৫:১৯ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৪, ২০২২ ৮:৫৪ অপরাহ্ন
বিষমুক্ত সবজি চাষ এগিয়ে ব্রহ্মপুত্রের চরে
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদীর বুকে ২০টি চরাঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বিষমুক্ত সবজি চাষ করছে। সেই সবজি দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বিক্রি করে আশানুরূপ আয় করছেন চরের মানুষ। এসব পরিবারের অধিকাংশই ভূমিহীন। চরাঞ্চলের এসব মানুষ বসতভিটার উঠানে স্বল্প পরিসরে লাউ, সিম, বরবটি, করল্লা, মরিচসহ নানা রকমের শাক উৎপাদন করছেন।

চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চর শাখা হাতি এলাকার গৃহবধূ আমিনা বেগম জানান, ‘তিন-চার বছর আগেও আমরা আমাদের বসতভিটার উঠান অব্যবহৃত রাখতাম। একটি বেসরকারি সংস্থার উৎসাহ ও সহযোগিতায় বসতভিটার উঠানকে কাজে লাগানো শুরু করেছি। জৈবসার ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করছি। এতে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারছি।’

‘অনেক সময় উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি বিক্রি করে টাকা রোজগারও করতে পারছি। আমি ৫ শতাংশ বসতভিটার উঠানে সারা বছরই লাউ, মরিচ, করল্লা, লাল শাকসহ বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করছি।

চিলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, ‘আপাতত জৈব সার ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজি দিয়ে পরিবারগুলোর চাহিদা মিটলেও এর বাণিজ্যিক উৎপাদন সেভাবে শুরু হয়নি। এই কাজে বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি কৃষি বিভাগও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে বসতভিটার উঠান অব্যবহৃত ফেলে না রেখে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করায় চরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ড. আবুল মনসুর
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এবছর ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২’ লাভ করেছেন।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ইকোনোমিক রিপোর্টারস ফোরাম মিলনায়তনে গত শনিবার এক সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর লেখা এক অবহিতকরণ চিঠিতে প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল ‘উপমহাদেশে শিক্ষা বিস্তারে শেরে বাংলার ভূমিকা’।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রেস্ট প্রদান করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শরীফ সাকী ও আলহাজ্ব আব্দুস শক্কুর। সেমিনার উদ্বোধন করেন ব্যারিষ্টার জাকির আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জনাব মুহাম্মদ আতাউল্লাহ্ খান। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ সম্মাননা লাভ করেন। প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর বিগত ৩৬ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।

তিনি দুইবার বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। একবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট ছিলেন। ফিশ মিউজিয়াম এন্ড জার্মপ্লাজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত।

প্রফেসর ড. মো: আবুল মনসুর ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি.এইচ-ডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০১ সালে জে.এস.পি.এস. পোস্ট-ডক ফেলোশীপে জাপানে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ৫:২৭ অপরাহ্ন
কেনাফ রাজ্য পরিদর্শন করলেন বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল
কৃষি বিভাগ

গত ০২/০৭/২০২২ খ্রিঃ এ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সম্মানিত মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল কিশোরগঞ্জ পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ২০২১-২২ খ্রিঃ এ স্হাপিত পাট ও কেনাফ প্লট,ব্লক,ভিলেজ পরিদর্শন করেন। বিজেআরআই এর সম্মানিত মহাপরিচালক করিমগঞ্জের কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কৃষক ভাইয়েরা তাদের সমস্যার কথা বলেন।এ সময় কৃষকরা আরো বলেন কেনাফ চাষে নিড়ি খরচ কম লাগে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ ও কম হয়,ফলনও ভালো।যেখানে বাজারের নিম্নমানের বীজের গাছের উচ্চতা ৫ -৬ ফিট হয় সেখানে পাট গবেষণার বীজের গাছের উচ্চতা ১২-১৪ ফিট হওয়ায় কৃষকেরা পাট গবেষণার বীজের প্রতি আগ্রহী। এছাড়াও কৃষক ভাইয়েরা আরও বলেন কেনাফের পাতা গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কেনাফের আঁশের মূল্য মণ প্রতি ৩৫০০-৩৮০০ টাকা পাওয়ায় কৃষক ভাইয়েরা অনেক খুশি এবং কেনাফ চাষে আগ্রহী।

বিজেআরআই মহাপরিচালক বলেন বোরো করার পর ট্রান্সপ্লান্টিং পাট/ কেনাফ আশঁ করে অনায়াসে টি- আমন ধান ফসল করা যায়। আশঁ ফসলের পরবর্তীতে পাট ও কেনাফ বীজ এ স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার জন্য আরো ১৫০ পাট চাষী ভাইদের মাঝে কেনাফ বীজ দেওয়ার কথা বলেন। বীজ উৎপাদন তরান্বিত করার জন্য বিজেআরআই মহাপরিচালক করিমগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের মাঝে বীজ উৎপাদন সমিতি করে দেন।সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ রমজান আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হন আশরাফুল আলম কাজল মিয়া। সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয় সমিতির উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এতে কৃষক ভাইয়েরা খুবই আনন্দিত হন এবং বাজারের নিম্ন মানের বীজ ক্রয় না করে নিজের বীজ নিজে উৎপাদনের জন্য তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন। করিমগঞ্জ উপজেলার কৃষক ভাইয়েরা আগামী বীজ মৌসুমে বীজ প্লট পরিদর্শন করার জন্য বিজেআরআই এর সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়কে অগ্রীম দাওয়াত দেন।

এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ এর ইনচার্জ মহোদয় জনাব ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দাস, এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সরেজমিন বিভাগ, কিশোরগঞ্জের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ১:১৬ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): গোপালঞ্জে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২ জুলাই) শহরের সবুজবাগে ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের (বারি অংগ) উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের বরিশালের আরএআরএসর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.আলিমুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনসিটটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মহসীন হাওলাদার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশালের আরএআরএসর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান, বরিশালের কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, গোপালগঞ্জে ভাসমান কৃষির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখানকার ভাসমান বেডে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন অনেকাংশে বাড়বে। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন। সেই সাথে হবে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন। প্রশিক্ষণে গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩, ২০২২ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
বিনা ধান-১৭ আগাম পাকে, লাভ অনেক
কৃষি বিভাগ

উচ্চ ফলনশীল, স্বল্প মেয়াদি, খরাসহিষ্ণু, আলোক সংবেদনশীল ও উন্নত গুণাগুণের বিনা ধান-১৭ আবাদে কৃষি খাতে বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ জাত আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা জানান, উদ্ভাবিত এ জাতের ধানগাছ খাটো ও শক্ত বলে হেলে পড়ে না। পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ৯৬ থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার। পাতা গাঢ় সবুজ ও খাড়া। ধান আগাম পেকে যাওয়ায় কাটার পর জমিতে সহজেই আলু, গম বা রবিশস্য চাষ করা যায়।

বিনা ধান-১৭ উজ্জ্বল রঙের। ধান ও চাল লম্বা এবং চিকন, খেতে সুস্বাদু। এ কারণে বাজারমূল্য বেশি ও বিদেশে রপ্তানির উপযোগী। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪.৬ শতাংশ এবং হেক্টরপ্রতি ৬.৮ টন থেকে সর্বোচ্চ আট টন পর্যন্ত ফলন হয়।

এ ধানের চাল রান্নার পর ভাত ঝরঝরে হয় এবং দীর্ঘক্ষণ রাখলেও নষ্ট হয় না। ধানের এই জাতটি পাতা পোড়া, খোল পচা ও কাণ্ড পচা ইত্যাদি রোগ তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়া প্রায় সব ধরনের পোকার আক্রমণ, বিশেষ করে বাদামি গাছফড়িং, গলমাছি ও পামরি পোকার আক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি।

বিনা ধান-১৭ আগাম পাকে, লাভ অনেক
বিজ্ঞানীরা জানান, ধান চাষ বৃদ্ধির কারণে তেল ও ডালজাতীয় শস্যের জমি কমে যাচ্ছে। বিনা ধান-১৭ উচ্চ ফলনশীল এবং এর জীবনকাল তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলে শস্য নিবিড়তা বাড়াতে খুবই কার্যকর। আগাম পাকা জাত হিসেবে এটি চাষ করে সঠিক সময়ে তেল ও ডাল ফসল চাষ সম্ভব।

লবণাক্ত এলাকা ছাড়া দেশের সব রোপা আমন অঞ্চল, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা এবং রাজশাহীসহ ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ ও পার্বত্য অঞ্চলে জাতটির বেশি ফলন পাওয়া যায়।

বিনা ধান-১৭ জাতের ধানটি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম।

ড. শামছুন্নাহার বেগম জানান, ‘এ জাতের ধানটি উদ্ভাবনে পাঁচ বছর গবেষণা করা হয়েছে। বিনা ধান-১৭-এর কৌলিক সারি নম্বর SAGC-7, যা ইরি-বিনার সহযোগিতায় ইরি-ফিলিপাইন থেকে সংগ্রহ করা হয়। সারি C418 (ZHONG413)-এর সঙ্গে SH109/(ZHONG413)2 সংকরায়ন করে পরে খরাসহিষ্ণু (ZHONG413)2-এর সঙ্গে পশ্চাৎ সংকরায়ন ও জিন পিরামিডিংয়ের মাধ্যমে লাইনটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।’

তিনি জানান, এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমন মৌসুমে ফলন পরীক্ষার মাধ্যমে জাত হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদি জাত হিসেবে সারা দেশে আমন মৌসুমে চাষের জন্য বিনা ধান-১৭ নামে অনুমোদন দেয়।

বিনা ধান-১৭ জাতের ধানের উদ্ভাবক বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ‘এ জাতটি সম্পর্কে ইতোমধ্যে কৃষকদের অবগত করা হয়েছে। নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি আবাদ হয়েছে। অল্প খরচে বেশি উৎপাদনসহ চাল বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।’

তিনি বলেন, “এ ধানগাছের প্রতিটি শিষে পুষ্ট দানার সংখ্যা ২৫০ থেকে ২৭০টি। প্রচলিত জাতের তুলনায় ইউরিয়া সার ৩০ শতাংশ কম ও জমিতে ৪০ শতাংশ পানি কম লাগে। এ কারণে ‘গ্রিন সুপার রাইস’ হিসেবেও জাতটির নামকরণ হয়েছে।”

মহাপরিচালক বলেন, ‘চলতি মাসে বিভিন্ন জাতের ধানে এখনও শিষ বের হয়নি। এগুলো পরিপক্ব হতে আরও দেড় মাস লেগে যাবে। অথচ অন্য জাতের সঙ্গে একই সময়ে লাগানো বিনা ধান-১৭ জাতের ধান কাটা শেষ হয়েছে। কিছু জমিতে ধান থাকলেও সেগুলোও সম্পূর্ণ পেকে গেছে। এখন কৃষক ধান কাটতে ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত। আগাম ধান কাটা শেষ হওয়ায় একই জমিতে এরপর আলু, গম বা রবিশস্য চাষ করা যাবে।’

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২২ ৫:২৩ অপরাহ্ন
রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষিকে আরও উন্নত করতে চাই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা একসময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দুর্যোগেও দেশে এখন খাদ্য সংকট হয় না।

আজ শনিবার সকালে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ভবনে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি অনেক উন্নত হয়েছে, এটিকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে না পারলে এটি সম্ভব হবে না। কোন ফসলের উৎপাদন একটু বাড়লেই কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পায় না। সেজন্য আমরা  কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে নেদারল্যান্ডস শীর্ষস্থানীয় দেশ, বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে (গ্রিন হাউস, বিরূপ পরিবেশে) ফসল উৎপাদনে বিশ্বের উদাহরণ।  নেদারল্যান্ডসের এ অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে কাজ করছি।

সভায় প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে  কৃষিপণ্য আনার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা তুলে ধরেন।

এর আগে মন্ত্রী দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনও প্রকৃত অর্থে স্বশাসিত ও স্বাধীন ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর ও মীর জাফরের বংশধরেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। পাকিস্তানিরা যাঁকে হত্যা করতে সাহস পায় নি, আমাদের সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে এ দেশের বাঙালিরা হত্যা করেছে, যা চরম অকৃতজ্ঞতা ও নৃশংসতার উদাহরণ।

তিনি বলেন, মাও সেতুং এবং লেনিনকে সে দেশের মানুষ পরম শ্রদ্ধাভরে ও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। বঙ্গবন্ধু মাও সেতুং ও লেনিনের মতো মহান নেতা, কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, রাজাকার, আলবদররা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে এবং এখনও এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করে।

মন্ত্রী বলেন, এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও চায় না বাংলাদেশ উন্নত দেশ হোক, পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাক।

পরে বিকালে কৃষিমন্ত্রী ইস্ট ওয়েস্ট সিডসের প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী সিমন গ্রুটসের সাথে বৈঠক করেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেহানা ইয়াসমিন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২২ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে; তবে এখন পর্যন্ত কোনো পশু মারা যায়নি।

উপজেলার ছোট চামতারা গ্রামের ইয়ামিন মোল্লার দুটি, পোতাজিয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের পাঁচটি, গোলাম মোর্শেদ ও মানিক ব্যাপারীর একটি করে গরু আক্রান্ত হওয়ার কথা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “গত তিন বছর ধরে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগটি দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এটি বেশি হয়। সাত থেকে আট দিনের চিকিৎসায় আক্রান্ত গরু সুস্থ হয়ে উঠে।”

“উপজেলায় দুই শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত গরুগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি ছোঁয়াছে রোগ না হওয়ায় দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আশা করছি, কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরুতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”

পোতাজিয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক সাইদুল ইসলাম বলেন, “এক সপ্তাহে পোতাজিয়া ও আশপাশের গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসায় অর্ধেক ভালো হয়েছে। বাকিগুলোর চিকিৎসা চলছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।” এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীর স্থানে স্থানে ফুলে যায় বলে জানান খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় সাত হাজার খামারে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার গরু রয়েছে। এ বছর খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা কোরবানির জন্য ৭০ হাজারের বেশি গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪৬১টি এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ২৪ হাজার ২৮০টি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৫:৪৩ অপরাহ্ন
বরিশালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কৃষির ভূমিকা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় কৃষির ভূমিকায় বারটানের করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৩ জুন) শহরতলীর মহাবাজে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (বারটান) উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. আমিন উল আহসান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল ওয়াদুদ। মূল প্রবন্ধক ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার।

বারটানের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মো. আমিন উল আহসান বলেন, স্বাধীনতার আগে এ দেশের ৭ কোটি মানুষের খাবারের অভাব ছিল। এখন ১৮ কোটি হওয়া সত্তে¡ও খাবারের কোনো সংকট নেই। তবে পুষ্টি নিয়ে ভাবনা রয়েছে।

কোন খাবার কতটুকু খেলে চাহিদা পূরণ হবে, এ বিষয়ে বারটানের ভূমিকা গুরুত্বপূুর্ণ। তাই কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বের মাধ্যমে পুষ্টির গুণগতমান নিরূপণ করে তা জনগণের কাছে পৌঁেছ দিতে হবে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। পুষ্টির পরিমাণ জেনে খাবার খেলে আমাদের পুষ্টির নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত হবে।

সেমিনারে কৃষিসংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৫:৩০ অপরাহ্ন
বাকৃবির আইএডিএস’র নতুন পরিচালক ড. ইসমত আরা
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এর কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ইসমত আরা বেগম, ইনস্টিটিউট অব এগ্রিবিজনেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের (আইএডিএস) পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের নির্বাহী আদেশে তিনি আইএডিএসের নতুন পরিচালক পদে যোগদান করেন।

জানা যায়, আইএডিএসের পরিচালক পদে যোগদানের আগে ড. ইসমত আরা বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোষ্ট, প্রভোষ্ট পরিষদের কনভেনর, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির শিক্ষক সংগঠন গনতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের অনুষদীয় কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ, ও বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতি সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদকসহ অনেক প্রশাসনিক, সামাজিক ও পেশাগত সংগঠনের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন।

ড. ইসমত আরা বেগম ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পান। শিক্ষা জীবনের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ডাবল স্টার প্রাপ্ত ড. ইসমত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর নিয়ে ১ম শ্রেনীতে ১ম স্থান সহকারে কৃষি অর্থনীতিতে বিএসসি (অনার্স) ও কৃষি অর্থনীতিতে (উৎপাদন) মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি অনার্স ও মার্ষ্টাস উভয় পরীক্ষাতেই রেকর্ড পরিমাণ মার্কস পেয়ে ডাবল গোল্ড মেডেল পান।

ড. ইসমত আরা বেগম জাপান সরকারের বৃত্তি (মনবুশু) নিয়ে হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটি, জাপান থেকে কৃষি উন্নয়ন অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঘেন্ট ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়াম থেকে কৃষি অর্থনীতিতে পোষ্ট-ডক করেন।

ড. ইসমত কাহো লুভেন বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘ইরাসমাস মুন্ডুজ’ ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে ‘ইকোলজিক্যাল ইকনমিক্স অভ গ্লোভাল ফুড প্রোডাকশন’ বিষয়ে স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষকতা করেন।

ড. ইসমত ক্রফোর্ড পাবলিক পলিসি স্কুল অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ায় এন্ডোভর ভিজিটিং ফেলো ও যুক্ত্ররাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস এর ইউএল ফেলো হিসেবে কাজ করেন। তিনি অষ্ট্রেলিয়ান সরকারের অত্যন্ত মর্যাদাপুর্ণ জন ডিলন ফেলো নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডজান্ক্ট গবেষক।

ড. ইসমত মর্যাদাপুর্ন মনবুশু, এন্ডোভর, অসএইড, ভিএলআরআই, ইরাসমাস মুন্ডুজ সহ ১০টির অধিক প্রতিযোগিতামুলত স্কলারশীপ ও ফেলোশীপ প্রাপ্ত হন। তিনি ২ বার ‘বেষ্ট প্রকাশনা অ্যাওয়ার্ড’ ও ২ বার ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইপপেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।

তিনি ৮০ এর অধিক আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় জার্নাল আর্টিকেল, বই, সম্পাদীয় বইয়ে অধ্যায় ও থিসিস প্রকাশ করেন। তাছাড়া তিনি প্রায় ২০টির অধিক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স/সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ এর অধিক মাস্টার্স ও ৪ জন পিএইচডি/পোষ্ট-ডক এর গবেষণা (কো)-সুপারভাইজার করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনবে-
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু ,বাকৃবি: পদ্মা সেতু চালু হওযার ফলে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা আসবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে এ এলাকার কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং অল্প সময়ে কৃষি পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হ্ওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে ব্যাপকভাবে। খুলনা ও বাগেরহাটের মাছ, যশোরের সবজি আর ফুল, পটুয়াখালীর মুগডাল-তরমুজ-মাছ, মাদারীপুরে প্রচুর পেঁয়াজ-মসুর-সরিষা, বরিশালের ধান ও পানসহ পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের ও আওযামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্বে বাকৃবি শিক্ষক কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাগুরার লিচু চাষীরাই আগামী বছর থেকে প্রতি মৌসুমে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বাড়তি লিচু বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। লিচুর পাশাপাশি মাগুরায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি, ১২ হাজার হেক্টরে পেঁয়াজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জমিতে কাচামরিচের চাষ হয়।

পাট-পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে অন্যতম ফরিদপুর জেলা। এসব পণ্য দ্রæত ঢাকার বাজারে পাঠানো সম্ভব হবে। যশোর ও ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের কদর আছে দেশ জুড়ে। এখানকার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গাছের বাগানও করা যেতে পারে।

এখন অঞ্চলগুলোতে রপ্তানিমুখী কৃষি ভিত্তিক পণ্যগুলোর জন্য জোন চিহ্নিত করতে হবে। দেশে কৃষি পণ্যের জন্য উপযুক্ত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । কৃষির পাশাপাশি কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত না করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ভারী শিল্প কারখানা, সমৃদ্ধ হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিসহ পুরো বাংলাদেশ।

কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিমুখী কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা অতি দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। সার্বিকভাবে বলা যায়, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানকার কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় সূচনা হবে এক নতুন অধ্যায়ের।

প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন বলেন, এছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা হবে উল্লেখযোগ্য। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো তে বিশেষকরে শরীয়তপুর এই বছরে উৎপাদন হয় ৮১ হাজার টন মাংস ও ১ লাখ ৫ হাজার টন দুধ।প্রতি বছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪২ হাজার টন মাংস ও ৩২ হাজার টন দুধ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এতদিন ফেরিঘাটের ভোগান্তির কারণে উদ্বৃত্ত এসব মাংস ও দুধ ঢাকায় বিক্রি করা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে বাড়তি মাংস ও দুধ বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে খামারিদের। এখন সেতু চালু হলে মাত্র ২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাবে এসব দুধ ও মাংস।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি খাত থেকে এরকম বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে পরিমাণ চিংড়ি উৎপাদিত হচ্ছে তার বর্তমান স্থানীয় বাজার মূল্য হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকার মত। চাষ পদ্ধতি একটু উন্নত করে আধা-নিবিড় প্রক্রিয়ায় চাষ করলে চিংড়ির উৎপাদন ৭ গুণ বাড়াানো সম্ভব, এবং যার ফার্মগেট মূল্য হচ্ছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা দেশের জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশে চিংড়ি খামারের আয়তন ও উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২৫৭৮৮৮ হেক্টর ২৭০১১৪ মেট্রিক টন। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য। সামগ্রিক কৃষিক্ষেত্রে চিংড়ি একমাত্র রপ্তানিযোগ্য পণ্য যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চিংড়ি উৎপাদনের ৯০% এরও বেশি উৎপাদিত হয় খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে। প্রচলিত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত কম, যা বর্তমানে হেক্টর প্রতি এক মেট্রিক টনের মত। প্রচলিত পদ্ধতির এই চিংড়ি খামারগুলোতে আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৭ থেকে ৮ টনে উন্নীত করা সম্ভব। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিংড়ি চাষ এলাকায় ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতুর সুদূর প্রসারী প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় চাষীদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যোক্তাদের তথ্য ও জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। তাতে করে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত চিংড়ি খামারের উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে চিংড়ি উৎপাদিত হবে এবং বিদেশে চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

রপ্তানি বাজার এর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বিশেষ করে রাজধানী শহর থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে চিংড়ির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, চাষিরা অধিক মূল্য পাবে এবং লাভবান হবে। অনেক দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা বিশেষ করে আধুনিক চিংড়ি চাষী, মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী, ঔষধ সরবরাহকারী, মাছ-চিংড়ি বিপণনকারী, রপ্তানিকারক, ইত্যাদি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারা এ সমস্ত অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন।

শিক্ষক নেতারা এসময় আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় আতœবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা পদ্মা সেতু। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে আরও একবার জানান দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাঙালি জাতির গৌরব, মর্যাদা আর অহঙ্কারের প্রতীক। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির আবেগ ও জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় ও দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মো: জয়নাল আবেদীন, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, প্রফেসর ড. মো এনামুল হক, প্রোক্টর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রফেসর ড. মো: হারুন-অর-রশিদসহ বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর শিক্ষক মন্ডলী এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop