চাহিদার তুলনায় দাম নেই গরুর,হতাশ খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ
আর ক’দিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, আফতাবনগর গরুর হাটে দাঁড়িয়ে, বসে আবার গল্প আর আড্ডায় অলস সময় কাটাচ্ছেন গরুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা। রয়েছে তাদের নানান অভিযোগও।
এসব খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন থেকে চারদিন গরু নিয়ে হাটে এলেও বেচাবিক্রি এখনও শুরু হয়নি। খুবই অল্প সংখ্যক ক্রেতা হাটে এলেও দামদর করে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।
তাছাড়া কেউবা আবার হাঁকানো দামের অর্ধেকেরও কম দাম বলছেন। এ নিয়ে মন খারাপ করতেও দেখা গেছে অনেক খামারিকে।
নাটোরের সিংড়া থেকে এসেছেন খামারি সাইফুল ইসলাম। তিনি তিনটি গরু নিয়ে গত চারদিন ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে ক্রেতারা চাহিদা মতো দাম না বলায় আক্ষেপ করছেন তিনি।
তিনি বলেন, বাসা বাড়িতে তিনটি গরু পালন করেছিলাম। এই হাটে নিয়ে এসে চাহিদা মতো দাম পাচ্ছি না। ক্রেতারা যা দাম বলছেন তা পোষাবে না। ঈদের যেহেতু আরও সময় আছে, তাই বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আশা করছি ভালো দাম পাব।
তাছাড়া একেবারেই যদি দাম না ওঠে ফিরিয়ে তো আর নেয়া যাবে না, শেষ মুহূর্তে টার্গেটের কাছাকাছি দাম পেলেও ছেড়ে দেব।
আর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে এসেছেন মাসুদ রানা। তিনিও বাসাবাড়িতে পালন করা দুটি গরু নিয়ে এসেছেন আফতাবনগরের এ হাটে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাটে এসেই ক্রেতার দেখা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু চাহিদার অর্ধেক দাম বলায় মন খারাপ মাসুদের। লাল টকটকে গরুর ২ লাখ ৮০ হাজার দামের বিপরীতে ক্রেতা বলেছেন দেড় লাখ টাকা।
মাসুদ রানা বলেন, গরু পালন করা অনেক ব্যয়বহুল। খড়-কুটা দাম বেড়েছে। তাছাড়া মাঠেও ঘাস পাতা পাওয়া যায় না। একটা গরুর পিছনে যে পরিমাণ খরচ আর শ্রম দেয়া হয় তা আসলে দাম দিয়ে কেনা যায় না।
দর্শনা থেকে ১৭ টির মতো গরু নিয়ে হাটে এসেছেন মামুন ও তার বড় ভাই মাসুদ। এখনও ক্রেতার দেখা পাননি তারাও। অলস সময় পার করছেন। আগামী দুই দিনের বেচাবিক্রির আশা করছেন তারা। ইতোমধ্যে ক্রেতা যে দাম বলেছেন তাতে খরচা উঠবে না এই খামারির।