৫:২৩ অপরাহ্ন

সোমবার, ২০ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২১ ১২:৫৩ অপরাহ্ন
বর্ষা মৌসুমেও ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে তরমুজ
কৃষি বিভাগ

দেশ সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তরমুজ চাষের উপযোগী সময় হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে আগস্ট মাসে চাষ করা হচ্ছে তরমুজ। মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে চারা রোপনের মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে তরমুজ হারভেস্ট করা যায়। তাই বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষ উপযোগি না হলেও মালচিং পদ্ধতিতে বিদেশী জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে সেখানকার চাষিদের।

দেখা যায়, চাষকৃত মাটিতে সার ও বিষ দিয়ে উঁচু ও লম্বা সারি করে মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে তৈরি করা হয়েছে তরমুজের বীজতলা। নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে পলিথিন ছিদ্র করে মাটির মধ্যে বপন করা হয় তরমুজের বীজ। সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে চারা থেকে বড় হয়ে গাছে পরিণত হচ্ছে। আর গাছ গুলোর লতাপাতা বিস্তারের জন্য বাঁশ, সুতা ও তারের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাচা। মূলত এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে- যাতে করে বৃষ্টির পানি গাছের গোড়ায় জমাট না বাধে ও পানিতে তরমুজ নষ্ট না হয়। এমন পদ্ধতি অবলম্বন করে জেলার পীরগঞ্জ, হরিপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিদেশী বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করছেন অনেকে।

এতে যেমন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে ও তেমনি পুষ্টির চাহিদা পুরণে ভূমিকা রেখে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা কৃষকদের। অসময় ও বর্তমানে বর্ষাকাল হলেও জেলায় এবার প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে চাষ শুরু হয়েছে বিদেশী তরমুজ।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের কৃষক ও উদ্যোক্তা মঞ্জুর আলম জানান, দীর্ঘ দুই বছর ধরে পরিকল্পনা করে এবার নিজ উদ্যোগে ও পাশের উপজেলার কৃষকদের দেখে উৎসাহিত হয়ে এবং ইউটিউব থেকে ধারণা নিয়ে তিন প্রজাতির তরমুজ চাষ শুরু করেন তারা। তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তরমুজ চাষে প্রতিবিঘা জমিতে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। লাভ কত হবে জানিনা। তবে আশা করি প্রকৃতি সহায় থাকলে প্রতিবিঘা জমির তরমুজ ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রয় করতে পারবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকায় এটি নতুন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সম্ভব হলে পরবর্তীতে আমাদের বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি মনে করি, ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য এটি উপযোগি ফসল ও লাভ জনক ফসল হিসেবে অর্জিত হবে এবং এটি দিন দিন সম্প্রসারিত হবে।

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২১ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়ায় তরমুজের ফলন ভালো হলেও শঙ্কায় চাষিরা
কৃষি বিভাগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে মৌসুম ছাড়া বারি-১ ও বারি-২ জাতের উদ্ভাবিত তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন করেছে কুমিরমারা গ্রামের তিন তরমুজ চাষি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিন্সটিটিউটের প্রাথমিক প্রদর্শনী উৎপাদন হিসেবে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে এই প্রথম জাকির গাজী, ওমর ফারুক ও হান্নান গাজী নামে তিন কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে মৌসুমী তরমুজ চাষ শুরু করেন।

কুমিরমারা গ্রামের তরমুজ চাষি ওমর ফারুক জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের সহযোগিতায় এই প্রথম আমি ৬৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করি। শুরু থেকে গাছের বেড়ে ওঠা, ফল ধারণ ও ফলের বেড়ে উঠা সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। অল্পকিছু স্থানের তরমুজের অপরিপক্কতা আসলেও ৯০ শতাংশ তরমুজের বয়স মাত্র ২১ দিন তার মধ্যেই গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছগুলো মরতে শুরু করেছে।

তরমুজ চাষি জাকির গাজী জানান, আমরা নীলগঞ্জের চাষিরা এই প্রথম প্রায় একশ শতাংশ জমিতে মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করি। আমাদের এই ইউনিয়নে সর্বমোট ১২টি স্লুইস গেট রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে ৮ টি স্লুইসের গেট নষ্ট তাই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই নিয়ে আমরা কৃষকরা একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি গেটগুলো সংস্কার করার জন্য কিন্তু কেউ দৃষ্টিপাত করে না। এইবার আমরা কমপক্ষে আট-দশ লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করতে পারতাম কিন্তু এখন খরচও উঠবে না।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, আমরা প্রতিনিয়তই তাদেরকে তদারকি করে আসছি, তরমুজ গাছগুলো ছোট থাকলে এই জলাবদ্ধতায় কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু এখন তরমুজের বয়স ২১-২২ দিন, এই মুহূর্তে তরমুজগুলো অপরিপক্ক তাই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিটিউটের পটুয়াখালী আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার উপরে চীন, জাপান, থ্যাইল্যান্ড ও ভারত থেকে তরমুজের বীজ আনতে হয়।

আমরা এই বীজগুলো দেশে উৎপাদন করার জন্য ২০১৪ সাল থেকে গবেষণা শুরু করি। ২০২০ সালের জুলাই মাসে এগুলো অবমুক্ত করতে সক্ষম হই, এই বছরও জেলার বেশ কিছু স্থানে আমরা নিজেরা মৌসুম ছাড়া তরমুজের বীজ থেকে চারা করি। পরে চারাগুলোকে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেই বলে জানান তিনি।

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২১ ১:১৯ অপরাহ্ন
বারোমাসি তরমুজ ও সবজি চাষে স্বাবলম্বী দিনাজপুরে নারীরা
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের আদিবাসী অনেক নারী পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে বছরব্যাপী বিষমুক্ত ও নিরাপদ বারোমাসি তরমুজ ও সবজি চাষ করে হচ্ছেন স্বাবলম্বী। চলতি বছরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়নে ১০০ জন আদিবাসী নারী কৃষক ১ হেক্টর জমিতে তৃপ্তি ও মধুমালা জাতের বারোমাসি তরমুজ এবং ৩ হেক্টর জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন।

জানা যায়, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ঘোড়াঘাট এপির বাস্তবায়নে ইনোভেশন প্রকল্পের আওতায় ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত কারিগরি সহযোগিতায় আদিবাসী নারীরা এসব ফসল ও তরমুজ চাষ করেন।

জানা যায়, মাটিতে মালচিং পেপারের নিচে রোপণ করা বীজ থেকে চারা উঠে দু’পাশে দেওয়া বাঁশের তৈরি মাচার উপরে বড় হয়েছে গাছ। গাছে ঝুলছে তৃপ্তি ও মধুমালা জাতের তরমুজ। তরমুজগুলো যাতে ছিঁড়ে না পড়ে এজন্য ব্যবহার করা হয়েছে এক প্রকার নেটের ব্যাগ। মধুমালা জাতের তরমুজ হয় এক থেকে দেড় কেজি আর তৃপ্তি জাতের তরমুজ দুই থেকে তিন কেজি। বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ টাকা দরে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। এসব তরমুজ অসময়ে পাওয়ার ফলে দামও বেশি পাওয়া যায়।

পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন কৌশল যেমন-ফাঁদ পদ্ধতি ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই প্রদর্শনীগুলোতে উৎপাদন করছে বারোমাসি তরমুজ ও বিভিন্ন জাতের বেগুন, পটল, লাউ, ঝিঙা ও শসাসহ নানা রকমের সবজি। কৃষকরা নিরাপদ সবজি উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ফেরোমন ফাঁদ, নিম পাতা ও বিষ কাটালের রস।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. এখলাছ হোসেন সরকার জানান, প্রান্তিক আদিবাসী নারী কৃষকরা তাদের বসত ভিটার ছোট জায়গায় বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল ও বারোমাসি তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে বাড়তি আয় করতে পারে সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছি।

ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউপির শীধলগ্রামের কৃষাণী সুচিত্রা মাহাতো জানান, ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সবজি ও তরমুজের চাষ করেছি। বিষমুক্ত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা থাকায় এই তরমুজ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছি। ওয়াল্ড ভিশন বীজ, কাগজ ও সার দিয়ে সহযোগিতা করেন।

ঘোড়াঘাট ওয়ার্ল্ড ভিশনের ম্যানেজার রোলেন্ড গোমেজ জানান, এই এলাকায় শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্য পায় এবং কৃষকেরা যাতে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয় সেই লক্ষ্যে নারীদের নেতৃত্বে ইনোভেশন প্রকল্পের আওতায় তাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রকাশ : মে ৭, ২০২১ ২:৫৬ অপরাহ্ন
ইউটিউব দেখে ফল চাষে ঘুরে দাঁড়ালেন রশিদ
কৃষি বিভাগ

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আব্দুর রশিদ স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সহযোগীতায় শুরু করেন কৃষি কাজ। ইউটিবে কৃষি কাজ সংক্রান্ত ভিডিও দেখে তিনি হয়ে উঠেন একজন সফল চাষা। বর্তমানে দুই বিঘা জমিতে গোল্ডেন কালারের এক নতুন জাতের তরমুজ “তৃপ্তি” চাষ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখান থেকে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

তার শখ কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন সবজি, ফল ও ফসলের চাষ করা। আর এর জন্য তিনি ইউটিবে কৃষি কাজ সংক্রান্ত ভিডিও দেখতেন। এভাবে দেশের যে কোন প্রান্তে নতুন কোন চাষের সংবাদ পেলে। মাসে একদিন সময় করে সেখান থেকে ঘুরে অসেন। এভাবেই তিনি তার চাষে সফলতা দেখিয়ে চলেছেন। সাথে নিজের পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। আব্দুর রশিদ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

বর্তমানে তার দুই বিঘা জমিতে গোল্ডেন কালারের এক নতুন জাতের তরমুজ “তৃপ্তি” চাষ করেছেন। রোজার ১০ দিন থেকে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছে। স্থানীয় ও ঢাকার ব্যাপারিরা খেতে এসে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছে। এই দুই বিঘা তরমুজ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখান থেকে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।

মাত্র দুই মাসে ভিন্ন জাতের এ তরমুজ চাষ দেখে জেলার অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এছাড়া কৃষক আব্দুর রশিদ তরমুজের পাশাপাশি তার পাঁচ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা লেবু ও আঙ্গুরের চাষ করেছেন। আঙ্গুর চাষ এবারই প্রথম শুরু করেছেন তিনি। ১০ কাঠা জমিতে ছমছম ও সুপার সনিকা জাতের ৭৫ টি আঙ্গুরের গাছ রোপণ করেছেন।

ভারত ও ইটালি থেকে এসব চারা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যদি আশানুরূপ ফল পান তাহলে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ বছর এসব গাছ থেকে ফল পাবেন। তবে এখনো পর্যন্ত দেশে চাষ হওয়া আঙ্গুরের স্বাদ ভালো না হলেও সফল এ কৃষকের দাবি তার আঙ্গুর সুস্বাদু হবে।

এর আগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্লাক বেরি (কালো রঙের) ও গোল্ডেন ক্রাউন (হলুদ রঙের) জাতের তরমুজ চাষ হতে দেখা গেছে। বর্তমানে সদর উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে এবং জেলায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫ হেক্টর।

তরমুজ চাষি কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, বিভিন্ন সময় ইউটিবে কৃষি কাজ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও দেখতাম। এছাড়া বিভিন্ন কৃষকদের মাধ্যমে খোঁজ রাখতাম কোথায় কোন চাষ হচ্ছে। নতুন কিছু মনে হলেই সেখানে ছুটে যেতাম। সেখান থেকে চাষ পদ্ধতি রপ্ত করে নিজে চাষ করতাম।

এভাবে চলছে আমার চাষকর্ম। তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমার দুই বিঘা জমির তৃপ্তি জাতের তরমুজ বিক্রি শুরু করেছি। জমিতে যে তরমুজ আছে তা প্রায় দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। তাতে খরচ বাদে লাভ হবে দেড় লাখ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমিত বাগচী জানান, পানি নিষ্কাষণ ও বেলে দো-আঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশি উপযোগী যা ঝিনাইদহে বিদ্যমান। আর মান ভালো হওয়া ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এ জেলার তরমুজের চাহিদা রয়েছে অনেক।-জাগো নিউজ

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২১ ১১:১১ পূর্বাহ্ন
১ লাখ টাকা খরচে ৬ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করবে চাষিরা
কৃষি বিভাগ

খুলনার উপকূলীয় উপজেলা পাইকগাছার লবণাক্ত এলাকায় এ বছর উপজেলায় ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও তরমুজের ফলনের কোন সমস্যা হয়নি ওই অঞ্চলে। তাই এবার সেখান তরমুজ চাষিদের মুখে সফলতার হাসি। গত বছর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ’ হেক্টর।

গড়ইখালী ইউপির প্রিতিষ মন্ডল ও দ্বিজেন মন্ডল জানান, আমরা দু’জন সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ জমিতে চাষ করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৩ লাখ টাকা বেচা-কেনা হবে।

তারা আরো বলেন, আমরা এক বিঘা জমিতে পানি, সার কীটনাশক ছাড়াই চাষ করেছি। দেখা গেছে পানি কীটনাশক ছাড়া চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এ এক বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছে। একই এলাকার প্রসনজিৎ ও দিপক জানান আমরা ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমাদের মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আশা করছি ৬ লাখ টাকার মত বিক্রি হবে।

দেলুটির দারুণ মল্লিক এলাকার নিশিত জানান, এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। বর্তমানে ফসলের অবস্থা খুবই ভালো। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চাষ শুরু করা হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারজাত করা যায়। তরমুজ চাষে এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়।
খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সার-পানি দিলেই হয়। এক বিঘা জমির উৎপাদিত তরমুজ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই এলাকার তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২১ ১১:১২ পূর্বাহ্ন
চলছে তীব্র দাবদাহ: সুস্থ থাকবেন যেভাবে
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাংলাদেশে সপ্তাহ খানেক ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে তীব্র দাবদাহ। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ২৬শে এপ্রিল ঢাকায় গত ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে।

ওইদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৯৫ সালে সর্বশেষ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই তীব্র তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলবে।

কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে দেখা যায় শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সতর্ক না হলে সাধারণ পানিশূন্যতা, বদহজম থেকে হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যায়ও পড়তে পারেন যে কেউ।

কিন্তু তীব্র গরমে সুস্থ থাকার কী উপায়?

গরমে সুস্থ থাকতে করণীয় সম্পর্কে জানতে ঢাকার আহসানিয়া মিশন জেনারেল হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. মাসুমা নাওয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক খালেদা এদিবের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন

তাপ ব্যবস্থাপনা
মানবশরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে, কিন্তু তার জন্য সুদিং বা শীতল তাপমাত্রা হচ্ছে ২০ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মানবশরীরের সহ্যসীমার মধ্যে থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে মানবশরীর সহ্য করতে পারে না।তখন নানারকম অস্বস্তি ও সমস্যা দেখা যায়।

এমনকি তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে মানুষের হিটস্ট্রোক হবার আশংকা বেড়ে যায়। ফলে যখন গরম বাড়ে তখন তাপ ব্যবস্থাপনাই হবে প্রধান কাজ, অর্থাৎ কিভাবে গরম কম লাগবে সেটি দেখতে হবে।

পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে
শরীরের পানিশূণ্যতা ঠেকাতে এ সময় প্রচুর পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে। পানি, স্যালাইন, ফলের রস, সরবত, ডাব এ ধরণের পানীয় শরীরে আর্দ্রতা যোগায়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পানিশূন্যতার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ পানিশূন্যতার ফলে স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।পানি ও পানি-জাতীয় খাবারের পাশাপাশি পানি রয়েছে এমন প্রচুর সবজি ও ফল খাওয়া উচিত।

তরমুজ, আনারস, জাম্বুরা, আপেল এমন ফল শরীরের গরমের ভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রচুর সবজি খেলে পরিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। তাতে শরীরের অস্বস্তি কমে।

সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে
দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকে সে সময় সরাসরি রোদে না যাওয়া বা অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা। বাংলাদেশে সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সূর্যের আলো সবচেয়ে প্রখর থাকে। সূর্যের আলোতে যেতে হলে ছাতা, টুপি, পায়ে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। চোখ নিরাপদ রাখতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। কোথাও যাওয়ার আগে সঙ্গে পানি অবশ্যই নেবেন।

ভাজাপোড়া এবং জাঙ্ক ফুড বাদ
তীব্র গরমে ভাজাপোড়া মুখরোচক খাবার, কিংবা জাঙ্ক ফুড শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বার্গার, পটেটো চিপস বা পিৎজার মতো খাবারে প্রচুর ক্যালরি, সোডিয়াম ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে একদিকে যেমন গরম বেশি লাগে, তেমনি মুখে অরুচি এবং বদহজমের আশংকা তৈরি হয়।ফলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। সেই সঙ্গে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড়
বিশেষজ্ঞরা গরমে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরার পরামর্শ দেন। এ ধরণের কাপড়ে তাপ শোষণ হয় দ্রুত এবং বাতাস আসাযাওয়া করতে পারে, ফলে গরম কম লাগে।

ঘর ঠাণ্ডা রাখা
ঘর যাতে ঠাণ্ডা থাকে এবং ঘরে যাতে বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলায় ঘরে আলো কম থাকলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। ঘরের মধ্যে গাছ থাকলে তা তাপ শুষে নেয়। পাকা মেঝে হলে বারবার ঘর মুছে দিলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে।

যেসব অসুস্থতা হতে পারে
প্রচণ্ড গরমে সাধারণত অতিরিক্ত ঘামের কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ে মানুষের শরীর। পানিশূন্যতার কারণে দ্রুত দুর্বল হয়ে যায় মানুষের শরীর। এছাড়া বদহজম ও পেট খারাপ এবং পানি-বাহিত নানা ধরণের রোগ বালাই হতে পারে এ সময়। রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাসজনিত পাতলা পায়খানা হতে পারে।মাথা ঘোরা এবং বমিভাব, কারো ক্ষেত্রে বমিও হতে পারে। এধরণের অসুস্থতা সাধারণত একটু সতর্ক হলে এড়িয়ে চলা সম্ভব।

কিন্তু অতিরিক্ত গরমে যদি কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ঝিমঝিম-ভাব হয় কিংবা মাথা ঘুরে পড়ে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ৭:৩০ অপরাহ্ন
কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় রায়পুরার এক ব্যবসায়ীর জরিমানা
এগ্রিবিজনেস

প্রচণ্ড গরম এবং রমজান মাসকে কাজে লাগিয়ে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আর এভাবে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করার অপরাধে নরসিংদীর রায়পুরার এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রায়পুরা ও শ্রীরামপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান খন্দকার।

এসময় জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা রায়পুরা বাজারে পিসের বদলে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু করেন। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে রায়পুরা বাজারে ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২১ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ১৪ ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড
এগ্রিবিজনেস

প্রচণ্ড গরম আর পবিত্র রমজান মাসে মানুষের তরমুজের চাহিদাকে পুঁজি করে বরিশালে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪ ব্যবসায়ীকে দিয়েছে অর্থদণ্ড।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের এই অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হাই ও রয়া ত্রিপুরা জানিয়েছেন, কিছু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে আসছিলেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনে অনেক অভিযোগ পাই। অভিযান চালালে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জানান, গরমের সুস্বাদু ফল তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে বিক্রি করছিল। তরমুজ ব্যবসায়ীরা তরমুজ কম দামে পিস হিসেবে ক্রয় করে সাধারণ মানুষের কাছে খুচরা কেজি দরে বিক্রি করে আসছিল। সিন্ডিকেট করে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি করছিল। এতে একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

নগরীর ফলপট্টি, জেল খানার মোড়, পোর্ট রোড, নতুন বাজার, চৌমাথা বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, বাংলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হাই ৮ জন ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ক‌রেন। অপর একটি অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা ৬ জন ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা ক‌রেন।

ব্যবসার নামে এমন প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

আরো পড়ুন: লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়

প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২১ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়
প্রাণ ও প্রকৃতি

এই গরমে যেন তরমুজ না হলে চলেই না। তরমুজ মানেই যেন একটু প্রশান্তি। তবে এর মাঝে যদি হয় লাল টুকটুকে তরমুজ তাহলেতো আরো মজা আর দারুণ স্বাদ। তাছাড়া গরমে তরমুজের জুস অনায়াসেই দেহে প্রশান্তি এনে দেয়। দেখা যায় অনেকেই বাজার থেকে এমন তরমুজ কিনে আনেন, যা কাটার পর লাল বা মিষ্টি কোনোটিই হয় না।

এই তরমুজ কিনতে গিয়ে যদি ঠকে যান তবে মন খারাপতো হবেই। এই জন্য জানতে হবে লাল এবং মিষ্টি তরমুজ কিনার উপায়।
নিম্মে লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো:

১. তরমুজের মাথার দিক খেয়াল করুন। যদি দেখেন হলুদ রঙ ধরেছে, তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।

২. তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। যদি ভেতরটা ফাঁপা মনে হয়, তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনো কাঁচা রয়েছে। পাকা তরমুজে প্রচুর         রস থাকে। ফলে তরমুজ ভারি হয়।

৩. তরমুজের গায়ে টোকা দিন। অতিরিক্ত ভারি আওয়াজ (ঠন ঠন আওয়াজ) হলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকে গেছে।

৪. তরমুজের আকৃতি খেয়াল করুন। যদি তরমুজ পুরো সমান হয়, তাহলে বুঝবেন পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫. খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের তরমুজ কেনাই ভালো।

৬. বাইরের উজ্জ্বল রঙ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ়, কালচে হয় দেখতে। চকচ‌কে উজ্জ্বল রং হ‌লে সে‌টি কাঁচা তরমুজ।

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ন
তরমুজের বাজারে ক্রেতা সংকট
প্রাণ ও প্রকৃতি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হঠাৎ ঊর্ধ্বগতিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুমিল্লার তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তরমুজের ভরা মৌসুম হলেও বিক্রি করতে না পারায় লোকসান গুনতে হচ্ছে জেলার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর।

বাজারে তরমুজের পাইকার নেই বললেই চলে। স্থানীয় বাজারেও ব্যবসায়ীরা তরমুজ উঠাতে পারছেন না। কেউ কেউ আবার বাজারে নিয়ে গেলেও ক্রেতা সংকটে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা।

তনু মিয়ার। কুমিল্লার নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার ফল ব্যবসায়ী, ১২ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় তরমজু ব্যবসা করে আসছেন। গত মৌসুমে করোনার কারণে দোকানপাট বন্ধ ছিলো। এবার তাই রোজা ঘিরে ১ লক্ষ ২০ হাজার দুটি তরমুজের চালান বরিশাল থেকে নিয়ে আসেন। গত কয়েকদিনে মাত্র ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করছেন তিনি। ক্রেতা না থাকার এরইমধ্যে চালানের প্রায় ৪০ হাজার টাকার তরমুজ পচে গেছে। বাকিগুলোতেও দ্রুত পচন ধরবে।

জেলার দাউদকান্দি উপজেলার কয়েকজন তরমজু চাষিরা জানান, মৌসুমের এ সময়টায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তরমুজ কেনার জন্য তাঁদের বাড়িতে ভিড় জমাতেন। অথচ করোনার কারণে এখন একজন ক্রেতাও পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকের কাছে তরমুজ কিনতে আসা তো দূরে থাক, তাঁদের খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ মিয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমার দোকানে প্রায় ২ই লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে ক্রেতা সংকটে সব তরমুজ অবিক্রিত পড়ে আছে।’

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop