৯:১১ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৬:০৪ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে দু’দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে আজ উচ্চ ফলনশীল, রপ্তানিযোগ্য নতুন জাতের আলুর সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণন ও রপ্তানি কলা কৌশল শীর্ষক দু’দিনব্যাপী অংশীজন প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

সোমবার(২৬ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ আলু বীজ হিমাগারের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদার করণ প্রকল্প আয়োজিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ বিএডিসির উপ-পরিচালক দীপঙ্কর রায়।

প্রথম দিনের প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মহসীন হাওলাদার , বিএডিসির উপ-পরিচালক দীপঙ্কর রায়, সহকারী পরিচালক মো. ইমাম হুসাইন।

এ প্রশিক্ষণে নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বীজ আলু উৎপাদনকারী কৃষক, বীজ ডিলারসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জন অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হযে প্রকল্প পরিচালক মো. আবীর হোসেন অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। মঙ্গলবার বিকালে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ৮:১০ অপরাহ্ন
নরসিংদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের ৫ গরু চুরি
প্রাণিসম্পদ

নরসিংদীর মনোহরদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের পাঁচটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার বাজারমূল্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জাকির হোসেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দাইরাদী গ্রামের এক কৃষকের ৫টি গরু চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর গত দুই মাসের ব্যবধানে শুধু দাইরাদী গ্রাম থেকেই ১৪টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন কৃষকরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরুগুলোকে তিনি গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে যান। ভোরে ফযর নামাজের সময় গরুগুলোকে খেতে দিতে গেলে তিনি দেখেন গোয়ালঘরে কোন গরু নেই। এর পরেই তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন খোঁজ পাননি।

কৃষকরা জানায়, এর আগে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দী গ্রামের কৃষক আলফাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ খাঁনের চারটি গরু চুরি হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। আর গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুরাদ মিয়ার খামার থেকে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খাঁন কনক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ হওয়ায় দেশী গরু পালনে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। এ কারণে শুধু হাল চাষের জন্য নয় ঈদকে সামনে রেখে অনেক কৃষক গরু পালন করছে। কিন্তু একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রশাসনকে গরু চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন বলেন, গরু চুরি হওয়ার বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কৃষক থানায় কোন অভিযোগ করেনা। ফলে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। গরু চুরি রোধে স্থানীয়ভাবে পাহারার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০১ অপরাহ্ন
মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কৃষি বিভাগ

মেহেরপুরে মৌমাছির কামড়ে হায়দার আলী (৫৩) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হায়দার আলী গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের বাসিন্দা।

আহতরা হলেন, ফজলু (৪০), মাসুম(১৮), হায়াত আলী (৬০) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫)। তাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী জানান, সাহারবাটি মাঠের একটি গাছে মৌমাছি বাসা বেঁধেছিল। সেখানে একটি বাজপাখি বার বার হানা দিচ্ছিল। এসময় মৌমাছিরা মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের ওপর ধেয়ে আসে। মৌমাছিরদল হায়দার আলীসহ অন্যান্যদের কামড় দেয়।পরে মৌমাছির কামড়ে আহত হয়ে হায়দার আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যান্যদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবীর হাসান জানান, মৌমাছির কামড়ে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্যরা এখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। এ বছর জেলার ৯টি উপজেলার ৪৫০টি চরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে হলুদের সমারোহ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সরিষা চাষে কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। এতে খরচ কম। অন্য শস্যের তুলনায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন সরিষা চাষের দিকে।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে সর্ষের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ ভালো দেখা যাচ্ছে। সর্ষে ক্ষেতে কোনো প্রকার রোগবালাই না হলে লাভবান হবো।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় গত বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় এ বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৯:২১ পূর্বাহ্ন
বোরো মৌসুমে বিনামূল্যের সার-বীজ পাবে ২৭ লাখ কৃষক
কৃষি বিভাগ

দেশে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনার আওতায় তিন ক্যাটাগরিতে ২৭ লাখ কৃষককে বিনামূল্যের সার-বীজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৮২ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে ১৫ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে ২ কেজি করে বীজধান দেওয়া হচ্ছে।

উচ্চফলনশীল জাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১২ লাখ কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে, এতে ব্যয় হবে প্রায় ৭৩ কোটি টাকা। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাচ্ছেন।

এছাড়া ধান লাগানো ও কাটার জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ৬১টি জেলায় ১১০টি ব্লক বা প্রদর্শনী তৈরি করা হবে। প্রতিটি প্রদর্শনী হবে ৫০ একর জমিতে, খরচ হবে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে ইতোমধ্যে এসব প্রণোদনার ৫০ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি কাজগুলোও চলমান রয়েছে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ি অঞ্চলে গোলমরিচ চাষে লাভবান কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে গোলমরিচ চাষে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা আমদানি নির্ভর গোলমরিচ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। গোলমরিচ চাষ করে তারা একদিকে লাভবান হয়েছেন, অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হচ্ছে।

জানা যায়, বর্তমানে জেলার মীরসরাই ও ফটিকছড়ির অনাবাদী ৬০ একর পাহাড়ি জমিতে দু’শ চাষি বাণিজ্যিকভাবে গোলমরিচ চাষ করে ভালো ফলনও পেয়েছেন। ২০১৭ সালে চারা রোপণের তিন বছর পর ২০২০ সালের শেষের দিকে ফলন পেতে শুরু করেছে কৃষক।

চলতি বছর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলায় গোলমরিচ চাষ শুরু করেছে চাষিরা। এর ফলে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে গোলমরিচ রপ্তানি করাও সম্ভব বলে মনে করছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা।

চাষিরা বলেন, রোপণের তিন বছরের মধ্যে ফলন দেওয়া শুরু হয়। পঞ্চম বছর থেকে ফলন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছে। যা এক টানা ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ফলন হয়। প্রতিটি খুঁটি থেকে বছরে কমপক্ষে চার কেজি কাঁচা গোলমরিচ পাওয়া যায়।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেন কৃষক রুবেল
এগ্রিবিজনেস

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষক রুবেল। ফুলকপি ছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেক কৃষকই তার পরামর্শ নিয়ে ক্ষেতে-খামারে সবজির আবাদ করেছেন। রুবেল আহমেদ শায়েস্তাগঞ্জের বাগুনীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তার বাবাও কৃষক ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই কৃষি কাজে হাতেখড়ি রুবেলের। তিনি প্রতি বছর ৫-৭ লাখ টাকার বিভিন্ন সবজি বিক্রি করেন।

কৃষক রুবেল আহমেদ জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে তিনি ৬ হাজার ফুলকপি চারা রোপণ করেন। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় প্রতিটি গাছেই ভালো ফলন এসেছে। একেকটি ফুলকপি এক থেকে দেড় কেজি হয়ে থাকে। তিনি জানান, ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আশা করছেন, বাকি ফুলকপি বিক্রি করে আরও ১ লাখ টাকা পাবেন।

এ ছাড়াও তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, শিমসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। এসব ফসলের পরিচর্যায় নিয়মিত ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন তিনি।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর জানান, ‘রুবেল আহমেদ এখন অনেকেরই অনুপ্রেরণা। তার সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর রবি মৌসুমে উপজেলায় ৭৭৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৫০ হেক্টর বেশি।’

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ ১১:২১ অপরাহ্ন
জামালপুরে মরিচের বাম্পার ফলন, দামে হতাশ চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

মরিচের বাম্পার ফলনেও খুশি হতে পারছেন না জামালপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা। প্রায় প্রত্যেক কৃষকের জমিতে মরিচের ব্যাপক ফলন হলেও বাজারদর কম থাকায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। অপর দিকে মরিচ চাষের জন্য সার ও কীটনাশকের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় মরিচ উৎপাদনে কৃষকের খরচও বেড়েছে।

জানা যায়, জামালপুর চরাঞ্চল গুলোর মধ্যে আদ্রা, জামিরা, ছাতারিয়া, মানিকপটল, আদারভিটা, কুলকান্দি, হাজিপুরসহ প্রায় ২ শতাধিক গ্রামে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা বিঘা প্রতি ৪০ মণ করে মরিচের ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা তাদের জমিতে মরিচ গাছের পরিচর্যা করছেন। কেউ কেউ আবার মারিচ তুলে তা বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

মেলান্দহের চাষি সুরুজ মিয়া বলেন, আমি এবছর ২ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছি। মরিচ চাষে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি ৪০ মণ মরিচ পেয়েছি। আর এই মরিচ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি।

কালিবাড়ি, হাজরাবাড়ী, আরামনগর, আদ্রা, বাউশি, শ্যামনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা সেখানে প্রতিমণ মরিচ ১২০০-১৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের কৃষক মঈনুল উদ্দিন বলেন, এবছর আমার ৬ বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। মরিচ চাষে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই মরিচ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরেছি। লাভ তো হয়ইনি বরং আসল চলে গিয়ে আরো লোকসানে পড়েছি।

মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ৫টি চরে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। আমরা চাষিদের মরিচ চাষে সব ধরনের সহযোগীতা করছি।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ ১১:১৭ অপরাহ্ন
কচুর ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি!
কৃষি বিভাগ

কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার কচুর লতির দেশ জুড়ে সুনাম রয়েছে। এখানকার প্রান্তিক চাষিরা কচুর লতি চাষে নিজেদের ভাগ্য বদল করেছেন। এই জেলায় এবারই প্রথম কন্দাল জাতের লতি কচুর বাণিজ্যিক চাষাবাদে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা।

কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে লতি কচুর চাষ হচ্ছে। লতিকচু ও কন্দাল জাতের লতিকচু একই হলেও কন্দাল জাতে ফলন বেশি হয়। তাই কৃষকরা এই জাতের কচু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

দিঘিরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়া বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে কচুর লতি চাষ করেছি। কচু চাষ করেই ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সহ সংসার চালাই। জমি স্যাতস্যাতে হওয়ায় এখানে ধান চাষ করলে ফলন হয় না। তাই কচু চাষ করি। এবছর জমিতে কচুর ভালো ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কচু বিক্রি করেছি। এছাড়াও ৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছি।

কচুর লতি চাষি গোলাম হোসেন জানান, কচু চাষ করলে এর থেকে বের হওয়া লতি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যায়। বাজারে কচু, কচুর লতি ও এর ফুলের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছর কচু চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

সদর উপজেলার কৃষি অফিসার নাসরিন পারভীন জানান, বাংলাদেশে দেশে বেশ কয়েক প্রকার কচুর লতির জাত রয়েছে। এর মধ্যে পানি কচু -১ এবং বারি পানি কচু -২ উল্লেখযোগ্য। স্বাদের কারণে বাজারে চাহিদাও বেশ। চাষিরা বসতবাড়ির আশেপাশে স্যাতস্যাতে জমিতে সহজেই লতিকচু চাষ করে থাকে। এতে করে একদিকে যেমন পুষ্টিচাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের লতিকচু ভবিষ্যৎতে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ ১১:০৭ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন গদখালীর ৫০০ কৃষক
কৃষি বিভাগ

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ৫০০ কৃষক বিষমুক্ত সবজি নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছেন। এতে দারুণ সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। তাদের চাষাবাদ ঘিরে গদখালীকে বিষমুক্ত সবজি চাষের ‘মডেল’ বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা। নিজের বাঁধাকপি ক্ষেতে সেচের পানি যাতে ঠিকঠাক যায় সেদিকে নজর দিয়ে নালা কাটছিলেন মনিরুল ইসলাম। অপরপাশে তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম ক্ষেতের মাটি আলগা আর ঘাস নিংড়ে দিচ্ছিলেন। এ দৃশ্য গদখালী ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের ফসলি মাঠের। মনিরুল-মর্জিনা দম্পতি ১২ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি, ১২ শতাংশ জমিতে পটল চাষ করেছেন। এই সবজি ক্ষেতের বিশেষত্ব হলো এখানে রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক এবং ক্ষতিকর পোকা দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ ফাঁদ পদ্ধতি।

ঝিকরগাছা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ‌‘পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের’ আওতায় সারা দেশের ২০ ইউনিয়নে কাজ চলছে। এর মধ্যে গদখালী ইউনিয়নও রয়েছে। গদখালী ইউনিয়নে ২০টি গ্রুপের কাজ চলছে। প্রতি গ্রুপে ২৫ জন কৃষক রয়েছেন। সবমিলে কৃষকের সংখ্যা ৫০০ জন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, হলুদ ফাঁদ বা সেক্স ফেরোমন পদ্ধতি ব্যবহার করায় কৃষকের পেস্টিসাইডের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমছে। মাটির গুণাগুণ ভালো থাকছে, উৎপাদিত হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি।

বারবাকপুর গ্রামের মাঠে বেগুন ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে পলি মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে দেখা গেছে কৃষকদের। পলি মালচিং পদ্ধতি—লম্বা একটা পলিথিনের মাঝে গর্ত করে তার ভেতরে সবজি ইত্যাদি রোপণ করা। এর ফলে জমিতে অতিরিক্ত সেচ লাগে না, গাছ প্রয়োজনীয় রস মাটি থেকে সংগ্রহ করে। এতে আগাছা তেমন একটা হয় না।

বারবারপুর এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘পলি মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো ও বেগুন চাষ করা হচ্ছে। কৃষিতে আধুনিকায়নের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে এসব ব্লকে। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এসব মাঠে ৯ গ্রুপে ২২৫ কৃষকের বিভিন্ন ধরনের ফসল প্রদর্শনী করা হয়েছে। রবি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, বেগুন, লাউ, টমেটো, করলা, ব্রকলি ইত্যাদি ফসল কীভাবে নিরাপদ উপায়ে চাষাবাদ করা যায়, তা এখানে হাতে-কলমে দেখানো হয়েছে।’

এসব ফসল সম্পূর্ণ নিরাপদ, কেননা এখানে কোনও রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি উল্লেখ করে আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘জৈবসার বিশেষ করে কেঁচো কম্পোস্ট আবাদের জন্য খুবই উপকারী। এই ব্লকে কৃষকরা চার হাজার ৪০০ রিংয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১৮৫ মেট্রিক টন কেঁচো সার তৈরি করছেন। এখানকার প্রায় প্রতি বাড়িতে নারীরা কেঁচো সার তৈরি করেন এবং তারা সেগুলো ক্ষেতে ব্যবহার করেন।’

বিভিন্ন জৈবসার ও বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতি কৃষকদের শেখানো হয়েছে জানিয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রামের গাছগাছালি থেকে ছত্রাক ও বালাইনাশক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। যেমন দুই কেজি নিমের পাতা বেটে এক লিটার পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর চার লিটার পানি মিশিয়ে তা ছাঁকতে হবে। এরপর সেটি আগুনে জ্বালিতে এক লিটার পরিমাণ করে ফেলতে হবে। এই এক লিটার নিমের রসের সঙ্গে ৯ লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করলে শোষক পোকা, ছিদ্রকারী পোকা সহজেই দমন করা সম্ভব। তেমনি, ২০ মি.লি পেঁয়াজের রসে দুই লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করলে গাছের যেকোনও পচারোগ দমন হয়ে যাবে। এমন করে প্রায় ১৭-১৮টি পদ্ধতিতে পোকা ও ছত্রাক দমন সম্ভব।’

গদখালীকে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের মডেল বানাচ্ছি জানিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো—নিরাপদ উপায়ে বা জৈবিক উপায়ে ফসল উৎপাদন। দেশে বর্তমানে প্রধান আলোচিত বিষয় হলো—ফুড সিকিউরিটি ও ফুড সেফটি। ইতোমধ্যে আমরা ফুড সিকিউরিটি অর্জন করেছি, এখন ফুড সেফটির বিষয়টির ওপর জোর দিচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop