১:৩১ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২১, ২০২২ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে বারিমুগ-৬’র ঊৎপাদনশীলতা বিষয়ক কৃষক সমাবেশ
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে বারি মুগ-৬’র ঊৎপাদনশীলতা বিষয়ক মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার চাঁদপাশা হাইস্কুলে বৃহত্তর বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী।

তিনি বলেন, মুগ দক্ষিণাঞ্চলের সম্ভাবনাময় ডাল ফসল। তাই এখানে সর্বোচ্চ উৎপাদন হওয়া চাই। তবে এজন্য উচ্চফলনশীল জাত ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে দরকার সময়মত পরিচর্যা আর রোগপোকা দমন। তাহলেই ফলন আশানুরূপ হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ছালেহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো রফি উদ্দিন এবং ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার।

বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজি উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাদারিপুরের আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রিয়াংকা চক্রবর্তী, এসও মো. মামুনূর রশীদ, এসও শাহিন মাহমুদ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২২ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কমছে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন
কৃষি বিভাগ

পটুয়াখালী সহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে নানা প্রতিকূলতায় কমছে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন। গত এক দশকে এই জেলায় সরিষা এবং তিল ফসলের চাষাবাদ কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে, তবে সাম্প্রতিক সময় জেলায় সূর্যমুখী এবং চিনা বাদামের উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে। তবে এলাকা ভেদে কৃষকের মাঠে আবারও কিভাবে তেল জাতীয় ফসল গুলো ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে কাজ করার কথা জানালেন কৃষিমন্ত্রী।

একটা সময় ছিল যখন কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল নিজেরাই উৎপাদন করতো। আর এ জন্য চাষ হতো সড়িষা, তিল, বাদাম, সূর্যমুখী। এ ছাড়া সড়কের পাশে কিংবা জমির আইলে লাগানো ভেরেন্ডা(ভেড়ন) থেকেও কৃষক পরিবার গুলো তেল সংগ্রহ করতো। তবে গত কয়েক দশকে বাজারে সয়াবিন এবং পাম ওয়েল সহজলভ্য হওয়ায় এসব ফসলের চাষাবাদ আশংকাজনক ভাবে কমেছে। ফলে শহর থেকে প্রত্যান্ত গ্রামেও এখন আমদানি নির্ভর ভোজ্য তেলের উপর নির্ভর করতে হয়।

দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতেও দিন দিন কমছে সরিষা এবং তিলের চাষ। দেরিতে আমান ধান কাটা, সেচের সুবিধা না থাকা, উচ্চ ফলনশীল বীজের সংকট এবং সার ও কিটনাশকের উচ্চমূল্যের কারনে তেল জাতীয় ফসলের আবাদে আগ্রহ কমছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহালগাছিয়া এলাকার কৃষক ইদ্রিস শেখ বলেন, আগে আমরা সব গিরস্ত বাড়ির লোকজনে সড়িষা চাষ করতাম। কিন্তু এখন আর কেউ চাষ করে না। এখন সব জায়গায় তো সয়াবিন তেলেই চলে, তাই বাজার থেকে সয়াবিন তেল কিনা আনি।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যসূত্র জানা যায়, পটুয়াখালী জেলায় গত বছল ৩৪৭ হেক্টর জমিতে সড়িষা আবাদ হলেও এ বছর আবাদ হয়েছে ২২৪ হেক্টর জমিতে, আর গত বছর ৩৭২ হেক্টর জমিতে তিল আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ১০৯ হেক্টর জমিতে। তবে সরকারী সহযোগীতা খাকায় সূর্যমুখী এবং চিনা বাদামের ফলন বাড়ছে। গত বছর পটুয়াখালী জেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হলেও এবার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে আর গত বছর ৪৪০০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হলেও এবার হয়েছে ৫৭৮৩ হেক্টর জমিতে।

সম্প্রতি পটুয়াখালী সহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে সফরে এসে এই এলাকার মাটি উপযোগী তেল ফসলের চাষাবাদ বাড়ানোর কথা জানালেন কৃষি মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক। এ জন্য চরের উর্বর বালি মাটিতে চিনা বাদাম চাষের প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২২ ৪:৪৮ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির নলছিটিতে সমলয়ের বোরোধান কর্তন উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ঝালকাঠিতে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতির বোরোধান কর্তন উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। আজ জেলার নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়ায় উপজেলার কৃষি অফিসের উদ্যোগে এই শস্য কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই কৃষকদের কথা চিন্তা করেই ভর্তূকিমুল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটা, মাড়াই এবং বস্তাবন্দি একই সাথে করা যায়। আর তা দ্রুত সময়ের মধ্যেই করা সম্ভব। এর মাধ্যমে কৃষিশ্রমিক সংকট দূর হয়। পাশাপাশি অর্থ ও শ্রম হয় সাশ্রয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই’র অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রিফাত শিকদার, উপজেলা কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান মিলি, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আলী আহমদ, নলছিটির সহকারি কমিশনার মাছুমা আক্তার, জেলা পরিষদের সদস্য খন্দকার মজিবুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা এস. এম. নাহিদ বিন রফিক, ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আব্দুল হক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. কাজল হোসেন, প্রদর্শনীচাষি জাকির হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান মিলি জানান, কৃষি প্রণোদনার কর্মসূচির আওতাধীন ৫০ একর বিশিষ্ট এ সমলয়প্লটে কৃষকের সংখ্যা ৮২ জন। তাদের ৩ শ’ কেজি হাইব্রিড ধানের বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। সেই সাথে ছিল ইউরিয়া ৪.৫ টন, ডিএপি ৩ টন এবং ২.৫ টন এমওপি সার। বোরো ধানের হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছে ৯ টন প্রায়। অনুষ্ঠানে দেড় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২২ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে মিষ্টি কুমড়া চাষে ২০ গুন লাভ, কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাটে এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। উৎপাদন খরচ কম ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকও খুব খুশি।

জানা গেছে, বিঘাপ্রতি মাত্র ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে খরচ বাদ দিয়েও লাভ থাকছে ২০ গুণেরও বেশি। বাজারে এমন দাম পাওয়ায় অনেকেই এখন মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো ফলনের ব্যাপারে কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ধান ও আলুর জন্য বিখ্যাত জয়পুরহাট জেলায় এবার ১৫৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। সারা বছর কম-বেশি কুমড়ার চাষ হলেও আলুর মৌসুমে এর চাষ বেশি হয় বলে জানা গেছে। জমিতে অল্প পরিমাণ সার ও সেচ দিলেই ফলন আসতে শুরু করে গাছে।

ইতিমধ্যে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দরে কুমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছে। খুচরা বাজারে ২৫-৪০ টাকা কেজি দরে কুমড়া বিক্রি হলেও কৃষক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন মাত্র ১৩ থেকে ১৫ টাকা দরে। এতেও বিঘাপ্রতি তাদের বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়েও ২০ গুণের বেশি লাভ থাকছে তাদের ।

স্থানীয় কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি ১২ শতক জমিতে থাইল্যান্ড ও সুইটি জাতের কুমড়ার চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ১২শ টাকা। কুমড়া চাষের তেমন কোন খরচ নেই সামান্য সার দিলেই হয়।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান,  জেলায় এবার ১৫৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ হয়েছে। এবার বাজার ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। প্রতি হেক্টরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ৯:৪২ অপরাহ্ন
বরিশালের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক সহকারিদের উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক সহকারি, ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক সহকারি এবং স্টাফদের দুইদিনের উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ আজ শেষ হয়েছে। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের উদ্যোগে এই ভ্রমণ আয়োজন করা হয়।

ভ্রমণের প্রথম দিন গোপালগঞ্জ সদর এবং দ্বিতীয় দিন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ভাসমান কৃষির কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়। এ সময় সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পটুয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম খান, পিএসও ড. আলিমুর রহমান, পিএসও ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান, এসও মো. রাশেদুল ইসলাম, এসও রাজি উদ্দিন, এসও মো. মাহবুবুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ।

প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, জলজ পতিত জমি চাষের আওতায় আনা এবং নিরাপদ ফসল উৎপাদন বাড়ানো এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উভয় অংগে সারা দেশে ৭১ টি উপজেলায় ভাসমান কৃষির কর্মকান্ড চলমান আছে। উদ্বুদ্ধকরণ এ ভ্রমণে ৮০ জন অংশগ্রহণ করেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে ব্রি উদ্ভাবিত বোরো ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বোরোর জাত প্রদর্শনীর শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাবুগঞ্জ উপজেলার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রির ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয় লাল বিশ্বাস এবং ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান কবীর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাবুগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহ মো. আরিফুল ইসলাম।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সায়েম, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম, ব্রির বৈজ্ঞানিক সহকারি আশিক ইকবাল, প্রদর্শনীচাষি মো. মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল জলিল প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রধান খাদ্য ধান। তাই আমাদের চাহিদা পূরণে এর উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য দরকার উচ্চফলনশীল জাত ব্যবহার। ব্রি উদ্ভাবিত বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে, যার ফলন হয় শতাংশপ্রতি ১ মন প্রায়। তবে এর পূর্বশর্ত সময়মতো চারা লাগানো। সে সাথে প্রয়োজন সুষ্ঠু সার প্রয়োগ আর সঠিক পরিচর্যা।

অনুষ্ঠানে অধিক ফলনশীল হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন, গবেষণা ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতাধীন শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ৩:৩৫ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ ধান চাষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরে প্রথমবারের মত উচ্চফলনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধান আবাদে সফলতা পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক মতিউর রহমান। বোরো মৌসুমের এই ধান দেশে এবারই প্রথম একশ’ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দিনাজপুরেই ৫০ একর জমিতে নতুন এই জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে।

বোরো মৌসুমের ব্রি ধান-২৮ ও অন্যান্য জাতের ধানের চেয়েও ফলন বেশি, আর উৎপাদন খরচও কম। এরইমধ্যেই উচ্চফলনশীল এই ধানের আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, নতুন জাতের এই ধান দেশে এবারই প্রথম এক’শ একর জমিতে চুক্তিভিত্তিতে আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে আবাদ হয়েছে ৫০ একর জমিতে। রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত দিনাজপুরের কৃষক মতিউর রহমান এই ধানের আবাদ করেছেন। কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়ায় অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষক মতিউর রহমান জানান, উচ্চফলনশীল ব্রি ধান ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ কম এবং ফলন বেশি হয়। প্রতি একরে ৮৫ মণ ধান পাওয়া যায়।

দিনাজপুর বিএডিসির বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ একটি উচ্চফলনশীল ধান এবং এ ধান থেকে উৎপাদিত চাল সরু এবং খাওয়ার উপযোগী। উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগে এবং এটি ব্রি ধান-২৮ থেকে ফলন অনেক বেশি।

উল্লেখ্য, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে উচ্চফলনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ এইধানের নাম দেয়া হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’। উদ্ভাবনের পর ফলন ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় কাটে পাঁচ বছর। ২০১৭ সালে ব্রি’র আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহের গবেষণা মাঠে এবং ২০১৯ সালে কৃষকের মাঠে পরীক্ষা করা হয়। এরপর ২০২০ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির ফলন পরীক্ষার পর ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ নামে এটি অবমুক্ত করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
পতিত জমি চাষে সব সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই ও আরও মজবুত করতে হলে চরাঞ্চল, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা, পাহাড়ি প্রতিকূল এলাকার জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। কোন জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। পতিত জমিতে যারা চাষ করবে তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

রবিবার (১৫ মে) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বারে ও বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর মাঠ পরিদর্শন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএডিসি‘র চুক্তিবদ্ধ চাষীদের সয়াবিন বীজ ফসলের মাঠ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী চরাঞ্চলে অবস্থিত অনাবাদি পতিত জমিতে তেল জাতীয় ফসল সয়াবিন, সুর্যমুখী ও সরিষার আবাদ বাড়ানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, তেল জাতীয় ফসল আবাদে উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি। এ বিষয়ে কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় বীজ, সার, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়া হবে।

চাষিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর অনাবাদী পতিত জমি গুলোকে আবাদের আওতায় আনতে আউশ ধানের উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে আমাদের বিজ্ঞানীরা । আপনারা স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন অধিক ফলনশীল এ জাতগুলো রবি ফসল কর্তনের পরপরই আবাদ করবেন। চাষাবাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সহযোগিতা দিতে বিএডিসি বীজ, সার ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। জাতগুলো কৃষকের কাছে সম্প্রসারণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে।

মন্ত্রী বলেন, লবণাক্ততা উপকুলীয় এলাকার একটি অন্যতম সমস্য। লবনাক্ত জমিতে চাষোপযোগী জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। লবণাক্ত এলাকায় লাউ, সীম, তরমুজ, সুর্যমুখী, মিষ্টি আলু ও সয়াবিন ফসলের ফলন ভাল হয়। এ ফসলগুলোর ক্রপিং প্যাটার্নে অন্তর্ভুক্ত করে চর এলাকার প্রত্যেকটি জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরন ও বাণিজ্যিকীকরণ এর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, বিএডিসির সুবর্ণচর প্রকল্পের পরিচালক আজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
চলতি মাসেই বাজারে দেখা যাবে দিনাজপুরের লিচু
কৃষি বিভাগ

লিচুর রাজ্য হিসেবে খ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বাগানগুলোয় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লিচুর গুটিতে রঙ আসতে শুরু করেছে। চলতি মাসেই দিনাজপুরের বাজারে উঠতে শুরু করবে মাদ্রাজি, চায়না- ৩ এবং বোম্বে জাতের লিচু।

লিচুর মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারদিক। ভালো ফলন পেতে লিচু চাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বীরগঞ্জ, খানসামা উপজেলায় সিংহভাগ লিচু উৎপাদন হয়। এ মাসেই দিনাজপুরের লিচু বাজারে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি মৌসুমে জেলার ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিতই চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচুর গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে মাদ্রাজি লিচু পাওয়া যাবে বলে জানান বাগান মালিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় ৫ হাজার ৭৮৭ হেক্টর  জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লিচুবাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার মেট্রিক টন।

জেলার বিরলের সফিকুল ইসলাম জানান, একটি বড় গাছে ২০-২৫ হাজার এবং ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠের পূর্বেই বৈশাখের মাঝামাঝিতে বাজারে উঠবে পাকা টসটসে লিচু।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাসুর রহমান বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে প্রায় ৬২টি লিচুর বাগান রয়েছে।  এর মধ্যে মাদ্রাজি, চায়না- ৩ এবং বোম্বে প্রধান লিচুর জাত। জুন মাসের ১ম সপ্তাহেই লিচুর জাতগুলো পরিপক্ক হয়ে বাজারে আসবে। চাষীরা এবার লিচু বিক্রয় করে লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, অপরিপক্ক লিচু যাতে বাজারে না আসে তার জন্য কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২২ ২:০২ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে সয়াবিন, লোকসানে কৃষক
কৃষি বিভাগ

লক্ষ্মীপুরের মাটি সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী হলেও গেলো কয়েক বছর থেকে আবহাওয়া অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে পাকা সয়াবিনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সয়াবিন ক্ষেতে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় আধাপাকা সয়াবিন পচে গেছে। চাষিরা সয়াবিন ঘরে তোলায় আগে ক্ষেতেই সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমির সয়াবিন ক্ষেত পানিতে ডুবে পচে গেছে। যার বাজার মূল্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

জানা যায়, দেশের উৎপাদিত সয়াবিনের ৮০ ভাগ উৎপাদিত হয় এ জেলায়। সয়াবিন চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কৃষক। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সপ্তাহ খানেক পর মাঠের সয়াবিন ঘরে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল কৃষকরা। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর-সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের পাকা সয়াবিন ক্ষেত পানিতে ডুবে পচন ধরেছে। সয়াবিন পচা দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে কিভাবে সামনের দিন কাটবে সে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সয়াবিন চাষিরা।

সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভূতি গ্রামের কৃষক সফিকুল আলম বলেন, দুই সপ্তাহ আগে ক্ষেতে পানি জমে ৩২ শতাংশ জমির সয়াবিন পচে গেছে। আমার মতো অনেক চাষি এবার ক্ষতির মুখে পড়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলায় সয়াবিনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫০ হাজার ৫৭৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ৯ হাজার হেক্টর কম। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টন।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, এবার সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষেতে থাকা ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের দ্রুত সয়াবিন কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop