নড়াইলে গমের উচ্ছা ফলনে খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ
নড়াইলে বেড়েছে গমের আবাদ। আগে এই জেলায় ব্যাপক পরিমানে গমের চাষ হলেও পরে ব্লাস্ট রোগের আবির্ভাবের কারণে কৃষকরা চাষ থেকে বিরত থাকেন। গত কয়েকবছর ধরে চাষিরা আবার গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চলতি বছর কৃষি বিভাগে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি জমিতে গমের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নড়াইল জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, আগে কৃষকরা ব্যাপক ভাবে গমের চাষ করতেন। গমে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে চাষ কমে যায়। তারপর ২০২০ সাল থেকে আবার গম চাষের প্রতি কৃষকরা ঝুঁকতে থাকেন। চলতি বছর ২০৮৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ২১২০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। ক্রমাগত চাষের জমির সংখ্যা বাড়ছে।
চাষিরা জানান, আগে গম চাষের খরচ বেশি ছিল, বাজারে গমের দামও কম থাকতো। এছাড়ও গাছের বিভিন্ন রোগের কারণে ফলন নষ্ট হতো। তাই গম চাষ কমে যায়। এখন অন্যান্য ফসলের তুলনায় গম চাষে লাভবান হওয়া যায়। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে। আর বাজারদর ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩২ ও ৩৩ এবং ডব্লিউএমআরআই-২ জাতের গম চাষ করছেন। আগের তুলনায় এখন গমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ফলন দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষকদের গম চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। আশা করছি কৃষকরা বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।