমিতে আসছেন। আগতদের এ ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন নাঈম।

রবিউল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, আমি এ গাছ লাগানো থেকে শুরু করে এ জমিতে দৈনিক হাজিরা হিসেবে কাজ করছি। এ জমিতে খুব ভালো ফল এসেছে। আর ফলগুলো খেতেও খুব ভালো। আগামীতে আমার জমিতে আমি এ ফলের চাষ করবো।

নাজিম উদ্দিন নামে আরেক কৃষক বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, এ ছেলে পাগলের মতো কি চাষ করছে? কিন্তু এখন তো দেখছি বেশ ভালো গাছ আর ফল ধরেছে। শুনেছি এটি বিদেশি ফল, খেতেও খুব ভালো। এর আগে এ ফল আমাদের এলাকায় হয়নি। দুইশ’ টাকা কেজি করে বিক্রি করছে কিছু কিছু। যদি লাভ হয়, তাহলে আগামীতে অনেকেই এ ফল চাষ করবে।

নাঈমের সাম্মাম ক্ষেত দেখতে আসা মস্তফা কামাল নামে এক শিক্ষক বলেন, সৌদি আরবের ফল এখানে চাষ হয়েছে বলে দেখতে এসেছি। দেখে খুবই ভালো লেগেছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে চাষ করা হয়েছে। নতুন এ ফল দেখে দেখে মন ভরে গেছে।

বিদেশি এ ফল অধিক লাভজনক উল্লেখ করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আধুনিক কৃষি গতানুগতিক কৃষিকাজের চেয়ে লাভজন। সাম্মাম বিদেশি ফল, তবে আমাদের এখানেও চাষ করা সম্ভব। নাঈম নামে এক তরুণ কৃষককে আমরা চাষে পরামর্শ দিয়ে সার্বক্ষণিক সহায়তা করছি। তিনি বিষমুক্ত আধুনিক উপায়ে চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। আগামীতে এ চাষ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করছি।

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, রক মেলন বা সাম্মাম বেদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এটি চাষ করা সম্ভব। মিরপুর উপজেলার কচুবাড়ীয়া এলাকার তরুণ নাঈম এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে এ বছর এ ফল চাষ করেছেন। তিনি খুব ভালো ফলও পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলমূল এবং আধুনিক চাষাবাদে তরুণরা এগিয়ে আসছেন। মিরপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষিত তরুণ কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে আধুনিক উপায়ে লাভজনক ফসল চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop