৫:০২ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ২৩, ২০২২ ৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
লালমাই পাহাড়ে সবজি চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা
এগ্রিবিজনেস

কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়ে সবজি চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাহাড়ি মাটির সবজি সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও বেশী। এখানকার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে চাষ বাড়াতে নানা উদ্যোগের কথা জানায় কৃষি অধিদপ্তর।

লালমাই পাহাড়ের লাল মাটিতে স্বপ্ন বুনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বছর জুড়েই চিচিঙ্গা, ঢেড়স, লাউ, কচু, কচুমুখি, কলা, বরবটিসহ নানা রকম সবজি চাষ করছেন তারা।

স্থানীয় কৃষক মিজানুর রহমান জানান, বর্ষাকালে জেলার অন্য স্থানে তেমন সবজি চাষ না হলেও ব্যতিক্রম পাহাড়ি এলাকা। বর্ষাজুড়েই সবজি আবাদ হয় লালমাই পাহাড়ে। আর পাহাড়ের মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও হয় ভালো। পাহাড়ের এসব সবজি খেতে সু-স্বাদু। তাই এর চাহিদাও অনেক।

কৃষক সেলিম মিয়া জানান, পুরো বর্ষাকাল সবজি চাষ করেই চলে তাদের সংসার। এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি থাকবে না, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লালমাই পাহাড়কে সবজি চাষের আওতায় আনা হয়েছে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৩:৪৭ অপরাহ্ন
সারের সংকট হবে না,তবে ভুর্তুকি আরও বাড়বে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

দেশে সারের কোনও সংকট হবে না, তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে ভর্তুকি আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে আমরা রাশিয়া ও বেলারুশ থেকে সার আমদানি করতে পারছি না। তবে সরকারের ত্বরিত পদক্ষেপে বিকল্প উৎস কানাডা থেকে সার আনা সম্ভব হচ্ছে। এই মুহূর্তে সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের যে মজুত রয়েছে, তাতে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত কোনও সমস্যা হবে না।’

বুধবার (২০ জুলাই)  সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘তবে যমুনা ও চট্টগ্রাম সার কারখানা দুটিতে গ্যাস সংকটের কারণে সার উৎপাদন সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউরিয়া সার নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। কারখানা দুটি চালু করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে ইউরিয়া সার আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে এবং সারে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়বে। এছাড়া, গ্যাস সংকটের কারণে সার কারখানা বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।’

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ সার আমদানি করতে পারছে না এবং এর ফলে সরকারকে সারে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সার রফতানিতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত।’

রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড সুইজারল্যান্ডের বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলে এ সময় জানান।

বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি অনেক কথাই বলে, সেই ২০১৩ সাল থেকেই শুনে আসছি— তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আমি মনে করি, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ করার জন্য বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন দেশে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যার ফলে বিএনপিসহ সবদলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
আশ্রয়নের রহিমার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীকে নিজ আঙিনার সবজি খাওয়ানো
কৃষি বিভাগ

নদীর পাড়ে আধাপাকা ঘর। সারি সারি ঘরগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই ঘরগুলোতে থাকে গৃহহীন দরিদ্র মানুষগুলো। যাদের মধ্যে একজন রহিমা আক্তার। সহায় সম্বল হারিয়ে এখানেই বসবাস তার। ঘরের পাশেই করেছেন নানান রকম সবজির চাষ। সবুজের সমারোহে পুরো আঙ্গিনা যেন সাজছে নতুন করে। এই যেন এক অন্যরকম আমেজ। এই সবুজের তাজা সবজি প্রধানমন্ত্রী দিতে চান রহিমা আক্তার। তার জন্য তাঁর দীর্ঘ অপেক্ষা।

রহিমা আক্তার জানান, নদীতে সব ভেঙে নিয়ে গেলে আমরা সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়ি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘর পেয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা এখন বেশ ভালো আছি। নিজেরা হাঁস-মুরগী, ছাগল পালন করছি। আর বাড়ির আঙিনায় যতটা সবজি হয়, তা সবাই মিলে ভাগ করে খাই। তবে কষ্টও কিছু আছে। হাসপাতাল অনেক দূরে, বাচ্চাদের জন্যও কাছে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। আমরাও তো চাই লেখাপড়া শিখে আমাদের সন্তানরা বড় অফিসার হোক। এছাড়া মসজিদ, কবরস্থানসহ আরও কিছু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সরেজমিনে জয় বাংলা আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, দুই শতাংশ জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয়েছে এই মানুষগুলোকে। এর সঙ্গে আছে রান্নাঘর ও টয়লেট। আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগি পালন ও শাক-সবজি চাষেরও জায়গাও আছে বেশ খানিকটা। এছাড়া নদীর পাড়ে হওয়ায় অনেকেই পালন করেন হাঁস।

এখানে আশ্রয় পাওয়া পরিবারগুলোর অধিকাংশ পুরুষরাই যেখানে পেশায় জেলে, সেখানে বাড়ির নারীরাও নিজের প্রচেষ্টায় এগিয়ে নিচ্ছেন সংসার আর সন্তানদের। তাই দেখে অন্য ঘরহীন মানুষও আশা জাগায় মনে- তাদেরও একদিন এমন ঘর হবে! আর সেই ঘর উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এমনই স্বপ্ন দেখা একজন নারী রেণু বেগম। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই নারী বলেন, ‘এখানে আমার বোনের মেয়ে থাকে, ওর নাম বিবি জয়নাল। আমার ঘর তো নদীতে ভাসায়ে নিয়ে গেছে বাজান, তাই আমিও আবেদন করেছি এমন একটা ঘরের জন্য। আমারও এমন একটা সুন্দর ঘর হবে একদিন, এইটাই স্বপ্ন। ’

সার্বিক বিষয়ে কমল নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, যে মানুষগুলো নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন, এখন ঘর পেয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আমরা তাদের জন্য এখানে কবরস্থান করার চিন্তা করছি। আমরা জায়গা রেডি করেছি। আমরা এখানে একটা মসজিদ করে দেব। তাদের মধ্যে এখন একটা কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট হচ্ছে। এখানে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, আমরা খোলা একটু জায়গা রেখেছি, যেন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো তারা এখানে করতে পারে। আমরা উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন নিয়মিত তাদের দেখাশোনা করছি, খোঁজ-খবর রাখছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৪০ পূর্বাহ্ন
পাটের ভালো পলন হলেও পঁচাতে না পেরে হতাশ রংপুরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

বর্ষার মৌসুমে হচ্ছেনা বৃষ্টি। প্রচণ্ড রোদে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল। গত কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টিতে পাট কেটে বিপাকে পড়েছেন রংপুর অঞ্চলের প্রায় ৭০ হাজার কৃষক। কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। বৃষ্টি আসলে খাল-বিল পানিতে ভরবে তারপর পাট পঁচাতে পারবেন। কিন্তু হতাশা যেন পিছু ছাড়ছেনা তাদের।

এবছর লালমনিরহাটে পাট চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৮৫ হেক্টর, নীলফামারিতে ৬ হাজার ৭১০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১৫ হাজার হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১৬ হাজার ৫৭৭ হেক্টর ও রংপুরে ৯ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা গ্রামের কৃষক নির্মল বর্মন জানান, এবছর ৭ বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছি। বৃষ্টি না হওয়ায় পাট পঁচাতে পারছি না। পাট কেটে জমিতে ফেলে রেখেছি। বৃষ্টি হলে খালে পানি জমলে তখন পঁচাতে পারবো। ‘রিবন রোটিং’ পদ্ধতিতে পাট পঁচানো যায়, কিন্তু এতে পাটকাঠি নষ্ট হয়ে যায়। যদি এ সপ্তাহে বৃষ্টি না হয় তাহলে ‘রিবন রোটিং’ পদ্ধতিতেই পাট পঁচাতে হবে।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, চলতি বছর রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারীতে প্রায় ৭০ হাজার কৃষক পাট চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর পাট চাষের জমির পরিমান বেড়েছে।

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ড. আবু ফজল মোল্লা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চাষিরা পাট পঁচাতে পারছে না। আমরা তাদের ’রিবন রোটিং’ পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২২ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
পাটের ন্যায্য দাম না পেয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক
কৃষি বিভাগ

চাঁদপুরে একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। তবে বর্তমানে পাট আবাদে বিমুখ হচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা। উৎপাদন খরচ বেশি এবং কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।

কৃষকরা জানান, গেলো বছর যেখানে প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৮০০ টাকা দরে।

অপরদিকে চারা রোপণ থেকে শুরু করে আঁশ প্রস্তুতকরণ পর্যন্ত প্রতি মণ পাটে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। এতে এ বছর পাট চাষে ব্যাপক লোকসানের শঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, প্রস্তুতকৃত আঁশ কিছুদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে দাম কিছুটা বাড়বে।

চাঁদপুর কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে জেলায় দেশি, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাট আবাদ হয়ে থাকে। যা বেশি আবাদ হয় সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। যদিও গত বছর পাটের দাম ভালো থাকায় চলতি বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে থাকলেও আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার ২০০ হেক্টর বেশি।

এ বছর দেশি জাতের পাটের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে, তোষা আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭২০ হেক্টর, মেস্তা ১৭৫ হেক্টর ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে।

এরই মধ্যে কাটা হয়েছে দেশি ৯৮৫ হেক্টর, তোষা ৯৭৫ হেক্টর, মেস্তা ১৭০ হেক্টর ও কেনাফ ৩৩০ হেক্টর জমির পাট।

চাঁদপুর সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ পাট কাটছেন, কেউবা জাগ দিচ্ছেন, আবার কেউ পাটের আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধসহ সবাই একত্রে কাজ করছে। কেউ বাড়ির আঙ্গিনায়, কেউ আবার রাস্তায়।

সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকার কৃষক রফিক তালুকদার, নুরুল ইসলাম ব্যাপারী, বাচ্চু ব্যাপারী ও দেলোয়ার খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, প্রতিমণ পাট উৎপাদনে চারা রোপণ থেকে শুরু করে আঁশ নেওয়া পর্যন্ত শ্রমিক খরচ পড়েছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা। কিন্তু এবছর দাম মাত্র ১৫০০-১৮০০ টাকা। এতে প্রতিমণে অনেক টাকা লস দিতে হবে।

তাদের দাবি, গত বছর পাট মৌসুমের প্রথম দিকে প্রতিমণ পাটের দাম ছিল ২৪০০-২৬০০ টাকা, শেষ সময় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাটের আঁশ বিক্রি হয়েছে। এতে অনেকেই লাভবান হওয়ায় এবছরও চাষ করেছেন। কিন্তু এবার দাম এমন হবে তা বুঝতে পারেননি।

এভাবে চললে সামনের বছর অনেক কৃষকই আর পাট আবাদ করবে না।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, আরও কয়েকদিন যদি পাটের আঁশ সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাহলে দাম কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকদের জন্য একটি সুখবর হলো পাটের নতুন একটি জাত উদ্ভাবন হয়েছে। আগামী বছর থেকে উদ্ভাবিত নতুন এ জাতের পাট আবাদের মাধ্যমে কৃষকরা দ্বিগুণ ফলন পাবেন এবং অধিক লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২২ ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম
কৃষি বিভাগ

কাঁচামরিচের সরবরাহে কোনো সংকট নেই। তবু দাম বেড়েছে। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকার মতো।

খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও কোরবানি ঈদের কারণে চাহিদা বেশি ছিল। এ কারণে দাম বেড়েছে। তবে বাড়তি এই দাম বেশি দিন থাকবে না বলে আশা করছেন তাঁরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, তেজকুনিপাড়া ও মগবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, যা কোরবানির ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় দাম আরেকটু বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল আহমেদ বলেন, বাজারে এখন ক্রেতা কম। তবে ঈদে বিয়ে-শাদিসহ নানা অনুষ্ঠান থাকে। সে কারণে মরিচের চাহিদা বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে কাঁচামরিচের পাল্লায় (৫ কেজি) দাম এক থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে এই বেশি দাম বড়জোর তিন-চার দিন থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২২ ৮:১০ পূর্বাহ্ন
নোনাপানিতে ঘেরের মাছ ও ফসলের ক্ষতি
কৃষি বিভাগ

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ২৬ নম্বর পোল্ডারে দুই রাতেই নোনাপানিতে সাড়ে ৭০০ বিঘা জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বাদু পানির ঘেরের মাছ ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্বল বাঁধ গলিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি অনেকের।

স্থানীয় ঘের মালিকদের অভিযোগ, কয়েকজন বাগদা চিংড়ি চাষি গত মঙ্গলরার রাতে উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর পোল্ডারের কাকমারি বিল এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে দিলে এ ঘটনা ঘটে।

এই পোল্ডার অর্থাৎ কাকমারি বিলে ডুমুরিয়া, সাহস, নোয়াকাটি, শরাফপুর, কুমারঘাটা, শোভনা, জিয়েলতলা, উলা, ভাণ্ডরপাড়া, বসুন্দিয়া, ভুলবাড়িয়া, কাপালিডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষের প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। ওই বিলের বেড়িবাঁধের উত্তর-দক্ষিণ অংশে সাড়ে ৭০০ বিঘা জমিতে এরই মধ্যে নোনাপানি ছড়িয়ে পড়েছে।

এসব জমিতে এখন মিষ্টি পানির গলদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছের চাষ হচ্ছে। রয়েছে আউশ ধানের বীজতলা। বিলজুড়ে রয়েছে চিংড়ি ঘেরের (অবশিষ্ট জায়গা) বেড়িবাঁধের ওপর বেগুন, পটোল, শসা, চিচিঙ্গা, ওল, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, পেঁপে, বরবটিসহ নানা সবজি।

এ অঞ্চলে সারাবছর প্রায় ৬৫ কোটি টাকার সুস্বাদু পানির মাছ এবং ৪০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হয় বলে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি ও মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২২ ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
ইউটিউব দেখে বালুর মাঠে মরুর খেজুর চাষ
এগ্রিবিজনেস

উটিউব দেখে দেশে কত কিছইনা হচ্ছে। তবে এবার ইউটিউবে সময় নষ্ট না করে, ইউটিউব দেখেই ভাগ্য পরিবর্তন করলেন নাটোরের লালপুরে শরিফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি পদ্মার চরে করছেন মরুর খেজুর চাষ। বালি মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে ৩ বিঘা জমিতে এ খেজুর চাষ শুরু করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিলমাড়িয়ায় পদ্মার বুকে কাঁটাতারে ঘেরা জমিতে রসুনের সাথে বেড়ে উঠছে সৌদি আরবের খুরমা খেজুরের গাছ।

তিনি জানান, এটি মরুভূমির গাছ, যার ফলে আমাদের এই অঞ্চলে খাপ খাওয়াতে একটু বেগ পেতে হবে। গাছের গোড়ায় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিতে হয়, পানি কম হলেও বাঁচবে না, আবার বেশি হলে পচে যাবে। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব। নারকেল ও শুপারি গাছের নতুন রোগ হোয়াইট ফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণটা বড় ভয় এ খেজুর গাছের। এ জন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এর সঙ্গে রয়েছে ইঁদুরের জ্বালাতন। খেজুর গাছের শিকড় কেটে দেয়, আবার ফলও কাটে। ইঁদুরের জন্যও আমাদের সতর্ক থাকতে হয়।

নতুন কেউ সৌদির খেজুর চাষ করতে চাইলে তাদের জন্য শরিফুল ইসলামের পরামর্শ, কলম এবং বিচি দুইভাবেই সৌদির খেজুরের চারা তৈরি হয়। এ বিচির চারার বেশিরভাগ পুরুষ হয়ে যায়। যার ফলে ফল আসে না। তাই নতুন যারা শুরু করবেন, তাদের কলমের (অপশুট) চারা কিনতে হবে। তবে সবচেয়ে সতর্কবানী হচ্ছে হুট করে কেউ বাণিজ্যিকভাবে খেজুর চাষে নেমে ধ্বংস হবেন না। আগে জানতে হবে। আমিও ঠিকমতো জানিনা। কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে আগাবো।

লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা রফিকুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের আবহাওয়া ও জলবায়ু আমাদের এখানকার থেকে পৃথক হওয়ায় সৌদি জাতের খেজুরগাছগুলো এদেশে সাধারণত হয় না। হলেও সফলতার হার কম। আমরা সুবিধা অসুবিধা দুইটার কথায় তাকে বলছি। তারপরও কৃষক যথেষ্ট আগ্রহী। তিনি সফল্যের বিষয়ে খুবই আশাবাদী সেই সাথে আমরাও আশাবাদী। আমরা তাকে সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে যাবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২২ ৭:৩২ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে বেড়েছে কলার উৎপাদন!
কৃষি বিভাগ

কলা একটি আদর্শিক খাবার। এটি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। বিগত কয়েক বছরের তুলনাই রাজশাহীতে কলার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। পতিত জমি ও পুকুর পাড়ে উচ্চ ফলনশীল কলার চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া রাজশাহী অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে কলার আবাদ ও উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজশাহী কৃষি অধিদপ্তরের সূত্র মতে, বিগত ৫ বছর আগে যেখানে রাজশাহীতে কলা আবাদ হতো ১ হাজার ৯০২ হেক্টর জমিতে আর চলতি মৌসুমে কলা আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪১০ হেক্টর।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলার আবাদ হয় পুঠিয়া উপজেলায়। চলতি বছর এ উপজেলায় মোট ১ হাজার ২ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তৌফিকুর রহমান জানান, আগের চেয়ে বর্তমানে মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কলা। সম্প্রতি কলা খুব লাভজনক একটি কৃষি ব্যবসায় পরিণত হওয়ায় বিভিন্ন রাস্তা ও রেল লাইনের পরিত্যক্ত জায়গায় কলার চাষ হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২২ ৯:২২ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় পাটের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
এগ্রিবিজনেস

পাট বাংলাদেশের অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। পাট ছাড়া কারও জীবন একদিনের জন্য অতিবাহিত হওয়া সম্ভব না। এটি একটি বর্ষাকালীন ফসল। আর পাটকে বলা হয় বাংলাদেশের সোনালী আঁশ। পাট পরিবেশ বান্ধব, বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য আঁশ ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার কুমিল্লায় সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পূর্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে এবার ৫শত হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবছর ভালো বৃষ্টিপাত ও সারের সঙ্কট না থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন।

কৃষক মোতালেব জানান, তিনি এবছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, এবছর জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এতে দেশি ও তোষা জাতের পাট রয়েছে। পাটের মূল্য নাগালেই থাকায় ধীরে ধীরে বাড়ছে পাটের চাষ।

কুমিল্লার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ চাষিদের সব ধরনের সহযোগীতা করবে বলে তিনি আশ্বাস রাখেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop