১০:৩৯ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৩, ২০২২ ৭:১৫ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে দেশেও সারের দাম কমবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানোর ফলে উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমলে দেশেও সারের দাম কমানো হবে।’

বুধবার (৩ আগস্ট) বরিশাল শহরের শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। কৃষকদের মধ্যে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে প্রথমে ২৫ টাকা (২০০৯ সালে) এবং পরে ২০১৯ সালে ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিএপির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভেবেছিলাম ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে, কিন্তু কমেনি।’ দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরিয়ার ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ১ আগস্ট থেকে সরকার ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করে ডিলার পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রতি কেজি ২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২২ ৫:১৮ অপরাহ্ন
মাদককারবারির বাড়ি থেকে ৬ চোরাই গরু উদ্ধার
কৃষি বিভাগ

বগুড়ার সোনাতলায় বহুল আলোচিত মাদক কারবারি ছবি আক্তারের বাড়ি থেকে ৬টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

এ সময় ছবি আক্তার পালিয়ে গেলেও তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও ছেলে সিয়ামকে (১৯) আটক করা হয়েছে।

শনিবার রাতে তার বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোনাতলা থানার সাব ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাতলা পৌর এলাকার ভূমি অফিসের পাশে তার নিজ বাড়ি থেকে ৬টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার ছেলে সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করা হয় এবং রোববার তার স্বামীকেও আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জালাল উদ্দীন বলেন, চোরাই গরু রাখার সংবাদের ভিত্তিতে ছবি নামের এক নারীর বাড়ি থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং একটি মামলা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২২ ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ সবজি চাষ করছেন খানসামার চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কৃষি ক্ষেত্রে সবজি চাষে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহারে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু সার ও কীটনাশকমুক্ত সবজি খাওয়ার কথা শুধু ভাবাই যায়, কিন্তু পাওয়া যায় না। এর মধ্যেই নিরাপদ সবজি চাষ করছেন খানসামা উপজেলার বাসুলীসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।

এ সবজি চাষে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় তা কৃষক ও কৃষাণিদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চলতি মৌসুমেও বিষমুক্ত সবজি চাষ করছেন তারা। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব, রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক ছাড়াই এসব সবজি চাষ করা হচ্ছে।

তবে এসব সবজির দাম অন্য সবজির তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানান কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় মোট ৪ দশমিক ৮ একর জমিতে নিরাপদ সবজি চাষ হয়েছে। এতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার বাসুলী, শুশুলী ও ফরিদাবাদসহ বিভিন্ন গ্রামে চাষ হচ্ছে বিষমুক্ত চালকুমড়া, করলা, পটোল, শসা, বেগুন ও পানিকুমড়া।

সরেজমিনে দেখা যায়, খেতের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে সেক্সফেরোমন ফাঁদ। পুরুষ পোকাকে আকৃষ্ট করতে এ ফাঁদে স্ত্রী পোকার শরীর থেকে নিঃসৃত এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বা স্ত্রী পোকার গন্ধ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে পুরুষ পোকা ফাঁদের দিকে ধেয়ে আসে এবং ফাঁদে পড়ে মারা যায়। এতে জমির ফসল পোকামাকড় থেকে রক্ষা পায়। অতীতে এসব কীট দমনে ব্যবহার হতো বিষাক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। এছাড়াও রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জমিতে ব্যবহার করা হচ্ছে জৈব সার ও কেঁচো সার।

বাসুলী গ্রামের কৃষক আহমদ আলী বলেন, কয়েক বছর আগে আমরা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি আবাদ করেছি। তবে আমরা জানতাম না এতে ফসল বিষাক্ত হয় এবং এসব খেয়ে মানুষ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতেন। কৃষি বিভাগের কাছ থেকে জানার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মানুষকে আর বিষ খাওয়াব না। বর্তমানে আমাদের গ্রামের সবাই নিরাপদ সবজি চাষ করছে।

একই এলাকার কৃষানি সুমি আক্তার বলেন, বাজারে বিষমুক্ত সবজির দাম বেশি হওয়ায় অল্প খরচে ভালো টাকা উপার্জন সম্ভব হয়। বাজারে এই সবজির চাহিদাও বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় উপজেলায় নিরাপদ সবজি চাষ করতে বাসুলী, শুশুলী ও ফরিদাবাদ গ্রামের কৃষকদের সংগঠিত করে জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২২ ৪:৫২ অপরাহ্ন
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে বাড়লো ৬ টাকা
কৃষি বিভাগ

ইউরিয়া সারের ব্যবহার ‘যৌক্তিক পর্যায়ে’ রাখতে এবং বিশ্ব বাজারে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ দেখিয়ে দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২০ টাকা করার কথা জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই দাম আগে ১৪ টাকা ছিল।

সোমবার (১ আগস্ট) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুননির্ধারিত এ মূল্য সোমবার থেকেই কার্যকর হবে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির পরও সরকারকে প্রতিকেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।

২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।’

মন্ত্রণালয় বলছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সারের মূল্য চার দফা কমিয়ে অত্যন্ত স্বল্প দামে পর্যাপ্ত সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন।’
ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ার ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি; বরং বেড়েছে। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

অন্যদিকে গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশে সারে প্রদত্ত সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভর্তুকিতে লেগেছিল সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা; সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

সরকারি তথ্য বলছে, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমন মৌসুম (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন, বিপরীতে বর্তমানে মজুত রয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ১ লাখ টন বেশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২২ ৪:২২ অপরাহ্ন
নাটোরে বজ্রপাতে কৃষকের প্রাণহানি
কৃষি বিভাগ

নাটোরের বড়াইগ্রামে বজ্রপাতে ছলিম উদ্দিন (৪২) নামের একজনের প্রাণহানি হয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নটাবাড়িয়া গ্রামের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ছলিম উদ্দিন একই গ্রামের লইমুদ্দিনের ছেলে।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বাড়ির পাশের মাঠে কাজ করছিলেন কৃষক ছলিম উদ্দিন। হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

বজ্রপাতে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে এলাকাবাসী মরদেহটি উদ্ধার করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২২ ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু চিনবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

অনেক অসাধু গরু ব্যবসায়িকরা রয়েছেন, যারা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে এসব পশুকে মোটাতাজা করে থাকেন তারা, যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের জন ভয়ানক ক্ষতিকর। এমন গরুর মাংসতেও তেমন স্বাধ থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃত-কিডনির বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
মোটাতাজাকরণ গবাদিপশু চেনার কিছু উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নেই ইনজেকশন দেওয়া কোরবানির পশু চিনবেন যেভাবে।

দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। একটু হাঁটলেই হাঁপায়। খুবই ক্লান্ত দেখায়। ইনজেকশন দেয়া গরুর রানের মাংস নরম হয়। স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু মোটা হয় সেগুলোর রানের মাংস শক্ত হয়।

লালা বা ফেনা
যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটা করা পশু নয়।

খুব শান্ত
স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেওয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক মাংস মনে হবে।

আঙুলের চাপ
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মোটা গবাদিপশুর ক্ষেত্রে দ্রুতই মাংস স্বাভাবিক হয়।

শরীরে পানি জমে
অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে।

খাবার
গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ। যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চায় না।

নাকের ওপরটা ভেজা
সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।

পা ও মুখ ফোলা
বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সব সময় নিরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না।

অসুস্থ গরুর শরীরে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর তাপমাত্রা থাকবে। দেখা যাবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। সামনে খাবার থাকলেও খাচ্ছে না, এমনকি জাবরও কাটছে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ৫:৪৭ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ইলেকট্রনিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে যার মাধ্যমে সঠিক গবেষণায় খাদ্যের মান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যেকোন প্রয়োজনে ৩৩৩ নম্বওে ফোন কওে ভোক্তগণ অভিযোগ জানাতে পারবেন।

বাকৃবিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার এসব কথা বলেছেন। বাকৃবি গবেষকগণ যেভাবে কৃষি বিপ্লব এনে দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণেও তারা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে সরকারের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর যৌথ আয়োজনে রবিবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টায় বাকৃবি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, উন্নত ও মেধা শক্তিসম্পন্ন জাতি গঠনে সুষম ও নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক গবেষণালব্ধ ফলাফল সবপর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া বাকৃবি গবেষকদের দায়িত্ব।
এছাড়াও সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদেও ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আলীম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ।

অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথি বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা
কৃষি বিভাগ

টাকার কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত অর্থবছরের চেয়ে যা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে এ খাতে মোট ২৮ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা বিতরণ করবে। তবে কোন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কত বিতরণ করবে, তার বিস্তারিত আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে জানাতে হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শস্য খাতে বিতরণ করতে হবে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার কমপক্ষে ১০ শতাংশ করে ঋণ বিতরণ করতে হবে।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণে গুরুত্ব দিতে হবে।

যে এলাকায় যে ফসল ভালো উৎপাদন হয়, সে এলাকায় সেই ফসলে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবভিত্তিক ঋণ বিতরণ করতে হবে। প্রকৃত ক্ষুদ্র, প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন ও বর্গাচাষিদের সহজ পদ্ধতিতে কৃষিঋণ দিতে বলা হয়েছে নীতিমালায়। কৃষিতে ৪ ও ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণ দেওয়া হয়।
অতি খরা বা বৃষ্টির মতো পরিবেশগত কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া, করোনা-পরবর্তী বাড়তি চাহিদা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহে জটিলতা দেখা দেওয়ায় বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে।

এ রকম পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে কৃষিঋণ নীতিমালায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিল্প ও সেবা খাতে সর্বশেষ প্রণোদনা ঋণের বরাদ্দ ৩০ হাজার কোটি টাকা: এদিকে একই দিনে অপর এক সার্কুলারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় নেওয়া আর্থিক প্রণোদনার তৃতীয় ও সর্বশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্যাকেজে শিল্প ও সেবা খাতের (সিএমএসএমই বাদে) প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বেজা, বেপজা, বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষে অবস্থিত এ, বি, সি টাইপ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং এসব এলাকার বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি বা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ৭:২৬ অপরাহ্ন
শিম জাতীয় সবজির উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধি : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় শিম জাতীয় সবজির উন্নয়ন ও উৎপাদন কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ জুলাই) সিলেটের ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। এতে অর্থায়ন করেছে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন খান। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথের সঞ্চালনায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা পর্যায়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রশিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন যারা পরবর্তীতে মাঠপর্যায়ে চাষীদের এবিষয়ে প্রশিক্ষিত করবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘শিম বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি ফসল যা প্রধানত শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে গ্রীষ্মকালীন শিমের বেশ কয়েকটি জাত জনপ্রিয় হয়েছে। যেহেতু শিম একটি আমিষ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি তাই গ্রীষ্মকালীন সময়ে এ ফসলটি চাষ করতে পারলে আপামত জনগোষ্ঠির পুষ্টির উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব’।

অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম শিম উৎপাদনের নানা কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মো: শহীদুল ইসলাম সিকৃবি শিম-১ (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিম-১) ও সিকৃবি শিম-২ জাত আবিষ্কার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ১২:৫১ অপরাহ্ন
রোপা আমনের চারা রোপনে ব্যস্ত ঈশ্বর্দীর চাষিরা
কৃষি বিভাগ

চলতি বছরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আষাঢ় মাসে ঠিক তেমন একটা বৃষ্টির দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড খরা পার করে শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে আবহাওয়া কিছুটা অনুকুলে আসে।

কয়েকদিন বৃষ্টির পানি পেয়েই খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমনের বিভিন্ন জাতের ধান গাছের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
শুক্রবার (২৯ জু্লাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় কৃষকদের কর্মচাঞ্চল্যের এমন চিত্র।

জানা যায়, দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে মহিষ দিয়ে জমি চাষ করা শুরু করেছেন। কেউ জমি প্রস্তুত করতে, কেউ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলতে আবার কেউ ভাটিয়ালি গানের সুরে সুরে জমিতে চারা রোপণ করতে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা চুক্তি ভিত্তিতে এসেও কাজ করছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ধানের চারা বপণের কাজে তাদের মজুরি মেলে এক হাজার ৭০০ টাকা। এভাবে এক একটি গ্রুপে ১০ জন করে শ্রমিক একসঙ্গে কামলা দিয়ে থাকেন।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন ময়দানদীঘী গ্রামের বাসিন্দা সাবু প্রমানিক জানান, আমাদের গোটা গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। প্রতি বছরের আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে আমরা দল বেঁধে ধান লাগাই। সারাদিনে পাঁচ বিঘা জমিতে ধান বপন করা সম্ভব হয়। জমি থেকে ধানের চারা তুলে বপন করে বিঘা প্রতি মজুরি পাই এক হাজার ৭০০ টাকা। সেখান থেকে খাওয়া খরচ বাদ দিলে সারাদিনে আয় থাকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল কলপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, আষাঢ় মাসে বর্ষায় রোপা আমনের চারা রোপণ করার সময়। এ বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি অনেক কম হয়েছে। শ্রাবণ মাসের শুরুতে রোপা আমনের চারা বপনের উপযুক্ত সময়। কিন্তু এ বছরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে একটু দেরিই হয়ে গেল। সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অনেক শ্রমিকরা অন্য পেশায় চলে গেছেন। তাছাড়া কম হাজিরায় কাজ করতে চাই না। তাই বাহিরের জেলা থেকে শ্রমিকরা চুক্তিতে কাজ করছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা ইন্না জানান, ঈশ্বরদী পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চলতি বছর খরিপ-২ রোপা আমন উফশী জাতের ধান আবাদ হচ্ছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। শ্রাবণের শুরুতে এ জাতের ধান রোপণের মৌসুম। ঈশ্বরদী পৌর এলাকাসহ উপজেলায় ২০১ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করেছেন চাষিরা।

তিনি আরও জানান, উপজেলার সাত ইউনিয়নে ১৮১ হেক্টর জমি চাষের উপযোগী করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এখানে রোপা আমনের ব্রি-ধান জাতের আবাদ করেন এ এলাকার কৃষকরা। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা ধান গাছের রোগবালাই কম হলে এবারে বাম্পার ফলন ঘরে তুলবেন কুষকরা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, চলতি বছরে আষাঢ় মাসে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করেছে। তবে শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি হওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মিতা সরকার জানান, ঈশ্বরদী পৌর এবং উপজেলার সাত ইউনিয়নে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৭০০ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের দেওয়া ধানের জাতগুলো হচ্ছে- উপসী রোপা আমন ব্রি-ধাণ-৮৭, ৮০, ৭৫ ও ১৭। এসব আধুনিক আমন ধান চাষ করে সেচ ছাড়া ও কম সার ব্যবহার করে বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। এছাড়া কৃষকদের পরামর্শ দিতে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আর সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে বিঘা প্রতি ৩০ মন পর্যন্ত ধানের ফলন পাওয়া সম্ভব।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop