২:২৮ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৯, ২০২২ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
আগামীকাল ঈদ, বর্জ্য পরিস্কারে রাজধানীতে কাজ করবে ২০ হাজার কর্মী
প্রাণ ও প্রকৃতি

আগামীকাল মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদুল আজহাতে রাজধানীতে হওয়া কোরবানির বর্জ্য খুব দ্রুত পরিস্কার করতে কাজ করবে প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এমন আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করার লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নিয়েছে আলাদা পরিকল্পনা৷ বাতিল করা হয়েছে কর্মীদের ছুটি৷

কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিষ্কার কার্যক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রায় ৯ হাজার কর্মী কাজ করবেন৷ পরিচ্ছন্নতার কাজে ডিএসসিসির নিজস্ব ময়লার গাড়ি ছাড়াও রাজউক, ওয়াসাসহ কয়েকটি সংস্থা থেকে নেওয়া মোট ৩০০ গাড়ি কাজ করবে। কোরবানিদাতাদের মধ্যে ২৫ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডারসহ বিতরণ করা হবে পরিবেশবান্ধব ১ লাখ ২০ হাজার পলিথিন। ৫৪০ লিটার স্যাভলন দেওয়া হবে। ময়লা নেওয়ার পর পশু জবাইয়ের জায়গাটি পরিষ্কার করার জন্য মাঠে থাকবে পানির গাড়ি।

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কার্যক্রম মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে সচিত্র তদারকি করতে ১০টি টিম গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সংস্থার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি টিম গঠন করা হয়। ১০ জুলাই দুপুর ২টা থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত টিমগুলো পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা ঈদের আগের দিন রাত ২টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব এবং কোরবানির বর্জ্য ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করবো।’

কোরবানির পশু বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসির ৯ হাজার ৯০০ কর্মী কাজ করবেন। বর্জ্য সরাতে নিজস্ব ১৫০টি ডাম্প ট্রাক বা খোলা ট্রাক, ৪৭টি ভারী যান এবং ১০টি পানির গাড়ির পাশাপাশি ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য সংগ্রহের কাজে ভাড়া করা আরও ১০৮টি পিকআপ কাজ করবে প্রথম দিন। এ ছাড়া দ্বিতীয় দিন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে ৫৪টি পিকআপ। পরিবেশের ক্ষতিকারক না, এমন ৫ লাখ ব্যাগ দেওয়া হবে কোরবানিদাতাদের। স্যাভলন বিতরণ করা হবে ৪ হাজার ৩৩০ লিটার। এ ছাড়া বিতরণ করা হবে ৫৩ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার।

কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ঈদে ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। কোরবানি বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় পরিষ্কারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাড়ছে বাংলাদেশের আমের চাহিদা
প্রাণ ও প্রকৃতি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের নাগরিকরা মূলত বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন আম খুবই পছন্দ করেন।

সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশে উৎপাদিত রসালো এই ফলটির চাহিদা বাড়ছে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও কানাডাতেও রয়েছে বাংলাদেশি আমের বহু ক্রেতা।

ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদার কারণে ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশের আম রপ্তানি ৪ গুণ বেড়েছে।

গত মে মাস পর্যন্ত শেষ ১১ মাসে দেশের ব্যবসায়ীরা আকাশ পথে ৯৮০ টন আম বিদেশে পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি এবং ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্থানীয় আম চাষিরা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী হলুদ জাতের আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশি আম পাকার পরও সবুজ থাকার কারণে চাহিদা কিছুটা কম।

তবে, সুখবর হলো দেশের গবেষকরা এখন হলুদ জাতের আম উৎপাদনে কাজ করছেন।

এ ছাড়া আরও একটি ভালো খবর হলো, ২০২১ সালে দেশে ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হওয়ায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষ আম উৎপাদনকারী দেশ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২২ ১০:২২ অপরাহ্ন
এলডিডিপির উদ্যোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত অঞ্চলের প্রাণীর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার সমমূল্যের মেডিসিন ও ২.৫ টন গো-খাদ্যের ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ডা. মোঃ আছাবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. এ.এম.এম. গোলাম মর্তুজা, উপদেষ্টা ডা. জামিল আহমেদ, সিলেট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাসেল মাহমুদ, অত্র অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এল.এফ.এ ও এল.এস.পি।

অত্র অঞ্চলে বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। পানিবন্দী অবস্থায় অসহায় জীবনযাপন করছে মানুষ ও গবাদি প্রাণী।বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছে গবাদি প্রাণী ও হাঁস-মুরগি।বন্যার পানি ঢোকায় গরু-ছাগল এবং হাঁস মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে চারণ ভূমির ঘাস, আবাদকৃত ঘাসের ক্ষেত এবং খড়ের গাদা।খাদ্যের ও মেডিসিনের অভাবে মারা যাচ্ছে অনেক প্রাণী।

এই কঠিন মুহূর্তে খামারিরা মেডিসিন ও গো-খাদ্য পেয়ে অনেক আনন্দিত।তারা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি)কল্যাণ পরিষদের সাফল্য কামনা করেছেন।

ত্রাণ বিতরণ হয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমানা ঘেঁষে বাংলাদেশের তাহেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোসহ সুনামগঞ্জের শনির হাওর,ডেকার হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২২ ৪:৪১ অপরাহ্ন
কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
প্রাণ ও প্রকৃতি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানি ও কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যত্রতত্র পশু জবাই করা হতে বিরত থাকতে এবং সুনির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে গর্তের মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ রেখে মাটি চাপা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ/পাত্র ব্যবহার এবং জবাইকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ডাস্টবিন অথবা নির্ধারিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানানো হয়।

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা ও অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব(পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চার লক্ষ কপি প্রচারপত্র সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগ ও জেলা কার্যালয়, জেলা প্রশাসন এবং জেলা তথ্য অফিস-সহ অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে দেশব্যাপী বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও, পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা দেশের মসজিদসমূহে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মসজিদের ইমামদেরকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে করণীয় সম্পর্কে জুম্মার নামাজে বক্তব্য রাখার আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি চ্যানেলে ও প্রচার মাধ্যমে কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণ সংক্রান্ত বার্তা প্রচারের অনুরোধ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২২ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
সিলেটে বন্যা, মাছচাষে ১৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেটে মাছচাষে ১৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। সুনামগঞ্জের খামারিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রায় ৩২ হাজার ৮০২ জন খামারি ৫ হাজার ২৫৮ হেক্টর জমিতে কার্পজাতীয় মাছের চাষ করছিলেন। দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মৌসুমি বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় ও আসামের ঢাল থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় তাদের আর্থিক লাভের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

সিলেটে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ‘এটি একটি প্রাথমিক প্রাক্কলন। খামারিদের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে। কারণ সুনামগঞ্জের প্রায় সব খামারই পানিতে ভেসে গেছে।’

স্থানীয় খামারিরা এমন এক সময় এ ধরনের ক্ষতির শিকার হলেন, যখন এ অঞ্চলে মাছ চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছিল। দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে এবং সঙ্গে বেড়েছে প্রোটিনের চাহিদা। ফলে অনেকেই আশা করছিলেন এই বর্ধিত চাহিদার সুযোগে বাড়তি লাভ করতে পারবেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরে চাষের মাছে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। সেই অর্থবছরের মত ৪৫ লাখ টন উৎপাদিত মাছের ৫৭ শতাংশই এসেছে কালচার্ড ফিস (চাষের মাছ) থেকে। যেটি প্রোটিনের সাশ্রয়ী উৎস হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তর  এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে বছর মাছ চাষের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।

এক দশক আগে, কালচার্ড মাছের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন। মৎস্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি মোট উৎপাদনের প্রায় ৪৭ শতাংশ।

সিলেটে দেশের কালচার্ড মাছের মোট উৎপাদনের ৩ শতাংশ উৎপাদিত হয়।

কর্মকর্তারা জানান, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন কার্যক্রম মূলত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ। সেখানে খামারিরা মাগুরমাছ ও মিঠাপানির চিংড়ি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

সহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেন জানান, এ অঞ্চলে কার্পের পাশাপাশি তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের চাষ ইতোমধ্যে প্রচলিত আছে।

কর্মকর্তারা জানান, বন্যার কারণে খামারে সৃষ্ট ক্ষতি একইসঙ্গে খামারি ও ভোক্তা উভয়কেই প্রভাবিত করবে।

মোতালেব হোসেনের মতে, খামারিদের উচিৎ বন্যার হাত থেকে তাদের মৎস্য খামারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য জাল ব্যবহার করা।

শীর্ষ পোল্ট্রি ও ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম. মশিউর রহমান জানান, সিলেটে তাদের ২টি হ্যাচারি ও ২টি মাছের খামার আছে।

‘আমরা আগে বন্যার পানির প্রবাহকে বাঁধা দেওয়ার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বেশি উঁচু একটি বাঁধ তৈরি করেছিলাম। পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা জালগুলোর উচ্চতাও বাড়িয়েছি’, যোগ করেন তিনি। সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
গবাদিপশু বাঁচাতে মরিয়া বানভাসিরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

নেই থাকার নিশ্চয়তা। জানা নেই খাবার মিলবে কিনা। এত অনিশ্চয়তার মাঝেও গবাদিপশুকে বাঁচাতে মরিয়া কুড়িগ্রামের বানভাসি মানুষ। জেলায় বেড়েই চলেছে নদ-নদীর পানি, বাড়ছে দুর্ভোগও।

ঘরের ভেতরে বিছানা ছুঁইছুঁই পানি। নতুন আশ্রয়ের খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন বাবা-মা। দুদিন ধরে জ্বলেনি চুলাও। তাই কুড়িগ্রাম সদরের পোড়ার চরের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমা, বিস্কুট খেয়ে মেটাচ্ছেন ক্ষুধার জ্বালা।

প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে এমনই যুদ্ধ চলছে কুড়িগ্রামের হাজারো পরিবারের। কারও ঘরে নেই খাবার, আবার কারও নেই ঘুমের জায়গা। অনেকের নৌকাই একমাত্র ভরসা।

নিজেদের জীবন যখন বিপন্ন, তখনও গবাদিপশু রক্ষায় মরিয়া বানভাসি মানুষ। বলছেন, বন্যার পর গবাদিপশুই হবে বেঁচে থাকার সম্বল।

কুড়িগ্রামে বেড়েই চলেছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বানে ডুবলো সিলেট,উদ্ধারে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য নৌবাহিনীরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকায় ক্রমাগত পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগর, ২০টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ২৫ লাখ মানুষ।

এরই মধ্যে বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দুই জেলার ৮ উপজেলায় সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন এবং ৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। নৌকা দিয়ে বাড়িঘর থেকে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয় আসছেন সেনা সদস্যরা।

সিলেট সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিলেটের ৩ উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলায় সেনাবাহিনী পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালাবে। এর মধ্যে সিলেট জেলার সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলার সদর, দিরাই, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলা রয়েছে।

হামিদুল হক আরও জানান, সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি খাদ্য গুদাম হুমকিতে রয়েছে। এগুলো রক্ষায়ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন।

জিওসি জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় পাঁচটি কাজ করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা। বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। বন্যা আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা। স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সীমিত পরিসরে খাদ্য সামগ্রী ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, সেনাবাহিনী নিজস্ব নৌকা দিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করছে। ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আরও ‘রেসকিউ বোট’ আনা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের নৌকাগুলোও উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। নদনদী ও হাওরের পানি হু হু করে বাড়ছে। সুরমার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় এক থেকে দেড় ফুট করে পানি বেড়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্ধেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সময়ে সময়ে পানি বাড়ায় পুরো শহর প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২০ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এ কারণে পানি কমার সম্ভাবনা নেই। পানি আরও বাড়লে সিলেটে চরম বিপর্যয় দেখা দেবে। বাসস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২২ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
টানা বৃষ্টিতে নাকাল সিলেট
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেটে টানা বৃষ্টি এবং অব্যাহত পাহাড়ি ঢলের কারণে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি। এরইমধ্যে সিলেট নগরীসহ অনেক উপজেলা পানিতে পুরোপুরি প্লাবিত।

শনিবার সকালে সিলেটে নতুন করে বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া টানা বর্ষণের কারণে কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, সদর উপজেলাসহ আরও অনেক জায়গায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবারের তুলনায় আজ পানির উচ্চতা আরও বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বন্যার পানি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা একমাত্র আল্লাহ জানেন।

এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার শাহেদ হাতিমি বলেন, টানা বৃষ্টিতে গত রাতে আমার ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক আসবাবপত্র পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সারারাত খাটের উপরে বসে নির্ঘুম অবস্থায় কাটিয়েছি। যত সময় যাচ্ছে পানি বাড়ছে। পানি খুব দ্রুত বাড়ছে।

এদিকে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ চৌধুরী জানান, সোমবারের আগে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা নেই। এভাবে টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে পানি স্বাভাবিকভাবেই আরও বাড়বে। অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এসময় পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন করে আরও কিছু এলাকা তলিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
১৬ জুন ফল মেলা শুরু, সর্বসাধারণের জন্য থাকবে উম্মুক্ত
কৃষি বিভাগ

আগামী ১৬ জুন জাতীয় ফল মেলা শুরু হচ্ছে। তিন দিনের এই মেলা চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। মেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।

রাজধানীর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এই মেলা চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। গত ২ বছর করোনা মহামারির কারণে জাতীয় ফল মেলা করা সম্ভব হয়নি।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন দেশি ফলের প্রদর্শনীর মাধ্যমে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের, বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে হতো ৫৬ প্রজাতির।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন, আর বর্তমানে ফলের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন। বিগত ১২ বছরে ফলের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২২%। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানাজাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার ছিল ৫৫ গ্রাম যা বেড়ে এখন হয়েছে ৮৫ গ্রাম।’

বর্তমান সরকার এখন সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ফলমূলকে পচনের (২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হার) হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের সংগ্রহত্তোর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাত সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। এসব বিষয়ে ফলের উৎপাদনকারী বা চাষি, পরিবহণকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী, ভোক্তাসহ সবার সচেতনতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় জাতীয় ফল মেলার আয়োজন করে থাকে।’এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২২ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
সাপের খামার যেন এখন এক দুঃস্বপ্ন তার
পাঁচমিশালি

পরিকল্পনা ছিলো সরকারি অনুমোদন পেলে সাপের বিষ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে দেশসেরা উদ্যোক্তা হবেন। কিন্তু রাজ্জাকের সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ২০০০ সালে নিজ বসত বাড়ির পাশে তৈরি করেন বিষধর সাপের খামার পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের নন্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক বিশ্বাস।

সম্প্রতি সাপের কামড়ে তার খামারের এক কর্মচারীর মৃত্যুর পর খামারটি বন্ধ করতে উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। তবে রাজ্জাকের দাবি, সরকারি সব নিয়ম মেনেই খামার পরিচালনা এবং খামারের অনুমোদনের জন্য তিনি অবেদন করেছেন। যে প্রক্রিয়া এখনও চলমান। সেক্ষেত্রে খামারটি বন্ধ করলে তার প্রতি অন্যায় করা হবে। এদিকে সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি অংকুরেই বিনষ্ট না করে এটি কীভাবে অনুমোদন এবং নিয়মের মধ্যে নিয়ে আশা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের।

রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, ২০০০ সালে একটি কিং কোবরা সাপ এবং ২৪টি ডিম দিয়ে তার এই খামারের যাত্রা শুরু। ২০০৮ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বেসরকারি পর্যায়ে সাপ এবং কুমিরের খামার স্থাপনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করলে এর আলোকে আবেদন করেন তিনি। তবে সেই আবেদনের আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

কোনো পথ না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেন রাজ্জাক বিশ্বাস। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ড. মো. সহিদুল্যাহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি চিঠি দেন। যাতে রাজ্জাক বিশ্বাসের মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ স্নেইক ভেনম’ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলে বিধি মোতাবেক খামার অনুমোদনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়।

প্রথমদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খামারের অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও বন বিভাগ এক্ষেত্রে আপত্তি জানায়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইনগত মতামত দেওয়ার জন্য বন বিভাগের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাপের খামারের অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বন বিভাগ একটি খসড়া আইন তৈরি করে।

রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের নিউ টাউন শাখায় সরকারি চালানের মাধ্যমে খামার নিবন্ধনের জন্য ২৫ হাজার টাকা জমা দেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী সাপের খামার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠান। এর পেরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাপের খামার পরিদর্শন করেন। তবে নীতিমালায় সাপের খামারে এন্টি ভেনাম সংরক্ষণ করা এবং সাপের বিষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু লাইসেন্স না থাকায় রাজ্জাক বিশ্বাস এন্টি ভেনম সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে অনুমোদন প্রক্রিয়া আবারও আটকে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ এপ্রিল বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক রাজ্জাক বিশ্বাসের সাপের খামার বন্ধ করে সাপ বনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি নোটিশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্জাক বিশ্বাস প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর গত ১৭ এপ্রিল একটি আবেদন করে খামার বন্ধ করা ও সাপ ছেড়ে দেওয়ার নোটিশটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

এ বিষয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. অব্দুল্লাহ আল মামুন বলে জানান, রাজ্জাক বিশ্বাস সাপের খামার তৈরি করে ঝাড় ফুকের মাধ্যমে ওঝা বৃত্তি করছেন, পাশাপাশি তিনি ইউটিউবে এসব আপলোড করছেন।

এছাড়া তিনি সমাজে এসব কুসংস্কার ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যেহেতু তিনি নিয়ম মেনে সাপের খামার করছেন না, সে কারণে খামারটি বন্ধ করে সাপগুলো অবমুক্ত করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে টেকনিকেল সাপোর্টের জন্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি খামারটি পরিদর্শন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী তার খামারে যে এন্টি ভেনমসহ বিষ সংগ্রহ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকার কথা তা নেই। সে কারণে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি।

রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশে আমি প্রথম সাপের খামার শুরু করলেও একে একে সারাদেশে ৫৮টি খামার গড়ে ওঠে। কিন্তু অনুমোদন জটিলতায় বর্তমানে চারটি খামার চালু আছে। আমার সাপের খামার নিয়ে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে অনেক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop