সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশে চলছে কড়াকড়ি
পাঁচমিশালি
সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশে চলছে কড়াকড়ি। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে অবৈধভাবেও গরু আনার সামান্য সুযোগ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।
তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাগর পাড়ি দিয়ে আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে বিপুলসংখ্যক গরু-মহিষ আসছে।
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসেই এসেছে ১০ হাজার ৯৫ টি গাবাদিপশু। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৪৬ টি গরু, তিন হাজার ৩৫১ ট মহিষ। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা।
চলতি মাসের প্রথম দুদিনেই বৈধ পথে ২ হাজার ৬২৬ টি গরু ও মহিষ এসেছে। যার মধ্যে শুধু গরু এসেছে ২ হাজার ১২, মহিষ এসেছে ৬১৪ টি। এই গবাদিপশুগুলো শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে প্রবেশ করেছে।
মাঝের ২ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে আবার গরু মহিষ আসা শুরু হবে বলে বলছেন টেকনাফের গরু মহিষ আমদানি ব্যবসায়ীদের সভাপতি আব্দুল্লাহ মনির।
তিনি জানান , বৈধপথে আমদানিতে প্রতিটি গরু-মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং ছাগলের জন্য ২৫০ টাকা করে রাজস্ব দেওয়া হচ্ছে। এই দুইদিনে ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা সরকারকে রাজস্ব দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমদানির পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারিরা এসব গরু-মহিষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি দামে।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ শুল্ক্ক স্টেশনের তথ্যমতে, বৈরী আবহাওয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতির কারণে বেশ কিছু দিন পশু আমদানি বন্ধ ছিল। তবে কোরবানি ঘিরে সাগরপথে গরু ও মহিষ আসছে।
গত বছরের এই সময়ে মিয়ানমার থেকে মাত্র ৫ হাজার গরু-মহিষ এসেছিল। এবার ইতিমধ্যেই আমদানি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ ছাড়া চলতি বছরের সাত মাসে এসব পশু থেকে রাজস্ব এসেছে ২ কোটি ২১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
টেকনাফ শুল্ক্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন জানান, বৈধ পথে যারা গরু মহিষ আনছে তাদের আমরা উৎসাহ যোগাচ্ছি। আমাদের দিক থেকে তাদের সহযোগিতা করছি।
জানা গেছে, ঈদের আগে আরো গরু-মহিষ আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এখানকার গবাদিপশু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ সারা দেশে সরবরাহ করছে তারা।
তবে রাজধানীর গরুর হাট ঘুরে জানা যায়, মিয়ানমারের গরু প্রবেশ করায়, দেশের ব্যবসায়ীরা ভাল দাম পাবেন না- এমন হতাশার কথাই শোনা যাচ্ছে।