১২:২৮ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ ১:১৫ অপরাহ্ন
জয়পুরহাটে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা
কৃষি বিভাগ

দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাট চিনিকলে ২০২২-২০২৩ মৌসুমে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হবে।

চিনিকল সূত্র জানায়, ২০২২-২০২৩ আখ মাড়াই মৌসুমের জন্য আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৫০০ একর জমি। অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ২৪ একর। এতে আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন আখ। চিনি আহরনের শতকরা হার ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৪ ভাগ । এতে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১১৮ মেট্রিক টন চিনি। অন্যান্য ফসলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আখের মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার।

বর্তমানে মিলগেটে আখের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পার মেট্রিক টন ৪ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বাইরের ক্রয় কেন্দ্রের জন্য ৪ হাজার ৪৪০ টাকা। আখের মূল্য বাড়ানোর ফলে আখ চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান।

চিনিকল সূত্র জানায়, আখ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি সহায়তা হিসেবে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ঋণ প্রাপ্ত আখ চাষির সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৭শ জন। এর মধ্যে রয়েছে সার ও উন্নত মানের আখ বীজসহ অন্যান্য উপকরণ। আখ মিলে সরবরাহ করার পর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয় কৃষকদের। ফলে ঋণ পরিশোধ করার কোন বাড়তি চাপ থাকে না।

২০২৩-২০২৪ মাড়াই মৌসুমের জন্যও ৬ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান। গত ২০২১-২০২২ মাড়াই মৌসুমে ২১ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ১৬২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২২ ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
পাটের বাম্পার ফলনে বগুড়ার কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

গত বছরের তুলনায় এবছর পাটের দাম বেশি পেয়ে ‍খুশি বগুড়ার পাট চাষিরা।গত বছরের থেকে এবছর বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাটের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। প্রচণ্ড খরার কারণে চাষিরা পাট জাগ দেয় নিয়ে সঙ্কায় থাকলেও পরে বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছিল কৃষকের মনে।

জানা যায়, গত বছর বগুড়ায় ১২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। এ বছর বগুড়ায় ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। বিগত বছরে পাটের দাম ভালো থাকায় এবছর পাট চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। তাই এবছর এজেলায় ৪ হাজার ১১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

পাট কল বগুড়া ভাণ্ডারের মালিক তোফাজ্জাল হোসেন জানান, চাষিরা তাদের পাট রোদে শুকিয়ে হাটে নিয়ে আসছেন। এবার পাটের বাজার কৃষকদের অনুকূলে। এবার জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার গত মঙ্গলবার হাটে ৩ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পাবনা জেলায় উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাটের হাট বসে। পাবনার হাটে বগুড়ার প্রায় ১৭ টি পাটকল মালিক পাট কিনতে ভিড় করেছেন। বগুড়ার সারিয়াকন্দির পাট বিখ্যাত এখনো প্রতিমণ পাট ২৭০০-২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাবনার কাশিনাথপুর, সাঁথিয়ার হাটে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচলাক এনামুল হক জানান, বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদন হয় ৮-১০ মণ। এতে চাষিদের ১০-১২ টাকা খরচ হয়। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতি বিঘায় গড়ে ৯ মণ পাট উৎপাদন হয়। বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। পাটের এমন দাম থাকলে প্রতি বছর এ অঞ্চলে পাট চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২২ ৫:৫৯ অপরাহ্ন
সারের কৃত্রিম সংকট রোধে ৩৮৩ ডিলার-ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ টাকা জরিমানা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েট চিয়েন (Pham Viet Chien) এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, শুধু জরিমানা নয়, সার কারসাজিতে জড়িত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সেজন্য, লাইসেন্স বাতিলের জন্য তাদের নাম শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের কাজ চলছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সারের মজুতে কোন সমস্যা নেই। গুদামে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। একইসাথে, গত বছরের তুলনায় এ বছর বরাদ্দও বেশি দেয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও কোথাও সারের সংকটের কথা শুনা যাচ্ছে। এটি হতে পারে না। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসন বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কারো গাফিলতি পাওয়া গেলে-তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এমওপি সার প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান,আগস্ট মাসে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানিকৃত ১ লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবরে ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুত অনেক বেশি থাকবে।

উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুত ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুত বেশি।

চালের দাম শিগগিরই কমবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। জিটুজি ভিত্তিতে এ চাল আনা হচ্ছে। চাল আসতে ১৫-২০ দিন লাগতে পারে। এছাড়া, রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আনা হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশে প্রায় ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দেয়া হবে। এছাড়া, টিসিবির মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করা হবে। ওএমএসেও চাল বিক্রি করা হবে। সব মিলিয়ে চালের দাম শিগগিরই কমবে।

এর আগে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে দুদেশের কৃষি সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত পাম ভিয়েট চিয়েন বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার জন্য ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করার প্রস্তাব প্রদান করেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কৃষি সহযোগিতা রয়েছে। নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতার ফলে ভিয়েতনামের কৃষি উন্নত হয়েছে। যেহেতু তিনটি দেশই ডেল্টা, কাজেই তাদের পারস্পরিক সহযোগিতায় সবপক্ষই উপকৃত হবে।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত জানান, কাজুবাদাম রপ্তানিতে ভিয়েতনাম বর্তমানে প্রথম এবং কফি রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কাজুবাদাম-কফি রপ্তানির ৫০% সে দেশে উৎপাদিত হয়, বাকীটা ভারত ও আফ্রিকার দেশসমূহ থেকে এনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

বাংলাদেশে কাজুবাদাম ও কফির চাষ সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন,গত ২ বছরে আমরা ২০ লাখ কাজুবাদামের চারা কৃষকদেরকে দিয়েছি। ইতোমধ্যে এসব গাছে কাজুবাদামের ফলন শুরু হয়েছে। আশা করছি, কাজুবাদাম উৎপাদনে বাংলাদেশও ভাল করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২২ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
বেবি তরমুজ চাষে ঘুরে দাঁড়ালেন বর্গাচাষি ভাওয়াল
কৃষি বিভাগ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া গ্রামের বর্গাচাষি শাহজল ভাওয়াল বারোমাসি ফল বেবি তরমুজের চাষে সফল হয়েছেন। কীটপতঙ্গের আক্রমণ না থাকার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ায় খুশি তিনি। মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু লম্বা বেড তৈরি করে মালচিং পেপার দিয়ে শক্ত করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ৪ হাত অন্তর একটি বেড। ১৬ শতাংশ জমির সবটা জাল দিয়ে নিখুঁতভাবে বেড়া দেওয়া। উপরে ছাউনির মতো ঘুরিয়ে মাচা দেওয়া হয়েছে। সেই মাচায় লাউয়ের মতো ঝুলে আছে ছোট-বড় কালো তরমুজ। এই যেন সফলতার এক হাতছানি।

শাহজল ভাওয়াল জানান, গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থার (জিজেইউএস) কৃষিবিদের সহযোগিতা ও পরামর্শে এবার নিয়ে তৃতীয়বার বেবি তরমুজের আবাদ করেছি। এখানে শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া তেমন খরচ হয়নি। বাড়িতে বসেই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বর্তমানে ৪র্থ বার সুইট ব্ল্যাক’ বা কালো জাত ও নতুন ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ বা হলুদ তরমুজ লাগানোর কথা ভাবছি। কারণ, এটি বেশ লাভজনক। ইতোমধ্যে ৬০ টাকা দরে ৪ মণ তরমুজ বিক্রি করা হয়েছে। ক্ষেতে আরও ৫ মণের মতো হবে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এএইচএম শামীম বলেন, জলাবদ্ধতা হয় না, এমন ধরনের উঁচু জমি এই বারোমাসি তরমুজ চাষের উপযোগী। ‘সুইট ব্ল্যাক’ বা কালো জাত ও নতুন ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ বা হলুদ জাতের বারোমাসি বেবি তরমুজের আবাদ এখানকার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৯, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
রাশিয়া থেকে গম আমদানি করবে বাংলাদেশ!
কৃষি বিভাগ

রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাশিয়া থেকে প্রতি টন ৪৩০ ডলার দরে গম আমদানি করা হবে বলে ২ দেশের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গম আমদানিতে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে গত মে মাসে বাংলাদেশে গমের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সঙ্কট আর ঘনীভূত হয়।

এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গম আমদানির ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। জানুয়ারির মধ্যে ধারাবাহিকভাবে চালান শুরু হবে। রাশিয়ার নিজস্ব মুদ্রা রুবলে নয়, বরং ডলারে গমের দাম পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। প্রতি টন গমের দামের সঙ্গে ভাড়া, বীমা ও খালাসের খরচ যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে খাদ্যশস্য ও সার কিনছে। বিশ্বের ২৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার দিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে খাদ্যশস্য ও সার আমদানি করতে পারব, এ ধরনের আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানান সালমান এফ রহমান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২২ ৮:১৫ অপরাহ্ন
হিমাগারে আলু পচে যাওয়ায় ধর্মঘটে চাষি ও ব্যবসায়ীরা
কৃষি বিভাগ

হিমাগারে আলু পচে যাওয়ায় ধর্মঘটে চাষি ও ব্যবসায়ীরা

ঠাকুরগাঁওয়ে হিমাগারে রাখা আলু পচে যাওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা নুরুল হুদা স্বপন বলেন, ‘হিমাগারে অতিরিক্ত ভাড়া কমানোর দাবিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু হিমাগার মালিকরা তা কর্ণপাত করেননি। তারা ধারণক্ষমতার বাইরে আলু সংরক্ষণ করায় তা পচে গেছে। আমরা পচা আলুর ক্ষতিপূরণ চাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন। আমরা বিশ্বাস করি প্রশাসন আমাদের সঠিক সমাধান দেবে।’

কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা হিমাগারে বীজের আলুও সংরক্ষণ করেছিলাম। সেই আলুও পচে গেছে। এবার হয়তো আলু উৎপাদন করতে পারবো না।আমি পচে যাওয়া আলুর ক্ষতিপূরণ চাই।’

ঠাকুরগাঁও কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা যদি পচা আলুর ক্ষতিপূরণ না পাই তাহলে ঋণ পরিশোধ করা আমাদের জন্য জুলুম হয়ে যাবে।

এরআগে পচা আলু ঢেলে ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এরপর অবস্থান ধর্মঘট পালন করলেন তারা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, হিমাগারে আলু পচার খবর পেয়ে হিমাগারগুলোতে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। যেসব অনিয়ম আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৮, ২০২২ ২:২২ অপরাহ্ন
আখের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

ফরিদগঞ্জে আখের বাম্পার ফলনে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলন ভালো হওয়ায় বেশি দামে বিক্রির আশায় আখ চাষিরা খুব খুশি। তাই রোদে পুড়েও লাভবান হওয়ার আশায় এ উপজেলাতে এখব চাষিরা তাদের আখ কাটছে।
এ বছর ২৭৫ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হওয়ার কথা থাকলেও তা বেড়ে ২৯০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আখ চাষের জন্য উপযুক্ত হলো আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণ। আর ফরিদগঞ্জে যে কোন কৃষি উৎপাদনের জন্য বলা চলে উর্বর ভ’মির ফলে আশানুরূপ ফলন হচ্ছে। যেমন অন্য উপজেলাতে আখচাষের জন্য ১০ থেকে ১২ মাস সময় লাগলেও ফরিদগঞ্জে ৭-৮ মাসেই আখের ফলন পাওয়া যায়। আখ চাষে সার্বিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে বেশ চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় দিন দিন আখ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মিষ্টি কুমড়া ও আলু চাষ করা যায়।
উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে চাষিরা পেঁয়াজ, রসুন, সরিষা, মিষ্টি কুমড়া ও আলু জাতীয় ফসলগুলো আলাদা জমি ছাড়াই বিনা সেচে বৃষ্টির উপর নির্ভর করে চাষ করা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আখ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সাথী ফসল থেকে আংশিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়।
পেঁয়াজ ও রসুনের পাতায় তীব্র ঝাঁঝ থাকায় সাথী ফসল হিসেবে আখ চাষ করলে আখে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়। প্রতিটি আখ খুচরা ২০-৪০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়ও সরবরাহ করা হচ্ছেএ উপজেলার আখ। আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষ করলে জমিতে আগাছাও কম হয়, ফলে মূল ফসলের ফলন অনেকাংশে বেড়ে যায়।
বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের আখ চাষি আলাউদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, তিনি লম্বাটে জাতের পাতলা গিরার লাল রং এর আখ চাষ করেছেন। অনেকে রং বিলাস জাতের আখ ও বলে থাকে এ আখকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশিক জামিল মাহমুদ বলেন, উপজেলার যেসব এলাকায় আখ চাষ বেশি হচ্ছে, স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ওই এলাকার আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী দেওয়াসহ আখ লাগানো থেকে শুরু করে উঠানো পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে-ধাপে সার প্রয়োগ ও রোগ-বালাই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষকদের আরো বেশি বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করবেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ১০:২৫ অপরাহ্ন
সরকার ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের সারের ব্যবস্থা করেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

বর্তমান সরকার ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের সারের ব্যবস্থা করেছে। যাতে করে কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারে। কোন ডিলার যদি অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের কেরামজানি এলাকার ঝিনাই নদীর বাঁধ নির্মাণ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য সরবরাহ হয় কৃষি থেকে। শিল্প কারখানার কাঁচামালও সরবরাহ করে এই কৃষি। কৃষির উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম ও বলিদ্র ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ১২:১১ অপরাহ্ন
সবজি চাষকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রবাসীরা
কৃষি বিভাগ

সুইডেনে আগে প্রবাসী বাংলাদেশি শখের বসে নিজ বাড়িতে চাষ করত শাকসবজি। তবে এখন আর শখ নয়, এটাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে অনেকে।

বছরের বেশির ভাগ সময় শীত আর বরফে আচ্ছাদিত থাকা সুইডেন গ্রীষ্মে পায় নতুন রূপ। নানা রকমের ফুল-ফল আর সবজির চাষাবাদ হয় এই গ্রীষ্মে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিজেদের বারান্দায় অনেকে ছোট পরিসরে নিজেদের পছন্দের দেশীয় শাকসবজি চাষ করেন এ সময়ে।

একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশের অনুভূতিটা ধরে রাখার জন্য আমরা বেলকুনিতে যতটা সম্ভব ছোট পরিসরে বাংলাদেশের সবজি চাষ করি।

এক সময় শুধু ঘরের বারান্দায় পছন্দের সবজি চাষ শুরু করা অনেকেই এখন জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন বাংলাদেশি নানা ধরনের শাকসবজি। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অনেকে আবার তা বিক্রিও করছেন। স্বপ্ন দেখছেন দেশীয় সবজির চাষ করে তা জীবিকা হিসেবে বেছে নেয়ার।

আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সবজি চাষাবাদ করছি। আমাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ করার পর বাকি সবজি আমরা বিক্রি করে দেই। আমরা চাইলেই ইতালি বা লন্ডন থেকে সবজি না এনে সুইডেনে বেশি বেশি সবজি চাষ করতে পারি।

সুইডেনে এখনো স্বল্প পরিসরে দেশীয় জাতের শাকসবজির চাষাবাদ হলেও অনেক তরুণ উদ্যোক্তাই দেশীয় সবজির চাহিদা মেটাতে সুইডেনে দেশীয় ফল শাকসবজির বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
ফল ও শাক সবজি সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

ফ্রিজে ভরে রাখলেই সবকিছু তাজা থাকবে- ব্যাপারটা কিন্তু এত সহজ নয়। কিছু জিনিস আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলে বরং নষ্ট হয়। কোন জিনিস কীভাবে সংরক্ষণ করবেন সেটা জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ আছমা মাহমুদ।

কাঁচা টমেটো ফ্রিজে রাখা বারণ। কাঠের ট্রেতে বোঁটার দিকটা নিচের দিকে রাখুন। ট্রেটা ঘরের অন্ধকার কোনো জায়গায় রাখুন। মনে রাখতে হবে সেখানে যেন পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে। এভাবে রাখলে ধীরে ধীরে টমেটো পেকে যাবে। তবে হ্যাঁ, পাকা টমেটো ফ্রিজে রাখতে পারবেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই।

আলু আর পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখা যাবে না। তাতে দুটোই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আলু ঝুড়িতে ভরে খাটের বা সোফার নিচে রাখুন। পেঁয়াজ ভালো থাকে কাগজের প্যাকেটে। তবে সেই প্যাকেটের গায়ে অবশ্যই বেশ কয়েকটা ফুটো করে দিতে হবে যেন বাতাসের যাতায়াত অব্যাহত থাকে। ভুলেও ফ্রিজে আলু, পেঁয়াজ রাখতে যাবেন না। তাতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পেঁয়াজ যেভাবে সংরক্ষণ করেছেন, ঠিক সেভাবেই রসুন সংরক্ষণ করতে হবে। ছিদ্রযুক্ত কাগজের প্যাকেটে রসুন রেখে অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন। রান্নাঘরে না রাখাই ভালো। কারণ চুলার তাপে রান্নাঘরের বাতাস গরম হয়ে যায় এবং তাতে রসুন সংরক্ষণে সমস্যা হয়। আগেই বলেছি বাতাসের প্রবাহ আছে এমন জায়গায় রসুন, পেঁয়াজ রাখলে তা বেশি দিন ভালো থাকবে।

আপেল, কলা, লেবুর মতো ফল একসঙ্গে রাখবেন না, প্রতিটি আলাদা আলাদা ঝুড়িতে রাখুন। আপেল ফ্রিজে রাখতে পারেন তবে কলা রাখা যাবে না। লেবু ফ্রিজে রাখলে পচবে না কিন্তু ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে।

শাক এনেই ধোয়ার দরকার নেই। ঝুড়িতে ভরে অন্ধকার অথচ হাওয়া চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন। রান্না করার আগে ধুয়ে নিতে হবে।

সবজি ফ্রিজে রাখতে হবে। তবে সব সবজি একসঙ্গে না রাখাই ভালো।

নিউজবাংলা

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop