৯:৫৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার জানান, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩ ৭:৪২ অপরাহ্ন
কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ করা গেলে বহু কৃষিবিদের কর্মসংস্থান হবে: কৃষিমন্ত্রী 
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এম.পি।সেমিনার শুরুর আগে ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক কৃষিবিদ দিবসের র‌্যালি উদ্বোধন করেন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে পুষ্পস্তক অর্পণ করেন।

এসময় তিনি আরোও বলেন, অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এখানে পৃথিবীর সব ফসল হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আধুনিক প্রযুক্তির অনেক কর্মসূচি নিয়েছেন। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে বায়োটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ন্যানো টেকনোলজি, এডিটেড ব্রিডিং ইত্যাদি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন। খাদ্য রপ্তানির লক্ষ্য নিয়েও তিনি কাজ করছেন। আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীরা যদি আরো ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করেন তবে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধশালী দেশ। যেখানে কৃষিবিদরা অগ্রজ ভুমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের অনেক দিয়েছেন, তিনি ছিলেন মহামানব।

বাংলাদেশকে একটি সত্যিকারের শান্তির, সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কৃষিবিদরা স্ব-স্ব অবস্থান ও পেশা থেকে কঠোর পরিশ্রম করবেন, সত্য-নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করে ও মিথ্যাচার করে তাদের মূল থেকে উৎপাঠন করে বাংলাদেশকে সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠা করবেন।
এসময় কৃষিবিদরাই গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ বাবু, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান।

গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্তে¡ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব এহতেশামুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবি সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড এম. এ. সাত্তার মন্ডল।

এছাড়াও অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কৃষিবিদ আবুল ফয়েজ কুতুবী, তৎকালীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি কৃষিবিদ মোঃ ইয়াছিন আলী, বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি জনাব মোঃ নজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ড. মোঃ সালেহ আহমেদ, কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমান, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আসলাম আলী, কৃষিবিদ ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, কৃষিবিদ আরীফ জাহাঙ্গীর, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, কৃষিবিদ মিজবা-উজ-জামান, কৃষিবিদ সারোয়ার মোর্শেদ জাস্টিজসহ অনেক বরেন্য কৃষিবিদ।

উল্লেখ্য সেমিনারে বাংলাদেশের বিভিন্নপ্রান্ত হতে প্রায় চার হাজার কৃষিবিদ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
ডোমারে বেড়েছে সরিষা চাষ, আশা বাম্পার ফলনের
কৃষি বিভাগ

স্বল্প চাষ, কম খরচে সাময়িক সময়ে পরিত্যক্ত থাকা চাষের জমিতে সরিষা চাষে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষকদের। কৃষকরা গত বছরের তুলনায় এবারে আড়াইশ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সরিষা চাষীরা।

উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রীস আলী বলেন, এক বিঘা(৩৩শতাংশ) জমিতে বারী-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ক্ষেতে ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

নয়ানী গ্রামের বাবু অনাথ চন্দ্র রায় জানান, আমন ধান কাটার পর বোরো চাষ পর্যন্ত কৃষকদের জমি প্রায় আড়াই হতে তিন মাস পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। দেড় বিঘা জমিতে বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে সরিষা কেটে ফসল ঘরে তুলবো। ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করবো।

একই ইউনিয়নের তরিকুল ইসলাম, চয়ন রায়, মধূসুধন রায় জানান, এবারে তুলনামূলক ভাবে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি। ফসল ঘরে তুলতে পারলেই লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে এক হাজার চারশত পঞ্চাশ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে জনপ্রতি এক কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফরহাদুল হক বলেন, গত বছর সাতশত ষাট হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জন হয়েছে। এবারে কৃষি বিভাগের প্রচার প্রচারনা ও কৃষি প্রনোদনা পাওয়ায় সরিষা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা সরিষা কাটাই মাড়াই শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবারে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩ ৯:৫৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস আগামীকাল
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস ২০২৩ শুরু হচ্ছে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে। তিন দিনব্যাপী এ কংগ্রেস চলবে সোমবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিড কংগ্রেসের প্রধান সমন্বয়ক এবং সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ্ দৌলা।

এ সময় জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রায় এক হাজার দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মী, বীজ ডিলার, বীজ ব্যবসায়ী, বীজ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কৃষিবিদ, ব্যাংকার, শিক্ষক ও কৃষক প্রতিনিধিরা অংশ নেবে। যার মধ্যে ৫০ জন বিদেশি প্রতিনিধিও থাকবেন।

এ মেলায় ১৩টি প্যাভিলিয়ন ও ৬০টি স্টল থাকবে। যার মধ্যে ১০টি বিদেশি স্টল থাকবে এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল প্রতিষ্ঠান স্টলসহ মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

শনিবার ১০টায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার শুভ উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

অতিথি হিসেবে থাকবেন ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল মাইকেল কেলার। এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মানিশ প্যাটেল এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিমসন।

তিন দিনব্যাপী মেলায় ৫টি কারিগরি সেশন থাকবে এবং দেশি-বিদেশি প্রতিথযশা বিজ্ঞানী, বীজ গবেষকদের ১৫টি কারিগরি পেপার উপস্থাপিত হবে যার মধ্যে ৯টি পেপার উপস্থাপনা করবেন বিদেশি, বিজ্ঞানী/সংস্থার প্রধান।

এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বীজশিল্প বিকাশে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০ জন বীজ ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হবে। এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২৩ ৯:৩৪ অপরাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে কুমিল্লার চাষিদের ভাগ্য বদল!
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লায় বেড়েছে সূর্যমুখী চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও এই জেলার মাটির সূর্যমুখী চাষের উপযোগী হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বাম্পার ফলন ও বাজারে সূর্যমুখীর দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ডুমুরিয়া এলাকার কৃষকরা চাষ করছেন। সারাদেশে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। সেই অনুপাতে কুমিল্লার কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এটির চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম। তাই কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এ বছর কুমিল্লার দেবিদ্বার, বরুড়া, ব্রাহ্মণপাড়া, চান্দিনা সহ অন্যান্য সকল উপজেলার ৩১০ জন কৃষক ১১৮ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর চাষ করছেন। যার বিঘাপ্রতি ফলন হবে ৫-৬ মণ।

আবদুল জলিল বলেন, আমি ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে কর্মকর্তা এসে পরামর্শ দিয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, গত ২ মাসে বিভিন্ন প্রকার সার ও পানির সেচ দিয়ে ২৫-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনো ফুল পাকা শুরু করেনি। পেকে গেলে সূর্যমুখী ফুলগুলো সংরক্ষণ করে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করবো।

সদর দক্ষিণ বিজয়পুরের চৌধুরীখোলা এলাকার কৃষক মো. ইয়াছিন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে লাভের আশায় চাষ করেছি। জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। আশা করছি পেকে গেলে তা থেকে তৈল উৎপাদন করে বাজারজাত করে লাভবান হতে পারবো।

কৃষি অফিসের মতে, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখী চাষে লাভ বেশি। আর দেশে তেলের ঘাটতি মেটাতে কৃষকরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন। প্রতি বিঘায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ করে কৃষকরা ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়াও এটি ফসল চাষ করলে খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৩ ৯:৩১ অপরাহ্ন
বোরো রোপণে ব্যস্ত লালমনিরহাটের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ১২ ইউনিয়নের কৃষকেরা। শীতের সকালে কৃষকরা কোদাল আর মই হাতে নিয়ে মাঠে নেমে যাচ্ছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই জমি তৈরি ও চারা রোপণের কাজ চলছে।

জানা যায়, লালমনিরহাটে মোট আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৫’শ ৫৯ হেক্টর। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪’শ ৯০ হেক্টর। এ ছাড়াও এবার ৩’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বোরো চাষীদের উন্নতমানের ফসল উৎপাদনের প্রদর্শনী করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারিভাবে প্রণোদনা ও পুনঃর্বাসনের আওতায় উপজেলার মোট ৫ হাজার কৃষককে ধানের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

বোরো চাষী আব্দুল জলিল বলেন, গতবার বোরো ও আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল আর দামও পেয়েছি সন্তোশজনক।এবার বোরো রোপণে আগের চেয়ে খরচ বেশি করেছি। জমি পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করেছি, এরপর মই দিয়ে রোপণ শুরু করবো। তবে এবার সেচ আর মজুরির দাম বেড়েছে। গতবারের তুলনায় এবার বোরো আবাদে খরচ মোটামুটি বেড়েছে। আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে এবারও ভালো ফলন হওয়ার আশা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মূলত কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করা করছি আমরা । আনন্দ মুখর পরিবেশে বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দিয়ে আসছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৯, ২০২৩ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
লাউ চাষে সফল চান্দিনার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

চান্দিনা উপজেলায় এ বছর দেড় হেক্টর জমিতে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এই বেগুন আকারে অনেক বড় হয়। প্রতিটা বেগুন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের হয়। আকারে বড়, নরম ও স্বাদে পুষ্টিমানে অনন্য বারি বেগুনের বাজার চাহিদা অনেক। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা।

জানা যায়, বারি ১২ জাতের ই বেগুন প্রথমবার কুমিল্লায় চাষ শুরু হয়েছে। এ বছর পুরো জেলায় দেড় হেক্টর জমিতে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে। এই বেগুন আকারে অনেক বড় হয়। প্রতিটা বেগুন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের হয়। এই বেগুনের টিস্যু অনেক নরম তাই খেতে অনেক সুস্বাদু। কুমিল্লায় সবজির বাজারে একটা বড় অভাব পূরণ হবে বারি ১২ জাতের বেগুনে।

বেগুন চাষি হোসেশিবলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে বারি-১২ জাতের বেগুনের বীজ এনে ৩০ শতক জমিতে প্রথমবারের মত লাউ বেগুন চাষ করি। ফলন আশার চেয়ে বেশি ভালো হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বাজারেও নিতে হয় না। গ্রাহকরা জমিতে এসেই বেগুন নিয়ে যায়৷
লাউ বেগুন আকারে বড় এবং অনেক নরম। তাই পাখির প্রিয় খাবার এই লাউ বেগুন। এতে কৃষকরা চিন্তা করেন পাখির ঠোঁট থেকে কীভাবে তাদের লাউ বেগুনকে রক্ষা করবে।

আর একজন কৃষক শাহজাহান বলেন, বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ করেছি।ফলন অনেক ভালো হয়েছে । চিন্তার একটি কারণ হল লাউ বেগুন খুব নরম বলে পাখি ও পোকামাকড়ের প্রিয় খাবার। তাই এ বেগুন রক্ষায় জাল দিয়ে পুরো জমি ঢেকে দিয়েছি। না হয় জমিতে বেগুন থাকবে না।’

চান্দিনা উপজেলা কৃষি কমকর্তা মনিরুল হক বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকজন কৃষককে বাছাই করে বারি ১২ জাতের বেগুন চাষ করেছি। কৃষি অফিসার ও কৃষকদের আন্তরিকতায় প্রথম বছরই ভালো ফলন হয়েছে। আমরা আশাকরি আগামী বছর আমরা পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে বারি-১২ জাতের এই বেগুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩ ১১:৪২ পূর্বাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষে সফল গাড়িদহরের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

পরিবেশবান্ধব জৈব সার ব্যবহার করে সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা। রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় কম খরচে অধিক ফসল পাচ্ছেন তারা। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কৃষকরা বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। একসময় এই এলাকার কৃষকরা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ করতে যেখানে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতেন, এখন তারা এসব সবজি উৎপাদন করছেন কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই। মানুষ যেন বিষমুক্ত সবজি বাজার থেকে সহজে কিনতে পারেন, সেজন্য ছোট ফুলবাড়ি বাজারে স্থাপন করা হয়েছে নিরাপদ সবজি কর্ণারও।নিরাপদ সবজি কর্ণারে সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০টি কৃষক গ্রুপের মাঝে বিনামূল্যে ২০টি ভ্যান বিতরণ করা হয়েছে। ১০০ একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, মিষ্টিকুমড়া ও শিম চাষ হচ্ছে।

চাষি বাদশা মিয়া বলেন, আমি জমিতে নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষ করেছি। সেখানে কোন রাসায়নিক সার বা কীটনাশক স্প্রে করিনি, ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। বিষমুক্ত সবজি হওয়ায় বাজারেও অধিক দাম পাচ্ছি।গামীতেও নিরাপদ উপায়ে ফসল উৎপাদন করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, এ বছর ঊপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৭৮০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে ১৭৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণ আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহার করেই সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আধুনিক জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৩ ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
অধিক লাভের আশায় গম চাষে ঝুঁকছে যশোরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় আটার চাহিদা মেটাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে গমের আবাদ হয়েছে ।এ অঞ্চলের গ্রামীণ মাঠঘাটে কৃষকরা এখন গম চাষে জমির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অধীক চাহিদা এবং দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে ঝুঁকছে যশোরের কৃষকরা।

জানা যায়, যশোরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩৮ হাজার ৪৪৩ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। ৬ জেলায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১০৪ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

আরও জানা যায়, শুধু কুষ্টিয়া জেলায় ১৩ হাজার ৬৫৪ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এছাড়া মেহেরপুর জেলায় ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে, মাগুরা জেলায় ৫হাজার ২শ’ ২১০হেক্টর জমিতে, ঝিনাইদহ জেলায় ৫হাজার ১৭৩ হেক্টর জমিতে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১হাজার ৭ হেক্টর জমিতে এবং যশোর জেলায় ৬শ’২৪ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, আটার চাহিদা মেটাতে এ অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে গমের আবাদ করা হয়েছে। গম চাষে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার,সার,সেচ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সামনে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে গমের বাম্পার ফলন হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৩ ৮:৪৭ অপরাহ্ন
কেঁচো সারে ঝুঁকছেন চাষিরা, বাড়ছে পতিত জমিতে চাষ
কৃষি গবেষনা

দিন দিন ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) তৈরির প্লান্ট বাড়ছে বাগেরহাটে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্ট স্থাপন করছেন চাষীরা।

এসব প্লান্টে উৎপাদন হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কেঁচো সার। দাম কম এবং সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকদের মাঝে কেঁচো সারের ব্যবহার বাড়ছে। কেঁচো সার দিয়ে পতিত জমিতে ফল ও সবজি চাষ শুরু করছেন প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা। ফলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে। পতিত জমিতে উৎপাদিত ফল ও সবজিতে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে হত দরিদ্রদের। সরকারি সহযোগিতার মাধ্যমে ভার্মি কম্পোস্টের উৎপাদন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৯৪২টি ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্ট রয়েছে। এসব প্লান্টে গত বছর (২০২২) ৪৭১ মে. টন কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে ৪ হাজার ৯৯০ জন কৃষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করে ৩ হাজার ৮৮০ হেক্টর পতিত জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। এর বাইরে আরও ৫ হাজার ১৭৪ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি পতিত রয়েছে। এসব জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে চেষ্টা করছে কৃষি বিভাগ।

শুধু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নয়, ভার্মি কম্পোস্ট সম্প্রসারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে পুষ্টি উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক সমন্বিত প্রকল্প (ক্রেন) নামের একটি প্রকল্প কাজ করছে। জেলার মোংলা, কচুয়া, মোল্লাহাট ও শরণখোলা উপজেলায় ৩০০ জন ভার্মি কম্পোস্ট উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। এই ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্টে উৎপাদিত সার বিক্রির জন্য রয়েছে আরও ১৫ জন কৃষি উদ্যোক্তা। তারা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে কেচো সার বিক্রি করে থাকেন। ভার্মি কম্পোস্টে রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।

কচুয়ার সাংদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক সাহাপাড়া এলাকার সুকদেব সাহা বলেন, কৃষি ডিপ্লোমা পড়া অবস্থায় সবজি ও ধান চাষ করতাম। রাসায়নিক সারের ক্ষতি সম্পর্কে জানলেও সহজলভ্য বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হত। বছর খানেক হল, ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করি। আমার জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে। সেই সঙ্গে ব্যয়ও কমেছে। কেঁচো সার ব্যবহার করা জমির সবজি ও খাদ্যশস্যের স্বাদও অনেক ভাল।

উপজেলা সদরের হাজীপাড়া এলাকার মিরাজুল শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ৫ কাঠা জমি ফেলানো (পতিত) ছিল। সারের দাম বেশি থাকায় চাষ করতাম না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ব্যবসার পাশাপাশি ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি। চার মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকার লাল শাক, লাউ, মুলা ও পালন শাক বিক্রি করেছি। নিজেদের খাবার জন্য এখন তরকারি ক্রয় করা লাগে না।

ক্রেন প্রকল্পের কনসোর্টিয়াম ম্যানেজার কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইমরানুল হক জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য ভার্মি কম্পোস্টের ব্যবহার সম্প্রসারণের চেষ্টা করেছি। চার উপজেলার ৩০০ জন উপকারভোগীকে ভার্মি কম্পোস্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্লান্ট স্থাপনের জন্য তিনটি করে ঋণ-স্লাপ ও আনুসঙ্গিক অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এসব উপকারভোগী নিজের ক্ষেতে কেচো সার ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করছেন। এই প্রক্রিয়া যাতে চলমান থাকে এ জন্য আমরা স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে ভার্মি কম্পোস্ট উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ স্থাপন করিয়েছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে ভার্মি কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই সার ব্যবহারের ফলে জেলায় পতিত জমি চাষাবাদ বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের ১ হাজার ৩৬৪টি বাড়িতে পুষ্টি বাগান রয়েছে। যাদের বেশিরভাগ উপকারভোগী কেঁচো সার ব্যবহার করেন। এছাড়া যেসব চাষির গরু আছে তাদেরকে ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্ট স্থাপনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভার্মি কম্পোস্ট প্লান্ট ও কেচো সারের ব্যবহার বাড়ছে বলে জানান জেলা কৃষি বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির পদ্ধতি চ্যালেঞ্জঃ ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির মূল কাঁচামাল হচ্ছে গোবর ও কেচো। গোবর ও কেচোর সঙ্গে লাগবে চাড়ি বা ঋণ ও সেলাপ। একটু ছায়াযুক্ত স্থানে স্লাপের ওপর ঋণ রাখতে হবে। ঋণের মধ্যে আধা শুকনা গোবর দিতে হবে এবং সেই গোবরের ওপরে কেচো ছেড়ে দিতে হবে। এরপর উপরে ছালা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। উপড়ে ছাউনি দিতে হবে। ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সেই গোবর ব্যবহার উপযোগী সার হয়ে যাবে। এই সারে কোনো গোবরের গন্ধ থাকবে না। শুধু গরুর গোবর নয়, হাঁস-মুরগির বিষ্টা, ছাগল-ভেড়ার মল এবং মহিষের গোবরও ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। সরাসরি বৃষ্টির পানি পড়লে এবং পিঁপড়া ঢুকলে কেঁচো মারা যাবে। সূর্যের আলো সরাসরি পড়লেও কেঁচো মারা যাবে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop