৮:২৮ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১ ২:২৯ অপরাহ্ন
বাবুই পাখির জন্য কৃষকের ভালোবাসা
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার রামপুর গ্রাম। এ গ্রামে কৃষক মো. রিপন মিয়ার পাখিদের প্রতি ভালোবাসায় নজর কেড়েছে অনেকের।চারশ’ বাবুই পাখির জন্য তিনি দেখিয়েছেন অসাধারণ ভালোবাসা।

সূত্রমতে, রামপুর গ্রামের মূল সড়কের পাশে একটি দীর্ঘ তালগাছ। গাছের মাথায় পাতায় পাতায় বাবুই পাখির দুই শতাধিক বাসা। সম্প্রতি গাছের মালিক গাছটি বিক্রি করে দেন। গাছের পাশেই রিপন মিয়ার ধানের জমি। রিপন খেয়াল করেন গাছটি বেপারি কেটে নিয়ে যাবে। কিন্তু এতে নষ্ট হবে প্রায় চারশ’ পাখির আবাস। পরে তাল গাছটি তিনি কিনে নেন। এছাড়াও যত দিন গাছে পাখি থাকবে তিনি ততদিন সেটি বিক্রি বা কাটবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।

বুড়িচং উপজেলার ভরাসার বাজার পার হয়ে যেতে হয় সদর উপজেলার বলেশ্বর। তারপরের গ্রাম রামপুর। রামপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে সুন্দর সড়কটি গিয়ে মিলেছে তৈলকুপি বাজারে। রামপুর গ্রামের সড়কের পাশে তাল গাছটি। গাছ আর পাখি দেখতে এখানে ভরাসারে অবস্থিত সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় তরুণরা ভিড় করে।

কৃষক মো. রিপন মিয়া জানান, জমিতে ফসল ফলানো আর বাড়িতে গরু পালন তার মূল পেশা। জমির পাশের তাল গাছটিতে অনেক বাবুই পাখি কিচির মিচির শব্দ তুলে ডাকে। গাছের কাছে এসে পাখির শৈল্পিক বাসা বুনন আর ডাক শুনলে তার মন ভালো হয়ে যায়। তাদের গ্রামে এ রকম বাবুই পাখির বাসা বাঁধা তাল গাছ আর নেই। তাই তিনি গাছটি কিনে নেন।

সামাজিক বন বিভাগের কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, দিন দিন পরিবেশ থেকে বৃক্ষ, পাখি ও বিভিন্ন প্রণি হারিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এগুলো সংরক্ষণের বিকল্প নেই। কৃষক রিপন মিয়ার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

স্থানীয় সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ জানান, পাখির প্রতি যতেœর বিষয়ে আমরা অনেক উদাসীন। সেখানে একজন কৃষক পাখির প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন সেটি বিরল। তার নিকট আমাদের অনেক শেখার আছে। তার মতো অন্যদেরও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ২:৪৬ অপরাহ্ন
দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার
প্রাণ ও প্রকৃতি

ভয়ঙ্কর ‘রাসেলস ভাইপার’ সাপের আতঙ্কে ফরিদপুরে ৭০ বিঘা কাশবন পরিষ্কার করা হয়েছে। দেশে ‘চন্দ্রবোড়া’ নামে পরিচিত সাপটি কিছুকাল আগেও বিলুপ্ত ছিল।ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বন্যার পানিতে গঙ্গা হয়ে আবারও এ সাপ দেশে এসে বংশবিস্তার করছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে।

জানা যায়, বিশ্বব্যাপী কিলিং মেশিন খ্যাত রাসেলস ভাইপার আক্রমণের ক্ষেত্রে এতই ক্ষিপ্র যে, ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে এটি কাউকে কামড়ে আবার নিজ অবস্থানে ফেরত যেতে পারে।এ সাপের কামড়ে শরীরের আক্রান্ত স্থানের টিস্যু নষ্ট হয়ে পচন শুরু হয় সঙ্গে সঙ্গে।সময়মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু অবধারিত। ধানখেতে এ সাপ বেশি থাকায় কৃষকদের মাঠে কাজ করার সময় পায়ে গামবুট পরার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০০১-২০২০ সালে ভারতে সাপের কামড়ে ১২ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৫০ ভাগ অর্থাৎ ছয় লাখ ভারতীয়ই মারা গেছেন রাসেলস ভাইপারের কামড়ে।বাংলাদেশে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে বাঘা পর্যন্ত পদ্মাপারে সাপটি এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া পাবনার রূপপুর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও মাদারীপুরের শিবচরে এ সাপ দেখা গেছে।

রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি সাপ উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন বোরহান বিশ্বাস রোমন।তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক। গত এক দশকে সারা দেশে ২৭২ জন রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা গেছেন।এর মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে ১৪৪ জন। গত দুই বছরে মারা গেছেন ৪০ জন।

এই গবেষক আরও বলেন, গত ১৫ দিনে ২০৭টির মতো রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই সময়ে রাসেলস ভাইপারের কামড়ের শিকার হয়েছেন ১১ জন।তাদের মধ্যে মারা গেছেন দুজন। এরা পাবনার ঈশ্বরদী ও মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা। বাকিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এসব অঞ্চলে সাপটি বেশি থাকার অন্যতম কারণ, পদ্মার চরগুলো অনেক বড়। সেখানে রাসেলস ভাইপার সহজে বসবাস করতে পারে। খাদ্যও সহজলভ্য।

গত বছর রাসেলস ভাইপারের কামড়ে নয়জন কৃষক মারা যান। তারা রাজশাহীর গোদাগাড়ী, নাটোরের গোপালপুর, রাজবাড়ীর কালুখালি ও ফরিদপুর সদরের লেকপাড়ের বাসিন্দা। ধান কাটার সময় রাসেলস ভাইপারের কামড়ে বেশি আক্রান্ত হন কৃষিশ্রমিকরা।কারণ এ সাপের শরীরের রং এবং পাকা ধানগাছের পাতার রং একই। রাসেলস ভাইপারেরও প্রিয় আবাসস্থল ধানখেত।

ফরিদপুর অঞ্চলে এ সাপটি ২০১৬ সালে প্রথম দেখা যায়। তখন থেকে বিষধর রাসেলস ভাইপারের দংশনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন নারীসহ অন্তত ১০ জন।সম্প্রতি এ সাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে চরাঞ্চলের প্রায় ৭০ বিঘা কাশবন যন্ত্রচালিত মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করেন এক ব্যক্তি। ওই সময়ে মেশিনের আঘাতে কমপক্ষে ২৯টি সাপ মারা যায়।বর্তমানে চরাঞ্চলের কাশবন ছাপিয়ে ফরিদপুর সদর ও চরভদ্রাসনের লোকালয়েও দেখা যায় এ সাপ। এর দংশনে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।

সাপ গবেষকদের ধারণা, বর্ষাকালে উজান থেকে নেমে আসা প্রবল স্রোতে কচুরিপানার ওপর বসে এ সাপ ভেসে আসে মুন্সীগঞ্জের মাটিতে। এরপর জেলার একাধিক স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রাসেলস ভাইপার।বন বিভাগের পরিদর্শক অসিম মল্লিক বলেন, ২০১৬ সালের আগে রাসেলস ভাইপার বিলুপ্তই ছিল। এখন অনেক জায়গায় এ সাপ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের ধারণা, ভারত থেকে বন্যার পানিতে ভেসে সাপটি বাংলাদেশে এসেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১ ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
সিকৃবিতে ভারতীয় হাই কমিশনের বৃক্ষরোপণ
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিকৃবি প্রতিনিধি: ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ করেছেন ভারতীয় হাই কমিশন।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকালে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের স্মারক হিসেবে ৭৫টি দেবদারু গাছ রোপণ করা হয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার ও ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারী হাই কমিশনার নীরজ জয়সওয়ালের নেতৃত্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। সিকৃবির প্রধান ফটক সংলগ্ন রাস্তায় এসব বৃক্ষ রোপণ করা হয়।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নীরজ জয়সওয়াল বলেন, কৃষির উন্নয়নে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের এই বিশেষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সিকৃবিকে বেছে নেয়ার জন্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার হাই কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতাবৃন্দ, পরিচালক (ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা), প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলসহ উচ্চপদস্থ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ। হাইকমিশনের এইচওসি টি.জি. রমেশ ও এন.কে. গঙ্গোপাধ্যায়ও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২১ ১১:১৬ অপরাহ্ন
সৌন্দর্য্য বর্ধনে বাকৃবিতে রোপিত হবে ২০ হাজার গাছের চারা
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করার জন্য বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) কোম্পানীর সৌজন্যে ফলজ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক ২০ হাজার গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে বাকৃবির টিএসসি চত্বরে ওই বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচী অনুষ্ঠানে মেয়র ইকরামুল হক বলেন, মুজিববর্ষের ১ কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর আওতায় বিশ^বিদ্যালয় চত্বরকে সবুজায়ন করার জন্যই মূলত এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলজ, বনজ, ঔষধি ও শোভাবর্ধক গাছের চারা লাগিয়ে বিশ^বিদ্যালয় চত্বরসহ পুরো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগকে সবুজায়ন করতে চাই। এ বিশ^বিদ্যালয়ের সমৃদ্ধিসহ পুরো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগের উন্নতি ও সমৃদ্ধি সাধনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি ভিসি ড. লুৎফুল হাসান বলেন, আজ শোকাবহ আগস্টের শেষ দিনে বৃক্ষরোপন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা সমৃদ্ধির কাজ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। বন্যা, জলোচ্ছ¡াস ও ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করতে বৃক্ষরোপনের ভূমিকা অতুলনীয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় শোভাবর্ধক বৃক্ষ রোপন করে ক্যাম্পাসকে সৌন্দর্য্যমন্ডিত করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) কোম্পানীর প্রতিনিধি কৃষিবিদ আখতার আনোয়ার খান। এছাড়াও বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২১ ৩:৪৬ অপরাহ্ন
হাতিকে হত্যা করে মাথা-পা বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

কক্সবাজারের রামুতে লোকালয়ে চলে আসা এক মা হাতিকে হত্যার পর শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো নির্দিষ্ট করে জানতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোরে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এলাকায় ধানখেতে চলে আসে একটি মা হাতি। সেখানে স্থানীয়দের বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয়।

এরপর কিছু দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসছি। নজির আহমেদ নামে একজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করা হয়েছে। বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২১ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেড় বছরেরও বেশি সময় পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা। করমজলসহ সুন্দরবনের সব স্পটেই যেতে পারবেন তারা। একইসঙ্গে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণের জন্য পাস পারমিটও দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত।

গতকাল বিকেলে বন বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা জানান, গত ১৯ আগস্ট থেকে দেশের সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হলেও সুন্দরবনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১ তারিখ থেকে সুন্দরবন খুলে দেয়া হবে কি-না, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে আজ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করা হয়। সভায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

তবে একটি লঞ্চে ৭৫ জনের বেশি যাতায়াত করতে পারবেন না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন।

গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। তবে বন বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সুন্দরবনের করমজল, কটকা, কচিখালী, হরবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ, ট্যুরবোট, ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে চড়ে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন খুলনার সভাপতি এম নাজমুল আযম ডেভিড গণমাধ্যমকে, খুলনায় প্রায় শতাধিক ট্যুর অপারেটর রয়েছে। এরমধ্যে ৬৩টি রয়েছে রেজিস্ট্রিকৃত। পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন প্রায় ১৫০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ট্যুর অপারেটরদের বিশাল ক্ষতি হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২১ ৫:০৯ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জ সদর কৃষি অফিসের উদ্যোগে চারা বিতরণ
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জ সদর কৃষি অফিসের উদ্যোগে ফলজ,সবজি ও ছাদের উৎপাদিত চারা বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার(২৮আগস্ট) সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জের ছাদ বাগানে উৎসাহিত করতে সিরাজগঞ্জ সদর কৃষি অফিসের ছাদে উৎপাদিত বীজ,চারা কাটিং এবং অপ্রচলিত ফলের চারা ও সবজির বীজসহ ৭৫ জন বাগানীর মাঝে ৭০ জাতের চারা বিতরণ করেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ রোস্তম আলী।

যেসব চারা,কাটিং ও বীজ বিতরণ করা হয়ক্রিসমাস ক্যালাঞ্চু,রুহেলিয়া,জেব্রিনা,ইঞ্চি প্লান্ট,চায়না বট,পেন্সিল,ক্যাকটাস,ড্রাগন, ক্যালাঞ্চু,কাটামুকুট, বেবি টিয়ার্স, স্টেভিয়া,লেমন গ্রাস,র্বাডস অব প্যারাডাইস, অনন্ত লতা,গ্রিন লিফ, সাকুলেন্ট, কৈলাস, লজ্জাবতী, নাইট কুইন,মানি প্লান্ট,ক্যাকটাস,আইরিশ লিলি,বিলাতী ধনিয়া, জ্রেব্রা প্লান্ট, জবা, ফিশবোন, মেহেদী, অগ্নীশ্বর, এরোহেড, বেবিটিয়ার্স, অর্কিড, স্নেকপ্লান্ট, এলোভেরা, পুর্তলিকা, গাইনুরা, বাসক, গ্রিন ক্রিপার,ক্যাথেলিয়া, এ্যামিরাস লিলি, সূর্যমুখী, দুপুরচন্ডি, অপরাজিতা,তুলশী,রেইন লিলি,হাড় জোড়, রিওপ্লান্ট, এলাচ,পুদিনা,ওলকপি,গাজর,লটকন, পেয়ারা, আমলকি, কদবেল, জাম,লালশাক ,পুইশাক,কলমীশাক,সবুজ শাক,পালংশাক,লাউ,সীম,করলা, টমেটো, বেগুন, বরবটি, শশা, ঢেঁড়শ।

উপজেলা কৃষি অফিসার জানান প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারগণ, কৃষক-কৃষাণী ও সাধারণ জনগন সানন্দে ছাদ বাগান দেখতে ভীড়জমান। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, প্রতিনিয়ত কৃষি জমি কমে যাচ্ছে, বিষমুক্ত ও ভেজাল মুক্ত এবং শতভাগ নিরাপদ অরগানিক খাবারের যোগান নিশ্চিত করতে, পুষ্টি চাহিদা পূরণে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ছাদ কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া ছাদ কৃষি করতে আগ্রহী ব্যক্তিগণকে সরেজমিন প্রশিক্ষণ কলাকৌশল শিখানো সম্ভব হচ্ছে এবং ছাদ কৃষি করতে আগ্রহী হচ্ছে। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ছাদ বাগানটি করেছেন যাতে সিরাজগঞ্জ শহরবাসী ছাদ বাগান করতে উৎসাহিত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২১ ৮:২৮ অপরাহ্ন
উন্মুক্ত প্রকৃতিতে বৃক্ষরা ডাল মেলছে মহেশখালী পাহাড়ে
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ: করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ যখন ঘরবন্দি, প্রকৃতি তখন উন্মুক্ত। এ সুযোগে কমেছে দূষণের মাত্রা। নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছে প্রকৃতি। আর রোপিত গাছের ডালপালা মেলছে দেশের এক মাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতেও। দেশে বৃক্ষসম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রতিবছর দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করা হয়। সারিবদ্ধভাবে রোপিত গাছ বড় হয়ে চেহারা প্রতি সপ্তাহে পাল্টে যাচ্ছে।

ফলে একদিকে যেমন জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গাছ লাগিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। আর সবুজের সমারোহ হয়ে ডালপালা মেলছে রোপিত গাছের পাতা। ধীরে বড় হচ্ছে গাছ। এতে শুধু যে জনগণের ভাগ্যই পরিবর্তিত হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি দেশের পরিবেশ উন্নয়নেও এ বৃক্ষরাজি বিরাট ভূমিকা রাখছে। বৃক্ষরোপণ ও বনায়নে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য সামাজিক বনায়ন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই বনায়ন করা হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ এর অধীনস্থ মহেশখালী রেঞ্জের শাপলাপুর, কেরুনতলী, মুদিরছড়া, দিনেশপুর ও কালারমারছড়া বিটে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প এর আওতায় ২০১৯-২০ আর্থিক সনে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৬০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়। ও ২০২০-২১ আর্থিক সনে ৬৭০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয় এবং সবুজ বেষ্টনি প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ আর্থিকসনে স্বল্প মেয়াদী ১০০ হেক্টর বাগান সৃজন করা হয়। উক্ত গাছ সবুজ প্রকৃতিতে ভরে উঠছে। তবে এরই মধ্যে শাপলাপুর বনবিটের ধুইল্যাজিড়ি, মিটাছড়ি, মোস্তফা কাটা, মৌলভী কাটা,চাককাটা, জামির ছড়ি, নয়া পাড়া, ষাইটমারাসহ বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় রোপিত গাছ সুন্দয্য বর্ধন দেখে প্রাণ জুড়াবে।

মিশ্র প্রজাতির দ্রুত বর্ধনশীল বাগান, ধীর বর্ধনশীল বাগান, এনরিচমেন্ট বাগান, ষ্ট্যান্ড ইম্প্রুভমেন্ট বাগান, এএনআর বাগান, বেত বাগান ও বাঁশ বাগানসহ সাত ধরনের বাগান সৃজন করা হয়েছে। সোমবার (২২ আগষ্ট) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে পাহাড়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অভিজিত বড়ুয়া বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় এই পাহাড়ীদ্বীপে বনায়ন করা হয়েছে। আর পাহাড়ী এলাকায় সফল বনায়নের ফলে গাছের ডালপালা মেলে সবুজয়ান হচ্ছে।

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম গোলাম মওলা বলেন, ‘পাহাড়ে রোপণ করা গাছে বনবিভাগের লোকজনের পরিচর্যার কারণে গাছের ডালপালা দিন দিন মেলতে শুরু করেছে। আর বৃক্ষরোপণ ও বনায়নে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য সামাজিক বনায়ন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ১:২৪ অপরাহ্ন
নতুন জাতের ‘স্যান্ডি’ আম, মুকুল থাকবে ১২ মাস!
এগ্রিবিজনেস

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের নাজমুল হকের বাড়িতে দেখা মিলছে নতুন জাতের আম স্যান্ডি’। এই আম গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ১২ মাস গাছগুলোতে মুকুলের দেখা মেলে।

গাছের মালিক আম চাষি নাজমুল হক জানান, প্রায় ১১-১২ বছর আগে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিদেশি জাতের এ গাছের চারা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর কয়েক একর জমিতে আম বাগান ও নার্সারি করে আম বিক্রি ছাড়াও গাছের চারা তৈরি একটি চারা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। নিজে এই আমের জাতের নাম না জানলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমের নাম স্যান্ডি বলে জানিয়েছে।

প্রতিদিনই মুকুল ফুটে আর একটি থোকায় অনেকগুলো আম আসে, আমের ভেতর আঁশ নেই, খেতে খুবই সুস্বাদু। এর ওজন প্রায় ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমের আবরণ খুব পাতলা এবং আমের রঙ হলদে হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার জানান, নাজমুল হকের বাগানে যে আমগুলো রয়েছে তার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লিচুর মতো এক থোকায় অনেকগুলো ধরে। আর ১২ মাস মুকুল আসে। একবার মুকুল ভেঙ্গে ফেললে ফের মুকুল হয়। আর এই আম খেতে অনেক স্বসাদু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আম চাষি নাজমুল হক পরীক্ষামূলকভাবে স্যান্ডি গাছের চারাটি রোপণ করে ভালো সাড়া ফেলেছেন। আমের ফলন ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে এ আমের নাম দেয়া হয়েছে স্যান্ডি। আগের আমগুলোর দাম না পাওয়ার নতুন আম চাষে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২১ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশান্ত হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে য‌শো‌রের ফুল চাষীরা
প্রাণ ও প্রকৃতি

করোনার প্রভাব পড়েছে যশোরের গদখালী এলাকার ফুল চাষী‌দের মা‌ঝে। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর ফুলচাষিরা ফুল উৎপাদন করেছেন বেশি। কিন্তু ফুল বিক্রি হচ্ছে না কোথাও। ফলে গদখালীর ফুল চাষিদের ফুল বিক্রি না হওয়ায় জায়গা পরিষ্কার করার জন্য পানির দরে বিক্রি করছে ফুল।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি সূত্র মতে, যশোরের ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ৭৫টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় হরেক রকমের ফুল।

ঝিকরগাছার পানিসারা-গদখালী গ্রামগুলোর রাস্তার দুইপাশে দিগন্ত বিস্তৃত জমিতে সারাবছরই লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের ফুলের সমাহার হয়ে থাকে। শত শত হেক্টর জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজ জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ হয় এখানে। এলাকায় উৎপাদিত ফুল বিক্রির জন্য গদখালীতে যশোর রোডের দুই ধারে রয়েছে ফুলের বাজার।

প্রতিদিন উপজেলার গদখালী-পানিসারার শত শত ফুলচাষির আনাগোনা শুরু হয় গদখালীর বাজারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় পাইকাররাও সেখান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন হাতবদল হয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ফুল ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, এমনকি দেশের বাইরেও। তবে করোনার কারণে এই কার্যক্রমে ছেদ পড়েছে গদখালী-ব্যবসায়ীসহ এই সেক্টরের সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয় এসব মাঠ থেকে।

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‌ঝিকরগাছা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৬২৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে দেশি-বিদেশি নানা জাতের ফুলের চাষ হচ্ছে। ফুল চাষের সঙ্গে এখানকার প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কৃষক এবং প্রায় এক লাখ শ্রমিক সম্পৃক্ত রয়েছেন। করোনার কারণে ফুলের বাজার বন্ধ রয়েছে। খেতে ফুল নষ্ট হচ্ছে। ফুলচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা হিসাবে আউশ ধানের বীজ, টমেটোর চারা দিয়েছি।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম জানান, দেশের চাহিদার শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ফুল যশোর থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। করোনার কারণে গত বছর ৫ মাস এবং এ বছরের ৩ মাসে ফুল বিক্রির সুযোগ না থাকায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ফুল নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে শুধু যশোর অঞ্চলে অন্তত ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০০ জন চাষিকে ২ কোটি টাকার মতো ঋণ দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে চাষিদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন শেষ। ফুলচাষিদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। উৎপাদন ধরে রাখতে চাষিরা ক্ষেতের ফুল গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop