২:২৩ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ১০:৫৬ অপরাহ্ন
কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কুমিল্লার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুমিল্লার চাষিদের। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় কুমিল্লায় কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। দিন দিন এ অঞ্চলে কুলের চাষ বেড়েই চলেছে। এখানকার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জেলার কৃষকরা কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ অঞ্চলে বাউকুল, আপেলকুল, তাইওয়ানকুল, নারকেলিসহ বিভিন্ন জাতের কুলের চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে কুমিল্লা ৫৮০ হেক্টর জমিতে কুলের চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি কুলের পাইকারী মূল্য ৪০-৫০ টাকা। খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব। এখানকার উৎপাদিত কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জেলায় উৎপাদিত কুল বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। কুল বাগানে কর্মরত আমিরুল ইসলাম বলেন এ রকম বাগানে কাজ করে তিনি বেশ খুশি। বেতনও ভালো পান। বিপদের সময় অতিরিক্ত অর্থের চাহিদা থাকলে তিনি তা পান। পাইকারী ফল বিক্রেতা শাহআলম বলেন আপেলকুল স্বাদে মিষ্টি, আকারে বড় ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বাজারে এর চাহিদা বেশি হওয়ায় অন্যান্য কুলের চেয়ে এর বিক্রি বেশি। লাভও বেশি।

কুল চাষি মোস্তফা জানান, কুমিল্লার বাজারে এক কেজি কুলের দাম ৭০-৯০ টাকা। অন্য মৌসুমের তুলনায় এ বছর কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জাত উন্নয়ন করে উৎপাদিত কুল চাষে অধিক লাভের জন্য কুমিল্লায় কুল চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ফলে চাষিরা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাভবান হচ্ছে বেশি। এতে করে কুমিল্লায় কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ৭:০৬ অপরাহ্ন
তরমুজে লাভের আশা দাকোপের চাষিদের
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন দাকোপের কৃষকরা। কেউ চারা গাছের পরিচর্যা করছেন, কেউ ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন সার। এভাবেই চলছে তরমুজ চাষাবাদের কর্মযজ্ঞ। এই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন দাকোপের তরমুজ চাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে চাষিদের স্বপ্নের তরমুজ গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ফলনও এসেছে অধিকাংশ গাছে। দাকোপের কৃষক থেকে শুরু করে দিনমজুর, নারী, পুরুষ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, কিশোর, কিশোরীসহ সাধারণ মানুষ স্বপ্নের তরমুজ ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত।

সরেজমিনে জানা যায়, সূর্য যখন মাথার ওপর; তপ্ত রোদ তখন। এসময়ে উপজেলার অধিকাংশ মাঠে নারী-পুরুষ মিলে পানি দিচ্ছেন সোনালি ফসলে। উপজেলায় ড্রাগন, পাকিজা, সুইট ড্রাগন ও বিগপাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নসহ চালনা পৌরসভায় শোভা পাচ্ছে তরমুজ গাছ। আগামী ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে ফল বিক্রি। ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকেরা বেশ লাভবান হবেন। গত বছর দাম না পাওয়ার কারণে অধিকাংশ চাষি লোকসানের মুখে পড়েন। ফলে এবছর তরমুজ চাষ অনেক কম হয়েছে। অনেকে ফিরে গেছেন বোরো ধান চাষে।

উপজেলায় মোট আবাদি জমি ২০ হাজার ৮৮৩ হেক্টর। লবণ অধ্যুষিত হওয়ায় শতভাগ জমি আমন চাষের আওতায় আসে। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে তরমুজ চাষ ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অধিকাংশ চাষি পুঁজি ফিরে পাননি। অনেকের ক্ষেত ছিল অবিক্রিত অবস্থায়। যার প্রভাবে এবছর তরমুজ চাষ কম হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।

উপজেলার বাজুয়া গ্রামের তরমুজ চাষি রণজিৎ মন্ডল জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে পাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। আগামী মাসের শেষের দিকে তরমুজ বাজারজাত করা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

একই এলাকার রাধারানী মন্ডল বলেন, ‘আমি ২ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আশা করি লাভবান হবো। তবে বাজারে যার তরমুজ যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি হবে। তাই আগে-ভাগেই তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর বীজ ও সারের দাম একটু বেশি। এজন্য খরচও বেশি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার ভালো থাকলে আয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

শুধু রণজিৎ মন্ডল কিংবা রাধারানী মন্ডল নন, তরমুজ চাষ করেছেন কামাল হোসেন, হুমায়ুন কবির, প্রণয় মন্ডল, সূর্য মন্ডল, সোহেল মল্লিক, ব্রজেন মন্ডল, আইয়ুব আলী ও আব্দুল মজিদের মতো অনেক কৃষক। কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মীরা।

উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, ‘চলতি তরমুজ মৌসুমে দাকোপ উপজেলায় ৬,৩২০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ে আমি এবং আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের সঙ্গে রয়েছি। তরমুজ চাষিদের বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণসহ ক্ষেতের সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তাদের স্বপ্নের ফসল বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন নোয়াখালীর কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

নোয়াখালীতে কালো তরমুজের বীজ ব্ল্যাক কিং-১ চাষ করে লাভবান কৃষকরা। এই তরমুজ খুব কম খরচে চাষ করা যায় ও অল্প সময়ে এর ফলন পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকরা রমজানকে সামনে রেখে আগাম রোপন করায় এখন ফলন পেয়েছেন। আর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার শুল্লুকিয়া গ্রামে আয়োজিত মাঠ দিবসে এই জাতের তরমুজ চাষের প্রমাণ পাওয়া যায়। এখানকার কৃষকরা এই জাতের তরমুজের চাষ করেছেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা একটি জাত। বীজ বপনের মাত্র ৬৫-৮০ দিনের মধ্যেই তরমুজ বাজারজাত করা যায়। আর এককটি তরমুজের ওজন ৮-১২ পর্যন্ত হয়। খেতে খুবই মিষ্টি। বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষকরা ব্ল্যাক কিং জাতের তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন। পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় লাভবানও হচ্ছেন।

কৃষক সামছুউদ্দিন বলেন, আমরা আগে অন্য জাতের তরমুজের চাষ করতাম। তবে এই জাতের তরমুজের মতো ফলন পাইনি। অন্যান্য জাতের সাইজ ছোট হলেও ব্ল্যাক কিং-১ জাতের তরমুজের সাইজ অনেক বড়। একেকটি তরমুজ ওজনে ৮-১২ কেজি হয়ে থাকে। আর বর্তমান বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি তোজাম্মেল হক ও দুলু রহমান বলেন, ব্ল্যাক কিং-১ জাতের বীজ থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়েছে। বর্তমানে এর পরিক্ষামূলক চাষে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। আশা করছি এই বীজ আরো দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
সূর্যমুখী চাষে ভোলার কৃষকরা লাভের পথে
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে ও এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন ভোলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে সার ও বীজ দিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

জানা যায়, ভোলার রাজাপুরের কৃষকরা তাদের আবাদি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার ও বীজ দিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে কুষকরা এই ফসলের আবাদ করছেন। এর চাষে খরচ কম হয় এবং উৎপাদন বেশি হয়। বর্তমান বাজারে তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই দেশে তেল জাতিয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, চলতি বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে ও প্রকল্পের আওতায় ৯০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এবছর গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ চাষ করা হয়েছে। এখন কৃষকের খেতে সূর্যমুখীর ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষকরা ভালো ফলনের আশা করছেন।

পাঙ্গাশিয়া গ্রামের সূর্যমুখীচাষি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, এবছর কৃষি বিভাগের দেওয়া বীজ ও সার দিয়ে আমার ৩০ শতক জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে চাষ করেছি। জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি দ্বিগুণ লাভবান হতে পারবো।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির জানান, ভোলা জেলায় গত বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছিল। এবছর তা ছাড়িয়ে ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। এর তেল খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হয়। তাই দিন দিন এর চাষ ও চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২৩ ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে যা করবেন
কৃষি গবেষনা

ধানের ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত ব্লাস্ট রোগ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়ায় এ রোগের আক্রমণে ফলন শতভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় রোগটি দেখা দিতে পারে। এটি ধানের পাতা, গিট এবং নেক বা শীষে আক্রমণ করে থাকে। সে অনুযায়ী রোগটি পাতা ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেক ব্লাস্ট নামে পরিচিত।

আমন মৌসুমে সবি সুগন্ধি জাতে এবং বোরো মৌসুমে ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৬৩, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৪, ব্রিধান-৮৮সহ সরু আগাম সুগন্ধি জাতে শীষ ব্লাস্ট রোগ বেশি হয়ে থাকে। এ রোগ প্রতিরোধে কী করবেন সে করণীয় জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

রোগ আক্রমণের পরে করণীয়:
১. আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সারের উপরি প্রয়োগ সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে।
২. ব্লাস্ট রোগের প্রাথমিক অবস্থায় জমিতে ১-২ ইঞ্চি পানি ধরে রাখতে পারলে এ রোগের ব্যাপকতা অনেকাংশে হ্রাস পায়। শুকনা জমিতে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
৩. পাতা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

৪. ব্লাস্ট রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত ছড়ায়। দিনের বেলায় গরম (২৫-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) ও রাতে ঠাণ্ডা (২০-২২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড), শিশিরে ভেজা দীর্ঘ সকাল, অধিক আর্দ্রতা (৮৫% বা তার অধিক), মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করলে ধানের জমিতে রোগ হোক আর না হোক, থোর ফেটে শিষ বের হওয়ার সময় একবার এবং ৫-৭ দিন পর আরেকবার ৫ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে ৬ গ্রাম টেবুকোনাজল ৫০% + ট্রাই-ফ্লক্সিস্টোবিন ২৫ শতাংশ গ্রুপের ছত্রাকনাশক অথবা ৮ গ্রাম ট্রাইসাইক্লাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২৩ ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
‘লাউ বেগুন’ চাষে কুমিল্লার চাষিদের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুমিল্লার ‘লাউ বেগুন’ চাষ। দূর থেকে প্রথমে কেউ দেখলে মনে হবে লাউ। কিন্তু কাছে গেল ভুল ভাঙে। মাঝারি আকারের লাউয়ের মতো সবজিটি অতি পরিচিত বেগুন। জাতের নাম বারি-১২।

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে লাউবেগুন চাষ করছেন কৃষকরা। প্রতিটি বেগুনের ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। এই বেগুন দেখতে ও কিনতে মানুষ ভিড় করছেন। স্বাদ ভালো ও ওজন বেশি হওয়ায় চাহিদাও প্রচুর। দাম পেয়ে খুশি কৃষক।

সরেজমিন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড় গোবিন্দপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমির কোনোটিতে বেগুন, কোনোটিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। কিছু বেগুনের জমি নেট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। জমির পাশে দেখা গেল মানুষের ভিড়।

স্থানীয় ক্রেতা গোলাম রাব্বানী বলেন, বারি বেগুন-১২ নিয়ে মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। এত বড় বেগুন আর দেখিনি। স্বাদ ভালো। তাই পুনরায় কিনতে এসেছি। স্থানীয় কৃষক তারেক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে বারি বেগুন-১২ প্রথমবারের মতো চাষ করেছি। ৩০ শতাংশ জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে নিতে হয় না। জমি ও বাজারে যাওয়ার পথেই কাড়াকাড়ি করে কিনে নিয়ে যায়। সাধারণ বেগুন ২৫-৩০ টাকা হলেও এটি ৪০-৪৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।

স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, এখানে কয়েকটি প্রদর্শনী প্লট দেয়া হয়েছে। ভালো ফলন হয়েছে। এ বেগুনে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। ভালো ফলনের কারণে এ বেগুন কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল হক রোমেল বলেন, ২০২১ সালে বারি বেগুন-১২ সম্পর্কে ধারণা পাই। এ বেগুনের বীজের জন্য বারিতে চিঠি লিখি। বারি কুমিল্লা কার্যালয় থেকে কিছু বীজ পাই। এটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেই। ভালো ফলন হয়েছে। বড় আকারের বেগুন দেখে স্থানীয়রা অবাক হয়েছে। আমরা আশা করি- এই বেগুন চাষ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বারি বেগুন মূলত: এসেছে পটুয়াখালীর একটি রাখাইন সম্প্রদায় থেকে। তারা দীর্ঘদিন চাষ করত। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সেখান থেকে বীজটি সংগ্রহ করেছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বারি বেগুন-১২ নামে মাঠে ছাড়ে। জেলায় এ বছর ২০টি প্রদর্শনী হয়েছে। এটি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পুনরায় চাষ করতে পারবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৩ ৩:৪০ অপরাহ্ন
জামালপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ
কৃষি বিভাগ

জামালপুরে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিন দিন বেড়েই চলেছে তুলা চাষ। একসময়ের অনাবাদি ও পতিত জমিতে কোনো কিছু আবাদ না হলেও তুলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলা সদরের পিয়ারপুর, গোপালপুর, ঘোড়াধাপ, পাথালিয়াচর, নাউভাঙ্গাচর, গুয়াবাড়িয়া, জঙ্গলদীচরসহ মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলার বনাঞ্চল-চরাঞ্চলে ৩শ হেক্টর জমিতে সিবি-১২, সিবি-১৪, সিবি-১৫, রুপালি-১, ডিএম-৪, শুভ্র-৩, হোয়াইট গোল্ডসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলা চাষ করা হয়েছে।

যা গতবারের তুলনায় ২৫ হেক্টর বেশি। বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে ১২-১৫ মণ ফলনের আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে ১ মণ তুলার বাজারমূল্য ৩৫০০-৩৮০০ টাকা। এখন তুলা সংগ্রহের মৌসুম। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে তুলার বাম্পার ফলন হবে এ বছর।

পাথালিয়াচর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহেজ মিয়া (৭০) অল্প কিছুদিন হলো তুলা চাষ করছেন। অনেকেই ১৫-১৬ বছর ধরে চাষ করছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘২২ শতক জমিতে তুলা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৯ হাজার টাকা। গত বছর একই জমিতে খরচ হয়েছিল ৭ হাজার টাকা। বর্তমানে এক মণ তুলার দাম ৩৮ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ১০-১২ মণ তুলা পাওয়া যায়। সমস্যা হলো তুলার একটা মৌসুম উঠতে সময় লাগে প্রায় ৯ মাস। এজন্য অনেকে চাষ করতে চান না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে অনেকের।’

তিনি বলেন, ‘আগের তুলনায় তুলা চাষ বেড়েছে। একসময় ২৮ জন কৃষক তুলা চাষ করলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। উন্নত জাতের তুলার বীজসহ কারিগরি সহায়তা পেলে মানুষ তুলা চাষে আগ্রহী হবে।’

তবে গত বছরের তুলনায় সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কাও করছেন অনেক কৃষক। তারা জানান, শ্রমিক খরচ বাড়তি, সারের দাম বাড়তি। কিন্তু বাজারে তুলার দাম বাড়েনি। তাই ন্যায্য মূল্যের দাবি জানান তারা।

জামালপুর তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সালাহউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কৃষকদের সার, বীজ ও কীটনাশক ফ্রিতে সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিবছর বীজ বপন থেকে শুরু করে মার্কেটিং পর্যন্ত কৃষকদের কারিগরি পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘তুলা উৎপাদন বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় তুলার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
পেঁয়াজের বীজে লাভবান রাজশাহীর চাষিরা
কৃষি বিভাগ

প্রতি বছরই রাজশাহীতে নির্ধারিত একটি সময়ে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায় এই দাম। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

মৌসুম ছাড়াও অমৌসুমে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী করতে কাজ করে কৃষি বিভাগ। এর প্রভাবেই বাজারে এবছর পেঁয়াজের দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের ভেতরেই। তবে পেঁয়াজ চাষ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের বীজের চাহিদাও। চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং ভালো দাম পাওয়ায় রাজশাহীতে পেঁয়াজের বীজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার ২৫৮ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করা হয়েছে। এ থেকে ২১০ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করা যাবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চাষি মোহাম্মদ নাজিম। গত বছর চাষ করেছিলেন পেঁয়াজের বীজ। এক বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছিলেন। ফলে এবার জমি লিজ নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গতবার বীজ চাষ করে ১ লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে। তাই এবার বেশি করে চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। গতবারের মতো দাম পেলে ভালো লাভ হবে।’

রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকার চাষি আব্দুর রহিম এক বিঘা জমিতে বীজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমবার চাষ করছি। শুরুতে বুঝতে সমস্যা হয়েছে। তা ছাড়া পেঁয়াজের ফুল এক মাস ধরে ফোটে। এক সঙ্গে এত মৌমাছিও পাওয়া যায় না। পরে শ্রমিক দিয়ে হস্ত পরাগায়ন করেছি। আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই বীজ তুলে ফেলতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘নিজের জমিতে চাষ করেছি। এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে ৫৮ হাজার টাকা। যা ফলন দেখছি, তাতে সব মিলিয়ে আমার ৮০-৯০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ‘গত বছর বেশ ভালো দাম পাওয়ায় এবার বীজ চাষ কিছুটা বেড়েছে। এবার যে বীজ উৎপাদন হবে, তা দিয়ে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের বীজ চাষে মৌমাছি নিয়ে সমস্যা হয়। বীজের পরাগায়নে সমস্যা হয়। তবে আমরা কৃষকদের হস্ত পরাগায়নের পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়াও সাদা কাপড়ের মাধ্যমে পরাগান ঘটানোর কথা বলেছি। এতে বীজ ভালো মানের ও বেশি ফসল উৎপাদন হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৩ ১০:৩১ অপরাহ্ন
বরিশালে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ব্রি’র হলরুমে কৃষি ডিএইর উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. একরামুল হক। কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই পিরোজপুরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম শিকদার।

বরিশাল সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, বরিশালের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান, পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, বরিশালের ডিটিও মোসাম্মৎ মরিয়ম, ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক ইসরাত জাহান মিলি, পিরোজপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলী আজম শরীফ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোর্শেদা আক্তার মিমি, নলছিটির কৃষক মোবারক হাওলাদার প্রমুখ।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, আগে ধান-গম-পাটের মানসম্মত বীজ সরবরাহে বিএডিসির সক্ষমতা ছিল শতকরা ৮-৯ ভাগ। এই প্রকল্প চলমান অবস্থায় একই প্রতিষ্ঠান হতে সারাদেশে এখন ২৫ ভাগের ওপর বীজ সরবরাহ হচ্ছে। তাই বীজের উৎপাদন আরো বাড়ানো দরকার। এজন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য কৃষকদের আরো লাভবান করা। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা করা সম্ভব। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে শতাধিক অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২৩ ৬:২৪ অপরাহ্ন
বীজ বপনে সিডারে আগ্রহ বাড়ছে কুমিল্লার কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে আধুনিক বীজ বপন পদ্ধতির নাম ড্রাম সিডার। বীজতলার পরিবর্তে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষেতে ধান বপনে লাভবান হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক। তাই জেলার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
ড্রাম সিডারের দুইপাশে প্লাস্টিকের দু’টি চাকার ভেতর একটি লোহার দন্ডের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট দূরত্বে ছোট আকৃতির ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রাম থাকে। প্রতিটি ড্রামে থাকে নির্দিষ্ট মাপের নির্দিষ্ট সংখ্যক ছিদ্র। প্লাস্টিকের চাকার সঙ্গে লাগানো থাকে একটি হাতল, যেটি ধরে একজন কৃষক সহজেই যন্ত্রটি টানতে পারেন। ৩/৪ হাজার টাকা হলেই এই যন্ত্রটি স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে বানানো যায়। এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করতে হয় না তাই সময়, শ্রম, ব্যয় সব কম লাগে। সনাতন পদ্ধতির চেয়ে বেশি ফসল পাওয়ায় কুমিল্লার কৃষকদের মধ্যে ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষক মনোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, ড্রাম সিডারের মাধ্যমে একজন কৃষক দিনে দুই একর জমিতে ধান চাষ করতে পারেন। কিন্তু সনাতন পদ্ধতিতে এই ধানের চারা রোপণ করতে অন্তত ২০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। ড্রাম সিডারে ধান চাষ করায় উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কম লাগছে। তাই ধান চাষে ড্রাম সিডার ব্যবহার লাভজনক দেখে কৃষকেরা এর প্রতি ঝুঁকছেন। যেকোনো ধান চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ ড্রাম সিডারের ব্যবহার।

কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, বীজতলায় চারা উৎপাদন করে, পরে ধান ক্ষেতে রোপণের চেয়ে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে সরাসরি ধান ক্ষেতে বীজ বপন করায় শ্রমিক, সময় ও উৎপাদন ব্যয় বহুলাংশে কম লাগে, পক্ষান্তরে ফলন ভালো পাওয়া যায়। এ প্রযুক্তিতে ধান ক্ষেতের যতœ করা সহজ হয়, ফলে আগের চেয়ে ফলন ভালো পাওয়া যায়। খরচও কয়েক গুণ কম লাগে। তবে কয়েকবার সেচ দিতে হয়। তাছাড়া জমি ও পরিবেশ ভেদে আউশ, আমন ও বোরো তিন মৌসুমেই এ প্রযুক্তিতে ধান চাষ করা যায়। তবে আউশ ও বোরো ধান চাষে এটি বেশি উপযোগী। সনাতন পদ্ধতিতে ধান রোপণের জন্য জমি যেভাবে তৈরি করতে হয়, সেভাবেই জমি তৈরি করে ড্রাম সিডার দিয়ে ধান বপণ করতে হয়। তবে জমিতে যেন পানি না জমে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ড্রাম সিডারের মাধ্যমে ধান চাষে কৃষককে পরামর্শ দিয়েছেন। ড্রাম সিডারে সারি ধরে গাছ হওয়ায় আগাছা দমন সহজ হয়। আগাছানাশক ব্যবহার করলে ৪/৫ দিন ক্ষেতে ছিপছিপে পানি থাকতে হবে। এলসিসি ভিত্তিক ইউরিয়া প্রয়োগ করতে পারলে এই পদ্ধতিতে ধান চাষে সুফল বেশি পাওয়া যায়। ধানগাছ একটু বড় হলে রোপা পদ্ধতির মতোই পানি সেচ দিতে হয়। সঠিক পরিচর্যায় ড্রাম সিডারে বোনা ধানের ফলন রোপা ধানের তুলনায় শতকরা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হতে পারে। এ পদ্ধতিতে চাষ করলে রোপা পদ্ধতির চেয়ে ১২ থেকে ১৫ দিন আগে ধান ঘরে তুলা যায়। এছাড়া ড্রাম সিডার যন্ত্রটি হালকা হওয়ায় সহজে বহন করা যায়। ফলে সবাই এটি ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop