১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২১, ২০২১ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
নওগাঁয় শুরু হয়েছে আম পাড়া
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সূচি শেষ হওয়ায় হস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দেশে আম উৎপাদনকারী অন্যতম জেলা নওগাঁয় গুটি আম পাড়া। তবে ২৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া কথা রয়েছে জেলা প্রশাসকের গাছ থেকে গোপালভোগ ও রানীপছন্দ আম পাড়ার মধ্য দিয়ে।

আম পাকাতে রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন জেলায় কোন জাতের আম গাছ থেকে কবে পাড়া শুরু হবে তা কয়েক বছর ধরে নির্ধারণ করে আসছে প্রশাসন।

নওগাঁয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামশুল ওয়াদুদ জানান, অনাবৃষ্টি ও রোগ-বালাইয়ে আমের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর আম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।গতবারের চেয়ে এ বছর জেলায় আমের উৎপাদন ৫০ হাজার মেট্রিক টন বেড়ে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন হবে। তাতে দেশ-বিদেশে আম বিক্রি করে চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করেন তিনি।

শামশুল ওয়াদুদ জানান, সরকারি হিসেবে জেলার বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, মহাদেবপুরসহ ১১টি উপজেলার ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আম চাষ হয়েছে। জমির এই পরিমাণ গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৫৫ হেক্টর বেশি।

এবার নওগাঁর গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ক্ষীরসাপাত, হীমসাগর, নাকফজলী, আম্রপালী, আশ্বিনা, বারি-৪ এবং ঝিনুক আমের চাষ হয়েছে। মহামারী পরিস্থিতিতে খাদ্যপণ্য পরিবহনে বিধি-নিষেধ না থাকায় আম কেনাবেচায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বেঁধে দেওয়া সময়ে পাড়া হলে আম স্বাভাবিক নিয়মে পাকবে। ফলে ভোক্তারা রাসায়নিকমুক্ত পরিপক্ক ও সুস্বাদু আম বাজারে পাবেন।

নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার সূচি

গোপালভোগ ও রানিপসন্দ আম পাড়া শুরু ২৫ মে

ক্ষীরসাপাত ও হীমসাগর আম পাড়া শুরু ২ জুন

নাকফজলী আম পাড়া শুরু ৪ জুন

লেংড়াআম পাড়া শুরু ১০ জুন

ফজলি আম পাড়া শুরু ২০ জুন

আমরুপালী আম পাড়া শুরু ২২ জুন

আশ্বিনা, বারি-৪ ও ঝিনুক আম পাড়া শুরু ৮ জুলাই

আম পাড়া শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবারই নওগাঁয় আমের বাণিজ্যিক কেনাবেচা শুরু হচ্ছে। আমচাষিরা বলছেন, বাজার ঠিক থাকলে এবার তারা আম বিক্রি করে লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২১ ৫:৪৫ অপরাহ্ন
জয়পুরহাটের গাছে গাছে রসালো কাঁঠাল
প্রাণ ও প্রকৃতি

জয়পুরহাটের শহর থেকে শুরু করে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গাছে গাছে দুলছে পুষ্টি ও ওষুধিগুণ সমৃদ্ধ সুমিষ্ঠ ফল কাঁঠাল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বারি কাঁঠাল- ১, ২ ও বাউ কাঁঠাল-১ ছাড়াও কোষের বৈশিষ্ট অনুসারে কাঁঠাল তিন প্রকারের হয়ে থাকে । এ গুলো হচ্ছে খাজা, আদরাসা ও গালা জাত। দেশে বিভিন্ন জেলায় কাঁঠালের চাষ হলেও জয়পুরহাট জেলাও পিছিয়ে নেই।

জেলায় ২০২০-২১ মৌসুমে ৪‘শ ৫৪ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন কাঁঠাল। কাঁঠালের ইংরেজি নাম Jackfruit হলেও বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Artocarpus heterophyllus. কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে শর্করা, আমিষ ও ক্যারোটিন রয়েছে। কাঁঠালের শাঁস ও বীজকে চীন দেশে বলবর্ধক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কাঁঠালের পোড়া পাতার ছাইয়ের সাথে ভূট্টা ও নারিকেলের খোসা একত্রে পুড়িয়ে নারিকেল তেলে সঙ্গে মিশিয়ে ঘা বা ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে ঘা শুকিয়ে যায়।  শিকড়ের রস জ্বর এবং পাতলা পায়খানা নিরাময়ে ভালো কাজ করে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ স ম মেফতাহুল বারি।

কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় ও পাকার পর বীজ তরকারি হিসেবেও খাওয়া হয় এবং তোতা বা মোথা গুলো গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

কৃষি বিভাগ আশা করছেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় জেলায় এবার কাঁঠালের বাম্পর ফলন হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
শখের আঙ্গুর চাষকে এখন পেশা করতে চাচ্ছেন কুমার
প্রাণ ও প্রকৃতি

শখের বসে আঙ্গুর কিনে বাড়িতে লাগিয়ে ছিলেন কিন্তু একেই এখন জীবিকার প্রধান উৎস করতে চাইছেন কৃষক প্রদ্যুৎ কুমার দাস।ত্রিপুরার উত্তর জেলার পানিসাগর এলাকার বাসিন্দা কৃষক প্রদ্যুৎ কুমার দাস কাজল গত ছয় বছর আগে ব্যাক্তিগত কাজে আগরতলায় এসে ছিলেন।

তখন রাস্তার পাশের ফুল ও ফলের চারা বিক্রির দোকানে আঙ্গুর চারা দেখতে পেয়ে একটি চারা কিনে বাড়িতে লাগান। কিছুদিনের মধ্যে গাছটি বেড়ে উঠে এবং দুই বছর পর প্রথম ফল ধরে।গত চার বছর ধরে তার এই লতায় ফল ধরছে।

কুমার  জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ধরে। তাই তার পরিকল্পনা আগামীতে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করার। তাই তিনি তার গাছ থেকে কিছু নতুন চারা তৈরি করেছেন। আঙ্গুরগুলি মিষ্টি, যদি কাউকে না বলে এই আঙ্গুর গুলি খেতে দেওয়া হয় তবে বুঝতেই পারবেন না যে এগুলি স্থানীয় না অন্য জায়গা থেকে আনা।

তার আঙ্গুর গাছে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার দিচ্ছেন না, শুধুমাত্র গোবর ও সবজির অবশিষ্ট অংশ দিচ্ছেন। আঙ্গুরের খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। শুকনো মৌসুমে পানি এবং গোবর সার দিলেই হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ১:২৯ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে চলছে অবাধে মাছ নিধন
প্রাণ ও প্রকৃতি

সুন্দরবন এলাকায় বিষ প্রয়োগে অবাধে মৎস্য নিধন করা হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের উৎকোচের বিনিময়ে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা এ কাজে সহায়তা করছে। অপরদিকে প্রকৃত জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের কালাবগী স্টেশন, পূর্ব বিভাগের ঝাপসি, ঢাংমারি এবং ভদ্রা টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন খালগুলোয় মৎস্য শিকার করে দাকোপের আইউব মোল্যা ও ঢাংমারি এলাকার মুন্না। ওই স্টেশনগুলোর মধ্যে ভদ্রা নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। গরমের এ মৌসুমে এই নদী মাছে পরিপূর্ণ থাকে। জেলেদেরও নজর থাকে ওই এলাকায়। ফলে এ নদীকে ঘিরে যতগুলো স্টেশন রয়েছে, সেগুলো ‘ম্যানেজ’ করেই মাছ ধরেন ওই দুই ব্যবসায়ী। তাদের নিয়োজিত জেলেরা চালের ড্রামে করে ইন্ডিয়ান রিপকর্ড বিষ নিয়ে যায়। সেটি সুন্দরবনের নির্ধারিত স্থানে লুকিয়ে রাখে। সুবিধামতো সময়ে এ বিষ ব্যবহার করে তারা।

কালাবগী স্টেশনে এক বছর আগে যোগদান করেন স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল হোসেন। এ সময় ধরেই আইউব মোল্যা ও মুন্না ভদ্রাসহ আশপাশের খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে। তারা কালাবগী এলাকার কাওসার সানা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে স্টেশনগুলোয় নৌকাপ্রতি ৩ হাজার টাকা দেয়। এরপর ওই টাকা কালাবগী স্টেশনের বোটম্যান তারেকের মাধ্যমে কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। অর্থ পরিশোধ হলেই তারা এসব এলাকার খালে মাছ ধরে। নিষিদ্ধ এলাকা, বিষ দিয়ে মাছ ধরা, নিষিদ্ধ ডুবোজাল দিয়ে মৎস্য শিকার করে তারা।

অপরদিকে যেসব জেলে স্টেশনগুলোর চাহিদামতো অর্থ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, তারা মাছ ধরতে পারছে না। পশ্চিম বিভাগের পাশ নিয়ে আইয়ুব, মুন্নাসহ আরও কয়েক ব্যবসায়ী কখনো পূর্ব বিভাগ, কখনো পশ্চিম বিভাগে মাছ শিকার করছে। সিন্ডিকেট করে তারা সাধারণ জেলেদেরও প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বৈধ খালগুলোয়ও। চলতি বছরের প্রথমদিকে আইউব মোল্যা ও মুন্নার জেলেরা নিষিদ্ধ ডুবোজাল নিয়ে ধরা পড়ে ঢাংমারি ও ঝাপসি এলাকায়।

তবে অদৃশ্য হস্তক্ষেপে তাদের আবার ছেড়েও দেন স্টেশনের কর্মকর্তারা। অভিযোগ ওঠে, অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ওই জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর ডিবি ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে তাদের ৭টি নৌকাসহ ৮ জন আটক হয়। তাদেরকে আদালতেও পাঠানো হয়। এরপর কিছুদিন বন্ধ থাকলেও বর্তমানে তারা ঢাংমারি স্টেশন কর্মকর্তা, কালাবগি ও ঝাপসি টহল ফাঁড়ি ম্যানেজ করে দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ঢাংমারি স্টেশনে (গোনে) ৩০ হাজার টাকা, স্টাফদের পৃথক ১০ হাজার টাকা ও জোংড়া টহল ফাঁড়িকে ১০ হাজার টাকা হারে পরিশোধ করেন। খুলনা-রূপসা ফিশের মহুরি মো. সাহেব আলী বন বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় অর্থের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেন বলেন, আমার কোনো জেলে বিষ দিয়ে মাছ ধরে না। মুন্নার জেলে একাধিকবার ধরা খেয়েছে প্রশাসনের হাতে। কিছু জেলে আছে যারা কালাবগি এলাকার খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরে।

এ ব্যাপারে ঢাংমারি স্টেশনের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষ দিয়ে মাছ ধরা আগের তুলনায় কমেছে। তবে অনেকেই অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে। আইয়ুব ও মুন্নাসহ কয়েক ব্যবসায়ী কালাবগি থেকে পাশ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরে। অর্থ লেনদেনের কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমরা টহলও জোরদার করেছি।’

জেলের সূত্রটি দাবি করেছে, সরকারি পাশ-পারমিটের রাজস্ব ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। সেখানে কালাবগি স্টেশনে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নৌকায় তিনজন হলে থোক ২ হাজার টাকা দিতে হয়। চারপাটা ও খেপলা জালে ২ জনে ১ হাজার ও বেন্দি জালের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে দিতে হয়। বিএলসি নবায়নে ৭৫ থেকে ১১০ টাকা রাজস্ব প্রদানের নিয়ম হলেও ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

কালাবগি স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল হোসেন বলেন, ঢাংমারি ও ঝাপসি পূর্ব বিভাগের মধ্যে। কালাবগি স্টেশন থেকে পাশ নেয় অনেকেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরে। জেলেদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ নেওয়া হয় না। এছাড়া বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে বন বিভাগ এখন খুবই কঠোর। অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা হয় না বলে তিনি দাবি করেন। সূত্র: যুগান্তর

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৩:১৭ অপরাহ্ন
বাজারে আসতে এক সপ্তাহ বাকি, ফেটে যাচ্ছে লিচু
প্রাণ ও প্রকৃতি

দিনাজপুরের লিচু বাজারে আসতে আর দিন সাতেক বাকি। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার একে তো ফলন হয়েছে কম, তার ওপর দাবদাহে গাছেই ফেটে যাচ্ছে লিচু।লিচু বাগানি ও চাষির কপালে পড়েছে চিন্তার রেখা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, লিচু চাষে দিনাজপুরে রীতিমত বিপ্লব ঘটেছে। ২০১২ সালে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছিল। ২০১৬ সালে এসে ৪ হাজার ১৮০ হেক্টরে দাঁড়ায়। ২০২০ সালে তা দাঁড়য় ৬ হাজার হেক্টরে। এরপর এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৪৬ হেক্টরে।

বিরল উপজেলার বাগান মালিক মতিউর রহমান জানান, এবার প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত মৌসুমের চেয়ে লিচুর ফলন অনেক কম হয়েছে। একই কারণে লিচুর আকার ও স্বাদেও পরিবর্তন এসেছে। স্বাভাবিক রং ধরার আগেই মাদ্রাজি ও মুম্বাই লিচু পেকে ফেটে যাচ্ছে। সাত-আট দিন পরই মুম্বাই, বেদানা ও চায়না থ্রি জাতের লিচু বাজার উঠবে বলে আশা করছেন তিনি।

সবচেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে দিনাজপুর সদরের মাসিমপুর, পুলহাট, সিকদারহাট, গোপালগঞ্জ, বাশেরহাট এবং বিরল উপজেলার মাধববাটি, করলা, নারাবাড়ি, হুসনা, রবিপুর ও কাজিপাড়ায়। সেখানে মাদ্রাজি ৩০%, মুম্বাই ৩৯%, বেদানা ৫%, চায়না থ্রি ২৫% ও কাঁঠালি মুম্বাই ১% জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদিত লিচুর ২০% দিনাজপুরে এবং ৮০% দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়ে থাকে।

জানা যায়,  লিচু ফেটে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে লিচু বাগানে সেচ না দেয়ায় গাছের খাদ্য চাহিদা বেড়ে যায়। শেষ সময়ে বৃষ্টির কারণে গাছ অতিরিক্ত পানি শোষণ করায় লিচুর ভেতরের অংশ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেভাবে বাইরের অংশ বৃদ্ধি পায়নি সে কারণে ও দাবদাহের কারণে লিচু ফেটে যাচ্ছে।

 

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
জুনের শেষে বাজারে আসবে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম
প্রাণ ও প্রকৃতি

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর, রংপুর সদর, বদরগঞ্জ এই তিনটি উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ হচ্ছে। সরকারিভাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রংপুরের এই তিন উপজেলায় গতবারের চেয়ে এই আমের চাষ বেড়েছে অনেক। জুন মাসের শেষ দিকে হাঁড়ি ভাঙ্গা আম বাজারে আসতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগ।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরাহাট, পদাগঞ্জ, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গোপালপুর, নাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর নগরের বড়বাড়ী, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউপির কাঁটাবাড়ি এলাকাগুলো রয়েছে বিশাল বিশাল বাগানে সারি সারি আম গাছ। থোকায় থোকায় রয়েছে সবুজ আম। গ্রামের প্রতিটি সড়কের দুই ধারে, প্রতিটি বাসা-বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা লাগানো হয়েছে আমগাছ।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি বছর রংপুরের আট উপজেলায় ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির আমবাগানে ফলন এসেছে। এর মধ্যে রংপুর মেট্রপলিটন এলাকায় ২৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৬০ হেক্টর, কাউনিয়া উপজেলায় ১০ হেক্টর, গংগাচড়া উপজেলায় ৩৫ হেক্টর, মিঠাপুকুর উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হেক্টর, পীরগাছা উপজেলায় ৫ হেক্টর, বদরগঞ্জ উপজেলায় ৪০০ আর তারাগঞ্জ উপজেলায় ১৫ হেক্টর রয়েছে।

মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ এলাকার আমচাষী জানান, ২৪ শতক জমিতে আম গাছ থাকে ৪০ থেকে ৪৫টি। কীটনাশক, সার আর শ্রমিকসহ খরচ হয় সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর আম বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

আমচাষি সবুজ আহমেদ জানান, আট থেকে ১০ বছর আগেও জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ চরম অভাবে ছিলেন। তিন বেলা তো দূরের কথা, অনেকের এক বেলাও খাবার জুটত না। এলাকার মাটি লাল হওয়ার কারণে এখানে বছরে একবার ধান হতো। বাকি আট মাস জমি পড়ে থাকত। কিন্তু হাঁড়িভাঙা আম ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

রংপুরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের সম্প্রসারক আব্দুস সালাম জানান, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় এই হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান এখন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় করা হয়েছে। আমটির ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় এই আমের সুনাম দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। রংপুর অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র বদলে দিচ্ছে ।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার জানান, রংপুরে এখন ব্যাপকভাবে এই আম চাষ হচ্ছে। এই আম চাষে খুব একটা পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় না হওয়ায় মানুষ আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তিনি বলেন, রংপুরের আট উপজেলায় এবার হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টরে। অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়েছে ৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে। শিলাবৃষ্টি বা ঘুর্ণি ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে হাড়িভাঙ্গা বিদেশেও রপ্তানী করা যাবে। এ অঞ্চলে আম সংরক্ষণের জন্য বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, ‘আম বেচা-কেনায় যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় এবং পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে প্রশাসন জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২১ ১:৩১ অপরাহ্ন
দু‘টি হরিণ দিয়ে শুরু করে এখন ৬টি হরিণের মালিক রিয়াজ!
প্রাণ ও প্রকৃতি

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের মোহনপুর গ্রামের আলী মন্ডলের ছেলে রিয়াজ মাহমুদ(৩০) ২ বছরে দুটি হরিণ থেকে এখন ৬টি হরিণের মালিক। তিনি এখন ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৬টি হরিণের মালিক হয়েছেন।

জানা যায়, ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স শেষ করে বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্পে চাকরি নেন রিয়াজ। ছাত্রাবস্থায় হরিণ চাষের দিকে তার ছিলো প্রবল আগ্রহ। তাই চাকরি করলেও খুঁজতে থাকের হরিণ চাষের সুযোগ। তাই সে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ না হয়ে গেলে হরিণ পালনের প্রবল ইচ্ছা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।

অবশেষে বন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে ২০১৮ সালে শখের বশে দুটি হরিণ পালন শুরু করেন। সেই দুটি থেকে এখন মোট ৬টি হরিণ হয়েছে তার খামারে। নিজ বাড়ির আঙিনায় শখের বশে হরিণ পালন করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন রাজবাড়ীর রিয়াজ মাহমুদ। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন ভবিষ্যতে এই খামারটি সম্প্রসারণ করে দুই শতাধিক হরিণ পালনের। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সেটি সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চিত এই যুবক। আইনি জটিলতা থাকার কারণে তাকে এগোতে হচ্ছে ধীরগতিতে।

হরিণ এখন বিলুপ্তির পথে। এই প্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে হলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। হরিণ একটি লাভজনক প্রাণী। এটিকে যদি বাণিজ্যিকভাবে পালনের জন্য সরকার আইনি প্রক্রিয়া সহজ করেন তাহলে এটি দেশের অর্থনৈতিক খাতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে জানানিএই তরুণ উদ্যোক্তা রিয়াজ মাহমুদ।

রিয়াজ বলেন, হরিণ যাতে সবাই পালন করতে পারে সে জন্য নীতিমালা শিথিলসহ ট্যাক্স কমানো ও লাইসেন্স গণহারে দেওয়া উচিত। হরিণের বিলুপ্তি ঠেকাতে গবাদি পশুর মতো হরিণের খামারের অনুমোদন দেওয়া উচিত। আমি নিজেই প্রতিদিন হরিণগুলোর খাবার দেয়াসহ সার্বিক যত্ন নিই।

রিয়াজ আরো জানান, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে ২০১৮ সালে দুটি হরিণ কিনেছি বরিশালের একটি খামার থেকে। সে দুটি হরিণ থেকে এখন আমার এখানে ছয়টি হরিণ হয়েছে। যার প্রতিটির সরকারি মূল্য ৭০ হাজার টাকা। ৪৪ শতাংশ জমির উপর এই খামারটি। এটিকে সম্প্রসারণ করে এক একর জমির উপর করার ইচ্ছা রয়েছে। সরকারি অনুমতি পেলে সেটি করার স্বপ্ন দেখছি। যেখানে দুই শতাধিক হরিণ পালন করা যাবে।

কালুখালী উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. প্রদীপ কুমার সরকার জানান, হরিণ যেহেতু একটি অর্থকারী প্রাণী সেহেতু বাণিজ্যিকভাবে হরিণের খামার তৈরি করা গেলে, দেশে অর্থনৈতিকখাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। কালুখালীতে যে খামারটি রয়েছে সেটিতে আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সব সময় সহযোগিতা করছি। এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই ভেটেনারি সার্জন।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, বাণিজ্যিকভাবে হরিণের খামার করলে দেশের অর্থনৈতিকখাতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। কালুখালীতে যে খামারটি রয়েছে সেটিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২১ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
‘বজ্রপাতে’ একসঙ্গে ১৮টি হাতির মৃত্যু(ভিডিও)
প্রাণ ও প্রকৃতি

ভারতের আসামের নাগাঁও জেলার একটি বনে বজ্রপাতে ১৮ টি হাতি মারা গেছে। বুধবার রাতে কাঠিয়াতলি রেঞ্জের কুন্ডোলির প্রস্তাবিত রিজার্ভ ফরেস্টের একটি পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটেছিল, প্রধান বন সংরক্ষক (বন্যজীবন) অমিত সহায় জানিয়েছেন।

বুধবার (১২ মে) আসামের নওগাঁ জেলার কাথিয়াটোলি রেঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে একটি ছোট টিলার পাশে ১৮টি হাতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তখন ওই এলাকায় ব্যাপক বজ্রপাত হচ্ছিল।

ওই রেঞ্জের বন দফতরের প্রধান অমিত সহায় জানান, ঘটনাস্থলটি দুর্গম এলাকায়। জঙ্গলের অনেক গভীরে হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে বনকর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। হাতিগুলো দুটো দলে বিভক্ত ছিল। দেখা গিয়েছিল যে মৃতদেহ দুটি দলে পড়ে আছে। চৌদ্দটি হিলের উপরে ছিল এবং চারটি পাহাড়ের নীচে পাওয়া গেছে,” বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে আমরা হাতিগুলোর অন্য কোনো কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনও পাইনি। মৃত হাতিগুলোর শরীরে কোনোরকম ক্ষতচিহ্ন ছিল না বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২১ ১০:১৯ অপরাহ্ন
বাঘায় আম কুড়াতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
প্রাণ ও প্রকৃতি

রাজশাহীর বাঘায় আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় জহুরুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে এক যুবকের।

শনিবার(১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বাউসা ইউনিয়নের চকরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জহুরুল ইসলাম বাবু ওই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক জানান, বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যায় জহুরুল ইসলাম বাবু (৩২)। এ সময় বজ্রপাতে সে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে মেডিকেলে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২১ ৩:৪৫ অপরাহ্ন
আজ থেকে শুরু রাজশাহীতে মৌসুমের আম পাড়া
কৃষি বিভাগ

প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় শেষ। মওসুমের প্রত্যাশিত রাজশাহীর আম আজ (১৫ মে) গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে। প্রথম দিন সব ধরনের গুটি আম পাড়ছেন সেখানকার আম চাষিরা। চাষিরা বলেছেন, এবছর ফলন ভালো।

আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় নামবে গোপালভোগ আম। এর আগে অসময়ে কাঁচা আম পেড়ে কেমিকেল ব্যবহার করে পাকানো রোধ করতে আম পাড়ার ন্যূনতম সময় বেঁধে দেয় প্রশাসন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে মৌসুম জুড়েই মনিটরিং করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, রাজশাহীতে এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমি থেকে আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। ঝড়-ঝঞ্ঝার কবলে না পড়লে এ আম দিয়েই দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop