২:১৪ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ন
মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় ৩০০ মাল্টা গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
কৃষি বিভাগ

ফলবাগানে মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় রাতের আধাঁরে কেটে ফেলা হয়েছে ফল ধরা প্রায় ৩০০ মাল্টা গাছ। এ ঘটনায় বাগানমালিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঘটনাটি গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ৩নং ওয়ার্ডের কোমরপুরে ঘটেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ওই বাগান মালিক।

ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক মেজবাউর রহমান অভিযোগ করেন, বখাটেরা রাতের আঁধারে বাগানের চৌকি ঘরে ঢুকে মাদক সেবন করতো। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের বাগান থেকে বের করে দিলে তারা দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরপর সকালে বাগানে গিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলা অবস্থায় দেখতে পান।

এ ঘটনায় প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মেজবাউর জানান। গাছগুলো দুই বছর আগের লাগানো। সেগুলোতে ফুল এসেছিলো। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত মারুফ ও ওহিদুজ্জামান নামে দুজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এস আই ফাহিম জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৯:১০ অপরাহ্ন
বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষে লাভবান শরীয়তপুরের চাষিরা
এগ্রিবিজনেস

শরীয়তপুরে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বছর শরীয়তপুরে ৭৮টি ভ্রাম্যমাণ মৌচাষির দল এসেছে। মধু চাষ করে নিজেরাই সামলম্বী হচ্ছেন না, অবদান রাখছেন অর্থনীতিতেও। মৌখামার ঘিরে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে অনেক বেকার যুবকের। মধু কিনতে মৌচাষির কাছে আসেন দেশি-বিদেশি ক্রেতা। দরদাম করে মধু কিনে নিয়ে যান তারা। তবে মধুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ খামারিদের। ন্যায্য দাম পেলে এ শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে বলে মনে করেন খামারিরা।

শরীয়তপুরের মাঠে মাঠে এখন কালোজিরা আর ধনিয়ার মতো মসলা জাতীয় ফসলে ভরে উঠেছে। মাঠজুড়ে সাদা ফুল বাতাসে দোল খায়। বিচরণ করছে মৌমাছির দল। বসছে ফুলে, করছে মধু আহরণ। ফসলি মাঠের পাশে অস্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়েছেন মৌচাষিরা। বসিয়েছেন সারি সারি মৌবাক্স। প্রতিটি বাক্সে একটি করে রানি মৌমাছিসহ কয়েক হাজার কর্মী মৌমাছি বসবাস করে। তারা ছুটে যায় ফসলি মাঠে। ফুল থেকে আহরণ করেছে ফুলের নির্যাস। মৌমাছির সেই নির্যাস বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় ঘন মধুতে।

মৌচাষিরা ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর বাক্সের ফ্রেমগুলো থেকে নিষ্কাশন যন্ত্রের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত মধু হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ মেশিনের সাহায্যে বের করা হয়। এরপর তা মজুত রাখা হয় বিভিন্ন আকারের কনটেইনারে। তারপর মাঠ থেকেই সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন মধু।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া ও ৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা আবাদ হয়েছে। এসব ফসলি মাঠের পাশে ৯ হাজার ৪৪০টি মৌবাক্স বসানো হয়েছে। এতে ৫৫ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আছে। যার বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মৌ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে শুধু মধু নয়, বিশেষ চারটি উপাদান সংগ্রহ করা যায়। তার প্রক্রিয়াগত জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগের মাধ্যমে খামারিদের সমৃদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিলে মধু শিল্প থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৮, ২০২৩ ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
বরই চাষে বিপ্লব ঘটালেন কুমিল্লার ইউনুস
কৃষি বিভাগ

জীবিকার তাগিদে প্রবাসে থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও ভাগ্য বদলাতে পারেনি, অবশেষে দেশে ফিরে বরই চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে ইউনুস ভূঁইয়া। ইউনুস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মোসলেম ভূঁয়ার ছেলে।

বাণিজ্যিকভাবে বরই চাষ শুরু করে বেশ সফলতা পেয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা ইউনুস ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি ৬০ বিঘা জমিতে এ বল সুন্দরী কুল নামের বরই চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।

জানা যায়, বিশাল জায়গা জুড়ে লাগানো গাছগুলোতে ফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে। এক একটি গাছ ৪ থেকে ৫ হাত লম্বা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুলছে লাল সোনালি রঙের  বরই গাছ গুলো। ফাগুনের মিষ্টি রোদ পড়ে রঙিন বরই গুলো চকচক করছে। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেক গাছের ডাল। বরই উপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো। খেতেও খুব সুস্বাদু। বাজারে এ বরইয়ের চাহিদা ও দাম অনেক ভালো। ফলে চাষের সকল খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান কৃষি উদ্যোক্তা ইউনুস ভূইয়া। বরই চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং এ বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।

মো. ইউনুস ভূঁইয়া জানান, জীবিকার তাগীদে দীর্ঘ ১৪ বছর তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানে কৃষি খামারের তত্ত্বাবধান করেছেন। কয়েক বছর আগে দেশে আসেন। নিজের এবং অন্যের জমি লিজ নিয়ে ৬৬ বিঘা জমিতে মাছের খামার করেন। এলাকাটা উঁচু হওয়ায় পানি কমে যায়। তেমন লাভও পাচ্ছিলেন না। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের সাথে কথা বলে বরই চাষ শুরু করেন। চারা আনলেন নাটোর থেকে। আট মাসে বরই ফল আসা শুরু করে। ২০২১ সালে অল্প কয়েকদিনে তিনি কয়েক লক্ষাধিক টাকার বরই বিক্রি করেছেন। চলতি বছর আরো বেশি ফল পেয়েছেন। তিনি জানান, জমি পত্তনসহ তার প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো পূঁজি লেগেছে। আশা করছেন চলতি বছর তার পূঁজি উঠে আসবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাইন উদ্দিন আহমেদ জানান, ইউনুস ভূঁইয়াাকে শুরু থেকে উপজেলা কৃষি অফিস হতে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। জৈব সার ব্যবহার করে যেন ফল ও সবজি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য তাকে কেঁচো কম্পোস্ট প্রদর্শনী দিয়েছি। তিনি আরো জানান, কৃষি অফিসের উদ্যোগ মুরাদনগর উপজেলায় ১০০ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করি। এর অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা ইউনুস ভূঁইয়া। শুধু এ উপজেলায় নয় পুরো কুমিল্লার মধ্যে তার বরই বাগান সবচেয়ে বড়। ৬০ বিঘা জমিতে চারো পাশে ক্যানেল তৈরি করে এ ফল বাগানটি গড়ে তুলেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ২:১০ অপরাহ্ন
পান চাষে সাতক্ষীরার চাষিদের মুখে হাসি!
কৃষি বিভাগ

সাতক্ষীরায় পান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে বেশি লাভবান হওয়ায় বলে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি পান চাষ করেছেন। এখানকার উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

জানা যায়, আগে শুধু বারুই সম্প্রদায়ের মানুষরা পান চাষ ও এর ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতো। পানের চাষ লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে অনেক কৃষকরা পান চাষের চাষে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ফলে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার কুমিরা, শাকদাহ, রাঢ়ীপাড়া, খলিষখালী, মাগুরা, বড়বিলা ও কুমিরার বারুইপাড়া এলাকায় ব্যাপক পরিমানে পানের চাষ হচ্ছে। কম খরচে পান উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

জানা যায়, সাতক্ষীরার শাকদাহ, রাঢ়ীপাড়া, পাটকেলঘাটার কুমিরা, কুমিরার বারুইপাড়ার চাষিরা পান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ পানের বরজের সংস্কারের কাজ করছেন।

কুমিরা গ্রামের পানচাষি গোপাল চন্দ্র বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত পানের চাষ করে আসছি। পানপাতার বেশি ফলন পেতে হলে বরজ সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। ভেতরে মাটি কেটে লম্বা খ- লাইন তৈরি করে রোপন করতে হয়। অতিরিক্ত রোদ ও বরজে যেন পানি না জমে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।

পাটকেলঘাটার কুমিরা রাঢ়ীপাড়ার পানচাষি বাবলু বিট বলেন, পান চাষে খরচ কম কিন্তু বেশি পরিশ্রম ও সময় দিতে হয়। যা সবাই পারে না। প্রতিবিঘা পানের বরজ তৈরী করতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। আর এর থেকে সারাবছর পানপাতা তোলা যায়।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, গত বছর কৃষকরা পান বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছেন। তাই এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তালা উপজেলার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। আশা করি কৃষকরা এবছরও লাভবান হতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ১:৫৬ অপরাহ্ন
চরের ৭ হাজার কৃষককে কৃষি সহায়তা দেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
কৃষি বিভাগ

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চরের ৭ হাজার কৃষককে কৃষি সহায়তা হিসেবে সৌর-চালিত সেচ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং বাজার সম্প্রসারণে যৌথ সহায়তা দেবে সমাজসেবা খাতের বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ।

রোববার এক সংবাত বিজ্ঞপ্তিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশ জানিয়েছে, চরের বাসিন্দাদের দারিদ্র্য বিমোচন, উত্পাদন দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার সহায়তা নিশ্চিতে ১৬ কোটি টাকা অনুদান দেবে।

ব্যাংকের এ পদক্ষেপের আওতায় দেওয়া অর্থে ৩৬টি চরের ৭ হাজার জলবায়ু-প্রভাবিত কৃষকদের টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া হবে; যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।

এই সহায়তা দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কৃষি কার্যক্রমে বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এই সহায়তার মধ্যে কৃষিকাজ সংক্রান্ত মৌলিক ধাপের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মোকাবিলা করে টিকে থাকার কৌশলগুলো শেখানো হবে কৃষকদের। পাশাপাশি জলবায়ু ও লবণ সহনশীল বীজ, সার, কীটনাশকের মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত চরগুলোয় বসবাসকারীদের জলবায়ু জটিলতার মধ্যেও জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে আমাদের সাহায্য করা প্রয়োজন।

“সাত হাজার কৃষক, তাদের পরিবার ও চরের অসহায় বাসিন্দাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই উদ্যোগে আমাদের পাশে থাকবে ফ্রেন্ডশিপ।”

তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে চরের কৃষকরা জ্ঞান, উদ্ভাবন, শিক্ষা এবং টেকসই রিসোর্সগুলো ব্যবহার করতে পারবে, যা তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সাহায্য করবে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের মধ্যকার ভেদাভেদ দূর হবে বলে আমি মনে করি।”

এসব কৃষককে বাজার নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে ফ্রেন্ডশিপ এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, যা তাদের বৃহত্তর পরিসরে আরও সহজে পণ্য বিক্রয়ে সাহায্য করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

এর মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী সংস্থাগুলোর সাথে সংযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা তহবিল সংগ্রহ, কাঁচামাল এবং এলাকা-নির্দিষ্ট সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। সৌরচালিত পাম্প ও ক্রপ ড্রায়ারের মতো টেকসই ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি কৃষিকাজ অনেক সহজ করবে এবং অবকাঠামো নির্মাণ করে বৈরী আবহাওয়াতেও চরের বাসিন্দারা দৈনন্দিন কৃষিকাজ অব্যাহত রাখতে পারবে।

ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমি আনন্দিত। সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের সাহায্য করতে পারবো।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২৩ ১:৪৬ অপরাহ্ন
প্রযুক্তি ব্যবহারে ধানের জাত উদ্ভাবনে সময় কমছে ৫-৭ বছর
কৃষি গবেষনা

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) দুই দিনব্যাপী ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং (টিআরবি) শীর্ষক কর্মশালা বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানান। রোববার (৫ মার্চ) গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল রাইচ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্ল্যাটফর্ম লিডার ড. হ্যান্স রাজ ভারদোয়াজ, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ড. গ্যারি এটলিন।

ইরি ও ব্রির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইরি বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র উদ্ভিদ প্রজননবিদ ড. রফিকুল ইসলাম। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চলমান ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং বা টিআরবি প্রকল্পের হালনাগাদ অগ্রগতি ও অর্জন উপস্থাপন করেন ব্রির মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. খোন্দকার মো. ইফতেখারুদৌলা। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. হাসানুজ্জামান রনি।

বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়নে ব্রিতে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতজাতের ধান গবেষণার বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়ে কর্মশালায় আলোকপাত করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ব্রি মহাপরচিালক মো. শাহজাহান কবীর বলনে, বিএমজিএফের আর্থিক সহায়তায় ও ইরির কারিগরি সহায়তায় ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিং বা টিআরবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময়কাল ৫-৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত, এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

তিনি বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনে ধানের জাতে জেনেটিক গেইন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক ধানের জাত উদ্ভাবনে ব্রির সক্ষমতা বেড়েছে। ট্রান্সফরমিং রাইস ব্রিডিংয়ের পাশাপাশি জাত উদ্ভাবনের সময় কমানোর জন্য আমরা স্পিড ব্রির্ডি কৌশল অবলম্বন করছি।

ব্রির পরিচালক (গবষেণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, টিআরবি কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে ধানের ফলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমাকে অতিক্রম করা যাবে। এ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ফলন স্তরকে অতিক্রম করে তৃতীয় স্তরের উচ্চ ফলনশীল ও গুণগত মানসম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক দুই লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৮টি ফিক্সড লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা থেকে প্রতিনিয়ত নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে ব্যাকক্রস কৌশল ব্যবহার করে প্রতি শীষে ৮৫০টি পুষ্ট দানা উৎপাদনক্ষম কৌলিক সারি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা বর্তমানে অষ্টম প্রজন্মে রয়েছে। যেখান থেকে ভবিষ্যতে আরও অধিক উৎপাদনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।

কর্মশালায় ব্রি, বিনা, ইরি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিজ্ঞানী, সরকারি-বেসরকারি বীজ উৎপাদক ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২৩ ৮:০৬ অপরাহ্ন
কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ নোয়াখালীর তরমুজ চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফলন বিপর্যয় হওয়ায় হতাশ আগাম তরমুজ চাষিরা। বেশি ফলন ও বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় আশায় আগাম তরমুজ চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাননি তারা। এতে কৃষকরা লোকসানে আশঙ্কায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, কৃষক জয়নাল আবেদীন সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে ৫ বছরের জন্য ২৫ একর পতিত জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ করেন। বাজারে আগাম তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবেন। এই আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তিনি। তার এই আশা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তরমুজের ফলন। প্রথমধাপে ফলন বিপর্যয় হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।

কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, লাভের আশায় এবার তরমুজ চাষ করতে যেয়ে লোকসানের মুখে পড়েছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জমিতে ঔষধ দিয়েছি। গাছ পরিপুষ্ট কিন্তু ফলন নেই। এখন ঔষধ খারাপ নাকি আবহাওয়া খারাপ বুঝতে পারছি না।

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। চাষে আমার প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখনো আশানুরূপ ফলন পাইনি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, চলতি বছর কোম্পানীগঞ্জে ২ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে কিছু কিছু কৃষক ফলন বিপর্যয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আগাম চাষে লাভ ক্ষতি দুটোরই সম্ভাবনা থাকে। তবে বিগত কয়েক বছর চাষিরা আগাম তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। ফলে দিন দিন এর চাষ বাড়ছে। সামনে রমজান মাস থাকায় আশা করছি চাষিদের লোকসান হবে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. শহীদুল হক বলেন, চলতি বছর নোয়াখালীতে প্রায় ৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বর্তমানে তরমুজ বাজারজাত করার অপেক্ষা রয়েছেন কৃষকরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২৩ ৯:১২ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে অগ্রণী ব্যাংকের ৯৬৮তম শাখার শুভ উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ৯৬৮তম শাখার শুভ উদ্বোধন হয়েছে।

আজ (২ মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় শেকৃবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শাখার শুভ উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব রেজিনা পারভীন, শেকৃবির রেজিস্ট্রার জনাব শেখ রেজাউল করিম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের মহা-ব্যবস্থাপক জনাব হোসাইন ঈমান আকন্দ।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুব আনন্দের একটি দিন। শেকৃবিতে অগ্রণী ব্যাংকের শাখা চালু হওয়ায় আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ব্যাংকের একটি পূর্নাঙ্গ শাখা খোলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শেকৃবি’র মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্হাপনা পরিচালক জনাব রেজিনা পারভীন, শেকৃবি’র রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম ও শেকৃবি শাখার প্রধান জনাব কাজী মোহাম্মদ এনামুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অগ্রণী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্হাপক ও ঢাকা উত্তর অঞ্চলের অঞ্চল প্রধান জনাব মো: হুমায়ুন কবির।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, প্রক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উউল্লেখ্য, অগ্রণী ব্যাংকের এ শাখা স্থাপনের ফলে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই সকল ধরণের ব্যাংকিং সুযোগ সুবিধাসহ গৃহনির্মাণের জন্য হোলসেল ঋন সুবিধা পাবেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধাসহ সহজ শর্তে ল্যাপটপ/ডেস্কটপ ক্রয়ে ঋণ সুবিধা পাবেন। শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ই-পে এর মাধ্যমে অনলাইনে সকল ধরনের ফি প্রদান করতে পারবে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি সব অনলাইনে অটোমেশন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে পারবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২৩ ৬:২৬ অপরাহ্ন
গবেষণার কারণেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ: প্রধানমন্ত্রী
কৃষি গবেষনা

সফল গবেষণার কারণেই দেশ আজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি সব মোকাবিলা করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  এসময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার কথাও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি যার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই স্থাপন করে যান। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটির বেতবুনিয়াতে তিনি দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। পঁচাত্তরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময়ে প্রাণ হারান আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার সে বিষয়ে কাজ শুরু করি। মাত্র ৫ বছরে আমরা সে কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। কিন্তু পরেরবার ক্ষমতায় এসে আমরা সে অধিকার বুঝে নিয়েছি। জাতির পিতা শুধু করেই দিয়ে যাননি, আমাদের জন্য সবকিছুর ভিত্তি প্রস্তর করে গেছেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২৩ ১০:০৬ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি যাবে জাপান যুক্তরাষ্ট্রে
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশে উৎপাদিত সবজি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান ও যুক্তরাষ্টের ব্যবসায়ীরা। দেশ দুটির ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ঠাকুরগাঁওয়ের আবাদি বিভিন্ন সবজির মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও কাঁচা মরিচ বাংলাদেশ থেকে নিতে চান।

বুধবার (১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সবজির মাঠ পরিদর্শন করেন ব্যবসায়ীরা।

মাঠ পরিদর্শনের সময় ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় উপস্থিত ছিলেন।

জাপানের শৌ-ই ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আকিরা মাস্টসুমোতো ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক খুব বন্ধুসুলভ, সহজ সরল। আমরা আশা করি বাংলাদেশ থেকে সবজি রফতানি করে সফলভাবে ব্যবসা করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত গাজর, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, লম্বা জাতীয় পেয়াজ বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করে জাপানে ওযুক্তরাষ্টেনিব।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, জাপান ও যুক্তরাষ্টের মতো জায়গায়  আমাদের দেশের উৎপাদিত সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশের ৪ জন বিদেশি নাগরিক ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছেন। তারা আমাদের কৃষকদের কাছ থেকে গাজর, মিষ্টি কুমড়া ও মরিচ নিতে চান। তাই আমরা তাদের সরাসরি ফসলের মাঠগুলো দেখিয়েছি।’

এছাড়াও আমাদের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তায়  থাকেন। তারা যে পণ্যের দাম কম পায় সেই পণ্যের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। আর বেশি দাম পাওয়া পণ্যের উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুঁকেন। আমাদের উৎপাদিত সবজি বা পণ্য যদি জাপান ওযুক্তরাষ্টে ফতানি হয় তাহলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন ও উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ১ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে মরিচ, মিষ্টি কুমড়া চাষ হয় । এছাড়া ৩৫০ হেক্টর জমিতে দাম ও বাজারজাতের অনিশ্চয়তার কারণে গাজর স্বল্প পরিমাণে চাষ করেন কৃষকরা। আজকে বিদেশিরা যারা এসেছেন সবজি কিনতে তারা যদি আমাদের কৃষকদের কাছে থেকে গাজর ক্রয় করেন তাহলে গাজরের আবাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকদের টেকনিক্যাল ও উপকরণ সহায়তা নিশ্চিত করবো।’ এতে অনেকাংশে কৃষকরা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop